আজ বিকালে টিন টিন বাবুর প্রিয় জায়গায় কাটানোর কিছু মুহূর্ত
Hello
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আমি কোনো রেসিপি শেয়ার করবো না। দু দিন ধরে টিনটিন বাইরে ঘুরতে যাওয়ার জন্য খুব বাহানা করছে। এখন একটু একটু করে বড় হচ্ছে, আগের থেকে অনেক কিছু বুঝতে ও শিখেছে তাই বাইরে যাওয়ার জন্য বাহানা করে। ও যখনই বুঝতে শিখেছে সেই থেকে করোনা ভাইরাস এসে আমাদের জন জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। ও এখনও বাচ্চা তাই ওকে এখন বেশি বাইরে নিয়ে যাই না। বেশি বাহানা করলে তখন একটু বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।
টিনটিন বাবু পার্কে যেতে পছন্দ করে। কিন্তু এই সময় পার্কে যাওয়া খুব রিস্ক। তাই ওর পছন্দের জায়গা সুপার সপ এ যাবো। বিকাল ৫ টার সময় আমরা রেডি হয়ে গেলাম এর ভিতরে আমাদের আমাদের ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে আসলো। আমরা রেডি হয়ে গাড়িতে উঠলাম। আমাদের বাড়ি থেকে সুপার মার্কেট যেতে গাড়িতে ৫ মিনিট সময় লাগে। আমরা যেখানে গিয়েছি সেই সুপার মার্কেট এর নাম " Star mall" ।
টিন টিন বাবু " Star mall" এ যেতে খুব পছন্দ করে। এক ছাদের নিচে সবকিছু পাওয়া যায়। এখানে বাচ্চারা নিজেদের মতো করে ঘুরতে পারে, বিভিন্ন ধরনের খেলনায় হাত দিতে পারে আবার রাখতে পারে। আলাদা আলাদা স্টোর আছে। এটা ৫ তোলা বিল্ডিং, অনেক আলাদা খাবার এর জায়গায় আছে
এখানে বিভিন্ন দেশী বিদেশি অনেক খাবার খাওয়া যায়। এবং এখানের খাবারের মান খুব ভালো।একটি বড় সিনেমা হল আছে। কিছুদিন হলো সিনেমা হল খুলছে।করোনা পরিস্থিতির কারণে বন্ধ ছিল। আরও দেশী বিদেশি ব্র্যান্ডের জমা কাপড়, জুতা, ঘড়ি পাওয়া দওযায়।
"Spencer" নামে একটি ষ্টোর আছে। এখানে কাচা বাজার থেকে শুরু করে মাছ , মাংস , দেশী বিদেশি ফল, বিভিন্ন ধরনের জুস, কোল্ড ড্রিঙ্কস, বিস্কুট, ফ্রোজেন খাবার পাওয়া যায়। বিভিন্ন ধরনের বাচ্চা দের খেলনা পাওয়া যায়। টিন টিন বাবু একটা বল নিল সেটা নিয়ে ঘুরে ঘুরে খেলতে লাগলো। আর নিল কিছু চকলেট , প্লে ডো। চকলেট খেতে খুব পছন্দ করে। আমরা মাঝে মাঝে প্রায় যাই। আমার ও ভালো লাগে কারন এক জায়গায় সব কিছু পাওয়া যায়।
এখানে ছবি তোলা বারণ তাই সব কিছুর ছবি তুলতে পারিনি। লুকায় কিছু ছবি তুলছি। তারপর সুপার মার্কেট এর বাইরে এসে দেখি প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে তাই বাইরে থেকে ও ভালো ছবি তুলতে পারিনি। টিনটিন বাবু আজ ঘুরতে যেয়ে আরও পছন্দের খেলনা পেয়ে খুব খুশি।
সুপার মার্কেট থেকে আসতে আমাদের অনেক টা রাত হয়ে গিয়েছিল। এসে সে আবার বাহানা ধরলো ও ল্যাপটপে ছবি আঁকবে। ওকে একা আঁকতে দিলে হবে না। তার পাশে বসে তার ছবি দেখে হাত তালি দিতে হবে এবং বাহবা বলতে হবে।
টিনটিন বাবুর ঘুরোঘুরি
টিনটিন বাবুর শপিং,
দুষ্টুমি আর হৈ-হুল্লোড়
এটাই প্রিয় জবিং।
শুভকামনা তোমার তরে
অনেক বড় হবে
জ্ঞানে-গুণে সফলতায়
বিশ্বকে জয় করবে।
ধন্যবাদ আপু।আমি আপনার কবিতার বড় ফ্যান।
খুশি হলাম। আমি ধন্য♥
টিন টিন বাবুর বাঙালি স্টাইলে দাড়ানোর ভঙ্গি গুলো, আসলে খাটি বাবু বুঝতে ভুল হয়না। বাবুতো বাবুই এই আর কি। আশীর্বাদ করি বড় মনের মানুষ হোক। লেখা, ছবি ও বাচন ভঙ্গি, সবমিলিয়ে ভাল ছিল।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
টিন টিন বাবুকে খুব মিষ্টি লাগছিল। অনেক কিউট একটা বাবু। ছবিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে টিনটিন স্টার মল এ গিয়ে অনেক মজা করেছে এবং আনন্দ করেছে। শেষের ছবিটাতে টিনটিন ট্যাপ নিয়ে আকিবুকিতে ব্যস্ত ছিল। অনেক সুন্দর দেখা যাচ্ছি । টিন টিন বাবুর জন্য আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা।
শুভ কামনা।
ধন্যবাদ ভাইয়া
🥰🥰
দিনটি টিনটিন বাবুর জন্য বেশ আনন্দের ছিল।করোনা জন্য বাচ্চাদের মনে আলাদা প্রভাব ফেলেছে বন্দি জীবনে।বাচ্চারা বাইরের মুক্ত পরিবেশে ঘুরতে অনেক মজা পায়।
টিনটিন বাবুর জন্য আমার অনেক ভালোবাসা,আদর এবং শুভেচ্ছা রইলো।
হ্যা, ঠিক বলেছো, আগের মতো কোথাও ঘুরতে যেতে পারে না মনে একটা ভয় কাজ করে। এই ঘরের ভিতর থাকতে থাকতে একটা খারাপ প্রভাব পড়ছে। মন্তব্য ভাগ করে নেওয়ার জন্য তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।
বাচ্চারা আসলে অনেক আদরের হয়। পার্কিং বা বাইরের যে কোনো জায়গাতেই ঘুরতে আসলে বাচ্চারা খুব পছন্দ করে। টিনটিন বাবু তো অনেক শান্ত ও কিউট প্রকৃতির। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য
ওকে দেখে যতটা শান্ত মনে হচ্ছে, তা ও নয়। প্রচন্ড দুষ্টু,ওকে দেখে বুঝা যায় না। বাইরে গেলে খুব শান্ত কিন্তু বাড়ীতে সবাইকে পাগল করে দেয়। আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।
দেখে খুবই শান্ত মনে হচ্ছে। তাহলে এই অবস্থা। আমার মেয়াটাও এরকম। বাইরে গেলে খুব শান্ত থাকে।
বড় হয়ে আব্বুর মতো হও বাবু । তোমার জন্য অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা রইল। 😊❤
ধন্যবাদ ভাইয়া
টিন টিন বাবু কিন্তু একদম কিউটের ডিব্বা। ওর পছন্দের জায়গায় অনেক ভালো সময় কাটিয়েছে। ওর জন্য শুভ কামনা রইলো।
ছবিগুলো থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে টিনটিন সময়টা খুব উপভোগ করেছে। আর ওযে খুব চকলেট পছন্দ করে তা ওর ফ্রিজের সামনে দাঁড়িয়ে চকলেট দেখা থেকেই বোঝা যায়। সুপারশপে ঘুরতে আমারও অনেক ভালো লাগে বৌদি। একসাথে অনেক জিনিস দেখার একটা আলাদা আনন্দ আছে। তবে আপনি যে বিশাল সুপারশপের বর্ণনা দিলেন। আমাদের এলাকায় এমনটা নেই। আর টিনটিনের আঁকা ছবি একদিন শেয়ার করবেন বৌদি। আমরা সবাই দেখবো। আশা করি বাবার মতোই দুর্দান্ত আঁকিয়ে হবে টিনটিন।
একদিন শেয়ার করবো। অনেক ছোটো শুধু ঘিজিমিজি আঁকে ভাইয়া।
অসংখ্য ধন্যবাদ বউদি।
দেখতে যেমনটি সুন্দর নামটাও ঠিক একই রকম সুন্দর টিনটিন। এই করোনার সময় আমরা প্রাপ্তবয়স্করাই ঘরে থাকতে থাকতে বিরক্ত আর ও তো একটা বাচ্চা।
দেখে মনে হচ্ছে টিনটিন বাবুর দিনটি ভালো কেটেছে, বাচ্চারা তো এমনি হয় তাদেরকে ঘরে বেধে রাখা যায়না, বাইরে যাওয়ার জন্য তাদের মন সবসময় আনচান করে। কিন্তু এখন কি আর করা যতোটুকু সম্ভব আমাদেরকে ততোটুকু চেষ্টা করা।
টিনটিন বাবুকে বল হাতে অনেক কিউট লাগছে। অনেক অনেক দোয়া রইল বাবুটার জন্য।
ধন্যবাদ আপু।