"প্রজাতন্ত্র দিবসে টিনটিন বাবু জল রং দিয়ে হাতের ছাপে পতাকা আঁকা"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ ২৬ শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস।তাই সবাইকে প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি।প্রতিটি ভারতবাসীর কাছে আজকের গুরুত্ব অপরিসীম।১৯৫০ সালে আজকের এই দিনে ভারতীয় সংবিধান কার্যকরী হয় নতুন গনতান্ত্রিক ভারতের জন্ম হয়।প্রায় ২০০ বছর পরাধীন থাকার পরে গান্ধীজী নেতাজি নেহেরু,লাল লাজপত রায়, বিপিনচন্দ্র পাল,সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ইত্যাদি আরো অনেকে বিপ্লবীদের নেতৃত্বে ১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগস্ট আমাদের দেশ স্বাধীন হয়। স্বাধীনতার পরেও নির্দিষ্ট কোন আইন ছিল না। তাই ভারতের সংবিধান তৈরীর জন্য ১৯৪৭ সালের ২৮ শে আগস্ট থেকে একটি খসড়া কমিটি ১৬৬ বার সংসদের অধিবেশনে মিলিত হয়। যেখানে সাধারণ মানুষ ও অংশগ্রহণ করেছিলেন। যা প্রায় ২ বছর ১১ মাস ১৮ দিন ধরে চলেছিল।সেই কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন ড: বি আম্বেদকর ১৯৪৭ সালের ৪ থা নভেম্বর তারিখে কমিটি একটি খসড়া ও সংবিধান প্রস্তুত করে গণ পরিশোধে জমা করে। এই দিনটি প্রত্যেক ভারতবাসীর কাছে একটি অন্যতম একটি দিন। প্রজাতন্ত্র দিবস আমাদের ঐক্য সম্প্রীতি ও সাম্যের বার্তা দেয়।
আজ আমি টিনটিন বাবুর আঁকা একটি ছবি শেয়ার করবো। টিনটিন বাবু রং দিয়ে ছবি আঁকতে খুব পছন্দ করে। স্কুলে ড্রয়িং প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে। বাবু অনেক সুন্দর ড্রইং করে।।ওদের স্কুলে প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে পতাকা আঁকতে হয়েছিলো। আর বিভিন্ন রং দিয়ে হাতের ছাপ দিয়ে রং ও বেরঙের ডিজাইন করছিলো। তাই বিকেলের দিকে ড্রয়িং রুমে বসে খেলছে। আমি সোফায় বসে দেখছি। হটাৎ দেখি টিনটিন বাবু কাগজ ও গেরুয়া রং, সবুজ রং ও ব্লু কালার নিয়ে আসলো। আমি কিছু না বলে চুপচাপ বসে দেখছি। হটাৎ দেখি আমার মতো সুন্দর করে কাগজ এর উপর নিজের দুই হাত রাখলো। এরপর দেখি হাতের ছাপ দিয়ে পতাকা তৈরি করলো। আমি তো দেখে অবাক। এই টুকু বয়সে ওর পতাকা আঁকা দেখে আমি একেবারে হতভম্ব হয়ে গেলাম। তাই আমি ও একটু সুযোগ বুঝে ওকে বুঝতে না দিয়ে ছবি তুলে নিলাম। আসলে বাবু ছবি তোলা পছন্দ করে না। তাই গোপনে ছবি তুলতে হলো।আজ সেই ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।আশা করি,আপনাদের সবার ভালো লাগবে।
আঁকা শেষ হওয়ার পর।
বাবু সাদা কাগজের ওপর নিজের হাত দুটি রেখে পজিশন ঠিক করে নিচ্ছে।
নিজের হাতে সবুজ রং রং লাগাচ্ছে। এরপর কাগজের উপর হাতের ছাপ দিচ্ছে।
সর্বশেষ হাতে গেরুয়া রং করলো। হাতের ছাপ দিয়ে একটি পতাকা তৈরি করে ফেললো।
এরপর দেখি নিজে নিজে কি সুন্দর একটা পতাকা তৈরি করে ফেললো। তবে ছবির নিচে আমি ইংরেজিতে প্রজাতন্ত্র দিবস লিখে দিলাম।
আজ এই পর্যন্ত।আপনারা জানাবেন আমার টিনটিন বাবু কেমন ছবি আঁকলো। আর আমার টিনটিন বাবুর জন্য আশীর্বাদ করবেন।
এক কথায় অসাধারণ প্রতিভাবান আমাদের টিনটিন সোনা। সে ছবি আঁকায় প্রথম হয়েছে জেনে কতটা খুশি হলাম বলে বোঝাতে পারবো না। সে দীর্ঘজীবী হোক এবং পিতা-মাতার মুখ উজ্জ্বল করুক এই কামনা করছি। আর আপনি চুপিচুপি আমাদের জন্য ছবিগুলো তুলে দারুন একটি কাজ করেছেন কিন্তু ☺️
অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি চমৎকার এবং মূল্যবান একটি পোষ্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসকে কেন্দ্র করে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করলেন দিদি।আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আর সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো টিনটিন বাবুর জল রঙে আঁকা পতাকাটি।ছবি তোলা আসলে অনেক বাচ্চারাই পছন্দ করেনা।আপনি চুপি চুপি তুলে ভালো ই করেছেন দিদি। আমরা তাই দেখতে পেলাম। অনেক বড় হবে টিনটিন বাবু।দোয়া করি সব সময়।ধন্যবাদ দিদি।অনেক শুভকামনা রইলো আপনার ও আপনার পরিবারের সকলের জন্য।
প্রথমেই বৌদি, প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। সেই সাথে টিনটিন বাবুর ক্রিটিভিটি দেখেই অবাক হচ্ছি। চমৎকার হাতের ছাপ দিয়ে পতাকার মতো ডিজাইন তৈরি করেছে। সত্যি অনেক আনন্দের একটি বিষয় বৌদি। এছাড়াও প্রজাতন্ত্র দিবস নিয়ে আপনি সংক্ষিপ্ত ইতিহাসের বর্ণনা করেছেন, এখান থেকেও নতুন কিছু শিখতে পেরেছি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল বৌদি।
সত্যি দারুণ প্রতিভা রয়েছে আমাদের টিনটিন সোনামনির, একদমই বাপকা বেটা। বেশ সুন্দর হয়েছে, অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো টিনটিনের জন্য। ভবিষ্যতে আরো বেশী প্রতিভার স্বাক্ষর রাখবে। প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা রইলো বৌদি।
প্রজাতন্ত্র দিবস আমাদের ঐক্য সম্প্রীতি ও সাম্যের বার্তা দেয়, এটা ঠিক বলেছো বৌদি। আমাদের টিনটিন বাবু যে ড্রয়িং প্রতিযোগীতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে এটা জেনে খুব খুশি হলাম। তবে আমাদের টিনটিন বাবুর এইটুকু বয়সের হাতের কাজ দেখে অনেক বেশি অবাক হলাম। সত্যিই খুব সুন্দর হয়েছে টিনটিন বাবুর ছোট ছোট হাতে রং দিয়ে তৈরি করা ভারতের জাতীয় পতাকা টি। টিনটিন বাবুর জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা রইল।
প্রথমেই প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি বৌদি। আমাদের টিনটিন বাবুর অসাধারণ প্রতিভা দেখে একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। দেখতে তো পতাকার মতোই লাগছে। দোয়া করি টিনটিন বাবু বড় হয়ে মানুষের মতো মানুষ হোক এবং আমাদের দাদার মতোই ট্যালেন্টেড হোক। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এবং টিনটিন বাবুর হাতের ছাপে পতাকা আঁকা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো বৌদি। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অও,আমাদের টিনটিন বাবু তো অসাধারণ আঁকতে পারে।ওর আঁকা দেখে আমি মুগ্ধ হলাম, সত্যি বলতে আমিও জল রং দিয়ে আঁকতে পারি না।জাস্ট অসাধারণ লাগছে হাতের ছাপে পতাকাটি ,গুরুত্বপূর্ণ দিনে অনেক সম্মানের একটি জিনিস টিনটিন বাবু একেছে।ওর জন্য অনেক ভালোবাসা রইলো বৌদি।আপনাদেরকেও প্রজাতন্ত্র দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।