"টিনটিন বাবুর প্রথম স্কুলে যাওয়া"

in আমার বাংলা ব্লগlast year

বন্ধুরা
সবাইকে মিষ্টি সকালের শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। আমার বাবাটা স্কুলে যাওয়া ধরেছে। গতকাল ছিলো টিনটিন বাবুর স্কুলের প্রথম দিন। আমার। সোনা বাবাটা দেখতে দেখতে কবে বড় হয়ে গেল বুঝতে পারলাম না। আজ সে পড়াশোনার জীবনে পদার্পণ করলো। আপনারা সবাই ওকে আশীর্বাদ করবেন টিনটিন বাবু যেনো অনেক বড় হয়। বাবু যেন ওর বাবা, কাকা ও জেটুর মতো মানুষের মত মানুষ হতে পারে।এবং একজন বড় মনের মানুষ হতে পারে।

IMG-20230202-WA0020.jpg

IMG-20230202-WA0016.jpg
টিনটিন বাবুর স্কুলে যাওয়া শুরু হওয়ার পর থেকে আমার কাজের চাপ আরো বেড়ে গেল। আমাদের এখানে। বাচ্চাদের ২ বছর বয়স থেকে স্কুলে ভর্তি করে দেয়।এত অল্প বয়সে স্কুলে দেওয়া আমার পছন্দ না। এখনো স্কুলে দেওয়ায় আমার খুব একটা ইচ্ছা না। শুধুমাত্র ওকে বাইরে পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে পারে।আর যেনো খেলার সঙ্গী পায় সেই কারণে ওকে স্কুলে দেওয়া।প্রথমে স্কুলে যাওয়ার জন্য ভীষণ উৎসাহী ছিলো।কিন্তু যখন দেখলো স্কুলের ভিতরে একা থাকতে হয়। সঙ্গে মা থাকে না।তখনই একটু কান্না করছিলো। ওদের ম্যাডাম বললো আপনি টেনশন করবেন না। আমরা সামলিয়ে নিতে পারবো। প্রথম আসছে তো তাই একটু কান্না করছে। ওটা আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। সত্যি বলতে আমি একটু বিচলিত ছিলাম না। কারণ আমি জানি বাচ্চাদের কোলের কাছ থেকে সরিয়ে দিলে বাচ্চারা কিছু শিখতে পারে না। অতিরিক্ত আদর বাচ্চাদের খারাপ করে দেয়। তাই ওকে আমি যেমন আদর করি তেমনি শাসন করি।

তারপর একটু পরই তার কান্না থেমে গিয়েছিলো।সে তার স্কুলের ম্যাডাম এর সাথে খেলতে লাগলো। ও বাংলা পড়তে চায় না তাই আমি কোন রিস্ক না নিয়ে ইংলিশ মিডিয়ামে ভর্তি করে দিলাম। আর আমার ও ইচ্ছা ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ানো। যদিও ওর বাবা চায় বাংলা নিয়ে পড়ুক। কিন্তু এটাতে আমাদের কার ও মত নেই। আর বাবুও ইংলিশ ছাড়া ভালো লাগে না। তাই আর জোর করিনি। ওর বাবা বলে আমাদের মাতৃভাষা বাংলা তাই বাংলা জানা দরকার। বাবুর স্কুল ছুটি হয়ে যায় ১১.৩০ টায়।
স্কুল ছুটি হলে আমাকে দেখে এক গাল হাসি দেয়। আর ম্যাডামদের টা টা দিয়ে চলে আসে আমার কাছে। ওর প্রথমে স্কুলে যাওয়ার দিনটি আমার কাছে স্বরনীয় হয়ে। থাকবে।আর ওর স্কুলে যাওয়া দেখে মনটা ভরে গিয়েছিলো। মনের ভিতর কি এক ভালো লাগা কাজ করছিলো তা বোঝানো যাবে না।
আজ এই পর্যন্ত কাল আবার নতুন কোন বিষয় নিয়ে আবার আসবো। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।

Sort:  
 last year 

একটা কথা কি বৌদি,মায়ের কাছে সন্তান যে কখন বড় হয়ে যায় মা সেটা বুঝতেই পারে না। কারণ সন্তান কখনো মায়ের কাছে বড় হয় না। আজ সে পড়াশোনা জীবনে প্রথম পদার্পণ করলো,তার জন্য দোয়া রইল সে যেন জীবনে অনেক বড় হতে পারে এবং ভালো মানুষের মতো মানুষ হতে পারে। বর্তমান সময় ছোট ছোট বাচ্চাদের স্কুলে দিয়ে দেয়। যাদের বয়স দুই বছর কিংবা তিন বছর এ ব্যাপারে আমিও আপনার সাথে একমত এত ছোট বয়সে বাচ্চাদের স্কুলে দেওয়া উচিত নয়।মা হয়ে সন্তানের প্রথম দিনে স্কুলের অনুভূতিটি সত্যিই আপনার সারা জীবন মনে থাকবে।

 last year 

টিনটিন বাবুর জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা। আমরাও চাই টিনটিন বাবু তার বাবা, কাকা,জেঠু আর আপনার মতো ভালো মনের মানুষ হোক। প্রথম প্রথম একটু কান্না করবে যখন বন্ধুদের সাথে খেলবে তখন ওর ভালো লাগবে আর কান্না করবে না। তখন দেখবেন ওর স্কুল যাওয়ার আগ্রহ আরও বাড়বে।যাইহোক টিনটিন বাবুকে বেশ কিউট লাগছে।😘

 last year 

যাক, আমাদের টিনটিন বাবু তাহলে নতুন জীবনে পদার্পণ করলো! আশা করি নতুন জীবনটা মানিয়ে নিবে। আসলে বাচ্চাদের একসাথে বাহিরে কিছুটা সময় রাখলে মানসিকভাবে একটু ভালো থাকে! খেলাধুলার একটা পরিবেশ তৈরি হয়! টিনটিন বাবু ইংলিশ মিডিয়ামে ভর্তি হয়েছে। আশা করি বাংলাটাও পাশাপাশি চর্চা করবে! বাংলা যে আমাদের মাতৃভাষা! দাদা ঠিকই বলেছে দিদি 🌼

 last year 

এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে অবশেষে আমাদের সকলের প্রিয় বাবুসোনাটা স্কুলে গিয়েছে। আমি সবসময়ই ওর জন্য দোয়া করব ও যেন মানুষের মতো একজন মানুষ হতে পারে এবং জাতির জন্য ভালো কোনো কাজ করতে পারে। আসলে আমিও সেটাই মনে করি ছোট থাকতেই স্কুলে দেওয়া উচিত কারণ সে লেখাপড়ার পাশাপাশি পারিপার্শ্বিক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবে পাশাপাশি খেলার সাথী ও পাবে। ছোট বাচ্চারা প্রথমে স্কুলে গেলে অনেকটাই কান্না করে বাবুও দেখছি অনেকটাই কান্না করে দিয়েছে। যাইহোক অবশেষে স্কুল ছুটি পড়ে আপনাকে দেখে হাসি দেয় এবং তার ম্যামকে টাকা দিয়ে চলে আসে এটা শুনেই বোঝা যাচ্ছে সে অনেকটাই পারিপার্শ্বিক অবস্থা সম্পর্কে বুঝে গিয়েছে।

 last year 

সত্যি বৌদি দেখতে দেখতে সেই ছোট্ট টিনটিন বড় হয়ে গেল। মনে হচ্ছিল যেন এইতো সেদিন টিনটিনকে কতটা ছোট দেখলাম। আজ দেখতে দেখতে সে পড়াশোনার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এত ছোট বয়সে স্কুলে দেওয়া ঠিক নয়। তবে বাচ্চাদের মানসিক বিকাশ ঘটানোর জন্য এবং বাইরের পরিবেশের সাথে একজাস্ট করার জন্য বাবুকে স্কুলে দেওয়াতে একদিক থেকে ভালোই হয়েছে। খেলাধুলা বন্ধু-বান্ধব সবাইকে পেলে টিনটিন বাবুর মানসিক বিকাশ ঘটবে এবং অনেক কিছু শিখতে পারবে। টিনটিন যেন মানুষের মতো মানুষ হয় এবং একজন ভাল মনের মানুষ হয় এই কামনাই করি।♥️♥️

 last year 

অনেক ভাল লাগলো ব্লগটি পড়ে। আমার ছেলের প্রথম স্কুল যাওয়ার দিনটির কথা মনে পরে গেল।যদিও আমি ৪ বছরে দিয়েছি। এখন ক্লাস থ্রিতে পড়ে। টিনটিন বাবুর জন্য রইলো প্রানঢালা ভালোবাসা। কিছুদিন গেলেই মানিয়ে নেবে। আমরা বাঙালি তাই বাংলাটা এমনিতেই ঘরে শিখে নেবে। ছেলের পছন্দ মত পড়ানোই ভাল। আমার ছেলেকে ও সম্পূর্ণ ইংলিশ মিডিয়ামে দেইনি।ইংলিশ ভার্সনে দিয়েছি, বাংলা সাবজেক্টও আছে। দোয়া করি টিনটিন বাবু বাবা, কাকা সবাইকে ছাড়িয়ে যাবে।অনেক ভাল মানুষ হবে, এই কামনা করি। ধন্যবাদ দিদি।সবাইকে নিয়ে ভাল থাকবেন।

 last year 

প্রথম প্রথম মা কে ছেড়ে স্কুলে যেতে সবাই বাচ্চারাই কান্না শুরু করে।আশা করি প্রথম দিন টিনটিন বাবুর দারুণ সময় কেটেছে এবং নতুন বন্ধু হয়েছে।খুবই সুন্দর হয়ে উঠুক স্কুলের জীবন টিনটিন বাবুর সেটাই প্রত্যাশা করি।ভালোবাসা ও শুভকামনা রইলো।

 last year 

ওরে বাবা গলটু বাবু তো দেখছি বড় হয়ে গেল দিদিভাই 😊। খুব ভালো লাগলো দেখে যে বাবু এখন স্কুলে যাচ্ছে। নতুন পরিবেশ এবং নতুন বন্ধু ওর বিকাশে অনেক সাহায্য করবে। প্রার্থনা করি আমাদের টিনটিন যেন অনেক বড় হয় এবং একজন আদর্শ মানুষ হয়ে ওঠে। ঈশ্বর সব সময় ওর সাথে থাকুক।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.029
BTC 65915.92
ETH 3486.15
USDT 1.00
SBD 2.67