আজকে আমার দিনলিপি "আমাদের ফ্ল্যাটে পূজার কিছু মুহূর্ত"
Hello
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আজ আমি বাড়িতে কি করেছি আর আমাদের ফ্ল্যাটে পূজার কিছু মুহূর্ত শেয়ার করবো। আজ বৃহস্পতিবার এই দিনে প্রতি ঘরে ঘরে লক্ষী পূজা করা হয়। প্রতি বৃহস্পতিবারে প্রত্যেক বাড়ির বউ রা সংসারের মঙ্গল কামনার জন্য ঘট স্থাপন করে পূজা করে।তাই বৃহস্পতিবার কে লক্ষ্মী বার হিসেবে ধরা হয়। এই পূজা সকালে বা সন্ধ্যায় করতে হয়।
তাই আজ আমি খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়ছি। কারণ আজ আমাদের ফ্ল্যাটে পূজা করতে হবে। সকালে আমার শাশুড়ি রান্না করে। আর আমাকে বলে দেরি করে ঘুম থেকে বলে। আজ বৃহস্পতিবার তাই সকাল সকাল থেকে উঠছি। তাই সকালে উঠে আমার শাশুরির হাতে হাতে কিছু কাজ করে দিলাম। আমার আর মার জন্য চা তৈরি করলাম। মা আমাকে রেখে আবার কিছু খায় না। তাই আমি আর মা চা খেয়ে সবার জন্য খাবার তৈরি করছি।
৯.০০ টার দিকে আমার শ্বশুরকে খেতে দিলাম। টিনটিন বাবু ও আর সবাই অনেক দেরি ঘুম থেকে উঠে। তাই সকালে আমার বেশি কাজ থাকে না। তাই আমি সবাই ঘুম থেকে ওঠার আগে স্নান করে নিলাম। এরপর পূজার থালা বাসন ধুয়ে পরিস্কার করে আমি পূজা সেরে নিলাম।
হটাৎ মা বলল বাবু উঠে গেছে। বাবুকে দাঁত করতে নিয়ে গেলাম। কিন্তু ওকে দাঁত ব্রাশ করাতে গেলে প্রতিদিন যুদ্ধ করতে হয়। টিনটিন বাবু দাঁত ব্রাশ করতে চায়না। অনেক জোড়াজুড়ির পর দাঁত ব্রাশ করিয়ে কিছু খাইয়ে দিলাম। তারপর সবাইকে একা একা খেতে দিয়ে আমাকে আবার পুজোর ঘরে যেতে হবে ।সেখানে পরিষ্কার করে পূজার জিনিস গুছিয়ে নিতে হবে। সন্ধ্যায় ঘট স্থাপন করে লক্ষী পূজা দিতে হবে।
সন্ধ্যার সময় বাজার থেকে কিছু পূজার ফুল ও ৫ রকম ফল ও ৫ রকম মিষ্টি এনে দিল আমার দেবর। আমরা সবাই মিলে ৭ টার দিকে পুজোর ঘরে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে প্রথমে হাত মুখ ধুয়ে পূজার সামগ্রী নিয়ে সাজাতে বসলাম। প্রথমে আমি গোপাল ঠাকুর ও লক্ষ্মী প্রতিমা বসালাম।এবং তার সামনে ঘট স্থাপন করলাম। তারপর প্রতিমার সামনে প্রসাদ সাজিয়ে দিলাম। এরপর পূজা দিয়ে লক্ষ্মীর পাঁচালী পরে আরতি করে পূজা শেষ করলাম। এরপর প্রসাদ সবার মাঝে বিতরণ করে নিজে একটু খেয়ে কিছুক্ষন রেস্ট নিয়ে আবার ঘরে চলে আসলাম।
এসে সবাইকে মা খেতে দিল আর আমি একটু শুয়ে পড়লাম।কারণ সারাদিন কিছু খাইনি তো তাই। তারপর ঘণ্টা খানেক পরে আমি আর খেয়ে নিলাম। সব মিলিয়ে আজকের দিনটি আমার একটু ব্যাস্ততার মাঝে দিয়ে কেটেছে। তবুও আজ মনটা বেশ ভালো লাগছে কারন লক্ষী পূজা করতে পেরে। টিনটিন বাবু ও খুব মজা পেয়েছে। আমি বাড়ি পূজা করলে ওর খুব ভালো লাগে। সবাইকে শুভ রাত্রি ।
বৌদি আপনার উপস্থাপনা খুবই সুন্দর ছিলো। টিনটিন বাবুর ঘটনা টা আমার বেশ ভালো লেগেছে।ওর কথায় আমার ছোট বেলার কথা মনে পরে গেলো। ব্রাশ করতে চায় না। আমিও ছোট বেলায় এমন ছিলাম ব্রাশ করতে চাইতাম না আমার আম্মুর আমার তার জন্যে সকাল সকাল ধুপধাপ মাইর দিতো😀ছোট কালে বেশি বেশি ব্রাশ করার করনেই মনে হয় আমার দাঁত এখন এতো সুন্দর 🤣🤣
সর্বশেষ আপনার দিনটা ভালো কেটেছে জেনে খুবই ভালো লাগলো। এ রকম আরো অনেক সুন্দর দিন আপনার জীবনে বার বার ফিরে আসুক
জয় মা লক্ষ্মী।
বৌদি আপনার সারাদিনের পূজার অভিজ্ঞতা শুনে ভালো লাগলো।আমি ও মাঝে মাঝে পূজা করি।টিনটিন বাবুর জন্য অনেক আদর ও ভালোবাসা রইলো।ধন্যবাদ বৌদি।
দিনলিপি নিয়ে ভালো লিখেছেন।আপনার পূজার এবং টিনটিন বাবুর খুশি থাকার বিষয় খুব ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
পূজা বা পবিত্র কাজ দিয়ে দিন শুরু করলে মনের ভেতর এক প্রকার শান্তি কাজ করে।আর দিনটাও সুন্দরভাবে কেটে যায়।ধন্যবাদ আপনাকে।
অত্যান্ত সুন্দর একটি দিন লিপি ছিলো দিদি।ধন্যবাদ সুন্দর সময়টাকে লিপিবদ্ধ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।💖
আপনারা অনেক আয়োজন করে পূজার কার্যকলাপ করেছেন। ফটোগ্রাফিতে সেগুলো স্পষ্ট। আপনার মূল্যবান সেই মুহূর্তে বিষয়গুলো জেনে ভালো লাগলো বৌদি।
মুহুর্তগুলো সুন্দর ছিল।হাশি-খুশি থাকুন সবসময়।আর এমন গল্প নিয়ে প্রতিদিন আমাদের সাথে মিশে থাকুন।❤️
সুখ শান্তি চির অটুট থাকুক আমার পরিবারে । বৌদি টিনটিনের দাঁত মাজানোর দায়িত্ব পারলে আমার উপর দিয়েই দিন 😊
হিন্দু ধর্মাবম্বীদের নিকট পুজা উদযাপন একটি পবিত্র কাজ।অনেক সুন্দরভাবে এই পবিত্র কাজ সম্পন্ন করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর দিন সম্পর্কে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার দিনলিপিটি খুবই সুন্দর ছিল। আপনার সারাদিনের গল্পটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার ছবিগুলো খুব সুন্দর ছিল।