কোলকাতা জাদুঘরের পুরানো ভাস্কর্যের কিছু ফটোগ্রাফী
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। ক্রিসমাস সপ্তাহ চলছে সবার উপস্থিতি দেখে আমার খুব ভালো লাগছে। আমি অনেক বার চেষ্টা করে ও অংশগ্রহণ করতে পারছি না।আমার সব ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে ভালো লাগে। কিন্তু কখনও অংশগ্রহণ করতে পারি কখনও পারি না। তবে সবাই এত সুন্দর সুন্দর DIY তৈরি করছেন সে গুলো দেখে আমার খুব ভালো লাগলো। আমি বড়দিনের ছুটিতে কিছুদিন আগে কোলকাতা জাদুঘরে ঘুরতে গিয়েছিলাম।এটি সবচেয়ে বড় ও অনেক প্রাচীন জাদুঘর। ১৮১৪ সালে এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়। সেখানে অনেক কিছু দেখার আছে। মিশরের মোমি সংরক্ষণ করা আছে। এবং এখানে অনেক বড় বড় শিল্পীদের আঁকা ছবি আছে যেগুলো বাইরে পাওয়া যাবে না। আরও অনেক পুরানো ভাস্কর্য রয়েছে। আমি সেখান আজ কিছু কিছু আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আসলে এত বড় জাদুঘর যা ঘুরে ঘুরে দেখতে পায়ে ব্যথা হয়ে যায়। আজ আমি কিছু কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। সব গুলো ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারছি না। আমি মাঝে মধ্যে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
পাথর কেটে তৈরি কৃত অনেক পুরানো ভাস্কর্য
স্থান: কোলকাতা, জাদুঘর
২৫/১২/২০২১
কোলকাতা জাদুঘরের বিল্ডিং
স্থান:জাদুঘর, কোলকাতা
২৫/১২/২০২১
নিচ থেকে ওপরে ওঠার সিড়ি
স্থান: জাদুঘর, কোলকাতা
২৫/১২/২০২১
কাঠ দিয়ে তৈরি ইন্দ্র দেবতা। ১৮ শতকে নেপাল থেকে আনা হয়েছিল। ইন্দ্র দেবতা ঐরাবতের উপ বেষ্টিত রয়েছে।
স্থান: জাদুঘর, কোলকাতা
২৫/১২/২০২১
চন্দন কাঠ দিয়ে তৈরি করা সরস্বতী মূর্তি ১৮ শতক। চতুর্ভুজ সরস্বতী বীণাবাদনরত অবস্থায় পদ্মের উপর বসা।
স্থান: জাদুঘর, কোলকাতা
২৫/১২/২০২১
আশা করি আজকের ফটোগ্রাফী গুলো আপনাদের ভালো লাগবে। আরও অনেক ছবি বাকি রয়ে গেল সে গুলো অন্য কোনদিন আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। এছাড়াও অনেক পশু পাখি আরো অনেক পুরানো ভাস্কর্য রয়ে গেল। আমি বাকি ছবি গুলো অন্য কোন দিন শেয়ার করব। আজ এই পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন।
কলকাতা জাদুঘরের পুরাতন ভাস্কর্যের ছবি গুলো এমন অসাধারণ দেখে খুবই ভালো লাগলো । আপনি ফটো গুলো খুব সুন্দর ভাবে ক্যাপচা করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন । আপনার মাধ্যমেই আমাদের দেখার ভাগ্য হয়ে গেল ।এই ভাস্কর্য গুলো দেখা হয় নি কখনও আপনার মাধ্যমে দেখার ভাগ্য হয়েছে। সত্যিই অসাধারণ ছিল এই ভাস্কর্যগুলি ।ধন্যবাদ বউদি এতো সুন্দর ভাস্কর্য ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
প্রথমেই বলবো বৌদি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও অনেক শুভেচ্ছা।
বৌদি আপনার জন্য এতো পুরোনো ভাস্কর্য দেখতে পেলাম।
আজ থেকে অনেক বছর আগের এই জাদুঘর। তখন হয়তো আমার আব্বুও জন্ম হয়নি।
বৌদি আপনার জন্য এতো পুরোনো ভাস্কর্য দেখা সম্ভব হয়েছে। বৌদি আরো ছবি গুলো দেখতে চাই।
আপনার জন্য অনেক দুআ ও ভালোবাসা রইলো বৌদি।
জানেন তো দিদি পুরোনো দিনের এই সকল ভাস্কর্য দেখলে আমি রীতিমতো চমকে উঠি। তখন কার যুগে মানুষ এত মেধাবী কি করে ছিল! এই যুগে কত রকমের ডিগ্রি, কত সব ট্রেনিং করতে হয় যে কোন কাজ করতে নিলে। তারপরেও আদি যুগের সাথে পেরে উঠতে পারিনি আমরা এখনও। আদি যুগের এই মানুষ গুলোর প্রশংসা যত করা হবে তত কম হবে। খুব ভালো লাগলো দিদি এমন পোষ্ট দেখে।
হ্যা দিদি তখন কার যুগে মানুষের কাজ দেখলে সত্যি অবাক হয়ে যেতে হয়।
এইটা তো জানাই ছিলোনা যে চন্দন কাঠ দিয়ে এতো সুন্দর মূর্তি তৈরি করা যায়।জাস্ট চমৎকার।
আরো ও অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ছিল সেখানে। যা একদিনে দেখে শেষ করা যায় না। সেখানে মিশরের মোমি ছিল।
দারুন সব ভাস্কর্য্য । সব থেকে ভাল লাগলো চন্দন কাঠ দিয়ে তৈরী সরস্বতী প্রতিমা টি। দারুন এক নিদর্শন ধন্যবাদ দিদি ছবি গুলো শেয়ার করার জন্য। ভাল থাকবেন।
ধন্যবাদ দাদা।
আপু আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অসম্ভব সুন্দর লেগেছে ।কলকাতা জাদুঘরের পুরনো ভাস্কর্যের চিত্র গুলো সত্যিই অসাধারণ। আর আপনি প্রতিটি ফটোগ্রাফ তুলেছেন খুব সুন্দর করে ।যার জন্য ভাস্কর্যগুলো অনেক বেশি সুন্দর ফুটে উঠেছে ।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর ভাস্কর্য আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।
বৌদি এটা জেনে অবাক হলাম যে , আপনি জাদুঘরের ভিতরের ভাস্কর্যের ছবিগুলো তুলতে পেরেছেন । তবে আমাদের এখানে জাদুঘরে ভিতরের ভাস্কর্যের ছবি তোলা একদম নিষিদ্ধ এবং ক্যামেরা নিয়ে ভিতরে ঢুকতে দেয় না। যাইহোক মনে হচ্ছিল যেন ,আমিও ছবিগুলো দেখে জাদুঘরের ভিতর ঘুরছিলাম । ধন্যবাদ কলকাতা জাদুঘরকে আমাদের সামনে , সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য ।
আমাদের এখানে ও জাদুঘরের ভিতরে ছবি তুলতে দেয় না। সেখানে ছবি তোলার জন্য আলাদা টাকা দিয়ে টিকিট কেটে নিতে হয়। এবং তাদের পারমিশন নিয়ে ছবি তুলতে হয় নয় তো ছবি তুলতে দেয় না ভাইয়া।
সবগুলো ছবি অনেক সুন্দর। চন্দন কাঠের তৈরি মূর্তি টা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। আসলে কলকাতায় গিয়ে হয়তো বা এত সব জিনিস আমাদের দেখা হতো না।কিন্তু আপনাদের এ পোস্টের কারণে আমরা তো দেখতে পাচ্ছি।অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটি পোষ্ট করার জন্য।
বৌদি আপনার মাধ্যমে আমরা জাদুঘরে না গিয়েও অনেক কিছু দেখছি ,শিখছি। আমাদের মাঝে এই সব তুলে ধরেছেন যা সত্যি খুব ভালো লাগছে। ম্যান্ডেলা চিত্রগুলো বৌদ্ধ মূর্তি গুলোতে ফুটে উঠেছে বিষয়টা আমি খুব ভালো ভাবে খেয়াল করলাম। আমাদের মাঝে প্রতিনিয়ত শিক্ষনীয় পোস্ট গুলো তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি।
আপনাকেও ধন্যবাদ।