"শীতের শুরুতে প্রকৃতির মাঝে সবাই মিলে পিকনিকের আনন্দ"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। শীতকাল এলেই মন চায় একটু ঘুরতে যাই, পিকনিক করি।শীত আসলে মনে পরে যায় ছেলেবেলার পিকনিকের সময়কার সেই মধুর দিনগুলির কথা।তবে এখন আর সেই আগের মতো পিকনিক করাই হয় না। কারণ আমাদের ছেলেবেলা আর এখনকার বাচ্চাদের ছেলেবেলার ভিতর অনেক তফাৎ। তবে হ্যা প্রতিবছর শীতের সময় সবাইকে নিয়ে পিকনিকের আয়োজন করা হয়। সারাদিন হৈ হুল্লোর ও খেলাধুলা করা আর পেট পুরে খাওয়াদাওয়া করা।
তবে এবার পিকনিক ছিলো একটু ভিন্ন রকম। আপনারা অনেকেই জানেন এই মাসের শুরুতে ছিলো আমাদের বিবাহ বার্ষিকী। আর সেই উপলক্ষ্যে পিকনিক স্পটে পিকনিক করতে যাওয়া। ওই দিনটি আমাদের কাছে স্পেশাল একটি দিন। আসলে ওই দিনটির পর থেকেই আমার শত পাগলামতি , অত্যাচার, জেদ সবকিছু আমার প্রিয় মানুষটির সহ্য করতে হচ্ছে। এভাবেই যেন আমার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মানুষটি আমাকে সহ্য করতে পারে।
তারপর আবার হাজার হাজার বাধা বিপত্তি পেরিয়ে এই দিনটিতে দুজন দুজনের কাছে আসা। এটাও কি কম আনন্দের। এই বিবাহ বার্ষিকী পালন করার জন্যই একটা পিকনিক স্পট ভাড়া করা হয়েছিলো সারাদিনের জন্য। তবে এবার আয়োজন করেছিলো ছোট জা ও দেবর। আমরা সবাই মিলে সকাল সকাল সেই পিকনিক স্পটে পৌঁছে গিয়েছিলাম। প্রায় ২৫ - ৩০ জনের আয়োজন করা হয়েছিলো। আমাদের দুই ফ্যামিলির সবাই আর আমার দেবরের কিছু কয়েকজন বন্ধুদের নিয়ে। আমরা সেখানে গিয়ে খেলা ধুলা করার জন্য বাড়ি থেকে ব্যাট বল, ফুটবল, আবার কয়েকটি মাটির হাঁড়ি নিয়ে গিয়েছিলাম। সারাদিন আমরা খেলাধুলা আনন্দ করেছিলাম। কিছু সময়ের জন্য আমরা সেই ছেলেবেলায় পৌঁছে গিয়েছিলাম। সেই। ছেলেবেলার মতো মিউজিক চেয়ার খেলা ও মাটির হাঁড়ি ভাঙ্গা আবার বাস্কেট বল খেলা। সব কিছু মিলিয়ে বেশ আনন্দের মাঝেই দিনটি কেটেছিলো। নিবিড় শান্ত পরিবেশ আবার চারিদিকে ঘন ঘন গাছ। তার উপর ঠান্ডা ঠান্ডা হাওয়া বইছিলো। সারাদিন হৈ চৈ করে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফিরেছিলাম। আবার ঢুকে গেলাম নিত্য দিনের কাজের ভিতর।
পিকনিকের ভিতরে প্রবেশ করার গেট। গেটের দুই পাশে দুটো হাতি মূর্তি বানানো রয়েছে। আর তার পাশে একটি গণেশ ঠাকুরের মূর্তি আছে।
তারিখ: ৪ ডিসেম্বর ২০২৩
স্থান: কলকাতা
পিকনিক স্পটের ভিতর সুন্দর একটি গোলাপ ফুলের বাগান।তবে এখনো। গাছ গুলো সেভাবে বড় হয়নি। আর ফুল ও ছিলো কিন্তু সে গুলো এখনো অনেক ছোট। সবেমাত্র চার পাঁচ দিন লাগানো হয়েছিলো। তবে কয়েকটি গোলাপ গাছে বিভিন্ন ধরনের ফুল ফুটেছে।
তারিখ: ৪ ডিসেম্বর ২০২৩
স্থান: কলকাতা
গার্ডেনের ভিতরে ছোট একটি ঘাট বাঁধানো পুকুর রয়েছে। বেশ কিছুটা সময় ধরে পুকুরের ঘাটে বসেছিলাম। পুকুর পাড়ে বসে জল দেখা আমার ছেলেবেলার অভ্যাস। আসলে জলে নামতে তো পারি না ভয়ের জন্য।তাই বসে বসে দেখা ছাড়া কিছু করার নেই।
শান্ত পরিবেশের মাঝে কেক কাটার মঞ্চ সাজানো হয়েছে।
তারিখ:৪ ডিসেম্বর ২০২৩
স্থান: কলকাতা
তবে এরকম সমস্ত কিছু আয়োজন করেছে আমার প্রিয় বোনটি। এর সুন্দর নিরিবিলি শান্ত পরিবেশে সবাইকে নিয়ে আনন্দ করা। এভাবে সবাইকে নিয়ে আনন্দ করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আজ এই পর্যন্ত। আগামীদিন আবার নতুন কোন বিষয় নিয়ে আবার আসবো।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
বউদি বেশ দারুন কিছু কথা আজ আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি কথাই বেশ ভালো লাগলো। আসরে প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে এমন সুন্দর কথা শুনতে কিন্তু আমাদের সবারই বেশ ভালো লাগে। যাই হোক পরিবার পরিজন নিয়ে দারুন একটি আনন্দময় পিকনিক করলেন। আর ছেলেবেলার কিছু স্বাদও উপভোগ করলেন। ধন্যবাদ বউদিদি এমন সুন্দর করে সব কিছু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বৌদি,
আপনাদের বিবাহ বার্ষিকীর দিনে, পারিবারিক ভাবে পিকনিকের মতো করে যে আপনারা বেশ ভালো আনন্দঘন সময় কাটিয়েছেন, তা আপনার লেখা পড়ে অনুমান করতে পেরেছি । আপনার আর দাদার সম্পর্ক এভাবেই চির অটুট থাকুক, এই প্রত্যাশাই ব্যক্ত করছি।
শুভেচ্ছা রইল।
Nice foto
বেশ সুন্দর পরিবেশ বৌদি, আপনার দৃশ্যগুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে একদম প্রকৃতির সজীবতায় ঘেরা পুরো পরিবেশটা। আসলে যে কোন উপলক্ষ্য কে কেন্দ্র করে ছোটবেলার সেই পরিচিত পরিবেশে ফিরে যেতে বেশ ভালো লাগে। হাড়ি ভাঙ্গার খেলাটি আমার কাছে অনেক বেশী প্রিয় ছিলো, মনে মনে একজনকে কল্পনা করে বারি মারতাম হা হা হা। অনেক ধন্যবাদ, আপনাদের দাম্পত্য জীবন আরো বেশী সুখময় হোক এই দোয়া করি।
বৌদি আপনাদের বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে আসলেই চমৎকার একটি পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছিল। আমাদের ছোট দাদা এবং স্বাগতা বৌদি, আপনাকে দারুণ সারপ্রাইজ দিয়েছিল। তবে আমাদের দাদা সব ই জানতো আপনাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার ব্যাপারে। আপনারা খেলাধুলা করে এবং খাওয়া দাওয়া করে এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছিলেন। পরিবার নিয়ে এভাবে সময় কাটাতে সত্যিই খুব ভালো লাগে। দোয়া করি আমাদের দাদা এবং আপনার ভালোবাসার বন্ধন অটুট থাকুক আজীবন। আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল বৌদি।
আসলে দিদি প্রকৃতির মাঝে পিকনিক করতে সত্যিই অনেক বেশি ভালো লাগে। দুই ফ্যামিলি আর দাদার বন্ধুদের নিয়ে বেশ সুন্দর পিকনিকের আয়োজন হয়েছিল। আপনাদের বিবাহ বার্ষিক উপলক্ষে বেশ দারুন একটি পিকনিক করেছেন জেনে খুশি হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
不错的经历
বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে পিকনিক দারুণ বিষয় টা।দাদা সারাটি জিবন আগলে আগলে রাখুক এই কামনা করি সব সময় বৌদি।বিবাহ বার্ষিকীর জন্য পিকনিক স্পট টির পরিবেশ চমৎকার।দিদিও ছোট দাদা আপনাদের জন্য আয়োজন করেছেন জেনে ভীষণ ভালো লাগলো।পিকনিকের প্রবেশ দাঁড়ে হাতিও গণেশর মুর্তি ভীষণ আকর্ষণীয় লাগছে। গোলাপ ফুল গুলো সোভা ছড়াচ্ছে দারুণ ভাবে।একদম ঠিক বলেছেন পুকুর পাড়ে বসে আনমনে জল দেখতে অসাধারণ সুন্দর লাগে।সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটা সময় কাটিয়েছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি সুন্দর মূহুর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
বিশেষ দিন উপলক্ষে পরিবারের সবাই মিলে এরকম পিকনিকের আয়োজন করলে সত্যি বেশ ভালো লাগে। এরকম পিকনিক করলে ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়াটাই স্বাভাবিক। যদিও এখন ছোটবেলার মতো পিকনিক করা দেখা যায় না তারপরও আপনারা সবাই মিলে বেশ ভালো আয়োজন করেছেন এবং বিভিন্ন খেলার আয়োজনও করেছেন ।বিষয়টি ভীষণ ভালো ছিল বৌদি ।বেশ ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ।ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে পারিবারিক এই ধরনের আয়োজনগুলো আমাদের জীবনে এক অন্য রকমের প্রশান্তি নিয়ে আসে। আপনার পোস্টটি পরে বুঝতে পারলাম সেদিন আপনারা আসলেই অনেক মজা করেছিলেন। আর একটা কথা ঠিকই বলেছেন বৌদি। সেই ছোটবেলার মতো পিকনিকের আয়োজন আর এখন হয় না। আমরা ছোটবেলায় যে চমৎকার সময়টা কাটিয়েছি এখনকার বাচ্চাদের সাথে সেটার বিশাল তফাৎ। আর দোয়া করি আপনারা দুজন যেনো সব সময়ই এমন ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ থাকেন।