"দোল উৎসব বা দোল পূর্ণিমা কি ? টিনটিন বাবুর রং খেলার আনন্দঘন মুহূর্ত"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে জানাই দোল ও বসন্ত উৎসবের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। শীতের পরেই আসে নবীন বসন্ত। শীতে পাতা ঝরে যাওয়া গাছগুলি বসন্তের বাতাসের ছোঁয়া পেয়ে সবুজ হয়ে ওঠে। ফাল্গুনী পূর্ণিমা তে নানান রঙে রঙিন হোলির উৎসবের মধ্য দিয়ে সূচনা হয় বসন্তের। এটি বহু প্রাচীন একটি হিন্দু ধর্মীয় উৎসব। হোলি উৎসবের সূচনা হয় যিশুখ্রিস্টের জন্মের বহু আগে থেকে ভারতবর্ষে হয়েছে। দোলযাত্রা একটি সনাতন হিন্দু বৈষ্ণব উৎসব। বহির্বঙ্গে পালিত হোলি উৎসবের সঙ্গে দোলযাত্রা উৎসবটি সম্পর্কযুক্ত। এই উৎসবের অপর নাম বসন্ত উৎসব। আসলে বসন্ত উৎসব মানেই আনন্দ। আর যদি এই উৎসব হয় রংয়ের তাহলে তো কথাই নেই। এই দিন সকাল থেকেই নারী-পুরুষ নির্বিশেষে আবির গুলাল ও বিভিন্ন প্রকার রং নিয়ে খেলায় মত্ত হয়। পরস্পর একে অপরকে আবির মাখিয়ে রং খেলে।
বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোল পূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির ও গুলাল নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীগণ এর সঙ্গে রং খেলায় মেতে ছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি হয়। দোলযাত্রার দিন সকালে রাধাকৃষ্ণর বিগ্রহে আবির ও গুলালে স্নান করিয়ে দোলায় চড়ে কীর্তন গান সহকারে শোভাযাত্রা বের করা হয়। তারপর ভক্তেরা আবির ও গুলাল নিয়ে পরস্পর রং খেলে।এই দোল উৎসবের অনুষঙ্গে ফাল্গুনী পূর্ণিমাকে দোল পূর্ণিমা বলে। এই দোল যে কেবল রংবাজ মিষ্টি বিতরণের উৎসব তা নয়। বরং এই উৎসব আমাদের মনে করিয়ে দেয় রাধা কৃষ্ণ এর অমর প্রেমের কথা মনে করিয়ে দেয়। খারাপ যে দূরে সরিয়ে ভালো করে কাছে টেনে নেওয়ার কথা মনে করিয়ে দেয় এই উৎসব।
আজ পথে আবির হাতে
আজ রঙিন হওয়ার দিন,
রং ছড়াক সবার মাঝে
আজকে খুশির দিন।।
আপনারা দেখতে পাচ্ছেন টিনটিন বাবু কেমন ভাবে রঙিন হয়ে গেছে। টিনটিন বাবুর দ্বিতীয় হোলি আজ। এই দোল যাত্রা একটি ধর্মীয় উৎসব। এই দিনে প্রায় প্রত্যেক বাড়ীতে পূজো হয়। তাই আজ সকাল থেকে এই পূজার কাজে ব্যাস্ত ছিলাম। আমি ছেলেবেলা থেকে রং খেলি ।আমার রং খেলতে ভালো লাগে। বিশেষ করে নিজের পরিবারের সাথে রং খেলতে বেশি পছন্দ করি। আমি প্রতিবছর আমার প্রিয় মানুষটিকে আবির মাখিয়ে রং খেলা শুরু করি। সে ও সর্বপ্রথম আমাকে আবির মাখিয়ে দেয়। এবং প্রতিবছর আমরা একসাথে রং কিনতে যাই। আমি প্রতিবারের মতো আজ কে ও খুব তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে সকালের সব কাজ সেরে ওকে ঘুম থেকে ডেকে উঠালাম। এরপর টিনটিন বাবুকে ঘুম থেকে উঠালাম। এরপর টিনটিন বাবুকে হাত মুখ ধুয়ে দিলাম এরপর তাকে কিছু খাইয়ে দিলাম। এরপর আমি আবির গুলো একসঙ্গে করলাম।
এর কিছুক্ষণ পরে আমার আমার দুই জন দেবোর আসলো। তারা এসে বললো বৌদি তাড়াতাড়ি আসুন আবির খেলতে। টিনটিন বাবু তার আরো দুই জন কাকাকে দেখে খুব খুশি। সে তাড়াতাড়ি ছুটে গিয়ে আবির এনে তাদের মুখে লাগিয়ে দিলো। টিনটিন বাবু আমাদের আসার দেরি না করে তার কাকার সাথে ছাদে চলে গেলো রং খেলতে। এরপর আমরা ১০ মিনিট পর গিয়ে দেখি টিনটিন বাবুকে চেনা যাচ্ছে না। পুরো আবির মেখে রঙিন হয়ে গেছে। এরপর আমি একে একে সবাইকে আবির মাখিয়ে দিলাম। এবং কিছু ছবি তুললাম। আমরা প্রায় ১ ঘণ্টার মতো রং খেলেছি। প্রায় ৩ টার দিকে বাবুকে এনে স্নান করিয়ে দিলাম। আজ টিনটিন বাবুর রং খেলা দেখে আমার ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে গেল। সব কিছু মিলিয়ে আজকের দিনটি অনেক সুন্দর কেটেছে।
দোল উৎসব সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম খুবই ভালো লাগলো।বিশেষ করে টিনটিন বাবুর আবির খেলায় মেতে ওঠার দৃশ্য পটভূমি ভালো লেগেছে। রঙে রঙ্গিন হয়ে গিয়েছে টিনটিন বাবু। আজকে খুবই মজা করেছেন আপন মানুষের সাথে যেটা সবাই উপভোগ করতে ভালোবাসে।আনন্দ পূর্ণ মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দিদি।❤️❤️
বৌদি আপনাকে ও দোল উৎসবের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।রং তো আপনাদের চেনাই যাচ্ছে না ,বেশ আনন্দ করে হোলি খেলেছেন বোঝাই যাচ্ছে।টিনটিন বাবুকে বেশ রঙিন ও কিউট লাগছে দেখতে।আপনার হোলি সম্পর্কে উপস্থাপনাটি চমৎকার হয়েছে, জানতে পারলাম অনেক কিছু।বেশ আনন্দে কাটিয়েছেন দিনটি,শুভকামনা রইলো বৌদি আপনাদের জন্য।💝💝
বৌদি , টিনটিন বাবু তো অন্য রকম স্টাইলে সানগ্লাস পড়ে আবির খেলছে| বিভিন্ন রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে আমাদের টিনটিন বাবু এই দোল উৎসবের আয়োজনে |
টিনটিন বাবুর রং খেলার দৃশ্য দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। কারণ দেখে বোঝা যাচ্ছে টিনটিন বাবু খুবই খুশি। টিনটিন বাবুর দোল উৎসব এটি দ্বিতীয় ছিল। তাই সে খুবই আনন্দ উপভোগ করেছে। আসলেই দোল উৎসবে খুবই মজা হয়। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে রং দিয়ে খেলাধুলা করেছেন ছোটবেলায় সেটা টিনটিন বাবুকে দেখে আপনার মনে পড়ে গেল। আসলে পুরো দিনটা অনেক আনন্দের ছিল দেখে বুঝতে পেরেছি। আপনাদের সকলের জন্য সুস্থতা কামনা করছি।
বৌদি কি যে বলব,, টিনটিন বাবুর ছবিটা যখন প্রথম সামনে আসলো আমি হঠাৎ চমকে গেলাম। রং মেখে কি একটা অবস্থা । দেখতে কিন্তু দারুন লাগছে। হা হা হা। দেখে মনে হচ্ছে খুবই মজা পেয়েছে। হাতের মেশিনগান টাও তো বিশাল বড়। 🥳🤩
টিনটিন বাবুর রং মাখানো মুখ দেখে খুবই ভালো লাগছে। তার মায়াবী মুখের দিকে তাকিয়ে প্রশান্তি পাচ্ছি বৌদি। পরিবারের সকলের সাথে রং খেলে টিনটিন বাবু নিশ্চয়ই অনেক খুশি হয়েছে। সেইসাথে আপনারা সকলে মিলে অনেক আনন্দঘন মুহূর্ত কাটিয়েছেন এবং পরিবারের সকলে মিলে অনেক আনন্দ করেছেন এটা বোঝাই যাচ্ছে। রং খেলার সেই মুহূর্তগুলো ফটোগ্রাফির মাধ্যমে এবং আপনার অনুভূতির মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো বৌদি। আপনার জন্য এবং আপনার পরিবারের সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
আমি মনে হয় এই প্রথম টিনটিন বাবুর মন খোলে হাসির ছবি দেখলাম।ছবি দেখেই মনে হচ্ছে ও অনেক মজা পেয়েছে।এবং আনন্দ করেছে। দোলের শুভেচ্ছা রইল। আর টিনটিন বাবুর জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো।
টিনটিন বাবুর হাসি মাখা মুখটি দেখতে খুবই ভালো লাগছে বৌদি। তাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে সে আজ খুব মজা করেছে। টিনটিন বাবুর জন্য আশীর্বাদ করি সে যেন সব সময় এরকম হাসিখুশি থাকে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি আমাদের মাঝে আপনাদের আনন্দঘন মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।
রঙ্গে রঙ্গিন হয়ে যাক ভুবন, এই কামনাই করি । যদিও দাদার পোস্টের মাধ্যমেই বুঝতে পেরছি যে, বেশ ভালো সময় পার করছেন আজ আপনারা । তবে সত্যি বৌদি টিনটিন সহ সবাইকেই অনেক সুন্দর লাগছে । ধন্যবাদ আপনার সুন্দর আনন্দঘন মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
বৌদি আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে সত্যি আজকে আপনি অনেক আনন্দ করেছেন এই হোলির দিনে। দেখে মনে হচ্ছে টিনটিন বাবু অনেক আনন্দ করেছে আজকের দিনে। আর আপনি হোলি সম্পর্কে অনেক তথ্য শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে, যা থেকে আমি নতুন কিছু জানলাম। ধন্যবাদ শুভকামনা আপনার জন্য।