বাঙালি রেসিপি মুচ মুচে "পিয়াঁজু ভাজি"
Hello
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার পছন্দের একটি খাবার। হয়তো আমার মত অনেকে এই খাবার পছন্দ করেন। বেশি ভালো পারি না। তবুও চেষ্টা করলাম। আজ সন্ধ্যার দিকে বৃষ্টি হয়েছে তাই ভাবলাম বৃষ্টি পড়া সন্ধ্যায় চা এর সাথে পিয়াজু তৈরি করি। আমি ভালো বানাতে পারি না। এই প্রথমবার তৈরি করার চেষ্টা করলাম।তাই ভাবলাম আমার প্রথম তৈরি করা রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করি। তাহলে চলুন পিয়াঁজু বানানো শুরু করা যাক।
উপকরণ:
১. পিয়াঁজ বড় সাইজের - ৬ টি
২. কাচা মরিচ- ৭ টি
৩. বেসন - ২ কাপ
৪. চালের গুঁড়া - ১ কাপ
৫. সাদা তেল - ৩ কাপ
৬. টমেটো সস - ৩ চামচ
৭. জিরা গুঁড়া - ১ চামচ
৮. লবণ - ১ চামচ
৯. হলুদ - হাপ্ চামচ
১০. শুকনো মরিচ গুঁড়া - হাপ্ চামচ
পিয়াঁজ
কাচা মরিচ
বেসন ও চালের গুঁড়া
জিরা গুঁড়া, শুকনো মরিচ গুঁড়া, লবণ, হলুদ, ও তেল
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে পিয়াঁজ কুচিয়ে নিতে হবে।
২. কাচা মরিচ কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে।
৩. চুলায় কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। কড়াই গরম হলে তেল দিয়ে দিতে হবে। চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিতে হবে।
৪. এবার কুচানো পেঁয়াজ এর ভিতরে কুচানো কাচা মরিচ দিতে হবে এবং এর সাথে অল্প অল্প করে বেসন ও চালের গুঁড়া দিয়ে মেখে নিতে হবে। সাথে লবণ ও হলুদ , জিরা গুঁড়া দিয়ে আবারও শুকনো করে মেখে নিতে হবে। জল দিতে হবে না।পিয়াঁজ থেকে যে জল বের হবে এতে হয়ে যাবে। এতে পরিমান মতো শুকনো মরিচ গুঁড়া দিতে হবে।
৫. তেল গরম হলে অল্প অল্প নিয়ে ছেড়ে দিতে হবে।
৬. এবার চুলার আঁচ কমিয়ে দিতে হবে। এবং একপিট ভাজা হলে অন্য পিঠ উল্টায় দিতে হবে।
৭. এভাবে ৫ মিনিট ধরে ভেজে নিতে হবে। এভাবে বাকি গুলো ভেজে নিতে হবে।
৮. ভাজা হয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল আমাদের সুস্বাদু মূচ মূচে " পিয়াঁজু"। এটি গরম গরম টমেটো সস ও কাচা মরিচ দিয়ে সাজিয়ে দিতে হবে। এটি চা এর সাথে পরিবেশন করতে হবে।
অসাধারণ পিঁয়াজু বানিয়েছেন বৌদি,এটি আমার খুব প্ৰিয়।ধন্যবাদ আপনাকে।
এইটা খেতে আমার সত্যি বৌদি ভীষণ ভালো লাগে । সুন্দর বানিয়েছেন। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
রেসিপির বর্ণনা অনেক সুন্দর হয়েছে এবং ছবিগুলো নিখুঁত হয়েছে। দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
পিয়াজু আমার খুবই পছন্দ। কিন্তু রাস্তা ঘাট হাত বাজারে যে পিয়াজু বিক্রি হয় সেগুলোতে পেঁয়াজের থেকে আলুর পরিমাণ বেশি।আপনার তৈরি পিয়াযু সত্যিই হাট বাজারের পীয়াজু থেকে অনেকটা উন্নত হয়েছে🥰
অনেক ধন্যবাদ পছন্দের খাবার উপস্থাপনের জন্য।
পিঁয়াজু আমার খুব পছন্দের 🥰,আর আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন রেসিপিটা.আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য.
ফাস্টফুড গুলোর মাঝে এইটায় আমার ফেভারি।
সেই সেই হয়েছে, সামনে থাকলেই টপাটপ দুটো মুখে পুরে দিতাম, হি হি হি
চান্সটা মিস করলাম, কি আর করা দেখেই দেখেই লোভ সংবরণ করলাম। ধন্যবাদ চমৎকার ও স্বাদের পিয়াঁজু শেয়ার করার জন্য।
অনেক সুন্দর একটা খাবার। দেখলেই জিভে জ্বল চলে আসে। বাজারে গেলে এগুলো খুব খায়। অনেক সুন্দর হয়েছে, আপু। শুভেচ্ছা রইল।
বৌদি এমন একটি খাবার শেয়ার করেছেন আমার মনে হয় এমন একজনকে পাওয়া যাবে না যে পিয়াজু পছন্দ করেনা। আপনার রান্নার কড়াই থেকে গন্ধটা যেন আমার নাকে ভেসে আসছে 😂।
আপু আপনার রেসিপিটি বাংলাদেশে সকল যায়গায় খুব চলে। গ্রাম থেকে শহর অলিতে গলিতে। তবে বাংলাদেশে তা স্বাস্থকর নয়।