Diy (এসো নিজে করি) "দীপাবলিতে জল রং দিয়ে রাতে জ্বলন্ত প্রদীপের পেইন্টিং"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছে। আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। যদিও গতকাল ছিল দীপাবলি আজ দ্বিতীয় দিন কিন্তু উৎসবের রেস এখনো কাটেনি।আজ ও সন্ধ্যায় বাজি পোড়ানো, ঠাকুর দেখতে যাওয়া তো রয়েছে। কারণ আমাদের এখানে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে দীপাবলির উৎসব চলে। আমরা যেখানে থাকি সেখানে অনেক বড় করে হয় কালী পূজা।
সারা ভারত ও বিশ্বজুড়ে পালিত হয় দীপাবলি উৎসব। এই উৎসব হিন্দুরা মহা ধুম ধামের সাথে পালিত হয়। এছাড়া সমগ্র ভারত জুড়ে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই এই উৎসব পালন করে থাকে। বিশ্বের প্রায় সকল দেশ মহা ধুমধাম এর সাথে পালন করে। সমগ্র ভারতবর্ষের পাশে এই দীপাবলি আলোর উৎসব নামে ও পরিচিত। দীপাবলি কথাটি এসেছে দীপা ও ওয়ালি থেকে। এই কথার অর্থ সারি। তাহলে কথাটির অর্থ হলো প্রদীপের সারি। এই সারি সারি প্রদীপ জ্বালিয়ে বাড়ি এবং বাড়ির চারপাশে প্রদীপ জ্বালিয়ে সকল অন্ধকার দূর করা হয় এই উৎসব উপলক্ষে।
রামায়ণ অনুসারে রামচন্দ্র পিতার আদেশ রক্ষা করার জন্য ১৪ বছরের জন্য বনবাসে যান। তার সাথে গিয়েছিল ভ্রাতা লক্ষণ ও প্রাণ প্রিয় সীতা। এরপর ঘটনা পরম্পরা লঙ্কা রাজ রাবণ সীতাকে হরণ করে নিয়ে যান। সেটাকে ফিরিয়ে আনার জন্য রাম রাবণের সাথে লড়াই করে রাবনকে হত্যা করে সেটাকে উদ্ধার করে। আর আমরা যেদিন দিবা বলে উৎসব পালন করি ত্রেতা যুগে ক্রেতা যুগে এই দিনে অযোধ্যায় ফিরে ছিলেন শ্রী রামচন্দ্র ভাই লক্ষণ ও সীতা। সেই আনন্দ অযোধ্যা বাসী তাদের প্রিয় রামকে ফিরে পাওয়ার আনন্দে এই রাতে সমগ্র বাড়ি ও পথে প্রান্তরে প্রদীপ ও আলো জ্বালিয়ে আনন্দ উৎসব পালন করেন। আর সেই থেকে ধীরে ধীরে এই দিনটি বিশ্ববাসীর কাছে দীপা বলি উৎসব নামে পালন করে থাকেন।
এই দিনে সারাবাড়ি তে প্রদীপ জ্বালানো হয়, ঘরে ফুলের আলপনা দেওয়া হয়, বাজি পোড়ানো হয়। ভাবলাম এই দিনটি আপনাদের সাথে জলন্ত প্রদীপের পেইন্টিং এর মাধ্যমে শেয়ার করি। কিন্তু আমি আমি দুঃখিত কাল আমি ব্যাস্ততার জন্য পারিনি। তাই আজ তো শেয়ার করা যায়। আগেই বলেছি আমি খুব ভালো আঁকতে পারি না। আপনাদের সবার আঁকা দেখে আর আমার
প্রিয় মানুষটির অনুপ্রেরণায় যা একটু চেষ্টা করি। তাহলে চলুন একটি কবিতার দিয়ে পেইন্টিং টি শুরু করা যাক।
প্রদীপের আলোয় আলোকিত হয়েছে রাত,
বাজির বাহারে মেতে উঠেছে আকাশ।
আলপনা রঙে রাঙিয়েছে সারা ঘর,
অতি সীমান্তে যেন দীপ জ্বলে
আসে না যেন কোন অন্ধকার রাত
সাগরের তট থেকে হিম শিখর পর্যন্ত,
প্রত্যেক ঘর ভরে উঠুক আলোর জোয়ারে।।
উপকরণ:
১.সাদা কাগজ
২. রং তুলি
৩. পোষ্টার রং
৪. জল
৫. টিপ
প্রস্তুত কারক:
১. প্রথমে সাদা কাগজের চারপাশে টেপ লাগিয়ে নিতে হবে। এবার কাগজের উপরের অংশে নীল দিতে হবে এবং নিচে সবুজ রং দিয়ে নিতে। তবে খুব গাঢ় না হালকা রং দিতে হবে।
২.দুই রঙের মাঝ বরাবর। হালকা আকাশী রং করতে হবে।
৩. এবার আকাশী রঙের নীচে সাদা রং দিয়ে একটা প্রদীপ এঁকে দিলাম। প্রদীপ টি লাল রং করে দিলাম
৪. প্রদীপটি হলুদ রং দিয়ে সাজিয়ে দিলাম ডিজাইন করে দিলাম। এর ফাঁকে সাদা রিং দিয়ে আর একটু ডিজাইন করে দিলাম।
প্রদীপের উপরে আগুনের শিখা এঁকে দিলাম সাদা রং দিয়ে তার চার পাশে হালকা হলুদ রং দিয়ে দিলাম।এতে করে জলন্ত প্রদীপের মতো দেখাবে।
৫. এবার প্রদীপের নিচে সাদা রং দিয়ে জলের মত এঁকে দিলাম। পাশে একটা ফুল এঁকে দিলাম লাল রঙের তার নিচে ও জল এঁকে দিলাম।
৬. এবার প্রদীপের উপরে বিভিন্ন রঙের ছোট ছোট লাইট এঁকে দিলাম।
৭. এবার চার পাশের টেপ তুলে ফেলতে হবে।
জ্বলন্ত প্রদীপের মাঝে রাতে লাইটিং পেইন্টিং টি শেষ ।কহিজানিনা পেইন্টিংটি আপনাদের কেমন লাগবে।আপনাদের ভালো লাগলে আমার আঁকা সার্থক হবে।
প্রথমে আপনাকে দীপাবলীর শুভেচ্ছা জানাচ্ছি বৌদি। দীপাবলী সম্পর্কে এত তথ্য জানা ছিল না। আজকে আপনার পোস্ট পড়ার মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম। দীপাবলীতে আলোর উৎসব শুরু হয়। তেমনি আপনি দীপাবলীর এই বিশেষ দিনটি উপলক্ষে প্রদীপের আলোতে আলোকিত করেছেন আপনার এই পেইন্টিংটি। সত্যি আপনার পেইন্টিং খুবই সুন্দর হয়েছে বৌদি।
বাহ বৌদি,আপনার আর্টের মাধ্যমে আমরা কাহিনীটাও জেনে নিলাম।আসলে এ ধরণের কাহিনী গুলো জানতে কিন্তু বেশ ভালোই লাগে আমার।আপনার আর্টটাও দারুণ হয়েছে।
আর একটা কথা না বললেই নয়।গতকাল দাদা আপনার ছবি দেখিয়েছিলো শাড়ি পরে প্রদীপ হাতে,এতো স্নিগ্ধ আর অপরূপ লাগছিলো আমাকে!সত্যিই জাস্ট সুইট লাগছিলো।
বৌদি ঠিক বলেছেন রাবন যখন মা সীতা কে হরন করে ৷আর শ্রী রাম রাবন কে বোধ করে সীতা কে অযোধ্যায় ফিরিয়ে আনে এবং কি পিতা দশরথের মানকুল এবং কি বংশের মর্যাদা সবকিছু যেন ফিরে পায় ৷ আর তখন থেকে এই বংশ পরম্পরায় শ্রীরামকৃষ্ণ সারা অযোধ্যায় দীপাবলীর উৎসব পালন করে৷
যা সব কাহিনী বেশ সুন্দর করে লিখেছেন ৷আর তার সাথে এই দীপাবলীকে ঘিরে খুব করে জল রং এর সাহায্য প্রদীপ জ্বালানো এ
আর্ট করেছেন ৷
ভালো লাগল বৌদি ধন্যবাদ ৷
দীপাবলি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম আগে এতকিছু জানতাম না। আমার ধারণা ছিল অমাবস্যার অন্ধকার দূর করার জন্য দীপাবলিকে প্রদীপ জ্বালানো হয়, কিন্তু বৌদি আপনার পোস্ট টি পড়ে আমার ধারণা সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত হলো। বৌদি আপনার আঁকা জলন্ত প্রদীপের পেইন্টিং টি এবং সেই সাথে আপনার ছন্দে মেলানো কথাগুলো অসাধারণ হয়েছে। বৌদি আপনার গুণগুলো সত্যিই অনেক প্রশংসনীয়। অনেক অনেক ধন্যবাদ বৌদি। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল বৌদি।🧡
দীপাবলি উৎসব নিয়ে রামায়ণের এই কাহিনীটা টা আমি এই বছরই জেনেছি দিদিভাই। আগে জানতাম না। আর সত্যি বলতে অনেক দীর্ঘ সময় পর আপনি আর্ট করলেন। আগে মাঝে মাঝে করতেন। জানি ব্যাস্ততায় সময় সুযোগ হয়ে ওঠে না। তবে খুব মিষ্টি হয়েছে প্রদীপটা। প্রদীপের শিখা টা যে জ্বলন্ত আছে এটা সুন্দর ফুটে উঠেছে। আর ওপরের ডেকোরেশন টা বেশ হয়েছে। উৎসবের আমেজ টা দারুন বোঝা যাচ্ছে।
দীপাবলির শুভেচ্ছা রইলো দিদিভাই 🙏।
রাবনকে হত্যা করে রামকে ফিরে পাওয়ার আনন্দে এই প্রদীপ ও আলো জ্বালিয়ে আনন্দ করা হয়,সে থেকেই দিপাবলি পালন করা হয়।এই বিষয় গুলো জানতে পারলাম পোস্টের মাধ্যমে। যাই হোক বৌদি খুব সুন্দর করে রাতের জ্বলন্ত প্রদীপের পেইন্টিং করেছেন। দেখতে একেবারেই জ্বলন্তই লাগছে।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ভালো ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে
দীপাবলি কেনো পালন করা হয় জানা ছিল না আজ আপনার পোস্ট পড়ে দীপাবলির খুব সুন্দর কাহিনি জানা হয়ে গেল বৌদি। আপনার পেইন্টিং সব সময় অনেক ইউনিক থাকে। প্রদীপ দেখে মনে হচ্ছে বাস্তবের প্রদীপ ঝলঝল করছে। বৌদি আপনার জ্বলন্ত প্রদীপের এত সুন্দর পেইন্টিং দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আমার কাছে আপনার এই অনেক ভালো লেগেছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পেইন্টিং আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। বৌদি আপনার পরিবারের সবার জন্য দীপাবলির শুভেচ্ছা রইল।
দীপাবলি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম বৌদি। রামায়ণের কাহিনীটা আরেকবার মনে করার সুযোগ হল তোমার পোস্টটি পড়ে । সত্যি বলতে এর আগে আমি এত কিছু জানতাম না। তোমার আজকের শেয়ার করা জ্বলন্ত প্রদীপের চিত্র অঙ্কনটি অনেক সুন্দর হয়েছে বৌদি।
প্রথমেই দীপাবলীর শুভেচ্ছা রইল দিদি। জল রং দিয়ে অসাধারণ একটি জ্বলন্ত প্রদীপের পেইন্টিং করেছেন দিদি। মা কালী যেন আপনার উপর কৃপা করে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
বৌদি দীপাবলীর আলোর উৎসবের অন্তর্নিহিত কারণ তাহলে ঘরে ফেরার আনন্দও বলতে পারি। আসলে আজকে আপনার লেখার মাধ্যমে দীপাবলির পুরো ইতিহাস জানতে পেরে খুব ভালো লাগলো। পেইন্টিংয়ের শুরুতে কবিতাটি যেমন অসাধারণ ছিল তেমনি রাতে জ্বলন্ত প্রদীপের পেইন্টিংটিও অসাধারণ হয়েছে।
পেইন্টিং এর সাথে দীপাবলীর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি।