বাঙালি রেসিপি " কাকড়া দিয়ে চুপুরী পাতার টক"
Hello
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন ভালো আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব কাকড়া দিয়ে চুপুরী পাতার টক। এটি গ্রাম বাংলার খাবার। গ্রাম অঞ্চলে চুপুরী গাছ দেখতে পাওয়া যায়। এটি দেখতে অনেক টা পাট গাছের মতো বড়ো হয়। এই গাছে লাল রং এর ফল হয়। ফল ও পাতা দুটোই খেয়ে টক। এই পাতা আমার মা গ্রাম থেকে আসার সময় এনেছিল। এই চুপুরি পাতার টক আমার প্রিয় খাবার। গ্রামে থাকতে মা প্রায়ই এটি রান্না করতো। এটি খুবই সুস্বাদু একটি খাবার। এটি রান্না করতে ও খুব সহজ। যারা গ্রামে থাকেন তারা এর পাতা দেখলে অনেক টা চিনতে পারবেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।আশা করি, আপনাদের ভালো লাগবে
উপকরণঃ
১. কাকড়া - ৫০০ গ্রাম
২. চুপুরী পাতা - ২০০ গ্রাম
৩. সরিষার তেল -১ কাপ
৪. কালো সরিষা - ১ চামচ
৫.লবণ - ২ চামচ
৬.হলুদ - ২ চামচ
কাকড়া
চুপুরীর পাতা
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে কাকড়া কেটে পা গুলো আলাদা করে নিতে হবে। এরপর জল দিয়ে ধুয়ে পরিস্কার করে নিতে হবে।
২. এবার চুপুরী পাতা গুলো কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে। এবং জল দিয়ে ধুয়ে পরিস্কার করে নিতে হবে।
৩. চুলার উপর কড়াই বসিয়ে দিয়ে তেল দিতে হবে।তেল গরম হলে ১ চামচ কালো সরিষা দিয়ে দিতে হবে।
৪.সরিষা ভাজা হয়ে গেলে কেটে রাখা কাকড়ার পা গুলো দিয়ে এতে সামান্য লবণ হলুদ দিয়ে ভেজে নিতে হবে।
৫. কাকড়া ভাজা হয়ে গেলে কেটে রাখা চূপুরী দিয়ে দিতে হবে।
৬. চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিতে হবে। এবার একে একে পরিমান মতো লবণ ও হলুদ দিয়ে একটু নেড়ে দিতে হবে। এবার ২ কাপের মতো জল দিতে হবে।
৭. এবার একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এভাবে ১০ মিনিট ধরে রান্না করতে হবে। এবার ঢাকনা খুলে দিতে হবে এবং ঝোল গাঢ় হয়ে এলে লবণ টেস্ট করে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে।
তৈরি হয়ে গেল আমাদের কাকড়া দিয়ে চুপুরীর পাতার টক।এটি গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।
আপু আমার একটি প্রশ্ন ছিলো।
এই চুপুরী পাতা গুলো কি?
কোনোদিন ও আমি নামটাও শুনিনি!!
আপনার কাকড়া রান্না দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে কিন্তু আমি তো খাইনা। 😪
খাবারটা দেখে খুবই লোভনীয় লাগলো। কাঁকড়া আমি কখনোই খাই নাই, তবে খাওয়ার ইচ্ছা আছে। সেটা মনের মধ্যে সুপ্ত ছিল। কিন্তু এমন লোভনীয় রেসিপি দেখার পর ইচ্ছাটা আরো সজাগ হয়ে উঠলো। 😊
বৌদি আমাদের মাঝে নতুন নতুন খাবারের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।বরাবরই বৌদির রেসিপি খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে।আমার বিশ্বাস এই বারও তার ব্যতিক্রম হই নাই।উপস্থাপনা ভালো ছিলো।নতুন জিনিস আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
বৌদি কাঁকড়ার সাধারণত ভাজা,ভূনা এই ধরনের রেসিপি দেখেছি। কিন্তু এই চুপুরিপাতার টক এই রেসিপি আগে কখনো দেখিনি। আপনার কল্যানে অনেক নতুন রেসিপি দেখতে পারি আমরা। তবে এই চুপুরি পাতা জিনিসটা আমি চিনিনা। আমাদের এখানে কি নাম এটার বা আদৌ আছে কিনা তাও জানিনা। এতো সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দিদি আমি কখনো কাকরা খাইনি । তবে আপনার রান্না দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। আপনার রান্নার রেসিপির মধ্যে চুপুরি পাতা টা চিনতে পারলাম না। এই পাতার নাম এর আগে কখনও শুনিনি। এই চুপুরি পাতার কি আর অন্য কোন নাম আছে ? তবে চুপুরি পাতা টা যে টক সেটা বুঝতে পারলাম। ভাল থাকবেন দিদি । আরো সুন্দর সুন্দর রেসিপি উপহার এর অপেক্ষায় থাকলাম।
বৌদি প্রথমে চুপুরী পাতা শুনে বুঝে উঠতে পারছিলাম না ।তারপর আপনার লেখা পড়ে অনেক অনুসন্ধান করে মনে পড়ে গেল যাকে আমরা টক কেওড়া গাছ বলি।এর ফলের চাটনি খেয়েছি আমি আর পাতা ভাজিও ।খুব ভালো লাগে।আপনার রেসিপিটি ও অসাধারণ হয়েছে।ফলটির ভিতরে দেখতে কাবাস বা তুলো ফলের মতো।ধন্যবাদ আপনাকে বৌদি।
বৌদি আপনার রেসিপি সবসময় সুপারহিট।অনেক সুন্দর একটি রেসিপি। চুপুরী পাতা আমি কখনো খাইনি। তবে আপনার রেসিপিটি অনেক সুন্দর হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে খুবই মজাদার হয়েছে। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
দিদি কাকড়া আমি কখনো খাইনি। কাকড়া খেতে কেমন তাও জানি না। আমার কাছে এই রেসিপিটা সম্পূর্ণ নতুন একটি রেসিপি। আপনি খুব সুন্দর ভাবে রেসিপিটির ধাপ গুলো শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ দিদি আপনাকে।
বৌদি বরাবরের মতো এবার ও আপনার রান্না প্রশংসা দাবি রাখে। আপনি অনেক সুন্দর রান্না করেন সেটা আমরা সবাই জানি।
আজকের রেসিপি থেকে একটা বিষয় জানতে পারলাম চুুপুরী পাতা সম্পর্কে। আমি এই প্রথম এটা সম্পর্কে জানলাম। আর কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়ে কাঁকড়া খেয়েছি বেশ ভালোই লাগে।
আমাদের দেশে এই পাতাকে মেসট পাতা মেসট গাছ বলে।এর ফল রান্না ও করা হয়,অনেক টক 😛
বৌদি আপনার রেসিপিটি অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে এটি শেয়ার করার জন্য।
আমার বাড়িতেও এই গাছ আছে