বাঙালিদের পছন্দের একটি খাবার " আলু পোস্ত"
Hello
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আমি বাঙালিদের খুবই পছন্দের একটি খাবার তৈরি করবো। এটি খুবই টেস্টি একটি খাবার। এই কয়েকদিন যাবৎ শরীরটা খুব খারাপ। এদিকে টিনটিন বাবুর শরীর ও খুব খারাপ। নতুন নতুন ঠান্ডা পড়ছে তো ওর একটু ঠান্ডা লেগে গেছে। সারাদিন শুধু কান্না করে আর কিছু ই খেতে চায় আবার মাঝে মাঝে জ্বর আসছে। তার উপর নিজের শরীরটা খুব একটা ভালো না। আসলে বাড়ীতে বাচ্চাদের কিছু হলে পরিবারে সবার ভিতর একটা টেনশন কাজ করে। এই দুই দিন টিনটিন খুব কান্না করছে। তাই এই কয়েক দিন আমার প্রচন্ড ব্যস্ততা ও
অসস্থির মাঝে কাটছে। আর বাবুর একটু কিছু হলে আমার কিছু ভালো লাগে না। ওর মুখে হাসি না দেখলে তখন আমার কিছুই ভালো লাগে না। তাই মন মানসিকতা খুব একটা ভালো না। আমার প্রিয় মানুষটা ও বাবুকে নিয়ে টেনশনে আছে। ও কিছু বলে না কিন্তু আমি তো বুঝি। তাই আমি ভাবি যতটা ওকে কম টেনশনের ভিতর রাখা যায়। বছরে ১২ মাস ই তার ব্যস্ততার মাঝে কাটে। কখনও নিজের জন্য একটু সময় ব্যায় করে না। আর ও যখন বেশি টেনশনে থাকে তখন ওর পছন্দের খাবার রান্না করি। আমি জানি ওর পছন্দের কোন খাবার পেলে ও টেনশন টা অনেক কমে যায়। আর ওর খুব ভালো লাগে। তাই আমার একটু কষ্ট হলেও আমি চেষ্টা করি ওকে খুশির রাখার। তাই কাল রাতে ওর পছন্দের একটি খাবার রান্না করেছিলাম। যদিও এই খাবার টি আমি খাই না। ও প্রায়ই আলু পোস্ত খেতে চায়। কিন্তু সবসময় রান্না করা হয় না। তাই ভাবলাম কাল রাতে রান্না করি। এবং আপনাদের সাথে শেয়ার করি। শুনেছি এটি নাকি খুব ই টেস্টি একটি খাবার। তাহলে চলুন আমরা মূল পর্বে ফিরে যাই।
উপকরণ:
১. আলু - ৬ টি
২. পোস্ত - ৪ চামচ
৩. আদা বাটা- ১ চামচ
৪. কাচা মরিচ বাটা - ১ চামচ
৫. লবণ - ১ চামচ
৬. হলুদ - ২ চামচ
৭. জিরার গুঁড়া - ১ চামচ
৮. শুকনো মরিচ - ২ টি
৯. গোটা জিরা - ১ চামচ
১০. সরিষার তেল - ১ কাপ
আলু
পোস্ত
লবণ, হলুদ, জিরা গুঁড়া, শুকনো মরিচ গুঁড়া, গোটা জিরা ও শুকনো মরিচ,
কাচা মরিচ বাটা, আদা বাটা ও পোস্ত বাটা
সরিষার তেল
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে আলু ছোটো ছোটো টুকরো করে কেটে নিতে হবে। এবং জল দিয়ে ধুয়ে পরিস্কার করে নিতে হবে।
২. এবার পোস্ত বেটে নিতে হবে। তাই প্রথমে পোস্ত সামান্য একটু জল দিয়ে ২০ মিনিটের মতো ভিজিয়ে রাখতে হবে।এরপর পোস্ত শীল ও পাটায় বেটে নিতে হবে। চাইলে আপনারা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন। আমি শীল ও পাটায় বেটে নিয়েছি কারণ বাটা মসলায় বেশি স্বাদ হয়। এবার একে একে কাচা মরিচ ও আদা বেটে নিতে হবে। এরপর পোস্ত বাটা , আদা বাটা ও কাচা মরিচ বাটা সব কিছু এক সাথে সামান্য জল দিয়ে ভালো করে গুলে নিতে হবে।
৩. এবার চুলার উপর একটা কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। কড়াইতে তেল দিয়ে দিতে হবে। চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিতে হবে।
৪. তেল গরম হয়ে গেলে দুইটি শুকনো মরিচ ছিড়ে দিতে হবে একই সাথে গোটা জিরা দিয়ে দিতে হবে।
৫. জিরা ভাজা হয়ে গেলে কেটে রাখা আলু গুলো দিয়ে দিতে হবে। সামান্য লবণ ও হলুদ ৫ মিনিট ভেজে নিতে হবে।
৬. আলু ভাজা হয়ে গেলে পরিমান মতো জল দিয়ে দিতে হবে। জল ফুটতে শুরু করলে এক চামচ লবণ ও এক চামচ হলুদ এক জিরা গুঁড়া দিয়ে দিয়ে দিতে হবে।
৭.এভাবে ১০ মিনিট ধরে রান্না করতে হবে। এরপর আলু সেদ্ধ হয়ে গেলে গুলে রাখা পোস্ত দিয়ে দিতে হবে। এবং খুন্তি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে দিতে হবে।
৮. পোস্ত মিশানোর পর আরো ৫ মিনিট ধরে রান্না করতে হবে। এরপর ঝোল গাঢ় হয়ে এলে কাচা সরিষার তেল এক চামচ দিয়ে দিতে হবে। এতে করে আলু পোস্ত র স্বাদ বেড়ে যাবে। উপরে কিছু কাচা
মরিচ দিয়ে দিতে হবে। এরপর একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু আলু পোস্ত। এটি গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।
এই আলু পোস্ত রেসিপিটি আমি দেখেছি। বিশেষ করে কলকাতার মুভি গুলোতে আলু পোস্তর কথা অনেক শুনেছি। তবে কখনোই রেসিপিটা ওইভাবে জানা হয়নি। তবে আজকে আপনার কারণে আলু পোস্ত রান্না শিখলাম।আপনার রান্না গুলো অনেক দারুণ হয় মিষ্টি বৌদি। আপনি যেমন আপনার রান্না গুলোও তেমন। জাস্ট ওয়াও। একদিন খেয়ে দেখতে পারলে ভালো হতো।
অসাধারণ হয়েছে বৌদি। হাতের নাগালে থাকা জিনিসপত্র দিয়ে এত সুন্দর একটি রেসিপি বানিয়েছেন।
তরকারির কালার দেখে তো খুব লোভনীয় লাগছে। আমিও বলতে চাই, আমিও খেতে চাই। হ্যাঁ খেতে চাই খেতে চাই খেতে চাই। 😉🤩
আর প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন, এতে করে আমি খুব সহজেই এই রেসিপিটি শিখে নিতে পেরেছি।
আলুর পোস্ত রেসিপি সত্যিই বাঙ্গালীদের প্রিয়। বিশেষ করে আমার অনেক পছন্দ। আপনি খুবই সুন্দরভাবে রেসিপিটি তৈরি করেছেন আপনার হাতের রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে তাই বারবার খেতে ইচ্ছে করছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল বৌদি।
I like to know every information what you are providing us regularly
ওয়াও অসাধারণ হয়েছে আপনার আলু প্রস্ত প্রস্তুত।দেখেই লোভ হচ্ছে খাওয়ার জন্য। মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে। বিশেষ করে উপস্থাপনা বেশী ভালো লেগেছে।
খাবো খাবো আমিও খাবো বৌদির রান্না আলু পোস্ত, বেশ হয়েছে রান্নাটা।
এটা সত্যি কথা বলেছেন বাচ্চারা সুস্থ্য না থাকলে বাড়ীর সকলের মোড অফ হয়ে থাকে, কেমন একটা অস্বস্তিকর পরিবেশ বিড়াজ করে। তবে এটা সত্য যে প্রিয় খাবারগুলো আমাদের মোড ভালো করার ক্ষেত্রে দারুণ ভূমিকা পালন করে।
এত ভালো দেখাচ্ছে বৌদি বলার বাইরে। আমার কাছে তো আলু পোস্ত টা দেখে মনে হচ্ছে ছোট মাছের ডিম দিয়ে রান্না হয়েছে। খেতেও অনেক সুস্বাদু হয়েছে মনে হয় তাই না বৌদি। আমরা তো খাই নাই তাই বলতেও পারতেছিনা তেস্ট কেমন হয়েছে। কিন্তু আমার কাছে দেখে খুবই ভালো লাগতেছে। আপনারা তো খুব মজা করে খেয়েছেন তাই না বৌদি। এক কথায় অসাধারণ দেখাচ্ছে। অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য
দিদি,বাড়িতে ছোটদের যদি কোন কিছু হয় পরিবারের সবার মন খারাপ থাকে। বিশেষ করে মায়েদের সন্তানের যদি কোন কিছু হয় মায়ের প্রচন্ড রকমের খারাপ লাগে সেটা আমি বুঝতে পারছি।আজ পাঁচ দিন যাবত আমার 10 মাসের এক মাত্র ছেলে সর্দি-জ্বরে অসুস্থ কিযে টেনশন সেটা আমি বুঝতে পারব না। আশীর্বাদ করি আমাদের টিনটিন বাবু যেন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। দিদি, আলু পোস্ত রেসিপি আমার কাছে একদম নতুন আমি কখনোই রেসিপিটি তৈরি করে খাইনি। তবে আপনার রেসিপি তৈরি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হবে। দিদি, আপনার রেসিপি গুলো সব সময় সুস্বাদু এবং লোভনীয় হয়ে থাকে। রেসিপি তৈরি প্রতিটি ধাপ বর্ণনাসহ করে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে।ধন্যবাদ দিদি,এতো সুস্বাদু রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
খাবারটা সত্যিই সুস্বাদু লাগছে👏
আলু পোস্ত শুধু নাম শুনেছি কখনো খেয়ে দেখিনি ।পোস্ত আসলে কি তাইতো চিনিনা তবে খাওয়ার খুব ইচ্ছা আছে। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুবই টেস্ট হয়েছে খাবারটি ।দেখে তো আমার জিভে পানি চলে আসলো ।আপনি খুব সুন্দর ভাবে ধাপে-ধাপে রেসিপিটি তৈরি করেছেন। বৌদি শিখে নিলাম কিন্তু ।একদিন অবশ্যই চেষ্টা করবো আমিও। আসলে বাচ্চার শরীর খারাপ থাকলে নিজের কাছে কোন কিছুই ভালো লাগেনা ।আর এখন যা আবহাওয়া তাতে একজনের ঠান্ডা কাশি হলে পরিবারের সবারই ঠান্ডা কাশি হয়ে থাকে। সাবধানে থাকবেন বৌদি বাবু টার দিকে খেয়াল রাখবেন। অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইল বাবুটার জন্য।