দেশী স্টাইলে বাঙালি রেসিপি" নারকেলের পুর দিয়ে পাটিসাপটা পিঠা"
Hello
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ সকাল থেকে প্রচন্ড বৃষ্টি। আর আবহাওয়া বেশি ভালো না। তাই ঘরে বসে কি করবো বুঝতে পারছি না। তাই ভাবলাম ঘরে থাকা উপকরন দিয়ে কিছু তৈরি করি। বৃষ্টির দিনে চপ ও পিঠা খেতে খুব ইচ্ছা করে। তাই ভাবলাম আজ একটু পাটি সাপটা পিঠা তৈরি করি।তবে আমি বেশি ভালো পিঠা বানাতে পারি না।তবে চেষ্টা করি। অনেক দিন আগে একবার করে করেছিলাম। কিন্তু সেদিন বেশি ভালো হয়নি। তাই আজ একবার চেষ্টা করলাম। ভাবলাম আজ যেমন হোক তবুও আপনাদের সাথে শেয়ার করি। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
উপকরণ:
১. চালের গুঁড়া - ৩ কাপ
২. ময়দা - ১ কাপ
৩. গরম দুধ - ২ কাপ
৪. চিনি - ৪ কাপ
৫. তালের গুর - ১ কাপ
৬. নারকেল কোরা - ২ কাপ
৭.তেল - ৩ চামচ
৮. লবণ - এক চিমটি
চালের গুঁড়া
নারকেল কোরা
গরম দুধ
চিনি
তালের গুর
ময়দা
তেল
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে একটা মাঝারি আকারের একটি পাত্রে গরম দুধ নিতে হবে। তার ভিতর অল্প অল্প করে চালের গুঁড়া ও ময়দা, এক চিমটি লবণ দিয়ে মেখে দিতে হবে। এর ভিতর পরিমান মতো চিনি দিয়ে ভালো করে মেখে নিতে হবে।পাতলা পাতলা করে একটা বেটার তৈরি করে নিতে হবে।
২.বেশি ঘন ঘন করে তৈরি করা যাবে না । ঘন হলে পিঠা তৈরি হবে না। বেটার তৈরি হয়ে গেলে ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর চুলায় কড়াই বসিয়ে দিতে হবে।চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিতে হবে।
৩.কড়াই গরম হলে নারকেল কোরা দিয়ে দিতে হবে। সেই নারকেল কোরার ভিতর পরিমান মতো গুর চিনি দিয়ে দিতে হবে।
৪. চুলার আঁচ কমিয়ে দিতে হবে। এবার গুর ও চিনি মিশানো নারকেল কোরা ভালো করে নেড়ে চেড়ে মিশিয়ে নিতে হবে। চিনি ও গুর থেকে যে জল বের হবে। সেই জল না শুকনো পর্যন্ত নাড়তে হবে। নাড়তে নাড়তে জল শুকিয়ে এলে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে।
৫. তৈরি হয়ে গেল নারকেলের পুর।এবার নারকেলের পুর ঠান্ডা হয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
৬. আবার চুলায় একটা রুটি ভাজা ফ্রাই প্যান বসিয়ে দিতে হবে। চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিতে হবে।
৭. ফ্রাই প্যান গরম হয়ে এলে এক ফোঁটা তেল
দিয়ে চারদিকে ছড়িয়ে দিতে হবে। তারপর ওই বেটার থেকে বড় সাইজের চামচের এক চামচ নিয়ে ঢেলে দিতে হবে।
৮. এরপর ফ্রাই প্যান ধরে ঘুরিয়ে দিয়ে একটা বড় রুটির মতো করে নিতে হবে। এবার চুলার আঁচ কমিয়ে দিতে হবে। এই রুটির ভিতর এক পাশে নারকেলের পুর দিতে হবে।
৯. এবার একটা কুন্তী দিয়ে দুই পাশ বটে দিতে হবে।
১০. এভাবে বাদামী রং করে ভেজে নিতে হবে। সবগুলো পিঠা ভাজা হলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল আমাদের সুস্বাদু ও মজার একটি খাবার পাটিসাপটা পিঠা। এটি সন্ধ্যায় চা এর সাথে পরিবেশন করা যায়।এটি অনেক মজার একটি খাবার।
খুব সুন্দর হয়েছে বৌদি পাটিসাপটা পিঠা।আমিও গতকাল নারকেলের দুধ দিয়ে সুজির পিঠা বানিয়েছিলাম।ধন্যবাদ বৌদি।
তোমার প্রতিটি রান্না খুব সুন্দর হয়।তোমাকেও ধন্যবাদ।
বৌদি জাস্ট অসাধারণ। যদিও গাইবান্ধা গিয়ে খেয়ে ছিলাম একবার । হীরার কলেজের পরীক্ষা উপলক্ষ্যে । সেই কথা গুলো হঠাৎ মনে পড়ে গেল ।সুন্দর হয়েছে ।শুভেচ্ছা রইল।
আপনাকে ধন্যবাদ, আমার পোস্টটি আপনার পুরনো কথা মনে করিয়ে দিল।
একদম ঠিক এইভাবে আমরাও তৈরী করি, এটা হুবহু মিলে গেছে। আমাদের বাড়ীতে প্রায় তৈরী হয়, আমি নিজেও বানাতে পারি।
আমি বেশি ভালো পারি না, তবে চেষ্টা করি। আমাদের বাড়ির সবাই এটা খুব পছন্দ করে।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আহা আহা !! আমার অতি পছন্দের পিঠা। দেখেই জিভে জল চলে আসলো। 😊😊😊
খু্ব সুন্দর হয়েছে বৌদি !!
ধন্যবাদ
উফ! খেতে মন চাচ্ছে বড্ড।
ছোট বেলায় বেশী খাওয়া হতো, মাঝে মাঝে টিফিন হিসেবে স্কুলে নিয়ে যেতাম। বেশ স্বাদের খেতে আমি জানি।
কি দারুণ বানিয়েছো
পাটিশাপটা পিঠে
না খেয়েও বলতে পারি
বেশ হয়েছে মিঠে।
তোমার হাতে যাদু আছে
মিষ্টি দিদি ভাই
কানে কানে তোমায় আমি
বলে গেলাম তাই।
পাটিসাপটা আমার পছন্দের একটি পিঠা। গ্রামে গেলে প্রায় প্রতিবারই এই পিঠাটি খাওয়া হয়। সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন