বাঙালি রেসিপি "টক মিষ্টি কাঁচা তেতুঁলের চাটনি "
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন । আজ আমি আপনাদের সাথে চাটনি রেসিপি শেয়ার করবো। চাটনির কথা শুনলে মুখে জল এসে যায়। আর তা যদি হয় কাঁচা তেঁতুল তাহলে তো কথাই নেই। ছেলেবেলায় গ্রামে থাকতে প্রচুর পরিমাণে কাঁচা তেঁতুল খেতাম। তাই কাঁচা তেঁতুল দেখলে বা শুনলে জিভে জল এসে যায়। আর আপনাদের তো প্রচুর টক খেতে পারে। আর তার কাঁচা তেঁতুল খুবই পছন্দের। ওর কাঁচা তেঁতুল খাওয়া দেখলে মাথা খারাপ হয়ে যায়। কাঁচা তেঁতুল খাওয়ার প্রতিযোগিতা হলে আমি নিশ্চিত ওই ফার্স্ট হবে। আর ও চাটনিতে মিষ্টি খায় না। তবু ও আমি নিজে খাওয়ার জন্য একটু চিনি দেই। আপনাদের দাদা মিষ্টি খুবই অপছন্দ করে। বাজারে গিয়ে দেখি কাঁচা তেঁতুল এসেছে তাই ভাবলাম ও খুবই পছন্দ করে তেঁতুল গুলো নিয়ে যাই। আর সেই তেঁতুল দিয়েই চাটনি তৈরি করবো। এটি খুবই মুখরোচক খাবার। আশা করি, আপনাদের ভালো লাগবে।তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
উপকরণ:
১.কাঁচা তেঁতুল - ৪-৫ টি
২. সরিষার তেল - ৩ চামচ
৩. কালো সরিষা - ১ চামচ
৪. চিনি - ১ কাপ
৫. লবণ - ১ চামচ
৬. হলুদ - হাপ্ চামচ
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে কাঁচা তেঁতুল গুলো ছোট করে ভেঙ্গে জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
২. এবার চুলার উপর একটা কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। পরিমান মতো তেল দিয়ে দিতে হবে।তেল গরম হয়ে গেলে এক চামচ কালো সরিষা দিয়ে ভেজে নিয়ে তেঁতুল গুলো দিয়ে দিতে হবে।তেঁতুলের ভিতর সামান্য লবণ ও হলুদ গুঁড়া দিয়ে দিতে হবে।একটু ভেজে নিয়ে এক কাপের মতো জল দিয়ে দিতে হবে।
৩. জল ফুটতে শুরু করলে পরিমান মতো লবণ , হলুদ ও চিনি দিয়ে ৫ মিনিটের মতো রান্না করে নিতে হবে। আপনারা চাইলে তেঁতুল সেদ্ধ হয়ে গেলে খোসা ছাড়িয়ে ফেলে দিতে পারেন। আমি খোসা রেখে দিয়েছি কারণ আমার কাছে খুব ভালো লাগে।
ঝোল টেনে গেলে হালকা তেল উপরে উঠে গেলে। নামিয়ে নিতে হবে।
এবার তৈরি হয়ে গেল টক মিষ্টি কাঁচা তেঁতুলের চাটনি।
দাদা মনে হয় তাহলে গতকালের মিটিং এ এটা খাওয়ার কথাই বলছিলো।দেখেই তো জীভে জল চলে আসছে।
বৌদি আপনার টক মিষ্টি কাঁচা তেঁতুলের চাটনি দেখে জিভে জল চলে আসলো। এভাবে কখনো চাটনি তৈরি করে খাওয়া হয়নি। ঘরে তৈরি যে কোন জিনিস স্বাস্থ্যসম্মত হয় তার জন্য এভাবে চাটনি তৈরি করে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে ।আপনি খুব সুন্দরভাবে তেতুলের চাটনি তৈরির পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জিভে জল চলে আসা রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল
বৌদি আপনি আজকে অসাধারণভাবে আমাদের মাঝে টক মিষ্টি কাঁচা তেতুঁলের চাটনি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। সত্যি বলতে বৌদি তেঁতুলের চাটনি দেখে এমন কোনো মানুষ নাই যে জিভে জল আসবেনা। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে তেতুঁলের চাটনি তৈরি করেছেন বৌদি। আমাদের একটি তেঁতুল গাছ রয়েছে কিছুদিন আগে আমার আপু তৈরি করেছিল আসলেই তেতুঁলের চাটনি খেতে খুবই মজা লাগে।
দুপুরে খাওয়ার শেষে যেকোনো একটি চাটনি পাতে থাকলে খাওয়াটা একদম জমে যায়। প্রায়ই কোন না কোন চাটনি তৈরি করি কিন্তু কখনো কাঁচা তেঁতুল দিয়ে চাটনি তৈরি করা হয়নি। কাঁচা তেঁতুল দিয়ে যে এভাবে চাটনি তৈরি করা যায় সেটা আমার জানা ছিল না। আজকে আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম বৌদি। সরিষা ফোড়ন দিয়ে চাটনি খেতে খুবই ভালো লাগে। বৌদি আপনি খুব সুন্দরভাবে চাটনি রেসিপি তৈরি করেছেন তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই বৌদি।
ছেলে হোক মেয়ে হোক তেঁতুল দেখলে জিভে পানি আসবে না এমন লোক কম আছে। তেঁতুল আমারও বেশ পছন্দের। তবে এইরকম কাঁচা তেঁতুলের চাটনি কখনো খাইনি। কাঁচা তেঁতুলের চাটনি টা বেশ দারুণ তৈরি করেছেন বৌদি। এভাবে দেখেই আমার জিভে পানি চলে আসছে।।।
বৌদি কাচা তেতুলের চাটনি এই প্রথম দেখলাম। আমিও তেতুল পছন্দ করি তবে পাকা। খোাসা সহ এভাবে যে তেতুলের চাটনি তৈরি করা হয় তাই জানতাম না। এই শক্ত খোসা সহ খায় কিভাবে তাই তো মাথায় আসছেনা।
তেতুলের কথা শুনতেই তো জিভে জল চলে আসলো 😋😋
টক জাতীয় যেকোন খাবার আমার অনেক ভালো লাগে বিশেষ করে আঁচার জাতীয় খাবার একটু বেশি খাওয়া হয়।। তবে নিজে কখনো প্রস্তুত করিনি সম্পূর্ণটাই মায়ের হাতের প্রস্তুত করা।।
আপনার প্রস্তুত করা তেঁতুলের রেসিপি দেখে খুব লোভ হচ্ছে খুবই মজা হবে।।
আহা এতো জ্বিভে জল আনা চাটনী রেসিপি। যদিও এমন রেসিপি খাইনি। তবে টক জাতীয় কিছু দেখলেই তো জ্বিভে জল এসে যায়। দাদা প্রচুর টক খেতে পারে জেনে ভালো লাগলো। আমাদের এইদকে খুব একটা কাচা তেতুল পাওয়া যায়না। তবে যদি পাই আম্মুকে বলবো এভাবে বানিয়ে দিতে।
দিদি আপনি সব সময়ই ইউনিক রেসিপি করেন। তেতুল এর চিত্র দেখলেই খুব লোভ লাগে এটা শুধু আমার না সবারই এমন হয়।অনেক দারুন রেসিপি করেছেন দিদি বাসায় ট্রাই করবো দেখি।
এই সপ্তাহে প্রায় অনেক জন আচারের রেসিপি শেয়ার করেছে ৷ আর আপনিও কাচা তেতুলের চাটনি ৷ আহা !!!
সত্যি আমার মনে পড়ছে যখন ছোট বেলায় স্কুলে থেকে আসার পথে ৷ সবাই মিলে গ্রামে থাকা তেতুল গাছে গিয়ে ঢিল মেরে পাড়া ৷ আবার যার গাছ সে লাটি নিয়ে দৌড় ৷ সত্যি আজ শুধু মনে পড়ছে ৷
বৌদি আপনার করা টক মিষ্টি কাঁচা তেতুঁলের চাটনি দেখে জিভে জল এসে গেছে ৷ ভালো লাগলো আপনার কাচা তেতুলের রেসেপি টি দেখে ৷
বৌদি এমন একটা চাটনি রেসিপি তৈরি করেছেন যা নাম শুনলেই অনায়াসে সকলের জিবে জল এমনিতেই বেরিয়ে আসছিল। টক-ঝাল আমারও খুব প্রিয়। তবে আপনার চাটনি টা দেখে লোভ সামলাতে পারছি না। ছোটবেলায় তেঁতুল গাছে ঝুলতে ঝুলতে তেতুল খাওয়ার স্মৃতিটা মনে করিয়ে দিলেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য বৌদি।
দাদা এত টক খেতে পারে!! ওরে বাবা 🙄। আমিও খুব পছন্দ করি চাটনি তবে এত টক খেতে পারি না একদম। আর দিদিভাই আপনার হাতের আচার বা চাটনি কত টেস্টি সেটা ভালো করেই জানি। আজকেও মুখ সুরসুর করলো পুরো রেসিপি দেখে। খুব অল্প উপকরণে আর সহজ ভাবেই দেখলাম তৈরি হয়ে গেল চাটনি টা। এটা বেশি ভালো লাগলো দিদিভাই।
টক মিষ্টি কাঁচা তেঁতুলের রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে বৌদি। আপনি খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করলেন। আসলে আপনার রেসিপিগুলো যত দেখি ততই যেন খেতে ইচ্ছা করে। খুবই সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে পরিবেশন করেন। আজকের রেসিপি অসাধারণ হয়েছে।
আশা করি দিদি, ভালো আছেন? আপনার তেতুঁলের চাটনি দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে খাওয়ার লোভ কন্ট্রোল করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। কাঁচা তেতুল দিয়ে আপনি যেভাবে রেসিপি তৈরি করেছেন খেতে অনেক মজা হবে। অনেক সুন্দর ভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে তেতুঁলের চাটনি তৈরি করেছেন। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন দিদি।
সত্যিই সুস্বাদু রন্ধনপ্রণালী, সর্বশেষ রন্ধনপ্রণালী সম্পর্কে আমার অন্তর্দৃষ্টি যোগ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
বৌদি, আপনার তৈরি তেতুলের চাটনি দেখেই তো জিভে জল চলে এসেছে। সম্পূর্ণ গ্রামীন পদ্ধতিতে কাঁচা তেতুলের চাটনি তৈরি করেছেন। কাঁচা তেঁতুল এভাবে কখনো চাটনি করে খাওয়া হয়নি। তবে আপনার তেঁতুল চাটনির রেসিপি পড়ে বোঝা যাচ্ছে যে কাঁচা তেতুলের চাটনি খেতে দারুন ছিল।
বড় দাদা কাঁচা তেঁতুল এত পছন্দ করে সেটা তো আগে জানতাম না।আসলে দিদিভাই, অনেকেই আছে টক খুব অপছন্দ করে। দিদিভাই,ছোটবেলায় কাঁচা তেঁতুল লবণ মরিচ দিয়ে খেতে খুবই পছন্দ করতাম,আপনার কাঁচা তেঁতুল গুলো দেখে এমনি জিভে জল এসে গেছে।দিদিভাই, আপনি কাঁচা তেঁতুল দিয়ে খুবই সুস্বাদু ভাবে চাটনি রেসিপি তৈরি করেছেন আমার খুবই ভালো লেগেছে।চাটনি টা দেখে লোভ লাগছে খেতে নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে তাই না দিদিভাই? ধন্যবাদ দিদি ভাই 🥰🥰
তেতুলের কথাটা মনে আশা মাত্রই জীহবাতে জল চলে আসে। এটা শুধু আমার ক্ষেত্রে নয় ,প্রত্যেক জনারই একই অবস্থা হয়। এইতো মাসখানেক হলো তেতুল গাছে গাছে তেঁতুল ধরেছে। আর এই কচি তেঁতুল দিয়ে তেঁতুল-ঝুম অথবা তেতুলের চাটনি বানানো সম্ভব। আপনি কাছে তেতুলগুলো চুলার কড়াই এর উপর দেশ সিদ্ধ করার মধ্য দিয়ে কাজ সম্পন্ন করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো।
বৌদি আপনি ঠিকই বলেছেন চাটনির কথা শুনলে জিভে জল এসে যায়। তেঁতুল আমার কাছে বরাবরই পছন্দের। আপনার তৈরি রেসিপি পোষ্ট আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা রেসিপি পোষ্ট শেয়ার করার জন্য।
দাদা,এত টক খেতে পারে,আমার মত দেখেই গা শিরশির দিয়ে উঠছে।তবে কাঁচা তেতুল লবন মরিচ মাখিয়ে খেতে খুব ভালো লাগে।এই রকম কাঁচা তেতুলের আচার আমি এই প্রথম দেখলাম।দেখে জিভে জল টলমল করছে😜😜