"গ্রামের রাস্তার পাশে থাকা কিছু আগাছার ফটোগ্রাফী"

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।আমি ও ভালো আছি সবার আশির্বাদ নিয়ে। আজ আপনাদের সাথে কি শেয়ার করবো বুঝতেই পারছি না। আপনারা সবাই জানেন আমি ৯ ফেব্রুয়ারি চকোলেট দিবসের দিন লং ড্রাইভে গিয়েছিলাম। আসলে অনেক দিন তেমন কোথাও যাওয়া হয়নি। আগে প্রায়ই বিকালের দিকে গ্রাম্য পরিবেশে কিছুটা সময় কাটাতে যেতাম। এখন যত দিন যাচ্ছে ততই আমার প্রিয় মানুষটি বিভিন্ন কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়ছে। আর আমার ও একা একা কোথাও যেতে ইচ্ছা করে না।আর সে দিন কেনো গিয়েছিলাম সেটা আমি আগের পোস্টে বলেছিলাম। গাড়িতে বসে তাকে বললাম অনেক দিন গ্রামে যাই চল আজ একটু গ্রামের ভিতর দিয়ে যাই। ও আমার কথায় রাজি হয়ে গেল। গ্রামের ভিতর দিয়ে যেতে যেতে দেখি রাস্তার পাশে অনেক সুন্দর কিছু আগাছা রয়েছে। আমার তো দেখে নামতেই ইচ্ছা করছিলো। কারণ ওই গাছের উপর দিয়ে হাঁটতে ইচ্ছা করছিলো। তখনই আমি ড্রাইভারকে বললাম গাড়ি থামাতে। তারপর আমি গাড়ি থেকে নেমে কিছুক্ষন হাঁটলাম আর কিছু ছবি তুলে নিলাম। তাই ভাবলাম আজ সেগুলো একটু শেয়ার করি।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

IMG_20220209_165330.jpg
এগুলোকে গ্রামের ভাষায় আমরা বলি হ্যাগড়া গাছ। এক এক জায়গায় এক এক নাম বলে থাকে। আমরা ছেলেবেলায় এর ফল তুলে নিয়ে লুকিয়ে এক একজনের মাথার চুলে লাগিয়ে দিতাম। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এর ফলে কত কাঁটা। চুলে লাগিয়ে দিলে আর সহজেই ছাড়ানো যেত না। ছাড়াতে গেলে মাথার চুল ছিঁড়ে যেত। আর এটা নিয়ে মায়ের কত বকা খেয়েছি।গাছটি দেখে সেই সব স্মৃতি মনে পড়ে গেল।

IMG_20220209_165310.jpg

এই গাছ কে আমরা ছোটো বেগুন গাছ বলতাম। এই গাছে বেগুন গাছের মত কাঁটা আছে। আমি ছেলেবেলায় এই গাছের ফল দিয়ে বেগুন বানিয়ে রান্না বাটি খেলতাম।
IMG_20220209_164903.jpg
বিকালের একটি দৃশ্য। সূর্যমামা অস্ত যাওয়ার সময় তোলা।

IMG_20220209_170856.jpg

IMG_20220209_170854.jpg
আমাদের টিনটিন বাবু ঘাসের ভিতর দিয়ে হাঁটতে পারে না। আর ওর গ্রামের মাটি, জল, ঘাস এ গুলো তার ভালো লাগে না। কারণ ওর জন্মের পর তো কাদা মাটি দেখি নি। তাই খুব মুডে আছে। ও চায় গাড়ির ভেতরে থেকে বাইরের পরিবেশ দেখা। সারাদিন এসি রুমে থেকে মোবাইল ও ল্যাপটপে কার্টুন দেখতে ও ছবি আঁকতে।

IMG_20220209_165047.jpg
প্রকৃতির সাথে আমার একটি ছবি। আমার গ্রাম্য পরিবেশ খুব ভালো লাগে। তাই আর ছবি না তুলে থাকতে পারি না।

IMG_20220209_171259.jpg

IMG_20220209_171035.jpg

Sort:  
 2 years ago 

ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল এবং এগুলো চুলের মধ্যে দিয়ে খুব মজা করতাম এবং চুলে আটকে যেত। অনেক ভালো লেগেছে ছবিগুলো এবং নস্টালজিক হয়ে গেলাম বৌদি।

 2 years ago 

আসলেই গ্রামের এরকম জায়গা গুলো দেখতে বেশ ভালো লাগে। ছোট বেলায় সবসময় এমন জায়গায় সময় কাটানো হতো। অনেক ধন্যবাদ দিদি। সুন্দর কিছু মূহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 
অনেক সুন্দর করে আপনি গ্রামের রাস্তার পাশে থাকা কিছু আগাছার ফটোগ্রাফী"করেছেন।যা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি।কিন্তু টিনটিন বাবাই খুব মুডে আছে সে ঘাসে হাটতে চায় না সারাক্ষণ এসিতে বসে ল্যাপটপ মোবাইলে গেমস কার্টুন দেখতে পছন্দ করে।বাবাই এর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা দোয়া এবং ভালোবাসা।♥♥
 2 years ago 

অসাধারণ

 2 years ago 

গ্রামাঞ্চলের রাস্তায় এরুপ ছবি প্রায়শই দেখা যায়।গ্রামীণ প্রকৃতি সত্যই দারুন।আপনি খুব সুন্দর করে নিখুঁতভাবে চমৎকার লেখনী উপহার দিয়েছেন। ধন্যবাদ ও শ্রদ্ধা রইলো।

 2 years ago 

টিনটিন সোনাকে দেখে ভালোই লাগলো । অনেক সুন্দর লাগছে ওকে । হ্যাগড়া গাছের ফল নিয়ে বেশ মজার মজার ঘটনা আমারো অতীত জীবনে আছে বৌদি । ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

লংড্রাইভে গিয়ে আপনি দারুন সব ফটোগ্রাফি করেছেন বৌদি। আপনার প্রিয় মানুষকে নিয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এটা বোঝাই যাচ্ছে। আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্তের মাঝে আপনি সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন এটা দেখে ভালো লেগেছে। দারুন সব ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 2 years ago 

বৌদি গ্রামের চারপাশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সমূহের সমোরোহ দেখলে মন আমার ভরে যায়।গ্রামের চারপাশে আমার ঘুরতে বেশ ভালো। বৌদি আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। সব মিলিয়ে বৌদি আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার জন্য অনেক ভালোবাসা ও প্রাণঢালা শুভেচ্ছা রইল।

 2 years ago 

গ্রাম্য রাস্তা আমারও খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে খালিপায়ে হাটতে। আসলে বাচ্চাদের মাঝে মাঝে গ্রামে যাওয়া উচিত তাহলে গ্রাম্য পরিবেশ তারা উপভোগ করতে পারবে। তাহলে ভালো লাগবে।শহরে থাকতে থাকতে কেমন জানি রোবটের মতন হয়ে যাচ্ছে বাচ্চাগুলো। ধন্যবাদ সুন্দর সুন্দর ছবি শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত আমাদের মধ্যে শেয়ার করলেন। আসলে গ্রামের এরকম আগাছাগুলো ওর সাথে সময় কাটাতে বেশি ভালো লাগে। টিনটিন বাবুর ফটোটা সেগুলো কিন্তু অসাধারণ লাগছে। আর ও যে মাটিতে নামতে পছন্দ করে না ওকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতির সাথে সময় কাটানো অনেক প্রয়োজন। এই গাছগুলো সাথে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আমাদের মাঝে এরকম একটা মুহূর্ত এবং ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 57743.27
ETH 3083.77
USDT 1.00
SBD 2.42