"সন্ধ্যার জল খাবার মুচ মুচে পালং শাকের পকোড়া"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। শীতকালীন সবজি পালং শাক কম বেশি আমরা সকলেই খুব পছন্দ করি। তবে এখন পালং শাক প্রায় সারাবছরই পাওয়া যায়। পালং শাক দিয়ে বিভিন্ন ভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। যে যেভাবে রান্না করুক না কেন খেতে অনেক সুস্বাদু হয়।আজ আমি আপনাদের সাথে পালং শাকের পকোড়ার রেসিপি শেয়ার করবো। পালং শাক পুষ্টি গুনে ভরপুর। পালং শাকের পকোড়া খেতে অনেক টেস্টি হয়। এই পকোড়া আপনারা যেকোন ভাবে খেতে পারেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
উপকরণ:
১.পালং শাক - পরিমান মতো
২. বেসন - ১ কাপ
৩. কাচা মরিচ কুচি -২ চামচ
৪. শুকনো মরিচ গুঁড়া - ১ চামচ
৫. সাদা তেল - ২ কাপ
৬. লবণ -১ চামচ
৭. হলুদ - হাপ্ চামচ
৮. জিরা গুঁড়া - হাপ্ চামচ
পালং শাক
বেসন
উপকরণ:
১.প্রথমে শাক গুলো বেছে নিয়ে জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
২. এরপর একটা পাত্রে বেসন ও একে একে পরিমান মতো লবণ, হলুদ, জিরা গুঁড়া,শুকনো মরিচ গুঁড়া ও কাচা মরিচ কুচি দিয়ে একসাথে মিশিয়ে নিয়ে জল দিয়ে বেটার তৈরি করে নিতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে বেটার বেশি পাতলা না হয়ে যায়। একটু গাঢ় করে বেসন গুলে। নিতে হবে।
৩.এবার চুলার উপর একটা কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। কড়াই গরম হয়ে গেলে পরিমান একটু। বেশি করে তেল দিয়ে দিতে হবে। তেল গরম হয়ে গেলে একটা একটা করে পালং শাক বেটারে চুবিয়ে তেলের ভিতর ছেড়ে দিতে হবে।
৪. এবার চুলার আঁচ মিডিয়ামে রেখে বাদামী রঙের করে ভেজে নিতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে তেল ঝরিয়ে তুলে নিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল পালং শাকের পকোড়া। এটি আপনারা সন্ধ্যায় চা এর সঙ্গে খেতে পারেন। এমনকি ভাত ও ডাল এর সাথে ও খেতে পারেন। আশা করি, আমার এই রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।
পালংশাকের পাকোড়া খেতে সত্যি ভালো লাগে। শীতকালীন সবজিগুলো দিয়ে পাকোড়া তৈরি করলে যেমন ভালো লাগে খেতে তেমনি পালং শাক দিয়েও পাকোড়া তৈরি করলে ভালো লাগে খেতে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে পালংশাকের পাকোড়া রেসিপি তৈরি করার পদ্ধতি উপস্থাপন করেছেন। বৌদি আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
পালং শাক আমার খুব পছন্দ। বিশেষ করে চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করলে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। তবে এরকম পালং শাকের পাকোড়া কখনো খাওয়া হয়নি বৌদি। এরকম মচমচে করে পাকোড়া তৈরি করলে খেতে খুব সুস্বাদু হয়। একদিন ট্রাই করে দেখব এই রেসিপি টি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি এত সুস্বাদু এবং ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এখন তো মোটামুটি সারা বছরই পালং শাক পাওয়া যায়। তবে এই শাক শীতকালে খাওয়ার একটা আলাদা মজা আছে। দিদিভাই পালং শাক দিয়ে পকোড়া আমি নিজেও খেয়েছি 😊। মা বাড়িতে তৈরি করে শীতকালে। অসম্ভব মজার একটা খাবার। আর সত্যি বলতে আপনার প্লেট থেকে তুলে নিয়ে টুপ করে দুটো পকোড়া খেতে খুবই ইচ্ছে করছে। খুব সুন্দর করে পুরো আয়োজন টা দেখিয়েছেন।
এই শীতে, এই পালংশাক ভাজা আর ধনে পাতা না হলে চলেই না।প্রতিদিনই খেতে হবে।সাথে গরম গরম চা। আপনার রেসিপির কল্যাণে এখন আর দোকানে খেতে হবে না।ধন্যবাদ দিদি দারুন একটি স্ন্যাক্স আইটেম শেয়ার করার জন্য।
মুচ মুচে পালং শাকের পকোড়া দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আসলে বিকেলবেলায় নাস্তাটি পেলে খুব ভালো হতো আমার জন্য, কারণ আমি মুচমুচে পকড়া খেতে খুবই পছন্দ করি বৌদি। আপনার রেসিপি পরিবেশন খুবই ভালো লেগেছে আমার।
বৌদি আপনি মানেই নতুন কোনো রেসিপি। পালড় শাক শীতকালে বেশি পাওয়া যায়। পালং শাক এর পকোড়া কখনো খাইনি। আসলে কখনো তৈরি করার প্ল্যান মাথায় আসে নাই। পদ্ধতি টা পরিচিত ছিল। পালং শাকের পকোড়া টা বেশ দারুণ তৈরি করেছেন বৌদি। বেশ দারুণ লাগছে দেখতে।।।
আপু আপনি ঠিক বলেছেন আসলে পালং শাক পুষ্টি গুণে ভরা একটি শাক।পালং শাক যেভাবে রান্না করা হয় হউক খেতে অনেক ভালো হয়।আপনি তো দারুণ একটি রেসিপি তৈরি করেছেন।পালং শাকের পাকোড়া তৈরি করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক মজা হয়েছে। খেতে ও আশাকরি অনেক ভাল লাগবে।
হুম সন্ধ্যার সেরা খাবার এটা নিঃসন্দেহে, পাকোড়ার স্বাদটি সত্যি আমার কাছে দারুণ লাগে। তবে আজকের আপনার উপস্থাপনাটি একটু ভিন্ন ধরনের মনে হয়েছে। কারন আমরা সাধারণত পালং শাক কুচি করে কেটে নিয়ে তারপর পাকোড়া তৈরীর চেষ্টা করি। তবে এভাবে কখনো চেক করা হয় নাই, নতুন আইডিয়া পেলাম আজকে, হি হি হি। ধন্যবাদ