মুচমুচে " চিংড়ি মাছের ফিস ফিঙ্গার"
Hello
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব "চিংড়ি মাছের ফিশ ফিঙ্গার"। আমরা প্রায়ই এই ফিস ফিঙ্গার বাইরের থেকে কিনে খাওয়া হয়। ভাবলাম আজ বাড়ীতে তৈরি করি। এটি অনেক টেস্টি একটি খাবার। এবং বাড়ীতে তৈরি করা খুব সহজ। এটি আপনারা ও বাড়ীতে খুব সহজে তৈরি করতে পারবেন। বাড়ীতে তৈরি করা খাবার শরীরের জন্য ক্ষতিকর তাই আমি প্রায়ই খাবার বাড়ীতে তৈরি করি। এটি অনেক মজার একটি খাবার। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি। তাহলে চলুন মূল পর্বে যাই।
উপকরণ:
১. বড়ো চিংড়ি - ৫০০ গ্রাম
২. ময়দা - হাপ্ কাপ
৩. ব্রেড গ্রাম - ১ কাপ
৪. লবণ - দেড় চামচ
৫. আদা ও রসুন বাটা - ১ চামচ
৬. লেবু - একটি লেবুর অর্ধেক
৭. ডিম - ১ টি
৮. শুকনো মরিচ এর গুঁড়া - ১ চামচ
৯. গোল মরিচের গুঁড়া - হাপ্ চামচ
১০. সাদা তেল - ২ কাপ
চিংড়ি মাছ
ডিম
ব্রেড গ্রাম
গোল মরিচের গুঁড়া ও শুকনো মরিচ এর গুঁড়া
ময়দা
লবণ, আদা ও রসুন বাটা ও লেবু
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে চিংড়ি মাছ কেটে নিতে হবে লেজ রেখে দিতে হবে। লেজ রেখে দিলে দেখতে সুন্দর দেখাবে।
এরপর চিংড়ি মাছ গুলো জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
২. এরপর কাটা চিংড়ি মাছ গুলোর মাঝে ছুরি দিয়ে সরু করে কেটে নিতে হবে। তারপর হাত দিয়ে সামান্য ভেঙ্গে দিতে হবে। এরপর এক চামচ আদা ও রসুন বাটা, এক চামচ লবণ ও এক চামচ লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে দিতে হবে। মিশানো হয়ে গেলে ১৫ মিনিট রেস্টে রেখে দিতে হবে।
৩. এবার একটি পাত্রে এক কাপ ময়দা নিতে হবে। ময়দার ভিতরে হাফ কাপ গোল মরিচের ও এক চামচ শুকনো মরিচ গুঁড়া দিয়ে এক সাথে ভালো করে মিশিয়ে দিতে হবে।তারপর একটা পাত্রে ডিম ভেঙ্গে ভালো করে গুলে নিতে হবে।
৪. এবার একটা চিংড়ি মাছ দিয়ে ময়দার ভিতর চিংড়ি মাছ দিয়ে ভালো করে জড়িয়ে দিতে হবে ।
৫. চিংড়ি মাছে জড়ানোর পর আবার ডিমের গোলার ভিতর চুবিয়ে দিতে হবে।
৬. ডিমের ভিতর চুবিয়ে নেওয়ার পর ব্রেড গ্রামে দিয়ে ভালো করে পুডিং করে নিতে হবে।ঠিক একই ভাবে আর দুই বার চিংড়ি মাছ ব্রেড গ্রামে পুডিং করে নিতে হবে।
৭. ঠিক একই ভাবে বাকি চিংড়ি মাছ গুলো পুডিং করে নিতে হবে।
৮. এবার চিংড়ি মাছ গুলো ভেজে নিতে হবে। সে জন্য চুলার উপর একটা কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। কড়াই গরম হয়ে গেলে দুই কাপ তেল দিয়ে দিতে হবে। চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিতে হবে।
৯. তেল গরম হয়ে গেলে পুডিং করা চিংড়ি মাছ দিয়ে দিতে হবে।
১০. এবার চিংড়ি মাছ গুলো ২ মিনিট পর উল্টায় দিতে হবে।
১১. এভাবে চিংড়ি মাছ গুলো ভেজে নিতে হবে। বাদামী রং ধারণ করলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে। ঠিক একই ভাবে বাকি চিংড়ি মাছ গুলো ভেজে নিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু মুচমুচে "চিংড়ি মাছের ফিস ফিঙ্গার"। এটি সন্ধ্যায় চা এর পরিবেশন করা যায়। আশা করি , আমার এই রেসিপিটি ভালো লাগবে।
চিংড়ি মাছ আমার অনেক পছন্দের। পছন্দের মাছ দিয়ে যদি কোন রেসিপি করা হয় সেটা আরও পছন্দের হয়ে যায় আপনার তৈরি করা এই চিংড়ি মাছের ফিস ফিঙ্গার দেখতে খুবই মজার ও লোভনীয়। অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম একটি মজার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
বৌদি সত্যিই এগুলো কখনো খাওয়া হয়নাই। নামও শুনি নাই। মচমচে চিংড়ি মাছের ফিস ফিঙ্গার। এত দারুন ভাবে আপনি রান্না করেছেন। আপনি বাড়িতেই দাদার জন্য অনেক নিত্যনতুন রেসিপি তৈরি করে থাকেন। খুবই ভালো লাগে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল। দারুন ছিল রান্নাটি। দারুন ছিল উপস্থাপনা
চিংড়ি মাছ দিয়ে ফিস ফিঙ্গার আমার কাছে একদমই নতুন একটা রেসিপি। মুচমুচে চিংড়ি মাছ গুলোকে দেখতে খুব লোভনীয় লাগছে। আমি একবার চেষ্টা করে দেখবো,আমার বেশ ভাল লেগেছে।আপনি প্রত্যেকটা ধাপ খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করে দেখিয়েছেন। দিদি অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ দিদি। সত্যি অনেক টেস্টি একটি খাবার। আপনি বাড়ীতে একদিন তৈরি করে দেখুন।
ওহো, বৌদি মুচমুচে চিংড়ি মাছের রেসিপিটা দারুণ হয়েছে।👌চিংড়ি মাছ মানেই টেস্টি, স্বাদে ও সুগন্ধে ভরপুর।আমার তো বেশ লাগে চিংড়ি মাছ খেতে।আপনার রেসিপিটা খুবই লোভনীয় হয়েছে এবং কালারটি ও সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আমার মিষ্টি বৌদি।😊
তোমাকেও ধন্যবাদ। তোমার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
চিংড়ি মাছ আমার অনেক বেশি প্রিয়। তবে কখনো চিংড়ি মাছের ফিস ফিঙ্গার খাওয়া হয়নি। আপনার এই চিংড়ি মাছের ফিস ফিঙ্গার রেসিপি দেখে আমার একেবারে জিভে জল চলে আসলো বৌদি। এক কথায় বলবো আপনার আজকের এই রেসিপিটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে এবং রেসিপিটি জাস্ট অসাধারণ হয়েছে।
এটি খেতেও অনেক সুস্বাদু ছিল। আপনাদের দাদা তো খেয়ে বিশ্বাস করতে পারছিল না যে আমি বাড়িতে তৈরি করেছি।বার বার বলে আমি বাইরের থেকে কিনে এনেছি। তারপর পোস্ট দেখে বিশ্বাস করলো।
হাহাহা।এই বার বৌদি রেসিপি দেখে তো অবশ্যই বিশ্বাস করবে।আসলেই কিন্তু দেখতে জাস্ট চমৎকার হয়েছে।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি ছড়ার জন্য। আমি আপনাদের সবাইকে মনে রাখি। আর আপনাকে কি ভুলা যায়। আপনি তো মনের মণিকোঠায় আছেন আপু।
অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি মনি♥♥
আমাদের এখানে চিংড়ির ফিশ ফিঙ্গার পাওয়া যায় না তেমন একটা। এইভাবে বাড়ীতে তৈরি করলে জিনিসটা বেশ সুস্বাদু হবে এবং স্বাস্থ্যসম্মত হবে। খুবই মজাদার একটি রেসিপি করে দেখালেন আপু। দেখতে খুবই মচমচা লাগছে। খেতে নিশ্চয়ই দারুন। শুভকামনা রইল আপু আপনার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ। আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
আমার ফেবারিট মাছের মধ্যে চিংড়ি একটি।যেটা খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। বিশেষ করে বাড়তি যখন আম্মা ছোট চিংড়ি গুলো ভাজি করে তখনই আমি হাপুস গুপুস খাওয়া শুরু করি। এতো সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দিদি।❤️❤️
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।
চিংড়ি মাছ আমার অনেক প্রিয়। তবে চিংড়ি মাছের এই রেসিপিটি আমার কখনো খাওয়া হয়নি। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে খেতে অনেক অনেক মজাদার হয়েছে। দেখতে দারুন লোভনীয় লাগছে। লোভনীয় এবং মজার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি বৌদি।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া। সত্যি অনেক মজার হয়েছিল।
দিদি, আপনার রেসিপিগুলো সবসময় সুস্বাদু এবং লোভনীয় হয়ে থাকে। আজকেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।চিংড়ি মাছের ফিস সিঙ্গার আমি রেস্টুরেন্টে খেয়েছি তবে কখনো ঘরে তৈরি করে খাওয়া হয়নি। আপনার এই রেসিপিটি দেখে আমি শিখে নিলাম কিভাবে চিংড়ি মাছের ফিস ফিঙ্গার তৈরি করতে হয়। আপনার পোস্টটি আমি শেয়ার করে রেখে দিলাম যখনই ঘরে বড় চিংড়ি মাছ আনা হবে তখন চিংড়ি মাছের ফিস সিঙ্গার ঘরে তৈরি করে খেয়ে নিব।সত্যি দিদি, বাইরের খাবার শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর তাই ঘরে তৈরি করে খাওয়া আমাদের জন্য উত্তম।
ধন্যবাদ দিদি, এতো সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
হ্যা আপু ঘরে তৈরি করতে একটু কষ্ট হয় তবে শরীরের জন্য খুবই ভালো। আপনাদের দাদা বাইরের খাবার খায় না তাই আমি বাড়ীতে তৈরি তার জন্য।আমার একটু কষ্ট হলেও তার খুশি দেখে আমি তখন সব কষ্ট ভুলে যাই। তাই আমি বাড়ীতে তৈরি করি আপু।