পূজোর শেষ শপিং এর কিছু ফটোগ্রাফি
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে অগ্রীম শারদ শুভেচ্ছা। আর মাত্র পূজার ৩ দিন বাকি রয়েছে। চারিদিকে পূজোর ধুম পড়ে গেছে। এবার যেভাবে পূজোর শপিং করা শুরু করেছিলাম সেভাবে শেষ করতে পারিনি।শেষ দিকে বেশ কিছু সমস্যার সমুখীন হতে হয়। তারপরও পূজো বলে কথা শপিং করতেই হবে। এখনো পুরো সমস্যা মিটেনি। একটার পর একটা ঝামেলা লেগেই থাকছে।আমার শপিং শেষ হয়েছিলো বেশ কিছুদিন আগে। বাকি ছিলো টিনটিন বাবু ,ও তার বাবার এবং তার কাকার। এরপর সময় সুযোগ মতো ২৪ তারিখের দিকে আমি , টিনটিন বাবু ও তার কাকা শপিং এ গেলাম।
আগেই বলেছি আপনাদের দাদার শপিং এ যেতে ভালো লাগে না। আমার জন্য তার যেতে হয় বাধ্য হয়ে। তাই ওইদিন আমাদের সাথে যায়নি। আমাকে বললো তোমরা যাও আমি অন্য একদিন যাবো। আমি ভাবলাম হয়তো জরুরি কোন কাজ আছে বা মিটিং আছে। তাই আমি ও আর জোর করিনি। আমরা শপিংয়ে গিয়ে ওর কাকা দুটো প্যান্ট ও দুটো টি শার্ট নিলো। আর বেশি কিছু নিতে চাইলো না। বলে আমার আছে এখন আর কিছুই নিবো না। বলে দীপাবলী তে আবার কিনবো।
এরপর আপনাদের দাদার জন্য দুটো শার্ট ও প্যান্ট নিলাম। আরো কিছু নিতে চেয়েছিলাম কিন্তু পরে ভাবলাম ওকে নিয়ে এসে বাকি গুলো কিনবো। পরে বাবুর জন্য অনেক গুলো নিয়ে ছিলাম। আসলে ওর বাবা বলেছিলো বাবুকে পূজোর ৫ দিনে ৫ টি জামা কিনতে হবে। তাই ওর জন্য একটু বেশি কেনা হলো।
এর পরের দিন আমি আপনাদের দাদাকে নিয়ে আবার শপিংয়ে গেলাম। সে তো যাবে না আমাকে বলে এই তো কিনে আনলে আবার কি কিনবো আর আমার সব আছে কিছু লাগবে না। আসলে ও কোনদিন নিজের জন্য কিছু কিনতে চায় না এবং নিজে হাতে ধরে কিছু কিনে না। আমরা যা দিবো ও তাই নেয়। আমাকে বলে পূজায় আমার জন্য অনেক গুলো বই অর্ডার করেছি তো আর কি লাগবে। এবার আপনারাই বলুন তো ? পূজোয় মানুষ জামা প্যান্ট কিনে আর সে বই কিনেছে। এটা আমি কি করে মেনে নেই। যাই হোক আমি রাগ চেপে রেখে বললাম ভালো করেছো এখন চলো আমার সাথে জুতো , পাঞ্জাবি কিনতে। সে তো যাবে না। আমি জোর করে নিয়ে গেলাম। পরে এক জোড়া জুতো নিলো। পরে আমার আর একটি জুতো পছন্দ হলো। আমি বল এটাও নেও। কিন্তু আর নিবে না। আমাকে বলে একজনের এক জোড়া জুতো হলে চলে যায়। আমি সামনের পূজায় কিনবো। পরে জোর করাতে নিলো।
জুতো কিনে বেরিয়ে এসে বলে এত জুতো কিনার দরকার কি ছিল। তুমি শুধু শুধু অনেক টাকা খরচ করো। আসলে ও নিজের বিষয়ে খুবই কিপ্টে। তবে ও অন্য সবাইকে দামী দামী জিনিস কিনে দেয়। এবং যত দামী জিনিস চাও কিনে দিবে। ওর জন্য পাঞ্জাবী একটা ওয়াল্লেট ও বেল্ট। আর আপনাদের দাদা আমার জন্য দুটো ড্রেস নিলো। বাবুর জন্মদিনে যে পাঞ্জাবি পড়েছিলো ওটাই নিয়েছিলাম। গাড়িতে বসে বলে আমার পিছনে অনেক টাকা খরচ হয়ে গেলো। যত টাকা দিয়ে আমার জন্য কিনেছো এই টাকা দিয়ে আমার অনেক গুলো বই কিনতে পারতাম। শুধু শুধু আমার
জন্য জামা জুতো কিনে টাকা নষ্ট করেছো। এবার একটু রেগে গিয়ে বললাম চুপচাপ বসে থাকো। আর কোন কথা বলবে না। তাহলে কিন্তু আরো অনেক কিছু কিনবো। আমাকে কেনো তবে তোমাদের জন্য আমার না। প্রতি বছর তার জন্য কিনতে গেলে এই সব কথা শুনতে হয়।আপনারাই বলুন তো এই অদ্ভুত মানুষ আপনারা আগে দেখেছেন কি না? সারাদিন ল্যাপটপ এর সামনে থাকতে থাকতে সবকিছু ভুলে যায়। আর নিজেও রোবট হয়ে গেছে । আর বেশি কিছু এবার কেনা কাটা হয়নি। কারণ এবার আমাদের পূজোয় বাংলাদেশ যাচ্ছি না। পরে সবকিছু ক্যান্সেল হয়ে গেল।
যাই হোক আজ এই পর্যন্ত আগামীদিন নতুন কোন বিষয় নিয়ে আবার আসবো। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।
টিনটিন বাবুর জন্য শপিং করতে গিয়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। পুজোর শেষ শপিংয়ে আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে অনেক অসাধারণ লাগছে। শপিং মহলে অনেক সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। টিনটিন বাবুর জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইলো। ধন্যবাদ জানাই দিদি এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
হাহাহা দাদা যে বই প্রেমি একজন মানুষ দেখলেই বুঝা যায়। পূজোর মধ্যেও দাদা অনেকগুলো বই অর্ডার দিয়ে দিলো কিন্তু জামা কাপড় কেনার বেলায় দাদা নেই 🤭। আপনি দুটি পাঞ্জাবী আর জুতো না কিনলে কিনতোই না আসলে। দাদাকে লাল পাঞ্জাবীতে মানিয়ে ছিল খুব। এছাড়াও আপনার চয়েস অনেক ভালো দিদি। শার্ট দুটিও সুন্দর হয়েছে।
আমাদের দাদা একজন ভীষণ বই প্রিয় মানুষ তাই দাদার কাছে সবচেয়ে ভালোলাগার জিনিস হলো বই তাই দাদার আর অন্য কোনকিছুতে আগ্রহ নেই। দাদা খুব ভালো করেই জানেন যে তিনি কিছু না কিনলে কি হবে বৌদি ঠিকই তার জন্য কিছু না কিছু কিনবে তাই দাদা আপনার উপর ভরসা করে চুপচাপ বসে থাকে বৌদি। পুজোর শপিং খুবই সুন্দর হয়েছে শার্ট দু'টির কালার খুবই সুন্দর লাগছে। টিনটিন সোনাকে খুব মিষ্টি লাগছে। সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ বৌদি।
চমৎকার লাগলো দিদি পূজোর শেষ মুহূর্তের মার্কেটের কেনাকাটার গল্প শুনে। আরো ভালো লাগলো দাদার জন্য জোর করে জুতো কেনার বিষয়টিকে। এভাবেই বেঁচে থাক আপনাদের যুগল জুটি এই প্রত্যাশা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। সাথে শারদীয় শুভেচ্ছা রইল।
যে কোনো উৎসবে এর আগে কেনাকাটা করতে খুব ভাল লাগে। আপনাদের তো পুজোয় অনেক আনন্দ হয়। সবচেয়ে বর উৎসব।এজন্য অনেক কেনাকাটার প্রয়োজন পড়ে।টিনটিনের এর জন্য অনেক কিছু কিনেছেন জেনে ভালো লাগলো। দাদা তো বই পাগল মানুষ তাই বই ছাড়া আর কি আর কিনবেন। অনেক ধন্যবাদ বৌদি এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।পূজা খুব ভালো কাটুক এই কামনা করি।
মেধাবী মানুষরা এইভাবেই চিন্তা করে বৌদি । তবে সত্য দাদা একদম বাস্তবিক রোবট, এটা আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি । খুব খারাপ লাগলো বাংলাদেশে আসবেন না , এইটা শুনে ।
তারপরেও যেখানেই থাকুন, উৎসব হোক আনন্দময় , এমনটাই প্রত্যাশা করি বৌদি । শুভেচ্ছা রইল।
পুজোর শেষ শপিংয়ে আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে বৌদি। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো করার পাশাপাশি অনেক সুন্দর হবে বর্ণনাগুলো উপস্থাপন করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
বর্তমানে তো মানুষ বেশি বেশি বই কেনে না। কিন্তু আমাদের দাদা সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমধর্মী তিনি বেশি বেশি বই পড়তে অভ্যস্ত। সবার চাহিদা যেখানে পোশাক, দাদার চাহিদা সেখানে বই। সব রোবট কেই মানুষ পরিচালনা করে আর দাদা যদি রোবট হয়ে থাকে তাহলে দাদাকে হয়ত আপনিই পরিচালনা করছেন।