নিজের লেখা একটি কবিতা " শৈশব স্মৃতি"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে একটি কবিতা শেয়ার করবো। ভেবেছিলাম একটি পেইন্টিং শেয়ার করবো। কিন্তু আমার হটাৎ শরীর খারাপ লাগছিলো তাই আর পেইন্টিং করতে পারিনি। এখন শরীর একটু ভালো লাগছে তাই ভাবলাম একটি কবিতা শেয়ার করি। আর বেশ কিছুদিন হলো কোনো কবিতা লিখি না। বেশ কিছুদিন হলো গ্রামে ঘুরতে যেতে পারছি না অসুস্থতার কারণে। তাই আজ আমার খুব ছেলে বেলার কথা খুব মনে পড়ছিল। শীতের সকালে বারান্দায় বসে মায়ের হাতে খেজুরের গুড় দিয়ে মুড়ি খাওয়ার কথা। আর রোদে বসে রান্না বাটি খেলার কথা। এই সব কথা ভাবতে ভাবতে একটি কবিতা লিখেছিলাম। তাই ভাবলাম এটি আপনাদের সাথে করি।
শৈশব স্মৃতি
শীতের হালকা আমেজ মেখে
আমি ফিরে যাই আমার সেই পুরানো শৈশবে।
ভোর বেলা ঘুম ভাঙ্গে একটা অপেক্ষায়,
কখন ঘরের আঙিনায় রোদ আসবে।
সন্ধ্যায় সন্ধ্যায় গল্পের ছলে,
মায়ের হাতে পূর্ণতা পায় খেজুর পাতার পাটি,
নতুন মুড়ি চিড়ে আর হাতে নলেন গুড়ের বাটি।
জানি সেই সব দিন হারিয়ে গেছে এখন আর নেই।
এসেছে উন্নয়ন যান্ত্রিকতা নিয়ে।
আমি শহরের বুকে দিনভর ছুটে চলেছি একাকী।
অনেক ব্যস্ততা আর প্রতিবন্ধকতা নিয়ে,
তবুও আমার স্মৃতির রাজ্যে হাতছানি দেয়।
আমার ফেলে আসা দিন আগামীর দরবারে।
আবার ফিরতে চাই আকস্মিক ছন্দ পতনে।
ভেঙে যাবে এই নিয়ম শহুরে জীবন যাপন।
মাটির ঘ্রানে সবুজের আমন্ত্রণ পেয়ে,
কোকিলের সুরে সুর মিলিয়ে,
আমার গ্রাম সাজে আমাকে ফিরে পেয়ে।।
এই লাইন গুলো সুন্দর লিখেছেন বৌদি । শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
বৌদি আপনার এই কবিতা রচনাটি দারুন হয়েছে। খুব সুন্দর ভাবে আপনি ছোটবেলার শৈশব স্মৃতি এবং শীতের কিছু স্মৃতিময় মুহূর্ত আজকের এই কবিতাটি তে তুলে ধরেছেন। আপনার বেশ কিছু গ্রামের অভিজ্ঞতা এবং প্রাকৃতিক দৃশ্যের প্রতি ভালোবাসা দেখে মনটা ভরে যায়। অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো বৌদি খুব শীঘ্রই সৃষ্টিকর্তা আপনাকে সুস্থতা দান করুন এই কামনা রইল।
আপনার কবিতাটি আমার মায়ের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে । মায়ের সেই আদার মাখা ভালোবাসা গুলো খুব মিস করি । মা এখন গ্রামে । ছুটে যেতে ইচ্ছে করে মায়ের কাছে । আপনার লিখনিতে সত্যি খুব মায়া লুকিয়ে আছে ।
বৌদি আপনি আপনার কবিতার মাঝে পুরনো শৈশবের স্মৃতি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। শৈশবের শীতকাল সত্যিই অনেক সুন্দর ছিল। শহরে চার দেয়ালের মাঝে শৈশবের স্মৃতি গুলো অনেক বেশি অতীত হয়ে গেছে। শৈশবের স্মৃতি গুলো মনে পড়লে অনেক বেশি ভালো লাগে। এমন কিছু স্মৃতি রয়েছে আমাদের জীবনে যেগুলো মনে পড়লে এখনো মন আনন্দে ভরে যায়। অনেক সুন্দর করে শৈশব নিয়ে একটি কবিতা লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি বৌদি।
অসাধারণ কবিতা লিখেছেন দিদি।শৈশবের সময়গুলো মনে পড়লে অনেক ভালো লাগে। আপনার কবিতা পড়ে আমারও শৈশব এর কথা মনে পড়ল, তখন সকাল সকাল উঠতে হতো পড়ার জন্য,তার সাথে সকালে গরম গরম খাবার, সন্ধ্যায় কম্বল মুড়ি দিয়ে পড়ালেখা করা আরও কত কি।ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর কবিতা এই মূহুর্তে শেয়ার করার জন্য।
"শৈশব স্মৃতি " নামটা শুনেই কেমন যেন একটা অনুভূতি হচ্ছে। আপনার কবিতাটি আমার খুবই ভালো লেগেছে আপু। শৈশবকে খুবই মনে পড়ে গেল। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দিদি তোমার কবিতার সুর ধরে প্রথমে যে কথাটি বলবো তুমি বা আমি বা আমাদের জেনারেশন শৈশবে যেভাবে সময় কাটিয়েছি এবং যে ধরনের খেলাধূলা করেছি আজকের জেনারেশন হয়তো কখনোই সেই আমেজটা আর পাবে না। প্রতিটা জিনিস স্মৃতির পাতাতেই থেকে যাবে শুধু।
আর সত্যিই আমরা যান্ত্রিক শহরে যন্ত্রের মতো জীবন যাপন করি এখন। এই নিয়ম রক্ষার বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে যদি পুরনো সেই অতীতে ফিরে যেতে পারতাম কিছুটা সময়ের জন্য হলেও , বেঁচে থাকার নতুন এনার্জি হয়তো পেয়ে যেতাম তাহলে।
শৈশব স্মৃতি কবিতাটি অসাধারণ হয়েছে বৌদি সত্যিই শৈশবের স্মৃতি গুলো অনেক মিস করি। অনেক সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন আপনার কবিতা পড়ে শৈশবের কথা মনে পরে গেলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো
বৌদি আপনার আজকের কবিতা আমার মন ছুঁয়ে গেছে। অসম্ভব ভালো লাগলো। এই কবিতা পরে আমার ছোট বেলার অনেক কথা মনে পরে গেলো আর ছোটবেলার অনেক আনন্দ অনুভূতির দিন গুলো সত্যি অনেক মনে পড়ছে। শীতের মধ্যে এই প্রথম একটি কবিতা পেলাম শীত নিয়ে যেটা অনেক বেশি ভালো লাগলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ বৌদি।
সত্যি বৌদি সেসব কথা মনে হলে এক ধরনের শূণ্যতা অনুভব করি, এখনো আমার মনে আছে শীতের সকালে মুড়ির মোয়ার সাথে গরম গরম রং চা খাওয়ার স্বাদটা এখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না। যান্ত্রিক শহরের মাঝে আভিজাত্য আছে কিন্তু শৈশবের স্মৃতিমাখা সেই সুখটা নেই। খুব সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।