"গণেশ টক ও জঙ্গল সাফারী পার্কের কিছু ফটোগ্রাফি"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আপনারা জানেন প্রচুর গাছ গাছালি ও জঙ্গল আমার খুব ভালো লাগে। প্রচুর ঘন জঙ্গলের ভেতর দিয়ে হাঁটতে আমার খুব ভালো লাগে। জঙ্গলের ভেতর আবার পর্যটকদের জন্য চিড়িয়াখানা তৈরি করা হয়েছে। যদিও এটা দেখতে গেলে অনেকটা পাহাড়ের উপরে উঠতে হয়। পাহাড় দেখতে এসে পাহাড়ে উঠবো না এটা কি হয় কখনো। তাই আমি আর টিনটিন বাবু উপরে উঠতে লাগলাম খুব মজা করতে করতে। আর সবাই ধীরে ধীরে আসছে আমাদের পিছনে পিছনে। দেখলাম পাহাড়ে ওঠার আগ্রহ আমার থেকে টিনটিন বাবুর বেশি। আনন্দের সঙ্গে হাসতে হাসতে উপরে উঠতে লাগলো ওর বাবা, কাকা দেখে তো অবাক।
পাহাড়ের কিছুদূর উঠতেই দেখি চিতাবাঘের ছবি। ছবি দেখে বুঝতে পারলাম এখানে বাঘ আছে। পাহাড়ের চিড়িয়াখানা সমতল ভূমির চিড়িয়াখানার মত নয়। পাহাড়ের ওপর চিড়িয়াখানা গুলো রয়েছে কিছুদূর হেঁটে গিয়ে এক একটা পশু পাখি দেখতে হয়। পাহাড়ে উঠতে উঠতে আমার পায়ে তো ব্যাথা হয়ে যায়। আর ভাবি এখানের মানুষ গুলো কি করে পাহাড় ভেঙ্গে উপরে উঠে।
এখানের মন্দির গুলো পাহাড়ের ওপর তৈরি করা হয়েছে।গণেশ টক যেতে গেলে প্রায় পাঁচ তলা বিল্ডিং এর মতো সিড়ি বেয়ে তারপর সেখানে যেতে হয়। কিন্তু তারপর ও জায়গাটি আমার খুব ভালো লেগেছে। কোথাও কোন কোলাহল নেই। লোকজনের ভিড় নেই। রাস্তাগুলো কাচের মতো চক চক করে। কোথাও কোন ময়লা আবর্জনা নেই। এখানে পথে কেউ ময়লা ফেললে তাকে জরিমানা দিতে হয়। এই সবের জন্য জায়গাটি আমার এত ভাল লেগেছে। শুধু একটাই অসুবিধা তা হলো প্রচুর ঠান্ডা। ডিসেম্বর - জানুয়ারী মাসে বরফ পড়ে।
জঙ্গলের ভেতর দুটো ভালুক বসে আছে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন।আমি ভয়ে কাছে যেতে পারিনি তাই দূর থেকেই দেখছি।আর খুব ঘন জঙ্গল।
খাঁচার ভেতর চিতাবাঘ শুয়ে ঘুমোচ্ছে। অনেক চেষ্টা করেও কেউ বাঘটিকে উঠাতে পারিনি। আর কিছু দূর হেঁটে যেতেই কতক গুলো হরিণের দল ঘাস খাচ্ছে।
এখানে পাহাড়ের টিলে " গণেশ টক " মন্দীর রয়েছে।
তার নিচে কতক গুলো দোকান আছে।
ঘন জঙ্গলের ভিতর দিয়ে হাঁটতে ভয় লাগে না বৌদি? টিনটিন বাবু তো ভালোই অনেক সাহসী একা একাই পাহাড়ের উপরে উঠে যাচ্ছে চিড়িয়াখানা দেখার জন্য। জরিমানা দিতে হয় বলেই রাস্তাটা মনে হয় এতটা পরিষ্কার। আসলে সব জায়গায় এরকম ব্যবস্থাই রাখা উচিত। আর এত সুন্দর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাস্তা দিয়ে হাঁটতে ভালোই লাগে। সুন্দর কিছু উপরে অপেক্ষা করছে বলেই এতটা কষ্ট পেরিয়ে উপরে উঠতে হয়। ভাল্লুককে অনেক কষ্টে খুঁজে পেয়েছি বৌদি শেষ পর্যন্ত। ছবিগুলো কিন্তু সেই রকম সুন্দর হয়েছে। দূর থেকে তোলার কারণে বোঝা যাচ্ছে না হরিণের ছবি চিতাবাঘের ছবি কিন্তু আশেপাশের প্রকৃতিটা দেখতে খুবই ভালো লাগছে। মন্দিরের নামটাও ভালো লেগেছে গণেশ টক আগে কখনো শোনা হয়নি নামটি।
আমাদের টিনটিন দিনে দিনে সাহসী হয়ে উঠছে। তাইতো বাবা কাকাদের সাথে সাথেই সেও পাহাড়ের উপরে চলে গিয়েছে। তবে ঠান্ডার কারণে হয়তো সমস্যা হয়েছে। পাহাড়ের উপর বিভিন্ন দৃশ্য গুলো সত্যি উপভোগ করার মতো। আপনাদের সকলের প্রতিটি সময় অনেক ভালো কাটুক এই প্রার্থনাই করি বৌদি।
দিদি প্রকৃতির ছবি গুলো দেখে অনেক ভাল লাগলো। সত্যিই জায়গাটা খুব পরিষ্কার এবং কোলাহল মুক্ত। চিড়িয়াখানার ছবি গুলো দেখলাম। অনেক দুর থেকে তুলেছেন তাই তেমন কোন প্রাণী দেখা যাচ্ছে না। টিনটিন বাবু ছোট বাচ্ছা তো তাই পাহাড়ে উঠার আগ্রহ তার বেশি। ধন্যবাদ দিদি।
জ্বী বৌদি সত্যি বলছি পাহাড় কিংবা জঙ্গল কিংবা সবুজ ঘন প্রকৃতির মাঝে থাকতে আমারও বেশ ভালো লাগে। সবুজ সুন্দর দৃশের সাথে কোন কোলাহল নেই। তবে এটা সত্য যে পাহাড়ী অঞ্চলের মানুষগুলো বেশ কষ্ট করে এবং তারা অনেক বেশী পরিশ্রমি।
টিনটিন আপনার মতোই হয়েছে, তাই খুব আনন্দ নিয়ে পাহাড়ের উপরে উঠেছে। দৃশ্যগুলো সত্যি অসাধারণ লেগেছে, বেশ সুন্দর পরিবেশ। ধন্যবাদ
বৌদি ঘোরাঘুরির সখ কি আপনার আগেই ছিল নাকি দাদার সাথে থেকে এটা তৈরি হয়েছে। আমাদের দেশের মেয়েরা সাধারনত খুব একটা ঘোরাঘুরি পছন্দ করেনা। চারদিকে জঞ্জলঘেরা এই ধরনের জায়গা কিন্তু আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
এটা ভালো লাগলো কিন্তু বৌদি,বাচ্চাদের এসব বিষয়ে উৎসাহ থাকাটা খুবই ভালো ব্যাপার।কারণ আজকালকার বাচ্চাগুলো শুধু ফোনের গেমস নিয়েই পরে থাকে,আমাদের টিনটিন একদম আলাদা।কারণ আপনার আর দাদার আদর্শেই গড়ে উঠছে।বাঘের ঘুমের সময় এতো উঠাউঠি বোধহয় পছন্দই করেনা।
বাপরে বিশাল জংগল দেখছি চারপাশে। আমি হলে তো ভয়ে বেশিদূর যেতামই নাহ্ 😀। তবে দিদিভাই আপনাদের এই ঘোরাঘুরি তে টিনটিনের অনেক উপকার হবে। নতুন অনেক কিছু দেখছে। অনেক কিছু জানবেও। আর ভবিষ্যতে মানসিক বিকাশ টাও অনেক সুন্দর হবে। সাবধানে ঘুরে আসুন দিদিভাই 🙏
জাস্ট অসাধারণ একটি জায়গা বৌদি, সত্যি বলতে আমারও ঘন জঙ্গল খুবই প্রিয় তবে বাংলাদেশে এমন সুন্দর জায়গায় কোন ব্যাবস্থা নাই, কিন্তু আমার ইচ্ছে আছে ইন্ডিয়া ভ্রমণ করার।
যাইহোক হঠাৎ করে পাহাড়ে উঠতে খুব ভালোই লাগে কিন্তু খানিকটা পথ চলার পর পায়ে ব্যাথা হবেই এটাই বাস্তব আর ওই জায়গার মানুষ গুলোর অভ্যাসে পরিনত হয়েছে, তবে জঙ্গলের ভিতরে চিড়িয়াখানা দেখে খুবই ভালো লাগলো, আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইলো প্রিয় বৌদি।
টিনটিন বাবুর ও মনে হয় পাহাড় পছন্দের আপনার মত বৌদি।তাইতো হাসতে হাসতে ওই উচুতে উঠে যাচ্ছে একটুও ক্লান্ত বোধ করছেন।গণেশ টক মন্দির তো বেশ উচুতে।আর এখানে কোনো ময়লা ফেললে জরিমানা এই নিয়মটা বেশ ভালো করেছে এজন্যই এত ভালো পরিবেশ।ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে বৌদি।আপনাদের জন্য অনেক শুভকামনা রইলো।নিরাপদে ফিরে আসুন।ধন্যবাদ ব্লগটি শেয়ার করার জন্য।