জাদুঘরে সংরক্ষিত হাঁস পাখি ও উভচর প্রাণীদের কিছু ফটোগ্রাফী ( পর্ব - শেষ )
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ পৌষ সংক্রান্তি। সবাইকে পৌষ সংক্রান্তির শুভেচ্ছা। আজ আমি আপনাদের সাথে জাদুঘরে সংরক্ষিত হাঁস পাখি ও উভচর প্রাণীদের ফটোগ্রাফীর শেষ পর্ব শেয়ার করবো। আর ও অনেক ফটোগ্রাফী রয়ে গেছে সে গুলো আমার প্রিয় মানুষ শেয়ার করবে। আমি সবকিছু এক জিনিস পছন্দ করি না। যেখানে আমার গুরুদেব আছে জাদুঘরের সবরকম ফটোগ্রাফী শেয়ার করেছেন। আর আমার থেকে সে তো সবকিছু ভালো জানে এবং বলতে পারবে তাই সেই দায়িত্ত্ব তাকে দিলাম। আর আমি চঞ্চল প্রকৃতির মানুষ তো একই জিনিষ নিয়ে থাকতে পারি না। আর আমার বেশি ভালো ফুলের ফটোগ্রাফী দেখতে এবং শেয়ার করতে। কিন্তু আমি বাইরে যেতে পারছি না। আমাদের এখানে লকডাউন চলছে। আর কিছুদিন প্রচন্ড ব্যস্ততার মাঝে দিন যাচ্ছে।
এখন থাক ও সব কথা তাহলে চলুন আমরা মূল পর্বে ফিরে যাই।
এই পাখিকে বলা হয় আফ্রিকান মরুভূমির অসট্রিচ পাখি। প্রথম ছবিতে এই বাচ্চা ও দুটো ডিম রয়েছে।
এই অসট্রিচ পাখির ওজন প্রায় (৬৩ - ১৪৫) । পুরুষদের দেহ কালো, লেজ সাদা হয়। স্ত্রী ও বাচ্চারা খয়েরী ছাই ও সাদা রঙের । এদের পা শুধু সামনে লাথি মারতে পারে। এদের পা গুলো এত শক্ত যে সিংহকে মেরে ফেলতে পারে। দিনের বেলায় ছোটো গাছ , বীজ , ঘাস, ফুল ও ফল খায়। মার্চ এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর এরা ডিম দেয়। এরা আফ্রিকার স্থানীয় বাসিন্দা।
স্থান: কোলকাতা জাদুঘর, পশ্চিমবঙ্গ ভারত
ফটোগ্রাফির সময়: ২১ ডিসেম্বর ২০২১
এই পাখি গুলো এন্টার্টিকার পাখি। এই পাখি গুলোর নাম এডিলি পেঙ্গুইন পাখি। এরা ২৮ - ৩০ ইঞ্চি লম্বা হয়। এই পাখি গুলো উড়তে পারে না। সমুদ্রে চিংড়ি জাতীয় ক্রিল ও মাছ খায়।পাথরের ভিতর বাসা করে থাকে যেখানে বরফ নেই।এদের কে পশ্চিম এন্টার্টিকা এলাকায় দেখা যায়।
স্থান: কোলকাতা জাদুঘর , পশ্চিমবঙ্গ ভারত
ফটোগ্রাফীর সময়: ২১ ডিসেম্বর ২০২১
এই পাখি গুলোর নাম হলো জ্যাকএস পেঙ্গুইন পাখি। এরা ৬০- ৭০ সে. মি. লম্বা হয়। শরীর কালো, পেট সাদা, চোখের চারপাশে গোলাপী দাগ। উড়তে পারে না কিন্তু শক্ত ডানা দিয়ে সাঁতার কাটে। ডুব সাঁতার দিয়ে মাছ ও চিংড়ি ধরে। একত্রে দুটি করে ডিম পারে মাটির গর্তে। ৪০ দিন পর ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়।
স্থান: কোলকাতা জাদুঘর, পশ্চিমবঙ্গ ভারত
ফটোগ্রাফির সময়: ২১ ডিসেম্বর ২০২১
এই ফটোগ্রাফীতে বিভিন্ন ধরনের ব্যাঙ ও কচ্ছপ সংরক্ষণ করা আছে। আমি কিছু নাম জানি বাকি গুলোর নাম জানি না।
যেগুলো নাম জানি তাই বলছি। ১. জানডনের ব্যাঙ ২. ফোটকা ব্যাঙ ৩. গেছো ব্যাঙ ৪. দক্ষিণ ভারতের ব্যাঙ ৫. সাধারণ কুনো ব্যাঙ ৬. সাদা নাক গর্তের ব্যাঙ ৭. দক্ষিণের পাহাড়ী ব্যাঙ
১. নদীর কচ্ছপ ২. ভারতীয় শক্ত পিঞ্জ কাছিম ৩. তারা পিঠ কচ্ছপ ৪. গঙ্গার নরম চামড়ার কচ্ছপ ৫. ভারতের মিঠে জলের কচ্ছপ
এই সাপ খুবই বিষাক্ত। এই ফটোগ্রাফীতে প্রায় অনেক প্রজাতির সাপ রয়েছে।১. ময়াল সাপ ২. কেউটে সাপ ৩. বহুরূপী সাপ ৪. সোনালী গোসাপ ৫. ঘরচিতি সাপ ৬. শাঁখামুটি সাপ ৭. সমুদ্রের সাপ ৮. জলঢোরা সাপ ৯. হেলে সাপ ১০. কালনাগিনী ১১. বালি গোড়া সাপ ১২. লাল লেজ পাইপ সাপ ১৩. মালাক্কা সমুদ্রের সাপ ১৪. নাগা পর্বতের উড়ন্ত টিকটিকি । বাকি গুলোর নাম জানি না।
স্থান : কোলকাতা জাদুঘর , পশ্চিমবঙ্গ ভারত
ফটোগ্রাফির সময়: ২১ ডিসেম্বর ২০২১
আশা করি আজকের ফটোগ্রাফী গুলো আপনাদের ভালো লাগবে।আজ এই পর্যন্ত কাল নতুন কোনো বিষয় আবার আসবো। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
মিউজিয়ামটির ফটোগ্রাফি যতই দেখছি ততই আরও মিউজিয়ামে আরো কি আছে দেখার প্রতি আগ্রহটা বেড়েই চলছে অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন সরীসৃপ প্রাণীর সাথে সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর বৌদি। আর এগুলো সব জীবন্ত মনে হচ্ছে। সাপ বরাবরই আমি খুবই ভয় পাই। তবে এগুলো দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগছে।
আমি আসলে কি বলবো বুঝতে পারছিনা,বিশেষ করে সাপ গুলো দেখে,অজগড় সাপ দেখে মনে হচ্ছে একদম জীবিতো , আমি একটা কথা বলি যে সাপ গুলো সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে এগুলো তো সত্যি কারের সাপ তাইনা বৌদি? আজ অনেক সাপের নাম জানতে পারলাম যা আগে কখনো শুনে নি। আমি এগুলোকে ভালো করে দেখছিলাম আর অনেক ভয় লাগছিলো। সত্যি অসাধারণ ফটোগ্রাফি। অনেক বেশি ভালো লাগলো।
বৌদি এই ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর।
দেখেই মনে হচ্ছে এগুলো সত্যিকারের।বৌদি আপনার এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক দুআ ও ভালোবাসা রইলো বৌদি।
সবগুলো ছবিই সুন্দর। কিন্তুু সাপগুলো অনেক ভয়ানক এবং জীবন্ত লাগছে।বিশেষ করে যেটা পেচিয়ে আছে।মরুভূমির অসট্রিচ পাখি গুলো দেখতে ভালো লাগছে।একটি মিউজিয়ামে কতকিছু থাকে।অনেক প্রাণীতো এখন বিলুপ্ত। যা আমরা দেখিনি।এখানে যত প্রজাতির সাপের ছবি আছে প্রায় সাপ বিলুপ্ত মনে হচ্ছে।
বৌদি সবগুলো ফটোগ্রাফি খুব খুব সুন্দর হয়েছে। আসলে এগুলো দেখেই মনে হচ্ছে না এগুলো যে বাস্তব নয়। সবগুলো মনে হচ্ছে বাস্তবিকভাবেই রয়েছে। আর অন্যান্য ছবিগুলো তো দাদার কাছে দেখেছি। আপনিও খুব সুন্দর করে ছবিগুলো তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে। অনেক ধন্যবাদ রইল বৌদি।
আপনি সত্যিই অসাধারণ দিদি। আপনি প্রতিটি ফটোগ্রাফি কত সুন্দর করে তুলেছেন। আপনি হাঁসের উপরের পাখিগুলোর ছবি অনেক সুন্দর ভাবে তুলেছেন। আপনি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে হাঁস এবং উভচর প্রাণীর বর্ণ গুলো অনেক ভাল ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ দিদি আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে অসাধারণ লাগছে বৌদি। মনে হচ্ছে জীবন্ত পশু পাখির মতো। ধন্যবাদ এ সুন্দর সুন্দর ছবি গুলো শেয়ার করার জন্য আর আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
পেঙ্গুইন গুলো কি যে সুন্দর বলে বোঝানো যাবেনা। আর অস্ট্রিচ দেখতে খুব ভালো লাগে। ছবির সাথে বর্ণনা দিয়েছেন সেটা পড়ে বিস্তারিত তথ্য জানলাম ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
জাদুঘর থেকে আপনি অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করে সেগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বৌদি। আমাদের বাস্তব জীবনে অনেক কিছু না দেখা থেকে যায় কিন্তু সেগুলো আমরা জাদুঘর ভ্রমণের মাধ্যমে দেখতে পাই। আজকে আপনি যে ছবিগুলো দিয়েছেন তার ভিতরে কিছু সুন্দর সুন্দর পাখি রয়েছে। সাথে কিছু বিষধর সাপ। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি এমন সুন্দর কিছু জিনিস আমাদের কে দেখার সুযোগ করে দেবার জন্য।