"পুরীর সমুদ্র সৈকতে মিষ্টি মধুর একটি সন্ধ্যা"
বন্ধুরা
আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা। সকলের নতুন বছর সুন্দর ও সুস্থ্য ভাবে কাটুক। তবে নতুন বছরটা আমার অসুস্থ্য থেকে শুরু করেছি। আপনারা অনেকেই জানেন আমরা পরিবারের সকলে পুরী গিয়েছিলাম ঘুরতে। আজই আমরা পুরী থেকে ফিরেছি। সমুদ্রের প্রতি আমাদের সকলের একটা আকর্ষণ রয়েছে। তবে মনে হয় আমার একটু বেশি। সমুদ্রের কথা শুনলে আমার মনে আগেই সেখানে চলে যায়। তবে পুরীতে আমার এই প্রথমবার যাওয়া। অনেক আগ থেকেই পুরীতে যাওয়ার ইচ্ছা ছিলো। পুরী ভারতের ওড়িশা রাজ্যের পুরী জেলার একটি শহর ও পৌরসভা এলাকা। এই পুরী জেলার সদর শহর এবং বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত। উড়িষ্যার রাজধানী ভুবেনেশ্বর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। পুরি হিন্দুদের চার দামের অন্যতম একটি ধাম হিসেবে বিখ্যাত। প্রাচীনকালে পুরী শ্রী ক্ষেত্র এবং নীলাচল নামে পরিচিত ছিল। এই শহরে হিন্দুদের অনেক মন্দিরও মঠ রয়েছে।
পুরীতে প্রধান আকর্ষণ দুটো। এক জগন্নাথ মন্দির ও অন্যটি সমুদ্র। সমুদ্রের টানকে কোন ভাবেই এড়িয়ে যাওয়া যায় না। গা না ভেজালে ও মনকে ভেজাতে বাধ্য।রাতের বেলায় সমুদ্রের জলের ঢেউ সাদা ফেনা গুলো মুক্তোর মতো চিকচিক করে। আর ঢেউয়ের শব্দ যেন মনকে ভরিয়ে দেয়।
সমুদ্রের টানে পুরীতে যাওয়া মাত্রই হটাৎ করেই অসুস্থ্য বোধ হতে লাগলো। প্রচন্ড পিঠে কোমড়ে ও পায়ে অসহ্য ব্যাথা শুরু হলো। হাঁটতে পারছিলাম না এতটা ব্যাথা করছিলো। যেদিন রাতে পৌছালাম সেদিন কোথাও আর বের হতে পারলাম না। এতটা অসুস্থ্য হয়ে পড়লাম। সারাদিন প্রায় হোটেলের রুমে শুয়ে দিন পার হলো। সন্ধ্যার দিকে বাবু ভীষণ বিরক্ত করছিলো তাই ওর জন্যই সমুদ্রের কাছে যাওয়া। সমুদ্রের কাছে যাওয়া মাত্রই ঢেউ এসে আমাদের পা ভিজিয়ে দিয়ে গেলো। আর একের পর এক ঢেউ এসে কূলে আছড়ে পড়ছে। সমুদ্রের তীরে দাঁড়িয়ে ঢেউ দেখার আনন্দই আলাদা। আবার মাঝে দেখা সুসজ্জিত উট ও ঘোড়া গুলো হেঁটে যায়। ছোট ছোট বিভিন্ন দোকান পাট বসছে। সমুদ্র সৈকতে গিয়ে মাছ ভাজা খেতে খেতে ঢেউ দেখার আনন্দই আলাদা। সমুদ্রের ঢেউ দেখতে দেখতে প্রায় দুই ঘণ্টার মত কাটিয়ে দিয়েছিলাম।
সমুদ্রের তীরে বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট দোকান।
তারিখ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩
স্থান: পুরী সমুদ্র সৈকত
সুসজ্জিত উঠের পিঠে আমি আর স্বাগতা।
তারিখ:২৯ ডিসেম্বর ২০২৩
স্থান: পুরী সমুদ্র সৈকত
সমুদ্রের ঢেউ গুলো তীরে এসে আঁচড়ে পড়ছে। আর রাতের অন্ধকারে ঢেউ গুলো মুক্তোর মতো চিক চিক করছে।
তারিখ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩
স্থান: পুরীর সমুদ্র সৈকত
সমুদ্র সৈকতের বালি রাতের আলোয় চকচক করছে। ঢেউয়ের সাথে নিজের একটি সেলফি।
তারিখ:২৯ ডিসেম্বর ২০২৩
স্থান: পুরী সমুদ্র সৈকত
সমুদ্রের তীরে ছোট একটি জগন্নাথ দেবের মূর্তির দোকান, শামুকের দোকান ও মাছ ভাজার দোকান।
তারিখ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩
স্থান: পুরী সমুদ্র সৈকত
পুরীর সমুদ্র সৈকতের আরো কিছু আপডেট বড় দাদার পোস্ট থেকে পেয়েছিলাম। আসলে বৌদি অনেক জার্নি করাতে মনে হয় আপনার শরীর খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তবে টিনটিন বাইরে যাওয়ার জন্য বিরক্ত করার কারণে হয়তো সমুদ্র সৈকতে গিয়েছেন এবং সেখানে ভালই মজা করেছেন।সন্ধের সময় সমুদ্রে ঢেউয়ের আওয়াজ আসলে অনেক মজা লাগে।আমরা মাঝে মাঝে বাংলাদেশে কক্সবাজার গেলে সেখানে সন্ধ্যেবেলায় এরকম আওয়াজ গুলো শুনতাম । আসলেই যে উঠগুলো সাজিয়েছিল সেগুলো সুসজ্জিত ছিল, দেখতে খুব চমৎকার লাগছে। ধন্যবাদ বৌদি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
সমুদ্র আপনার পছন্দ জেনে ভালো লাগলো বৌদি।সবাই মিলে দারুণ একটা সময় পার করেছেন বৌদি।তাছাড়া নতুন আবহাওয়াতে আপনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন জেনে খারাপ লাগলো।যাইহোক সমুদ্রের ঢেউ ও শঙ্খ দেখে মন ভরে গেল।দাদার পোষ্টে আপনাদের উঠের পিঠে চড়া দেখেছি।ধন্যবাদ আপনাকে।
সমুদ্র পাড়ের সৌন্দর্য সবাইকে আকৃষ্ট করে। জায়গাটা বেশ ভালো লেগেছে সৌন্দর্যটা যে কাউকে আকৃষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। যেহেতু একটু শারীরিক অসুস্থতার কারণে সারাদিনই বের হননি তবে শেষ বেলায় বের হয়ে বেশ ভালোই মজা পেয়েছেন বিশেষ করে উটের পিঠে ওঠার বিষয়টা বেশি ভালো লেগেছে।
পুরীর সমুদ্র সৈকতে কাটানো অত্যন্ত আনন্দঘন মুহূর্তটুকু আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। সমুদ্র সৈকতের পরিবেশ টা দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। সব থেকে বেশি ভালো লাগছে সুসজ্জিত উটের উপরে আপনি এবং স্বাগতা আপুকে দেখে। সমুদ্র সৈকতে কাটানো দারুণ একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জ্বী বৌদি, দাদার কল্যাণে আমরা আগেই জেনেছিলাম পুরী যাওয়ার বিষয়ে। সত্যি সমুদ্রের প্রতি সকলের একটা ভালো আকর্ষণ কাজ করে, যদিও আমাদের গ্রামের বাড়ী সমুদ্রের সাথে তাই এটা আমি বেশ ভালোই উপলব্ধি করতে পারি। তবে আপনার অসুস্থ্যতার কথা শুনে খুব খারাপ লাগলো। ফটোগ্রাফিগুলো বেশ দারুণ হয়েছে, অনেক ধন্যবাদ।
আসলেই বৌদি সমুদ্র সৈকতে সময় কাটাতে খুবই ভালো লাগে। সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে ঢেউ দেখতে দেখতে, সময় যে কিভাবে চলে যায় সেটা টের পাওয়া যায় না। এতো বড় বড় ঢেউ আরও বেশি ভালো লাগে দেখতে। সুসজ্জিত উটগুলো খুবই সুন্দর। তাজা তাজা মাছ ভাজা খাওয়ার মজাই আলাদা। ফটোগ্রাফি গুলো এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে বৌদি। পুরী ভ্রমণে গিয়ে জগন্নাথ দেবের দর্শন ও করতে পেরেছেন, আবার সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য ও উপভোগ করতে পেরেছেন। সবমিলিয়ে চমৎকার সময় কাটিয়েছেন সেখানে। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি।
বৌদি, সমুদ্রের প্রতি কিন্তু আমারও একটু দুর্বলতা আছে। হয়তো ভবিষ্যতে, ইচ্ছা আছে পুরো পরিবার নিয়ে সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে যাওয়ার, আপনাদের আনন্দঘন মুহূর্ত দেখে বেশ ভালই লাগলো। শুভেচ্ছা রইল আপনাদের সকলের জন্য।
বাহ বৌদি পুরীতে গিয়ে তো ভালোই মজা করেছেন। তবে কোথাও গিয়ে অসুস্থ হয়ে গেলে যাওয়ার আনন্দটাই মাটি হয়ে যায়। তবে পরিবারের সবাই মিলে সেখানে গিয়েছেন জেনে খুব ভালো লাগছে। বিশেষত সুসজ্জিত উটের পিঠে দুজনে উঠে খুব মজা করেছেন নিশ্চয়ই। যাইহোক আমার কাছেও সমুদ্র খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে সমুদ্রের মাঝে গিয়ে নিজের সকল দুঃখ ছেড়ে আসি,সমুদ্র সেগুলোকে দূরে কোথাও নিয়ে ফেলে দেবে।
বৌদি আপনার আর স্বাগতা আপুর ছবিটি দাদার পোস্টে দেখেছি।দুজনে দেখলাম বেশ আনন্দ করেছেন।সমুদ্র প্রিয় না হয়ে আসলে পারেনা,সৌন্দর্যটা এতো দারুণ।ছবিগুলো দেখে ভালো লাগলো।
পুরী সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারলাম বৌদি তোমার এই পোস্টটি পড়ে। সমুদ্র সৈকতে গিয়ে মাছ ভাজা খেতে খেতে ঢেউ দেখার আনন্দ আমিও অনেক বার উপভোগ করেছি সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে গিয়ে। সুসজ্জিত উঠের পিঠে তোমাকে আর স্বাগতা দিদি কে বেশ দারুণ লাগছে বৌদি।