আজ বিকালে নির্জন কোনো পরিবেশে সময় কাটানোর কিছু মুহূর্ত
Hello
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আজ বিকালে নির্জন কোনো পরিবেশে সময় কাটানোর কিছু মুহূর্ত। প্রতিদিনের চলোমান ও এক ঘেয়েমি জীবন থেকে বেরিয়ে এসে নিজের প্রিয়জন দের সময় কাটানো। আমাদের এই ব্যস্ত জীবনে সময় সাথে পাল্লা দিতে দিতে এক সময় ক্লান্ত হয়ে যেতে হয়। তাই আমাদের সবারই বিনোদনের প্রয়োজন। আমার যখন বেশি মন খারাপ থাকে তখন আমি ঘুরতে যাই আর কিছু শপিং করলে আমার ভালো লাগে। আজ ও তার কোনো ব্যতিক্রম হয়নি। তাই আমার যেদিন মন খারাপ হয় তখন আমার প্রিয়জন বুঝতে পারে। তাকে কিছু বলা লাগে না। আমার বাবু খুব ছোটো তাই বেশি দূরে যেতে পারি না। তাই কাছাকাছি কোথাও গিয়ে ঘুরে আসি।
আমার কয়েকটা দিন কিছুই ভালো লাগছিলো না মন ও খুব খারাপ। টিনটিন বাবুর ও মন খুব খারাপ । বাবু সারাদিন প্রায় মুখ অন্ধকার করে থাকে। কিছু বললে রেগে যায় আর ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া করছে না। এটা দেখলে কার ভালো লাগে। টিনটিন বাবু সবথেকে বেশি ভালো বাসে তার কাকাকে। বলতে পারেন কাকা তার প্রাণ। এই কয়টা দিন তার কাকাকে দেখতে পারছে না, কোলে উঠতে পারছে না। তাই তার সকাল শুরু হয় কাকা বলতে বলতে আর রাত শেষ হয় কাকা কাকা করতে।তাই গতকাল রাতে আমি ঘুমাতে
যাওয়ার সময় আমার প্রিয়জন বললো কাল বিকালে চলো কিছু শপিং করে আছি আর রাম মন্দির থেকে ঘুরে আসি। এতে টিনটিন বাবুর ও খুব ভালো লাগবে।
আর আমার শপিং করার কথা শুনলে আরো বেশি ভালো লাগে।
যথারীতি সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে আমি ৪০ মিনিট হাঁটি। এরপর আমি লেবু দিয়ে উষ্ণ গরম জল খেয়ে নিই। আজ সকালে মা রান্না করছে। তাই আমি ঘণ্টা খানেক মোবাইল চালিয়ে তাড়াতাড়ি টিনটিন ঘুম থেকে ডেকে উঠিয়ে তাকে হাত মুখ ধুয়ে দিলাম। এবার ওকে কিছু খাইয়ে দিলাম। এরপর বিকাল ৪.০০ টার দিকে গাড়ি নিয়ে রওয়ানা দিলাম রাজারহাট শ্রী রাম মন্দির। প্রায় ৩০ মিনিট পর আমরা সেই মন্দিরে পৌঁছায় যাই। সেখানে যাওয়ার পর পরই দেখি টিনটিন বাবু খুব খুশি। এরপর টিনটিন বাবু কালীয় নাগের মুখের ভিতর ঢুকবে। তারপর আমরা কালীয় নাগের ভিতর থেকে ঢুকে রাম ও সীতার মন্দিরে গেলাম। মন্দিরের ভিতরে পরিবেশ টা অনেক পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ছিলো। এবং পরিবেশটা অনেক সুন্দর ছিল। আর। মন্দিরের ভিতরে ছবি তোলা কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ ছিলো। তাই ভিতরের ছবি তুলতে পারিনি।
শ্রী রাম
স্থান: পশিম বঙ্গ, কোলকাতা।
কলীয় নাগের মুখ
স্থান: পশ্চিম বঙ্গ, কোলকাতা
দেবী মৎস কুমারী
স্থান: পশ্চিম বঙ্গ, কোলকাতা
শ্রী রাম লক্ষণ ও সীতা, বাবা ভোলানাথ
স্থান: পশ্চিম বঙ্গ, কোলকাতা
প্রায় ৫.০০ টার দিকে মন্দির থেকে বেরিয়ে এসে টিনটিন বাবুর জন্য আইস ক্রিম কিনলাম আর ওর জন্য বেলুন কিনে দিলাম। টিনটিন বাবু তার প্রিয় সব কিছু পেয়ে খুব খুশি। এরপর গাড়ীতে উঠে আমরা টিন টিন বাবুর পছন্দের জায়গা স্টার মল এর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। ৬.৩০ বাজতে সেখানে পৌঁছায় গেলাম। বাবু তো খুব খুশি। নিজে পছন্দ করে দুটো প্যান্ট ও একটা জামা নিলো। আর কিছু খাবার ও পছন্দের খাবার চকলেট নিলো। এরপর আমরা বাড়ি চলে আসলাম। বাড়ি এসে আইসক্রিম ও চকলেট খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ল। আজ ওর দিনটি খুব ভালো কেটেছে। এবং আগের মতো হাসিখুশি তে বিকালের সময়টা কেটেছে।
মন্দিরের ভিতরের জায়গাটি খুবই নির্জন পরিবেশ। সেখানে সবাই চুপচাপ। শুধু একমনে ধর্মীয় বই পড়ছিল। আমার জায়গাটি খুবই পছন্দের ছিল। আর সেখানে গিয়ে টিনটিন বাবু ও খুব খুশি হয়ে ছিলো।
শত ব্যস্ততার মধ্যেও মাঝে মাঝে কোথাও ঘুরতে গেলে মনটা ফ্রেশ হয়ে যায় এবং পুরো সপ্তাহের ক্লান্তিও দূর হয়ে যায়। বৌদি আপনার তোলা রাজারহাট শ্রী রাম মন্দিরের ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। টিনটিন বাবু তো খুব খুশি হয়েছে ঘুরতে যেয়ে এবং শপিং করে। আপনারা পরিবারের সবাই খুব সুন্দর ভাবে দিনটি কাটিয়েছেন। পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো বৌদি। বৌদি অনেক অনেক শুভকামনা ও অবিরাম ভালোবাসা রইলো টিনটিন বাবু ও আপনার পরিবারের জন্য।
দিদি, আপনার প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরে বেড়ানোটা খুবই সুন্দর হয়েছে। পাশাপাশি লাল রংয়ের ফুলের ছবি গুলো অসাধারণ লাগছে। সব মিলে অনেক সুন্দর এবং ভাল ছিল আপনারা ঘুরে বেড়ানো। দিদি আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ঠিক বলেছেন দিদি, আমাদের এই ব্যস্ত জীবনে পাল্লা দিতে দিতে একসময় ক্লান্ত হয়ে পড়ি। ক্লান্ত এই জীবনকে আনন্দ দিতে নির্জন জায়গায় ঘুরতে খুব ভালো লাগে এটা সত্যি।দিদি, আপনার মতই আমি যখন মন খারাপ হয় তখন শপিং অথবা কোথাও ঘুরে আসলে মন একদম ফ্রেশ হয়ে যায়। দিদি, খুব আনন্দ করেছেন পরিবারের প্রিয় মানুষ গুলোকে নিয়ে। টিনটিন বাবুর মনে হয় মহা খুশি তার পছন্দের জিনিস পেয়ে।দিদি টিনটিন বাবুকে আমার মন থেকে ভালোবাসা দিয়েন💖💖।
দিদি আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। এমন জায়গায় ঘুরতে কার না ভালো লাগে হাজারও মন খারাপ থাকলে এমন জায়গায় ঘুরলে মন একদম ভালো হয়ে যায়।ধন্যবাদ দিদি আপনার আনন্দের মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
বৌদি মানুষের হাজার ব্যস্ততার মাঝে একটু ঘুরতে বেরুলেই এমনিতেই মনে প্রেশনেচ চলে আসে। আপনি একটি কথা ঠিক বলেছেন একঘেয়েমি জীবন যাপন কোনরকমে ভালো লাগেনা। আর আমাদের টিনটিন খোকাবাবুর কথা বলছেন ছোট বাচ্চা মানুষ বন্দী থাকতে পারেনা বাচ্চারা যখন খেলাধুলা করে এবং বাচ্চার প্রিয়জনের সাথে যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ তার মন-মানসিকতা শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে। আপনি মনের প্রেশনেচের জন্য ঘুরতে গিয়েছেন, এবং ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন এতে করে আমাদের মন ভালো হয়ে গেছে শতভাগ। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর ছিল সাথে উপস্থাপনাটি ও। বৌদি আমাদের সাথে এত সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
যাক অবশেষে টিনটিন বাবুর মন ভালো হলো। ছোট বাচ্চারা এই রকম স্বভাবেরই হয়ে থাকে। একটানা বেশিদিন একজায়গাই থাকলে খুবই বিরক্ত হয়। এবং জায়গাটা খুবই সুন্দর ছিল।
এবং আপনি মন খারাপ হলে শপিং এ যান😳। বিষয়টি প্রায় সব নারীদের ক্ষেএেই এক।
খুব ভালো ছিল পোস্ট টা।
আমাদের জীবনে ব্যস্ততা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। আর এই ব্যস্ততার প্রভাবে বিষন্নতায় ভুগছি আমরা সারাক্ষণ। মাঝে মাঝে এই ব্যস্ততাকে পিছনে রেখে ঘুরে আসা উচিত দূরে কোথাও। টিনটিন বাবুর জন্য মনটা খারাপ হয়ে গেল কারণ তার মন খারাপ ছিল। হয়তো তার মন খারাপের কারণগুলো সে বুঝাতে পারেনা কিন্তু ভেতরে ভেতরে অনেক কষ্ট পায়। যাই হোক অবশেষে বৌদি আপনার এবং টিনটিন বাবুর মন ভালো হয়েছে এটা জেনে অনেক ভালো লাগলো। আপনারা অনেক ভালো কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন এবং আমাদের সাথে সেই মুহূর্তগুলো শেয়ার করেছেন এ জন্য জানাচ্ছি অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপু আপনার মত আমারও খুব পছন্দের শপিং করা ।আমি যখন কোথাও ঘুরতে যাওয়ার জায়গা পাই না তখন কোন শপিংমলে চলে যাই। ঘুরাও হয় টুক টাক কেন কাটাও হয়। আপনার পোস্টটি পরে বুঝতে পারলাম আপনি খুব সুন্দর একটি দিন কাটিয়েছেন আপনার প্রিয়জন এবং টিন টিন বাবুর সঙ্গে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপু।
এই ব্যাস্ত জীবনে একটু সজিবতা আনতে হলে ঘুরাঘুরি অবশ্যই প্রয়োজন। ঘুরাঘুরিতেই নিজের আনন্দ গুলো খুজে পাওয়া যায়।পশ্চিম বঙ্গে সময় কাটানোর জন্য অনেক বেশি স্তান রয়েছে আমাদের এখানে নেই।আমার বেশি মন খারাপ থাকলে নদীর পারে বসে থাকি কিছুসময় পরে মনটা ভালো হয়ে যায়।
আপনার মুহুর্তটি খুবই সুন্দর ছিলো আর ফটোগ্রাফি গুলো দারুন লেগেছে।টিনটিন বাবাই দেখছি কাকায়ের প্রতি খুব টান।
বৌদি অসম্ভব সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন, বিশেষ করে দেবী মৎস্যকুমারীর যে পুকুরঘাট সেটা আমার অনেক ভালো লেগেছে অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ বৌদি আপনার সুন্দর মূহুর্ত আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য। আসলেই বাচ্চাদের মন খারাপ থাকলে খুব একটা ভালো লাগে না নিজেদের । যদিও শপিং করার ব্যাপারটা শুনেছিলাম। টিনটিন বাবুর জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।