Diy (এসো নিজে করি ) নতুন একটি পেইন্টিং মধুবনি আর্ট " একটি গাছের ডালে মধুবনি পাখি"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আমি অনেকদিন পর আবার নতুন একটি পেইন্টিং নিয়ে আসছি। আমি আগেই বলেছি আমি কোন পেশাদার আর্টিস্ট নই বা আমি কোনো কোথাও থেকে আর্ট শিকার সুযোগ হয়নি। আমি নিজেই আর্ট বা পেইন্টিং সম্বন্ধে কিছুই জানি না। আমি এখন যেটুকু করি এর পিছনে অবদান আমার প্রিয় মানুষটির। ওই আমাকে অনুপ্রেরণা ও সাহস দিয়েছে। এবং আমার পাশে থেকে আমাকে সহযোগিতা করেছে।তাই আজ আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি পেইন্টিং শেয়ার করবো। এই পেইন্টিং সম্বন্ধে আমার প্রিয় মানুষটির মুখ থেকে শুনেছি। সেই থেকে আমার খুব ইচ্ছা হয়েছিলো এই পেইন্টিং করার।এই পেইন্টিং হলো মধুবনী আর্ট বা মিথিলা আর্ট। এই পেইন্টিং ছিল ভারতের উপমহাদেশের মিথিলা অঞ্চলের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের তৈরি একটি পেইন্টিং। ঐতিহ্যগতভাবে এটি মহিলাদের দ্বারা তৈরি ছিল এই পেইন্টিং। এর উৎপত্তি বিহারের মিথিলা অঞ্চলের মধুবনী জেলা থেকে। মধুবনী হল প্রধান এই পেইন্টিং গুলির রপ্তানি কেন্দ্র। প্রায় আড়াই হাজার বছরের পুরনো লোকশিল্প এই মধুবনী পেইন্টিং। এই মধুবনী চিত্রকলার ইতিহাস রামায়ণের সময়কাল এর কথা বলা হয়েছে।
এই পেইন্টিং গুলি সাধারণত উৎসব অনুষ্ঠান বা বিশেষ কোনো কারণে বাড়ির দেয়ালে বা মেঝেতে মহিলারা তৈরি করতেন। বিহারের মিথিলা অঞ্চলের উৎপত্তি হওয়ার পর এই চিত্রকর্ম মিথিলা শিল্পকর্ম নামে পরিচিতি লাভ করে। এই মধুবনী পেইন্টিং এর তিনটে স্টাইল দেখা যায়। তখনকার সময়ে মহিলারা এই পেইন্টিং করতো প্রাকৃতিক রং দিয়ে। যা তখন পাওয়া যেত বিভিন্ন ধরনের গাছ ও ফুল দিয়ে ফুল থেকে। তখন এই মধুবনী পেইন্টিং শুধুমাত্র দেয়ালে লিপিবদ্ধ করা হতো তা নয় সে সময় ট্রেনে এই পেইন্টিং করা হতো। মধুবনী পেইন্টিং এখন বিহারের মিথিলা অঞ্চল ছাড়াও নানান জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। এই মধুবনী পেইন্টিং এখন কাগজ দেয়ালে ও ট্রেনে করা হয় তা নয়। এটি এখন শাড়ির উপরে, পাতার উপরে ও বাড়িতে থাকা বিভিন্ন ফুলের টবে এই মধুবনী পেইন্টিং করা হয়। আবার এই মধুবনী পেইন্টিং বিভিন্ন ব্যাগের উপরেও তৈরি করা হয়। এই মধুবনী পেইন্টিং এখন অন্যান্য পেইন্টিং এর মতই পরিচিতি লাভ করেছে। আশা করি আমার মতো আপনাদের ও এই পেইন্টিং টি আপনাদের ভালো লাগবে। এই পেইন্টিং আমি এর আগে অনেকবার দেখেছি কিন্তু নিজে কোনোদিন আঁকার চেষ্টা করিনি।এই প্রথমবার আমি এই মধুবনী পেইন্টিং করলাম। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
উপকরণ:
১. খাতা
২. পেনসিল
৩. রবার
৪. রঙিন কলম
প্রস্তুত কারক:
১. প্রথমে খাতার চারপাশে পেনসিল দিয়ে দাগ কেটে নিতে হবে।
২. এবার খাতার মাঝ বরাবর একটি মধুবণী পাখী আঁকতে হবে।
৩. এবার পাখীর পায়ের নিচে থেকে ডাল এঁকে দিতে হবে।
৪. এরপর ডালে চারপাশে পাতা এঁকে দিতে হবে।
৫.এবার পেনসিলের দাগের উপর দিয়ে কালো রঙের কলম দিয়ে আরো একটু স্পষ্ট করে দিতে হবে।
৬. এবার পাখীর গলার নিচে ছোট ছোট নকশা আঁকতে হবে। এবং ডানায় ছোট ছোট মাছের আঁশ এঁকে দিতে হবে। পাখীর শরীরে ছোট ছোট ফুল এঁকে দিতে হবে। পাখীর লেজে ছোট ছোট দাগ এঁকে দিতে হবে।
৭. পাখীর ঠোঁটে ও পায়ে লাল রং করে দিতে হবে।
৮. পাখীর মাথা, গলা ও লেজে হলুদ রং করতে হবে।
৯. পাখীর ডানায় গেরুয়া রং করতে হবে।এবং ডানার নিচে শরীরে নীল রং করে দিতে হবে।
১০. এবার ডালের পাতায় সবুজ রং করতে হবে। সবুজ রং করা হয়ে গেলে পাতার এক পাশে কালো কলম দিয়ে পাতার উপরে শিরার মতো দাগ কেটে দিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল একটি গাছের ডালে মধুবনী পাখির পেইন্টিং।আশা করি আজকের পেইন্টিং টি আপনাদের ভালো লাগবে।
অও,দুর্দান্ত হয়েছে বৌদি মধুবনি পাখিটি।সত্যিই আপনার অঙ্কনের দক্ষতার প্রশংসা করতে হয়👌।আমি তো শুধু চেয়ে দেখছিলাম পাখিটি।মধুবনি পাখির নাম এই প্রথম শুনলাম আমি, খুবই মিষ্টি নাম।তাছাড়া পাখিটি আপনি খুবই সুন্দর করে এঁকেছেন, মনে হচ্ছে সত্যিকারের পাখি বসে আছে।ধন্যবাদ বৌদি,বেশ উপভোগ করলাম অঙ্কনটি।
আশাকরি বৌদি ভালো আছেন? গাছের ডালে মধুবনি পাখির পেইন্টিং দেখে খুবই মুগ্ধ হলাম। আপনার আর্টিস্ট অত্যন্ত দুর্দান্ত হয়েছে। পেইন্টিং দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। মনোমুগ্ধকর একটি পেইন্টিং আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এত সুন্দর আর্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি ভালো থাকবেন।
একটি গাছের ডালে মধুবনি পাখি বসে থাকার এই সুন্দর অঙ্কন দেখতে পেয়ে আমার খুব ভালো লাগলো। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে অংকনটি তৈরি করলেন। আপনার অংকন দেখে সত্যিই আমার খুবই ভালো লাগে।আজকে অংকনটি সত্যি অসাধারণ। এত সুন্দর একটি অঙ্কন আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি।
বৌদি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে আপনার পেইন্টিং দেখে। আপনার কাজগুলো দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। আপনি অনেক দক্ষতার সহিত এই পেইন্টিং করেছেন। আমার মনে হয় আপনি অলরাউন্ডার। সবকিছুই করতে পারেন। শুভকামনা ও দোয়া ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য।
আপনার তৈরি করা পেইন্টিং দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম বৌদি । আপনি অনেক সুন্দর ভাবে পেইন্টিংটি তৈরি করার পাশাপাশি ধাপ গুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের সামনে ।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
মনোমুগ্ধকর একটি পেইন্টিং আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন বৌদি। চমৎকার কালার কম্বিনেশন। অনেক আকর্ষনীয় হয়েছে। আপনি পেইন্টিং এর প্রতিটি ধাপ অনেক গুছিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইলো বৌদি।
বাহ দিদি আপনি তো অনেক সুন্দর একটি পাখির পেইন্টিং করেছেন। আর এত সুন্দরভাবে রং করেছেন যার কারণে পাখিটি দেখতে আরো বেশি সুন্দর লাগতেছে। সব মিলিয়ে অসাধারণ হয়েছে দিদি।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর একটা আর্ট আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।
বাহ!! চমৎকার লাগল আপনার এই অংকন বৌদি। সত্যি আমার কাছে অসম্ভব সুন্দর লেগেছে আপনার এই অংকনটি। কালার কম্বিনেশন টা অনেক সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ বৌদি এতো সুন্দর একটা অংকন শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য এবং আপনার পরিবার এর জন্য শুভকামনা রইল বৌদি। 💞💞💞
বৌদি আপনার পেইন্টিং এত এত সুন্দর হয়েছে যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আমার কাছে সব থেকে ভালো লেগেছে এর কালার কম্বিনেশন। আপনি যে এক পুরোদমে সৃজনশীল মানুষ তা আবারো প্রমাণ করলেন। আমার সত্যি খুব ভালো লেগেছে আপনার আর্ট। আপনি খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে আর্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এত সুন্দর একটি আর্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বৌদি এক কথায় অসাধারণ এঁকেছেন। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখে আমি অবাক। লাস্ট স্টেপে এতো সুন্দর একটি মধুবনি পাখি দেখে অনেক ভালো লাগছে। আপনার পূর্বের আর্ট দেখেছি সগুলোও অনেক সুন্দর ছিলো। ধন্যবাদ বৌদি এতো সুন্দর পেইন্টিং আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷ ❤️
বৌদি এটা সত্য কথা যে, আপনার আর্ট অনেক সুন্দর হয়েছে এবং তা ছাড়াও এই আর্ট এর পিছনে যে এতগুলো অতীত আছে, তা আমি জানতাম না । ধন্যবাদ বিষয়টি খোলাসা করে উপস্থাপন করার জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য ।