বাঙালি স্টাইলে "লেবুর পাতা দিয়ে কাচা আম মাখা"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। এখন অহরহ সব জায়গায় কাঁচা আম পাওয়া যাচ্ছে। আর এই সময় কাঁচা আম মাখা খাবো না এটা কি হতে পারে। আর আমার আম খুবই পছন্দের একটি ফল। আমি কোন ফল তেমন খাই না কিন্তু আম হলে কথাই নেই। এই সময় রাস্তার মোড়ে মোড়ে কাঁচা আম মাখা পাওয়া যায়। কিন্তু বাইরের আম মাখা স্বাস্থ্য সম্মত না তাই আমি নিজে ঘরে তৈরি করি। আর আম আপনাদের দাদা ও খেতে খুব পছন্দ করে। আমি বিভিন্ন ভাবে আম মাখার চেষ্টা করি। কিন্তু সব সময় আমি সেগুলো শেয়ার করা হয়ে উঠে না। আজ লেবুর পাতা দিয়ে আম মেখেছি। আজ যে আমটি মাখছি এই আম গুলো আমাদের গাছের আম। গাছ থেকে আনার সঙ্গে সঙ্গে আপনাদের দাদা বললো আম মাখাতে । প্রতিবার তো কাসুন্দি দিয়ে আম মাখাই। তাই এবার ভাবলাম লেবুর পাতা দিয়ে আম মাখাই। আপনারা তো সবাই আম মাখার স্বাদের কথা। তাই আর নতুন করে বলছি না। শুধু এইটুকু বলি এতটাই স্বাদ হয়েছিলো যে টিনটিন বাবুও খেয়েছিলো। টিনটিন বাবু যে খাবারে স্বাদ না হয় সে খাবার আর খায় না। যাই হোক কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু যাক।
উপকরণ:
১. কাঁচা আম - ৩ টি
২. কালো সরিষা ও কাঁচা মরিচ বাটা - ৩ চামচ
৩. লেবুর পাতা -৫ টি
৪. লবণ - ৩ চামচ
৫. সরিষার তেল -২ চামচ
৬. চিনি - ২ চামচ
কাঁচা আম
কালো সরিষা ও কাঁচা মরিচ বাটা, লেবুর পাতা ও লবণ
সরিষার তেল
চিনি
প্রস্তুত প্রণালী:
১.প্রথমে কাঁচা আমের খোসা ছাড়িয়ে জলের ভিতর কিছুসময় ভিজিয়ে রাখতে হবে। এতে করে আম কালো হবে না।
২. এবার গ্রেটার দিয়ে আম গ্রেট করে নিতে হবে।
৩. এবার একটা বাটিতে লেবুর পাতা নিতে হবে একই সঙ্গে লবণ ও সরিষা ও মরিচ বাটা নিয়ে চটকে নিতে । এরপর গ্রেট করা আম নিতে হবে। সঙ্গে পরিমান মতো সরিষার তেল ও চিনি দিয়ে ভালো করে মেখে নিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল মজাদার কাঁচা আম মাখা। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আহ লোভের জলগুলো যেন নতুন করে উতালা হয়ে গেলো বৌদি আজকের নতুন স্টাইলে কাঁচা আম মাখা দেখে। সত্যি সরিষা কিংবা কাসুন্দি দিয়ে কাঁচা আম খেতে দারুণ লাগে, যত দিন কাঁচা আম থাকে ততো দিন এটা খাওয়ার চেষ্টা করি। তবে লেবু পাতা দিয়ে কখনো ট্রাই করা হয় নাই, চেক করে দেখতে হবে। ধন্যবাদ
আপু আপনি লেবু পাতা দিয়ে খুব সুন্দর একটা আম ভর্তা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমারতো টাইটেল দেখে জিভে জল চলে এসেছে। ইচ্ছে করছে বাটি থেকে তুলে খেয়ে ফেলি। খুব সুন্দর করে আপনি প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপু। আশাকরি বাসার সবাই খুব পছন্দ করেছিল নিশ্চয়ই দাদার বেশি পছন্দ হয়েছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ লেবু পাতা দিয়ে আম মাখার এত সুন্দর রেসিপি টা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।আপনার জন্য শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।
সন্ধ্যে বেলা এর চাইতে ভালো খাবার জিনিস আর কি হতে পারে বৌদি! মুখের ভেতর বার বার চুলকে যাচ্ছে। তবে লেবু পাতা দিয়ে যে আম মাখা খাওয়া যায় এই প্রথম দেখলাম গো। আমার তো দারুন লেগেছে পুরো আয়োজনটা। ঈশ কেউ যদি একটু বানিয়ে খাওয়াতো 🥰। এই কাজ গুলোর ক্ষেত্রে আমি বড্ড অলস। কি আর বলি। দূর থেকেই ভাগ নিয়ে নিলাম বৌদি।
প্রণাম রইলো 🙏🙏
কিছুদিন আগে আমি আমার বন্ধুদের সাথে আমাদের কলেজের গাছের আম চুরি করে অনেকটা এরকম পদ্ধতি অবলম্বন করে আম মাখিয়ে খেয়েছিলাম, বৌদি। আম মাখার মধ্যে লেবুর পাতা ব্যবহার করলে লেবুপাতার ঘ্রাণ এর জন্য আম মাখার টেস্ট অনেকগুণ বেড়ে যায় । এখন তো সব জায়গাতে কাঁচা আম সহজলভ্য এই সময়টাতে সবারই এভাবে আম মাখিয়ে টেস্ট করে দেখা উচিত।
আপনার নৃত্য-নতুন কাঁচা আমের মাখার রেসিপিটা খুবই লোভনীয় দেখাচ্ছে।এত সুন্দরকরে কাঁচা আম মাখা রেসিপি আমাদের শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
লেবুর পাতা দিয়ে কাঁচা আম মাখা রেসিপি দেখে জিভে জল চলে এসেছে। বৌদি আপনি অনেক মজার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি গুলো সব সময় আমার অনেক ভালো লাগে। কাঁচা আম মাখা খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। তবে লেবুর পাতা দিয়ে কাঁচা আম মাখানো কখনো খেয়ে দেখিনি।আজকে আপনার কাছে অনেক মজার একটি রেসিপি শিখেনিলাম। রেসিপি তৈরির সম্পূর্ণ প্রসেস সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো বৌদি।
খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন বৌদি। আসলে এভাবে কাঁচা আম মেখে খেলে কিন্তু খুবই সুস্বাদু হয়। আমরা যখন গ্রামের বাড়িতে ছোটবেলায় খেতাম তখন কিন্তু সেখানে এই লেবু পাতা ব্যবহার করতাম। কিন্তু এখন লেবু পাতা পাওয়া যায় না তাই দিতে পারি না। তবে আপনার এই কাঁচা আম মাখা যে খুবই মজার হয়েছিল সেটা কিন্তু দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
ওয়াও বৌদি অসাধারণ একটা আম মাখানো ভর্তা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আর আপনার আম মাখানো আমার কাছে খুব ইউনিক লেগেছে। তবে এভাবে লেবুপাতা দিয়ে কখনো আম মাখানো আমার খাওয়া হয়নি। আর নিজের গাছ থেকে আম পেড়ে আমের ভর্তা খাওয়ার মজাটাই হচ্ছে আলাদা। আমি ভীষণ পছন্দ করি, আর এই তীব্র গরমের মধ্যে মোটামুটি এখন প্রতিদিনই একবার খাওয়া হচ্ছে। তাহলে বুঝতে পারছেন কতটা পছন্দ করি আমি। দাদা এবং আপনিও ভীষণ পছন্দ করেন জেনে খুবই ভালো লাগছে। দুজনের প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
এই পোস্টে আমি কি মন্তব্য করবো বৌদি ,তাই ভাবছি । একদম জিভে জল চলে আসছে । খেয়ে দেখতে পারলে ,অনেকটাই আত্মতৃপ্তি পেতাম।
আমের টক শুনলেই মানুষের মুখে পানি চলে আসে, আপনি এত সুন্দর করে আমের মাখা তৈরি করলেন যে কারো মুখে পানি চলে আসবে, আমি কখনো এতটা মিহি করে আম কেটে ভর্তা তৈরি করিনি, মিহি করার কারণে এর সাথে উপকরণ গুলো ভালোভাবে মিক্স হবে, খুব ভালো লাগলো নতুনভাবে মাখা তৈরি করার একটি আইডিয়া পেলাম।