"প্রিন্সেপ ঘাটে কাটানো সুন্দর একটি সন্ধ্যা"

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। ইতি মধ্যেই আপনারা জানেন আমরা সবাই প্রিন্সেপ ঘাটে ঘুরতে গিয়ে ছিলাম।আসলে প্রায় বেশ কিছুদিন হলো আমাদের কোথাও তেমন যাওয়া হয় না। আপনাদের দাদা না গেলে আমি ও কোথাও যাই না। আমি পৃথিবীর সকল সৌন্দর্য তার সাথে উপভোগ করতে। এই প্রিন্সেপ ঘাটের কথা আমি আমার প্রিয় একজনের কাছে শুনেছিলাম। আর ঠিক তখনই আমি আপনাদের দাদাকে জানাই। তখনই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলাম। এখানে একদিন ঘুরতে যাবো। আমি বেশ কিছুদিন ধরে তাকে বলছিলাম চলো কোথাও থেকে ঘুরে আসি। তাহলে মনটা ও ভালো লাগবে। আসলে কিছুদিন তার মন খুব বিক্ষিপ্ত অবস্থায় ছিলো। আর ওর মন খারাপ দেখলে আমার ও ভালো লাগে না। তাই চাইছিলাম কিছুটা সময় নিজেদের মতো করে সময় কাটাতে। তাই আমরা টিনটিন বাবু সহ্ আমরা চার জন গিয়ে ছিলাম। এরপর আমরা প্ল্যান করলাম সাড়ে তিনটার ভিতরে বাড়ি থেকে রওয়ানা দিবো। কিন্তু ওই যে কোথাও বেরোতে গেলে সময় মতো কিছু হয় না। কোথাও যেতে গেলে কি ভাবে জানি দেরি হয়ে যায় বুঝতে পারি না।

IMG_20220630_175714.jpg

IMG_20220630_180451.jpg
আসলে সুন্দর যেতে হলে আমি নিজে থেকে স্বাগতা কে নিয়ে যাই। সত্যি কথা বলতে ও আমার বন্ধুর মতো। যার সাথে রাগ, অভিমান, ভালোবাসা সবকিছু দেখানো যায়। আর খুব অল্প সময়ই সে আমার খুব আপন হয়ে গেছে। আমি ওর মতো একজন সুন্দর মনের মানুষকে খুঁজছিলাম। ও আমার যেমন সুখের দিনে পাশে থাকে ঠিক তেমনি দুঃখের দিনেও তাই।স্বাগতা আমার মনে কতটা জায়গা জুড়ে রয়েছে এটা বলতে গেলে শেষ হবে না। ওর সাথে পরিচয় হওয়ার পর থেকে আমার দিন শুরু হয় তার সাথে কথা বলে দিন শেষ ও হয় তার সাথে কথা বলে। তাহলে বুঝতে পারছেন সে আমার কতটা আপন।

IMG_20220630_185310.jpg
যার নাম অনুসারে এখানকার নামকরন করা হয়েছে। সেই বহুমুখী প্রতিভাবান সম্পন্ন বিখ্যাত ভারত তত্ত্ববিদ জেমস প্রিন্সেপ ১৮১৯ সালে ভারতবর্ষে আসেন। এবং ১৮২৯ সালে কোলকাতা ট্যাকশালের অ্যাসেমাস্টার হিসেবে যোগদান করেন।তার মৃত্যুর পর ১৮৪১ সালে ইতিহাসবিদ জেমস প্রিন্সেপ নাম অনুসারে এই স্মৃতিসৌধটি তৈরি করা হয়। নাগরিকদের দানে ১২০০০ টাকায় হুগলী নদীর পূর্বতীরে এই স্তম্ভটি তৈরি করা হয়।
হুগলি নদীর তীরে সবুজ ঘাসে ঘেরা এই সাদা স্তম্ভটি ভ্রমণ প্রিয় মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয়। সুন্দর একটি সময় কাটানোর জন্য অনেক সুন্দর একটি জায়গা চারিদিক যেনো সবুজে ঘেরা। প্রায় প্রত্যেকদিনই অনেক মানুষের সমাগম ঘটে।

IMG_20220630_181257.jpg

IMG_20220630_181144.jpg

IMG_20220630_180152.jpg

IMG_20220630_180433.jpg

IMG_20220630_181500.jpg

সন্ধ্যা নামতে নামতে আমরা গেলাম সেই আকর্ষণীয় ঘাটের কাছে। কিছু সময় আমরা সেই ঘাটে বসে রইলাম। এরপর আমরা সবাই মিলে মাটির ভারে চা খেলাম। আমি চা খেতে খুবই পছন্দ করি।সন্ধ্যায় গঙ্গার ঘাটে বসে প্রিয় মানুষটির পাশে বসে চা খাওয়ার আনন্দই আলাদা । আমরা সেখানে বেশ কিছুক্ষন ছিলাম। এরপর আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম।

IMG_20220630_182320.jpg

IMG_20220630_184430.jpg

IMG_20220630_185407.jpg

IMG_20220630_185358.jpg

Sort:  
 2 years ago 

সন্ধ্যা নামতে নামতে আমরা গেলাম সেই আকর্ষণীয় ঘাটের কাছে

বৌদি আপনি অনেক সুন্দর ভাবে প্রিন্সেপ ঘাটে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সন্ধ্যার সময় আপনারা যখন ঘাটের কাছে গিয়েছিলেন যাওয়ার পরে অনেক সুন্দর ভাবে ছবি তুলে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে ঘাটের উপর দিয়ে যে ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এবং ঘাটের মধ্যে নৌকাগুলো দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দ একটি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য।

 2 years ago 

বৌদি আমার খুব ইচ্ছে করে এভাবে ঘুরতে বের হতে। এটি বেশি ইচ্ছে করে যখন আমার মন খারাপ থাকে। যাইহোক আপনি সুন্দর মনের একজন মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করতে পেরেছেন এটা শুনে খুবই ভালো লাগছে। আসলে স্বাগতা আপুর মুখ দেখলেই বোঝা যায় উনি খুব নরম ও সুন্দর মনের মানুষ। শুধু তাই নয় আমার আপনাকেও ভীষণ ভালো লাগে বৌদি। যাই হোক আপনারা খুব সুন্দর সময় অতিক্রম করেছেন আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

মনকে সতেজ ও সুন্দর করার জন্য, এই রকম একটা সুন্দর জায়গা এবং প্রকৃতির সান্নিধ্য সত্যি খুবই কার্যকর সিদ্ধান্ত ছিলো। যদিও ইতিপূর্বে দাদার পোষ্টের মাধ্যমে এই ঘাটটি সম্পর্কে বেশ তথ্য জানতে পেরেছি, তারপর সুন্দর ফটোগ্রাফির কারনে জায়গাটা দেখার দারুন একটা বাসনাও তৈরী হয়েছে। চা এভাবে দেখিয়ে খেতে নেই, লোভ লাগেতো আমাদের, হি হি হি। ধন্যবাদ বৌদি ভালো এবং সুস্থ্য থাকুন সব সময়।

 2 years ago 

বৌদি, অনেকদিন পর কমেন্ট করছি, তোমার কাছেই প্রথম চলে এলাম। প্রিন্সেপ ঘাট এর এত নাম শুনি, এত ছবি দেখি। যাওয়ার ভাগ্য আর হচ্ছে না। তোমাকে এই আবহাওয়ায় প্রিন্সেপ ঘাটে মজা করতে দেখে বেশ ভালো লাগছে বৌদি।এই ঝিল, নদী , জলাশয় এর সামনে আসলে বিকেলের হাওয়াটা কি যে মনোরম হয়, সত্যিই বোঝানোর নয়। খুব ভালো লাগলো বৌদি পোস্ট পড়ে। ভালোবাসা নিও।

 2 years ago 

প্রিন্সেপ ঘাটে কাটানো সুন্দর একটি সন্ধ্যার মুহূর্তগুলো সত্যিই অসাধারণ ছিলো বৌদি। আপনি খুবই সুন্দর জায়গায় সময় পার করেছেন। আসলে মনকে সতেজ এবং সুন্দর রাখতে এই জায়গাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আসলে আপনি খুবই সুন্দর জায়গায় ভ্রমণ করেছেন এবং এই জায়গার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো।আর একটা বিষয় বেশী ভাল লাগল স্বাগতা দিদির বিষয়ে, আপনি স্বাগতা দিদিকে খুব অল্পসময়ের মধ্যে বন্ধু এবং নিজের দিদি হিসেবে গ্রহণ করতে পেরেছেন। আসলে স্বাগতা দিদি খুবই ভালো মনের মানুষ। যার কারণে সে আপনার সুখ এবং দুঃখের সময় পাশে থাকে। আসলে দুঃখের সময় যে পাশে থাকে সেই প্রকৃত বন্ধু। দুজন খুবই সুন্দর সময় পার করেছেন এবং দোয়া রইলো সারাটা জীবন যেন এরকম বন্ধু এবং বোনের মত হয়ে আপনারা দুজন একে অপরের পাশে থাকতে পারেন।

 2 years ago 

বৌদি আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার কাটানো মুহূর্ত উপস্থাপন করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনি সবসময় নতুন কোন জায়গায় আপনার প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে ঘুরতে যান জেনে অনেক ভালো লাগলো। সেই সাথে আপনি আপনার পরিবার নিয়ে গিয়েছেন এবং অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এটা বুঝতেই পারছি। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের সকলের কাটানো মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ।

 2 years ago 

আপনাদের দুজনের এমন বন্ধুত্বতা সারাজীবন অটুট থাকুক। আপনার আর স্বাগতা আপুর এমন সুন্দর সম্পর্ক দেখে ভালই লাগছে আপু। টিনটিনকে ও স্বাগতা আপুকে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে। ঘুরতে আমিও বেশ পছন্দ করি কিন্তু আমার তেমন কোথাও যাওয়া হয় না।
যাইহোক বেশ ভালো লাগলো আপনার এই পোস্টটি পড়ে আপনার পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম আপু। শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা নিও ❣️।

 2 years ago 

খুব ভালো বুদ্ধি করেছেন বৌদি দাদার মন ভালো করার জন্য ঘুরতে গিয়েছেন। আসলে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটালে এমনিতেই ভালো লাগে। তাছাড়া আপনারা এত চমৎকার একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন মন খারাপ থাকর উপায় আছে। জায়গাটি খুব সুন্দর। আর আপনার হাতের মাটির ভারের চা দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। পরিবারের সাথে খুব সুন্দর একটি সময় উপভোগ করেছেন দেখে ভালো লাগলো।

 2 years ago 

প্রিন্সেপ ঘাটে আপনারা বেড়াতে গিয়েছিলেন জানে অনেক ভালো লাগলো। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে প্রিন্সেপ ঘাটের বর্নণা ও তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। মাত্র ১২০০০ টাকায় এখানকার প্রিন্সেপ সম্ভ্যটি তৈরি করা হয়। ভালো লাগলো কিছু অজানা তথ্য জেনে। বৌদি আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

 2 years ago 

আপনাদের দাদা না গেলে আমি ও কোথাও যাই না। আমি পৃথিবীর সকল সৌন্দর্য তার সাথে উপভোগ করতে।

"প্রিন্সেপ ঘাটে কাটানো সুন্দর একটি সন্ধ্যা" পরে জানতে পারলাম আপনারা কত মিল যদি আপনাদের পরিবার অনেক সুখী এবং আমরাও এটা চাই। না বা কেন যে ফ্যামিলিতে দাদার মতো একজন মহান ব্যক্তিত্ব রয়েছে তার ছাপ ওই পরিবারের উপর পড়বেই। এর কারণ হলো আপনারা সবাই পড়াশোনা করেন সাহিত্য রচনা করেন সৃজনশীলতার চর্চা করেন এবং এটাই নিজের নিজেদের পরিবারের মধ্যে ঐক্য ভালোবাসা ও সহনশীলতা তৈরি করে। আপনার পরিবার আমাদের কাছে আদর্শ। সাগর নদী পুকুর জলভূমি এগুলোর সামনে গেলে মন এমনি ভাল হয়ে যায় চোখে আরাম আসে প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্যাবলী দেখে। ভালো থাকবেন দিদি এই কামনা করি আপনাদের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.32
TRX 0.11
JST 0.034
BTC 66761.99
ETH 3256.83
USDT 1.00
SBD 4.27