এসো নিজে তৈরি করি" কাগজ দিয়ে তৈরি চাঁদ তারা ও জাতীয় পতাকা"
Hello
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ টিন টিন জেদ ধরলো যে তাতে কিছু তৈরি করে দিতে হবে
কাল তৈরি করে দিয়েছিলাম তাই আজ ও তাকে দিতে হবে। টিনটিন চাঁদ দেখতে পছন্দ করে। তাই ভাবলাম চাঁদ তারা তৈরি করি।আর এক দিন পর স্বাধীনতা দিবস এটাও তৈরি করি। স্বাধীনতা মানে কি? এসব তো বাচ্চা দের বুঝতে হবে। নিজের দেশ সম্পর্কে তাদের জানতে হবে।তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
উপকরণ:
১. কাগজ
২. গাম
৩.কেচি
৪.সুতা
৫.পেনসিল
কাগজ, গাম ও কেচি
প্রস্তুত প্রণালী:
১ প্রথমে কাগজ মাঝ বরাবর ভাজ করতে হবে। কাঁটা কম্পাস দিয়ে গোল করে দাগ কেটে নিতে হবে।
২. এবার দাগ অনুযায়ী কেচি দিয়ে কেটে নিতে হবে। তৈরি হয়ে গেল চাঁদ।
৩. আবার কাগজ নিয়ে চার ভাজ করে চতুর্ভুজ তৈরি করতে হবে।
৪. ভাজ করা কাগজের ওপর পেনসিল দিয়ে তারার মতো নকশা কেটে নিতে হবে।
৫.পেনসিল দিয়ে ওই দাগ বরাবর কেটে নিতে হবে। তৈরি হয়ে গেল তারা।
৬. তারা একটা মাঝ বরাবর গাম দিতে হবে। গমের উপর সুতা দিয়ে আর একটা তারা দিয়ে চেপে দিতে হবে।এভাবে একটা একটা করে তারা গুলো সুতা দিয়ে লাগিয়ে নিয়ে ওই চাঁদের সাথে গাম দিয়ে লাগিয়ে নিতে হবে।
৭. তৈরি হয়ে গেল চাঁদ তারা। এটা দরজার সামনে বা দেয়ালে ঝুলানো যায়।
৮. আমার দেশের জাতীয় পতাকা বানানোর জন্য প্রথমে একটা সাদা কাগজ নিতে হবে।
৯. সাদা কাগজ লম্বা করে মাঝ বরাবর ভাজ করে নিতে হবে।
১০. এবার সাদা কাগজের ওপর গেরুয়া রং এর কাগজ নিতে গাম দিয়ে লাগিয়ে দিতে হবে। নিচের দিকে সবুজ রঙ দিতে হবে। এবং মাঝ খানে সাদা থাকবে।আমাদের পতাকার রং গেরুয়া, সাদা ও সবুজ
মাঝখানে অশোক স্তম্ভ আছে। এটা সম্পর্কে পড়ে আর একদিন বলবো।
১১.মাঝ খানে পেনসিল দিয়ে গোল করে দাগ কেটে নিতে হবে। তার ভিতরে ২৪ টি দ্বন্দ্ব কেটে নিতে হবে।
১২. এবার একটা কাগজ নিয়ে পাকিয়ে নিয়ে লাঠির মত বানাতে হবে। এবং পতাকার সাথে গাম দিয়ে লাগিয়ে দিতে হবে।
১৩. এবার পুর একটা কাগজ নিতে হবে। কাগজ টি চতুর্ভুজ করে কেটে নিতে হবে। এর মাঝ বরাবর স্তম্ভ বসিয়ে নিতে হবে। আমি এই সোলা দিয়ে তৈরি করছি। সোলার চার পাশে কাগজ লাগিয়ে নিতে হবে।
১৪. আবার কাগজ দিয়ে পাকিয়ে লাঠির মতো বানাতে হবে। এবং লাঠি গুলো ছোটো ছোটো করে কেটে নিতে হবে।
১৫. এবার চতুর্ভুজ কাগজের চার পাশে ছোটো ছোটো লাঠি গুলো গাম দিয়ে লাগিয়ে দিতে হবে।
১৬. লাঠির মাথায় সুতা গাম দিয়ে লাগিয়ে নিতে হবে। জলের ঢেউ খেলানোর মত লাগিয়ে নিতে হবে। এবং লাঠির মাথার ওপরে চুমকি বসিয়ে নিতে হবে।
১৭. এবার স্তম্ভ এর ওপর পতাকা গাম দিয়ে লাগিয়ে দিতে হবে। এবং আমি কিছু ফুল দিয়ে সাজিয়ে দিলাম।
তৈরি হয়ে গেল গর্ভের জাতীয় পতাকা। সামনে আমাদের স্বাধীনতা দিবস তাই জাতীয় পতাকা তৈরি করলাম। আর যে ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে সে গুলো পড়ে একদিন দেখাবো। আশা করি, আপনাদের ভালো লাগবে।
অনেক সুন্দর বানিয়েছেন বৌদি,বোঝা যাচ্ছে পোষ্টটির পিছনে যথেষ্ট খাঁটনি হয়েছে, শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ, খাঁটনি একটু হয়েছে। কিন্তু বানাতে ভালোই লাগছে আমার।আমার এ সব কাজ করতে ভালো লাগে।
প্রত্যেকটা জিনিসই খুব সুন্দর হয়েছে বৌদি। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
তোমাকেও ধন্যবাদ
বাহ,খুব সুন্দরভাবে তৈরি করেছেন প্রত্যেকটা জিনিস ।আপনার কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পাই আমি।কারণ আপনি দেখছি সব গুণের অধিকারী ,কোনো অংশে কম নয়।
অনেক ধন্যবাদ বৌদি।আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
সুন্দর হয়েছে বৌদি । এইটা টিনটিনকে আমার পক্ষ থেকে দিয়ে দিয়েন । শুভেচ্ছা রইল।
অনেক সুন্দর হয়েছে দিদি।
অনেক সুন্দর হয়েছে দিদি।স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা দিদি।
বাচ্চাদেরকে দেশের গৌরবময় ইতিহাস সম্পর্কে জানানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ছোটকাল থেকেই দেশের প্রতি একটা ভালোবাসা তৈরি হবে ।
অনেক সুন্দর হয়েছে
চিন্তা, চেষ্টা এবং সফলতা, পুরোটাই আপনার জন্য প্রযোজ্য আজ বৌদি। পতাকার বিষয়টি সত্যি চমৎকার আইডিয়া এবং বেশ সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ
দিদি অসম্ভব সুন্দর হয়েছে চাঁদ তারা ও পতাকার কাগজের বানানো ছবি, ধন্যবাদ দিদি আপনাকে।