"স্বাস্থ্যকর উপায়ে ঘরে তৈরি কাঁচা পাকা আমের জ্যাম "
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন ।বর্তমান এখন সব জায়গায় প্রচুর আম ও কাঁঠালের সমারোহ। আম খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। তবে হ্যা আমার প্রিয় মানুষটি পাকা আম খায় না। কিন্তু পাকা আম দিয়ে কিছু তৈরি করে দিলে সেটা আবার খুব খায়। তবে তার সবথেকে বেশি পছন্দ করে কাঁচা পাকা আম। একদিন দুপুরের দিকে কাজ করতে করতে বলে একটু কাঁচা পাকা আমের জ্যাম তৈরি করো তো। কিন্তু যখন বলেছিলো তখন আমার ঘরে কোন আম ছিলো না। তাই ভাবলাম গাছ থেকে আম পেরে আনলে তখন তৈরি করবো। দুই দিন আগে আমার দেবোর আম পেরে আনলো। তাই ভাবলাম এখনই তৈরি করি পরে আবার আম পেকে যাবে। যেই ভাবা সেই কাজ। এই জ্যাম তৈরি করতে খুব একটা সময় লাগে না। খুব তাড়াতাড়ি তৈরি করা যায় এবং খেতে ও মজা। আমরা ছেলেবেলায় প্রায়ই বাজার থেকে কিনে এনে এই জ্যাম খেতাম।কিন্তু বাইরের খাবার স্বাস্থ্যকর নয় এটা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই আমি বাড়ীতে তৈরি করেছি। বাড়ীতে বানানো জ্যামের স্বাদ বাজার থেকে আনা জ্যামের থেকে কোন অংশে কম হয়নি। চাইলে আপনারা ও বাড়ীতে তৈরি করতে পারেন। যে কোন ঝামেলা ছাড়াই ঝটপট তৈরি করা যায়। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
উপকরণ:
১.কাঁচা পাকা আম - ৫ টি
২. ১ টি লেবুর রস
৩. চিনি - ১ কাপ
৪. আগার আগার পাউডার - হাপ্ চামচ
কাঁচা পাকা আম
চিনি
লেবুর রস
আগার আগার পাউডার
প্রস্তুত প্রণালী :
১. প্রথমে আম গুলো ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে। আম কাটার পর আর ধোয়া যাবে না।
২. এবার আমের টুকরো গুলো বেলন্ডারে করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
৩.এবার আমের পাল্প একটা সসপ্যানে ঢেলে নিলাম। এবার একে একে লেবুর রস ও হাপ্ কাপ চিনি দিয়ে দিলাম। আম মিস্টি বুঝে চিনি দিতে হবে।
৪. এবার সসপ্যান চুলার উপর বসিয়ে দিয়ে জ্বাল দিতে হবে। এবং অনবরত নাড়তে থাকতে হবে। তা না নিচে লেগে যেতে পারে। আম একটু কমে এলে হাপ্ চামচ আগার আগার পাউডার দিয়ে আবারও ভালো করে নাড়তে থাকতে হবে।এই ভাবে ৭ মিনিটের জ্বাল দিয়ে নিতে হবে। এবার একটু আঠালো ভাব হয়ে এলে একটা কাচের জারে ঢেলে নিতে হবে।
৫. এরপর জারের মুখ দিয়ে ৩০ মিনিটের মতো ফ্রীজে রেখে দিতে হবে। জ্যাম ঠান্ডা হয়ে জমে গেলে এবার খাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে যাবে।
এই জ্যাম পাউরুটির সঙ্গে খাওয়া যায়। এমনকি খালি খালি ও খাওয়া যায়। আশা করি, এই জ্যামের রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।
কী বলেন বৌদি দাদার পাকা আম পছন্দ না। পাকা আম ভীষণ পছন্দ। আপনি কাঁচা পাকা আম দিয়ে খুব সুন্দর একটি জেলি রেসিপি করেছেন। আমিও আমের সময় আসলে এমন জেলি তৈরি করে রাখি। আপনার জেনে রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ পাকা আমের জেলি রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।আপনার জন্য শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।
শুধু দাদাই না😑আমিও পাকা আমি খাইনা।অথচ,কাচা আম খুব খাই।
কাচা-পাকা আমের যে জ্যাম তৈরি করে দেখালেন বৌদি, তা সত্যই আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।পড়ে মনে হলো আমিও বানাইতে পারবো।একদিন ট্রাই করে দেখবো।
খুবই ভালো ছিল বৌদি,ফটোগ্রাফিও ভালো ছিল। শুভ কামনা রইলো
দাদার তাহলে আমের জ্যাম খুব পছন্দ 🤭। এভাবে জ্যাম বানিয়ে খাওয়া হয়নি। তবে বাজারের জ্যাম খেয়েছি সেটা মূলত আমাদের শরীরের জন্যও ভালো না। আপনি ঘরেই খুব সুন্দর করে বানিয়ে দেখিয়েছেন দিদি। ধন্যবাদ আপনাকে ❤️
বৌদি আপনার কাঁচা পাকা আমের জ্যাম কখনো খাওয়া হয়নি। তবে আমার খুব পছন্দের একটি ফল আম। আমি বেশ পছন্দ করি আম খেতে এবং চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত খাওয়ার জন্য। কিন্তু আপনার আজকের কাঁচা পাকা আমের জ্যাম তৈরি দেখে বেশ ভালই লাগলো। নতুন একটা রেসিপি শিখে নিলাম আমাদের মাঝে এত সুন্দর করে কাঁচা পাকা আমের জ্যাম রেসিপি শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আমারা পাঁকা আম অনেক পছন্দের। আমার খুব প্রিয় ফল।যাই হোক কাঁচা পাকা আমের জেলি কখনও খাওয়া হয় নি।তবে মনে হচ্ছে খেতে ভালোই হবে।ধাপ গুলো দেখে নিলাম, বাসায় একদিন তৈরি করে দেখবো।ধন্যবাদ আপু।
বৌদি আপনি সবসময় মজার মজার রেসিপি শেয়ার করেন। আজকে আপনি অনেক মজার কাঁচা পাকা আমের জ্যাম তৈরির রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে ভালো লাগলো। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক ভালো হয়েছে। এছাড়া বাসায় কিছু তৈরি করলে সেই খাবারটি অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর হয়। বৌদি আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
এত সহজ ভাবে জ্যাম তৈরি করা যায় দিদিভাই সত্যিই অবাক হয়ে গেলাম । দারুন লাগলো 👌👌👌। আমার তো হাতে নিয়ে চেটে চেটে খেতে ইচ্ছে করছে। কদিন আগে এই রেসিপি টা দেখলে আমি সাথে করে নিয়ে আসতাম 😊। আমার জন্য রেখে দেবেন দিদিভাই।
বৌদি একদম ঠিক বলেছেন আম খেতে আমরা সবাই খুব ভালোবাসি। কিন্তু তারপরেও অনেকেই আছে পাকা আম খুব একটা পছন্দ করে না। যেমন দাদার মতো আমার মেয়েও পাকা আম খুব একটা খায় না। আজকে আপনার রেসিপিটি দেখে আমিও বেশ উপকৃত হলাম। এখন থেকে এভাবে আমার মেয়েকেও কাঁচা পাকা আমের জ্যাম তৈরি করে খাওয়ানো যাবে। আসলে বৌদি এই কথাটা একদম সঠিক যে প্রিয় মানুষদের জন্য কোন কিছু করতে পারলে নিজের কাছে খুব ভালো লাগে। নিশ্চয় আপনার কাছেও স্বাস্থ্যকর উপায়ে ঘরে তৈরি কাঁচা পাকা আমের জ্যাম তৈরি করে খাওয়াতে অনেক ভালো লাগছে। যাইহোক কাঁচা পাকা আমের জ্যাম রেসিপিটি আমার কাছেও খুব লোভনীয় ও সুস্বাদু মনে হচ্ছে। রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এখন স্বাস্থ্যকর দুটো পাওরুটি দিন বৌদি, বাকীটা সেরে নেই হা হা হা।
দারুণ স্বাদের একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন, সকালে কিংবা বিকেলে পাওরুটির সাথে খেতে দারুণ লাগবে। কিন্তু মাঝে মাঝে না বৌদি এই রকম স্বাদের রেসিপি আরো ঘন ঘন চাই হি হি হি। আশা করছি ভালো আছেন, দোয়া করছি সর্বদা ভালো থাকেন।
দাদা পাকা আম খায়না শুনে সত্যিই অবাক হলাম। মনে হচ্ছে পরবর্তীতে এটা কুইজের একটা প্রশ্ন হতে পারে হাহাহাহা। আপনার জ্যাম তৈরির প্রক্রিয়া অনেক ভালো লাগলো। আশা করি দেখে দেখে আমিও তৈরি করতে পারব। ধন্যবাদ বৌদি