শীতের সময় অনুভূতি নিয়ে স্বরচিত কবিতা " শীতকাল"
বন্ধুরা
আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে
জানাই কুয়াশা ঘেরা সকালের একফালি মিষ্টি রোদের শুভেচ্ছা। শীতকাল মানেই ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়া প্রকৃতি।অনেকদিন পর আপনাদের মাঝে আবার নতুন একটি নিয়ে চলে এসেছি। আপনারা জানেন কবিতা লিখতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও এখন আর কবিতা লেখা হয় না। কিছুদিন সকালে উঠে দেখছি। ভীষণ কুয়াশা পড়ছে। আবার ঠান্ডা ও বেশ পড়েছে। শীতকাল আমার ভালো লাগে না।শীতকাল এলেই আমার কোন কাজই করতে মন চায় না। সারাদিন কম্বল মুড়ি দিয়ে বসে থাকি।তবে শীতকালে পরিবেশটা খুব ভালো লাগে। চারিদিকে বিভিন্ন রকম ফুলের মেলা। আবার এই সময় পিকনিকের আয়োজন চলে। ঘরে ঘরে পিঠা পুলির বানানোর ধুম পড়ে যায়।আর এই শীতের সকালে খেজুর রসের পিঠা খেতে কার না ভালো লাগে। আজ সকালেই উঠেই দেখি কুয়াশা পড়ছে। বাইরের কিছুই ঠিক ভাবে দেখা যাচ্ছে না। জানালা দিয়ে কুয়াশা দেখতে দেখতে ভাবলাম একটা কবিতা লেখা যাক। যেই ভাবা সেই কাজ। আসলে পরিকল্পিত ভাবে কোন কাজ করতে পারিনা। আমি হুটহাট কাজ করে ফেলি। তার জন্য বকা ও খাই মাঝেমধ্যে। যাই হোক কথা না বাড়িয়ে কাজের কথায় আসা যাক।
শীতকাল
শীতের সময়টা ভীষণ প্রিয় অন্য ঋতুর থেকে
সকাল সকাল ভালো লাগে, গায়ে কুয়াশা মেখে।
শীতের সকালটা অন্য রকম দারুন এক আবেশ,
চারিদিক হয় মনমুগ্ধকর ছড়িয়ে থাকে মুগ্ধতার রেশ।
কুয়াশায় চাদর মুড়ি দিয়ে প্রকৃতি সেজে উঠেছে নবরূপে,
এক গভীর নিস্তব্ধ তাকে সঙ্গী করে শুরু হয় প্রতিটি দিন প্রতিটি সকাল।
সবুজ ঘাসের উপর শিশিরবিন্দু মুক্তোর মত চিকচিক করে।
সূর্য তখনও লুকিয়ে থাকে সাদা পর্দার আড়ালে,
উষ্ণতার স্পর্শ পাওয়ার জন্য অধীর ভাবে প্রতীক্ষা করে থাকে কত প্রাণ।
ঝরে পড়া পাতাগুলো বলে চলে যৌবনের কথা,এখানেই শেষ নয়!
আমি আবার ফিরে আসবো বাংলার এই নদী পথ প্রান্তর ভালোবেসে নবরূপে।
এমন দিনে চাষী ভাইয়েরা ব্যস্ত হয়ে ওঠে সোনালী ধান ঘরে তোলার জন্য
আরো ব্যস্ত থাকে খেজুর রস থেকে গুর তৈরি করার জন্য।
মৌমাছিরা আনন্দে খেলে বেড়ায় হলুদ সর্ষের খেত জুড়ে,
আর বাহারি ফুলের শুভায় চারিদিক রঙিন হও নানা রঙে।
আকাশে বাতাসে ভেসে বেড়ায় পিঠে পুলি পায়েসের গন্ধে,
কচিকাঁচা থেকে বুড়ো সকলেরই মন ভেসে ওঠে খুশিতে।
শীতের সময়টা খুবই উপভোগ্য তাইতো ভীষণ ভালোবাসি
গ্রাম বাংলার প্রকৃতি রূপ দেখতে তাই বারবার ফিরে আসি।
দিদি আপনি দেখছি শীতের অনুভূতি থেকে খুব সুন্দর একটা স্বরচিত কবিতা আমাদের মাঝে লিখে শেয়ার করেছেন। কবিতাটি দারুন হয়েছে। ধন্যবাদ দিদি আবারো নতুন একটি কবিতা পড়ে দেয়ার সুযোগ করার জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
ওয়াও!! শীতকাল নিয়ে দারুন একটি কবিতা আমাদের মাঝে উপহার দিয়েছেন বৌদি । ঠিকই বলেছেন, শীতকালে কোন কাজেই মন বসে না।সারাক্ষণ শুধু কম্বলের নিচে বসে থাকতে মন চাই।কয়েকদিন যাবত তো বাইরে প্রচুর কুয়াশা এবং অনেক শীত পরছে। এই শীতে কম্বলের নিচে বসে আপনার লেখা শীতকাল নিয়ে এই দারুন কবিতাটি পড়তে পেরে খুবই ভালো লাগছে।
বাহ্ দিদি,শীতকালের অনুভূতি নিয়ে চমৎকার একটি কবিতা আজ শেয়ার করলেন। কবিতার লাইনগুলো ভীষন ভালো লেগেছে। আপনি কবিতার মাঝে শীতকাল ঋতুর সৌন্দর্য কে ফুটিয়ে তুলেছেন। আমার কাছে দারুন লাগলো কবিতাটি।সুন্দর এই কবিতাটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বৌদি শীতকাল আমার ভীষণ পছন্দ। তবে এটা ঠিক যে,শীতকালে সবার মধ্যে কমবেশি অলসতা কাজ করে। শীতকালে মন ভরে ঘুরাঘুরি করা যায়। মজার মজার পিঠা খাওয়া যায়, শীতকালীন সবজি খাওয়া যায়। সবমিলিয়ে শীতকালটা বেস্ট মনে হয় আমার কাছে। যাইহোক কুয়াশা দেখতে দেখতে চমৎকার একটি কবিতা লিখেছেন বৌদি। কবিতাটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেকদিন পর আপনার লেখা কবিতা পড়ে অনেক ভালো লাগলো বৌদি। আপনি অনেক সুন্দর করে এই কবিতাটি লিখেছেন। শীতকালে সত্যিই অনেক সুন্দর সময় কাটে। বেশ ভালো লেগেছে কবিতাটি। বৌদি আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা এবং ভালোবাসা রইলো।
অনেক দিন পর আপনার কবিতা পড়লাম বৌদি, মনে হচ্ছিল শীতের প্রকৃতি এবং শৈশবের সেই মজার স্মৃতির মাঝে হারিয়ে গিয়েছি। সেই উৎসব, সেই আনন্দ, সেই শীতের অতীত স্মৃতি, সবগুলোই যেন ভেসে উঠলো স্মৃতির আয়নায়। দারুণ লিখেছেন, অনেক ধন্যবাদ ।
বৌদি ঠিক বলেছেন শীতের সময় পিকনিকের আয়োজন টা বেশি চলে।শীতের অনুভূতি নিয়ে কুয়াশা দেখতে দেখতে বেশ দারুন একটি কবিতা লিখে ফেলেছেন কবিতাটি পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে বৌদি।শীতকাল কবিতাটি পড়তেও কিন্তু শীতের সময় অনেক ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ বৌদি সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
শীতকাল মানেই আলাদা কিছু।বৌদি অনেক সুন্দর কবিতা লেখার সঙ্গে সঙ্গে শীতের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন।আসলে শীতকাল প্রকৃতি নতুন রূপে সেজে ওঠে তাই ভ্রমন করে ও খেয়ে মজা।আপনি অসম্ভব দারুণ একটা কবিতা লিখেছেন, ভালো লাগলো পড়ে।ধন্যবাদ আপনাকে।