বাঙালি রেসিপি "কাঁঠালের আঁটি ভর্তা"
Hello,
বন্ধুরা
আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে একটি ভিন্নধর্মী এবং পুরনো দিনের রেসিপি শেয়ার করবো। অনেক আগে মা , ঠাকুর মা রা এই রান্না করতেন। এটি গ্রামের একটি হারিয়ে যাওয়া রান্না। আমার শাশুড়ির মা এটি খুব সুন্দর বানাতেন। এখন কালের বিবর্তনে সে গুলো হারিয়ে যাচ্ছে। আমার শাশুড়ি আজ বলছিল তাই ভাবলাম আমি ও এটি রান্না করি। এখন বাজারে প্রচুর পরিমাণে কাঁঠাল পাওয়া যাচ্ছে। কাঁঠাল যেমন সুস্বাদু একটি ফল তেমনি অনেক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। কাঁঠালে যেমন পুষ্টি চাহিদা অনেক বেশি। তেমনি আবার কাঁঠালের বিচিতে ও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও প্রোটিন সমৃদ্ধ। নিরামিষ ও আমিষ তরকারিতে কাঁঠালের বিচি খাওয়া যায়। তেমনি আজ করবো " কাঁঠালের বিচি ভর্তা" । এটি অনেক সুস্বাদু একটি খাবার। কাঁঠালের বিচিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, আয়রন, প্রোটিন ও পটাসিয়াম আছে। যা শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। শুধু ফলে গুন রয়েছে তা নয় এর বিজে ও রয়েছে অনেক গুণ।
কাঁঠালের বিচি বলিরেখা দূর করে। মানসিক চাপ কমায়, ত্বকের রোগ সারায়। ত্বকে ময়েশ্চাাইজার এর মাত্রা বেশি রাখতে ও স্বাস্থ্যকর চুল পেতে নিয়মিত কাঁঠালের বিচি খাওয়া ভালো।
কাঁঠালের বিচিতে আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। রোজ কাঁঠালের বিচি খেলে শরীরে আয়রনের মাত্রা বাড়বে। কাঁঠালের বিচি খেলে অ্যানিমিয়া দূর হয়।
আর কথা বাড়াবো না। তাহলে চলুন আমরা মূল রেসিপি তে ফিরে আসি।
উপকরণ:
১. কাঁঠালের বিচি - ২ কাপ
২. সরিষার তেল - ২ চামচ
৩. কাচা মরিচ - ৪ টি
৪. কালো সরিষা - ১ চামচ
৫. লবণ - ১ চামচ
![IMG_20210724_082702.jpg](
কাঁঠালের বিচি
লবণ, কালো সরিষা ও কাচা মরিচ
প্রস্তুত প্রণালী:
১. কাঁঠালের বিচির খোসা ছাড়িয়ে কেটে নিয়ে ভালো করে ধুয়ে পরিস্কার করে নিতে হবে।
২. এরপর চুলায় কড়াই বসিয়ে দিয়ে ২ কাপ জল দিয়ে দিতে হবে। চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিয়ে জল গরম হলে কেটে রাখা কাঁঠালের বিচি দিয়ে দিতে হবে। জল ফুটতে শুরু করলে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ১০ মিনিট ধরে জ্বাল দিয়ে দিতে হবে। বিচি গুলো ভালো করে সেদ্ধ করে নিয়ে জল ঝরিয়ে নিয়ে সেদ্ধ বিচি গুলো একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে ।
৩. এবার সেদ্ধ বিচি গুলো শীলে বেটে নিতে হবে।
শীলের উপর লবণ আধা চামচ, কালো সরিষা এক চামচ ও কাচা মরিচ ৪ টি একসাথে দিয়ে বেটে নিতে হবে।
৪.মসলা গুলো বাটা হলে সেদ্ধ বিচি গুলো ভালো করে বেটে নিতে হবে।
৫. কাঁঠালের বিচি বাটা হয়ে গেলে সরিষা তেল দিয়ে মেখে নিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল "আমাদের কাঁঠালের বিচি ভর্তা" । এটি গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।
খুব সুন্দর হয়েছে কাঁঠালের আটি ভর্তা রেসিপি বৌদি।কিন্তু আমাদের বাড়িতে বটি দিয়ে খোসা ছাড়িয়ে ভাতের মধ্যে দেয়।তারপর সেটি হাতে মেখে নিই।ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাতের ভিতর ও দেওয়া যায়। দুই ভাবে করা যায়। শীলে বাটলে বেশি ভালো হয়। হাতে ও মাখা যায়।
এটা নিয়মিত খাই, যতদিন কাঠাঁলের বিচি থাকে বাড়ীতে, কারন এটা খেতে সেই স্বাদ। ধন্যবাদ
কয়েকদিন আগে হীরা বানিয়ে ছিল বাসায় আর তখনই খেয়েছিলাম। যাইহোক আপনারটাও অনেক সুন্দর হয়েছে। শুভেচ্ছা রইল বৌদি ।
ধন্যবাদ, এটা খাওয়া শরীরের জন্য খুবই ভালো।
আমাদের বাড়িতে এই সময়টাতে বিশেষ করে কাঁঠালের এই গ্রীষ্মকালে এই ভর্তা খুবই জনপ্রিয়। আমাদের এখানে এটাকে এতটা মিহি করা হয় না কিছুটা দানা দানা রেখে দেয়া হয়। তারপরও স্বাদ হয়তোবা সেই একই রকম এবং বাঙালি সেই স্বাদ।
আপনার এই চমৎকার রেসিপি দেখে যে কেউ খুব সহজে এই সুস্বাদু ভর্তা তৈরি করে ফেলতে পারবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে বাঙালি সংস্কৃতির এই অনন্য খাবারটি শেয়ার করার জন্য
আমার দাদি কিছুদিন আগেই বানিয়েছিল।
আমার মায়েরও ভীষণ পছন্দের। মায়ের দেখাদেখি আমিও খেতে খেতে এখন ভীষণ পছন্দ করি। মা পাটায় পিষে আরো কি কি যেন মিশিয়ে সুন্দর করে ভর্তা মাখায়। খেতে যা তৃপ্তি পাই। উফস 👌👌👌👌👌