Diy ( এসো নিজে করি )" প্রজাতন্ত্র দিবসে চাল দিয়ে স্বাধীন ভারতের পতাকার ক্রাফট"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন।
আজ ২৬ শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস । প্রথমে সবাইকে প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা। সারা ভারতবর্ষ জুড়ে মহা আড়ম্বরের সাথে পালিত হচ্ছে ভারতে ৭১ তম প্রজাতন্ত্র দিবস বা সাধারণতন্ত্র দিবস। প্রতিটি ভারতবাসীর কাছে আজকের দিনের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ ১৯৫০ সালে আজকের দিনেই ভারতীয় সংবিধান কার্যকরী হয়। নতুন গণতান্ত্রিক ভারতের জন্ম হয়। আজকের দিনটি ভারতের জাতীয় দিবসগুলো মধ্য অন্যতম। প্রায় ২০০ বছর পরাধীন থাকার পরে গান্ধীজী, নেতাজি, নেহেরু, বিপিনচন্দ্র, সদ্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল আরো অনেকে বিপ্লবীদের নেতৃত্বে ১৯৪৭ সালে ১৫ ই আগস্ট আমাদের দেশ স্বাধীন হয়।
স্বাধীনতার পরেও দেশে নির্দিষ্ট কোনো আইন ছিল না তাই ভারতের সংবিধান তৈরির জন্য ১৯৪৭ সালের ২৮ শে আগস্ট থেকে একটি খসড়া কমিটি ১৬৬ বার সংসদের অধিবেশনে মিলিত হয়। যেখানে সাধারন মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল। এবং যা প্রায় ২ বছর ১১ মাস এবং ১৮ দিন ধরে চলেছিল। এই কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন ডা: বি আর আম্বেদকর ১৯৪৭ সালের ৪ ঠা নভেম্বর তারিখে কমিটি একটি খসড়া সংবিধান প্রস্তুত করে গণপরিষদে জমা করে। বহু বিতর্ক ও কিছু সংশোধনীর পর ১৯৫০ সালের ২৪ শে জানুয়ারি গণপরিষদে ৩০৮ জন সদস্য চূড়ান্ত সংবিধানের হাতে লেখা দুটি নথিতে স্বাক্ষর করেন। এর দুদিন পর ১৯৫০ সালের ২৬ শে জানুয়ারি সারাদেশব্যাপি সংবিধান আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর করা হয়।
১৯৩০ সালে ২৬ শে জানুয়ারি দিনটিকে তৎকালীন কংগ্রেস কমিটি দেশের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে ধার্য করে। এবং তারপর থেকে এই দিনটিকে পরবর্তী 17 বছর ধরে পূর্ণ স্বরাজ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। কিন্তু স্বাধীনতা আসে 15 ই আগস্ট তাই 26 শে জানুয়ারি দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে পালন করা হয়। পরাধীন ভারত বর্ষ থেকে আধুনিক গণতন্ত্রের রূপান্তরিত হওয়ার দিন অর্থাৎ প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী ভারতবর্ষে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সাধারণ তান্ত্রিক দেশ প্রজাতান্ত্রিক অর্থাৎ যেখানে প্রজার ক্ষমতাই সর্বোপরি। তাই আমাদের দেশকে গণতন্ত্র বা প্রজাতন্ত্র বলে।
১৯৫০ সাল থেকে প্রতিবছর ২৬ শে জানুয়ারি দিল্লির লালকেল্লা ইন্ডিয়া গেটে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য প্রথম সারির নেতারা। মাননীয় রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে এই দিন রাজধানীর দিল্লির রাজপথে আরম্ভর পূর্ণ কুচকাওয়াজ ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। যা ভারত রাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়। বীর শহীদদের উদ্দেশ্যে ফুল অর্পণ করে স্মরণ করা হয় এবং সম্মান জানানো হয়। আমাদের দেশ যে সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ সার্বভৌম তা আজকের দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়। এই ২৬ শে জানুয়ারি দিনটি মাতৃভূমি আমাদের দেশাত্মবোধের দেশপ্রেমে আমাদের দীক্ষা দেয়।এবং আমরা হয়ে উঠি অপ্রতিরোধ্য। তাই আমি এই প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে একটি ক্রাফট তৈরি করেছি। আজ সেটি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক।
উপকরণ:
১. চাল
২. রং ৪ রকমের
৩. শক্ত কার্ড বোর্ড
৪. গাম
৫. পেনসিল
৬. কেচি
প্রস্তুত কারক:
১.প্রথমে শক্ত কাগজে পতাকা এঁকে নিয়ে নিলাম তারপর কেচি দিয়ে কেটে নিলাম। এরপর শক্ত কাগজে পাখি এঁকে নিলাম। তারপর কেচি দিয়ে কেটে নিলাম।
২. এরপর চালের ভিতর গেরুয়া রং দিয়ে মিশিয়ে নিলাম। এক এক করে চালের ভিতর সবুজ ও নীল রং করে নিলাম। এবং আরও কিছু চালের ভিতর গোল্ডেন রং করে নিলাম।
৩. এবার শক্ত কাগজের ওপর আটা লাগিয়ে সাদা কাগজ লাগিয়ে নিলাম।
৪. এরপর সেই কাগজের ওপর দিকে গাম লাগিয়ে দিলাম। সেই গামের উপর গেরুয়া রংয়ের চাল লাগিয়ে দিলাম।
৫. এরপর নিচের দিকে গাম লাগিয়ে সবুজ রংয়ের চাল লাগিয়ে দিতে হবে। ভিতরের মাঝ বরাবর চক্র এঁকে দিলাম। তার উপর নীল রং করা চাল লাগিয়ে দিলাম।
৬. এবার পাখির উপর গাম লাগিয়ে দিতে হবে। গামের উপর গোল্ডেন রং এর চাল লাগিয়ে দিতে হবে।
৭.এবার পাখির ঠোঁট এর সাথে পতাকা লাগিয়ে দিলাম।
৮. এর নিচে ইংরেজিতে প্রজাতন্ত্র দিবস লিখে দিলাম। এরপর সোনালী রং দিয়ে লিখে দিলাম।
তৈরি হয়ে গেল আমার চাল দিয়ে স্বাধীন পতাকার ক্রাফট।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
.
ভারতীয় উপমহাদেশের প্রজাতন্ত্রের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আপনি চাল দিয়ে অনেক সুন্দর করে একটি পাখি এবং পতাকার ক্রেপ্ট তৈরি করেছেন যা দেখে রীতিমতো আমি চমকে গেছি। চাল দিয়ে এত সুন্দর একটি ক্রাফট আপনি তৈরি করেছেন যা অবাক করার মত। বৌদি আমি বরাবরই বলব আপনি সত্যিই একজন গুণবতী নারী আর আপনাকে পেয়ে আমাদের দাদা যেমন ধন্য তেমনি আমরাও। আমাদের সাথে এত সুন্দর করে স্বাধীনতার দিবস উপলক্ষে ভারতীয় পতাকার ক্রাফট তৈরি করার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা অবিরাম।
দিদি, রিপাবলিক ডের শুভেচ্ছা রইল।রিপাবলিক ডের উপলক্ষে দিদি আপনি চাল দিয়ে অসাধারন একটি ডাই প্রজেক্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার ডাই প্রজেক্টে টি সত্যিই আপনি এত সুন্দর এবং নিখুঁত ভাবে তৈরি করেছেন অনেক সুন্দর হয়েছে দিদি।সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে চাল দিয়ে ভারতের পতাকাটি। অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি রিপাবলিক ডে উপলক্ষে এতো সুন্দর একটি ডাই প্রজেক্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা রইল দিদি।আর চাল দিয়ে তৈরি করা কাজ খুব সুন্দর হয়। আমিও চাল আর রঙ দিয়ে কাজ করেছিলাম।খুব সুন্দর হয়েছে দিদি।নতুনভাবে উপস্থাপন করেছেন আজকের এই কাজ।
এরকম পোস্ট আমি কখনো এর আগে দেখিনি। চাল দিয়ে যে এমন সুন্দর পাখি ও পতাকা তৈরি করা যায় তা আগে দেখি। সর্বোপরি অনেক সুন্দর হয়েছে আপু।
প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা রইল বৌদি। বৌদি আমি তো দেখি একদম অবাক হয়ে গেলাম সত্যিই এত সুন্দর হয়েছে আপনার চাল দিয়ে তৈরি করা স্বাধীন পতাকার ক্রাফটি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি স্বাধীন পতাকার ক্রাফট তৈরি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ভারতের ৭১ তম প্রজাতন্ত্র দিবস বা সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে আপনার বাংলা ব্লগ এর সকল সম্মানিত সদস্য দের জানাই অন্তরের অন্তস্থল থেকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। চাল দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে পায়রা ও ভারতের পতাকা বানিয়েছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
আপু প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো। অনেক সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু।সত্যিই আমি মুগ্ধ। চালু রং ব্যবহার করে সুন্দর একটা পোস্ট তৈরী করেছেন। ধাপে ধাপে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে। ভালোবাসা রইল আপু অবিরাম।
প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা রইল বৌদি। এত অসাধারণ ভাবে তৈরি করেছেন আমি তো ভাবতেই পারছিনা। আপনি চাল গুলোকে যখন রংয়ের সাথে মিশিয়ে নিচ্ছেন দেখতে একদম কোন রেসিপি তৈরি করার মত মনে হচ্ছিল। দেখতে এত অসাধারণ হয়েছে এই আইডিয়াটা বলে বোঝাতে পারবো না। আমাদের মাঝে এত অসাধারন কিছু নিয়ে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
দিদি শুরুতেই প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা নিও। আজ তো পুরো চমক দিয়ে দিলে আমাদের সবাইকে। এত এত সুন্দর একটা আয়োজন ছিল বলে বোঝাতে পারবো না। পাখি, আমাদের পতাকা সবকিছু এত সুন্দর ভাবে তৈরি করেছো যে দেখবে সেই মুগ্ধ হয়ে যাবে 👌🙏। আর হ্যাঁ এই পোস্টের ভূমিকাটা অসাধারণ ছিল। ভালোবাসা নিও দিদি। অনেক ভালো থেকো।
তোমাকে প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা দিদি। আজকের দিনে যদি দেশের জন্য কিছু তৈরি করতে না পারলে খুব খারাপ লাগতো তাই সামান্য চেষ্টা করেছি দিদি। তুমি ও আমার ভালোবাসা নিও দিদি। আর ছোটো বোন কে ধন্যবাদ দিলাম না। শুধু বুক ভরা ভালোবাসা রইলো দিদি।
❤️❤️❤️🥰❤️🥰🥰
প্রথমেই প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা। আপু আপনি খুব সুন্দর করে পাখি ও পতাকা তৈরি করে কালারিং চাল লাগিয়ছেন।দেখতে ভালো লাগছে।ধন্যবাদ আপু।