"চিড়িয়াখানায় কাটানোর কিছু মুহূর্ত ও পশু পাখিদের ফটোগ্রাফী"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। গতকাল আমরা সবাই মিলে শিশু দের বিনোদনের স্থান চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম। আসলে কিছুদিন হলো তেমন কোথাও যায়নি। আসলে সময় স্বল্পতার কারনে যাওয়া হয়নি। আর বাচ্চারা সারাদিন ঘরে থাকতে চায় না। তারাও চায় কোথাও ঘুরতে যেতে, আনন্দ উপভোগ করতে চায়। সারাদিন ঘরে থাকতে থাকতে ওর একটা এক ঘেয়েমি এসেছিল। আবার করোনা ও ধীরে ধীরে বাড়ছে। তাই করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নিলাম কলকাতা আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে ঘুরে আসি। আমরা এর আগে কয়েকবার সেখানে গিয়েছি। অনেক বড় জায়গা এবং অনেক ধরনের পশু পাখি দেখা যায়।এবং সেখানের পরিবেশ পরিস্থিতি খুব ভালো। এবং এটি ভারতের সবথেকে প্রাচীন কোলকাতার আলীপুর চিড়িয়াখানা। প্রায় ৪৭ একর জায়গা জুড়ে এই বিশাল চিড়িয়াখানা টি। অনেকে সেখানে পিকনিক করতে ও যায়। আবার কেউ কেউ অবসর সময় কাটানোর জন্য যায়।
আমরা গতকাল বেলা ১২ টার দিকে চিড়িয়াখানার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। আলিপুর চিড়িয়াখানায় যেতে ২ ঘণ্টার মতো সময় লেগেছিল। আলিপুর চিড়িয়াখানায় পৌঁছায় আমাদের গাড়ি পার্কিং করে। টিকিট কেটে ভিতরে প্রবেশ করলাম। ভিতরে ঢুকে দেখি আমাদের মতো অনেকে এসেছে। চিড়িয়াখানার ভিতরে ঢুকে দেখি একটি হাতি ও জীরাপের মূর্তি বানিয়ে রেখেছে। এটি দেখে টিনটিন বাবু তো খুব খুশি। এত দিন সে বই তে দেখেছে আজ সে ঘুরতে এসে দেখছে। বাবু তো আনন্দে হাতি হাতি চিৎকার করছিলো।এরপর আমরা প্রথমে গেলাম জেব্রা দেখতে।
জেব্রা গুলো খাওয়ার জন্য খাবার খুঁজছিল। এরা সাধারণত আফ্রিকা, ও দক্ষিণ সাহারায় পাওয়া যায়।এরা দল বেধে থাকে ও জঙ্গলের জলাশয় যুক্ত এলাকায় থাকতে ভালোবাসে। এরা সবুজ ঘাস খায়। এরা ৩০০- ৩৭৫ দিন গর্ভকালের পর একটি বাচ্চা দেয়।
এদের কে তিতির পাখি বলে। পোকা মাকড় খুঁটে খুঁটে খাচ্ছে।
একটু লক্ষ্য করে দেখুন এটি অনেক বড় একটি উট পাখি। যা আমরা সকলে চিনি।
গাছের গোড়ার দিকে অনেক বড় একটি কচ্ছপ বসে আছে।
এগুলোকে কৃষ্ণসার হরিণ বলে। এদের গাঁয়ে ছোটো কালো ছোপ ছোপ দাগ থাকে। এই হরিণগুলো কে দেখতে খুব সুন্দর লাগে। এদের কে জম্মু কাশ্মীর মরু অঞ্চল ও ভারত বর্ষ নেপাল ভুটান বাংলাদেশ পাকিস্তান চীন ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় শ্রীলঙ্কায় পাওয়া যায় । এরা ঘন জঙ্গলে একাকী বা দলবদ্ধভাবে থাকে। সাধারণত এরা ছয় মাসের পর্ বাচ্চা দেয়।
বিভিন্ন ধরনের বাঘ ঘোড়া ফেরা করছে। রয়েল বেঙ্গল টাইগার বিভিন্ন প্রজাতির গুলো রয়েছে।
টিনটিন বাবু কত খুশি। তার হাসিতে আনন্দ উপসে পড়ছে। আবার তার দীদার হাত ধরে ঘুরছে।
আজ এই পর্যন্ত অনেক পশু পাখি পাখি দেখেছিলাম। কিন্তু এত গুলোর ছবি তুলে ধরতে পারিনি। অন্য কোনো দিন সেগুলো শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
বাহ,দারুণ সময় কাটিয়েছেন।প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি দারুণ হয়েছে।সবথেকে টিনটিন বাবুর মুখের মিষ্টি হাসি দেখে ভালো লাগলো।দারুণ মজা করেছে টিনটিন।টিনটিন বাবুর জন্য অনেক ভালবাসা রইলো।ধন্যবাদ বৌদি।
বৌদি আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। বাঘ মামার ছবিগুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে। আর বিশেষ করে টিনটিন বাবু খুবই আনন্দ উপভোগ করে সেটা জেনে আমার খুবই ভালো লাগছে। আপনার জন্য রইল শুভকামনা
চিড়িয়াখানায় অনেক সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন সকলে মিলে আশা করছি। টিনটিন কে দেখে বেশ খুশি মনে হচ্ছে। ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল। শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য বৌদি।
৪৭ একর বাহ অনেক টা জায়গা নিয়ে আলিপুর চিড়িয়াখানা টা অবস্থিত। এবং দেখতে তো সুন্দর লাগছে। মনে হচ্ছে একেবারে প্রাকৃতিক পরিবেশে চিড়িয়াখানাটা গড়ে উঠেছে।
এবং পশুদের ফটোগ্রাফিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে কৃষ্ণসার হরিণ আমি দেখেনি আজ দেখলাম। বেশ কিছু জানলাম হরিণটা সম্পর্কে। বাঘের ছবিটিও দারুণ হয়েছে।
এসব দেখে টিনটিন বাবু তো খুশি। পোস্ট টা দারুণ ছিল বৌদি।
চিড়িয়াখানার প্রতিটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল। এবং সেইসাথে আপনি অনেক সুন্দর করে আলোচনা করেছেন। আপনি ঠিকই বলেছে এক জায়গায় ঘরে বন্দী থাকতে থাকতে এক ঘেয়েমি লাগে। এবং বাচ্চারা কোন রকমেই এক জায়গায় থাকতে চায় না। এবং ছোটাছুটি করতে করতে একসময় অসুস্থ হয়ে পড়ে। চিড়িয়াখানার ফটোগ্রাফি সাথে আপনি অনেক সুন্দর করে আলোচনা করেছেন। এবং আপনার এবং টিনটিন বাবুর ফটোগ্রাফি টি অসাধারণ হয়েছে। আমাদের টিনটিন বাবুকে দেখতে রাজকুমারের মত লাগছে। আমাদের সাথে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি।
বৌদি চিড়িয়াখানায় আপনি সুন্দর একটি কাটিয়েছেন। চিড়িয়াখানা কে বলা হয় প্রকৃতির ছোট্ট সংস্করণ। এখানে বিভিন্ন ধরনের জীব জন্তু থেকে শুরু করে গাছপালা এবং আরো অন্যান্য বিষয় সুন্দরভাবে দেখানো হয়। চিড়িয়াখানায় গিয়ে টিনটিন সোনা খুব খুশি হয়েছে, খুব ভালোভাবে দিনটি উপভোগ করেছে দেখে আমার খুব ভালো লাগলো। আমাদের বাচ্চাকাচ্চাদের নিয়ে নিয়মিত বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে যাওয়া উচিত। তাতে বাচ্চাদের মানসিক বিকাশ ত্বরান্বিত হয়। আমিও মাঝে মাঝে চিড়িয়াখানায় যাই যেমন ঢাকার মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানা। বাংলাদেশের সবথেকে বড় চিড়িয়াখানা এখানে সব ধরনের জীবজন্তুর দেখা পাওয়া যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি এত সুন্দর একটি দিনের গল্প আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুন্দর এবং রোমাঞ্চকর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন বৌদি ।মাঝে মাঝে এরকম ঘুরতে বের হওয়া টা কে আমি অনেক ভালো মনে করি ।কারণ ,ঘোরাঘুরি করলে আমাদের মন-মানসিকতা অনেকটাই ভালো থাকে ।চার দেয়ালের মাঝে বন্দী থাকা আমরা কেউই পছন্দ করিনা ,তাই আমাদের সকলের উচিত মাঝে মাঝে এরকম ঘুরতে বের হওয়া। আপনি আমাদের মাঝে চিড়িয়াখানা পরিদর্শনের অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করেছেন, আপনার এই মুহুর্তের মধ্যে আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে শেয়ার করেছেন বৌদি ।আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে জেব্রা ও বাঘ এই দুটি প্রাণী আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি।
ওরে বাপরে।আমাদের টিনটিন সোনার হাসি দেখেই বুঝা যাচ্ছে সে আসলে কতোটা বেশি খুশি হয়েছে।
আসলে বাচ্চাদের এভাবে একটু বাইরে নিয়ে যাওয়া উচিত, তাহলে তারা খুশি থাকে।
আর আপনাকেও সুন্দর লাগছে কিন্তু বেশ।
দিদি বাঘের ছবিগুলো কিন্তু দারুন ছিল। দূর থেকে দেখেই মনে হচ্ছে কচ্ছপটি অনেক বড়। টিন টিন বাবু দারুন মজা পেয়েছে। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
টিনটিন বাবু কে দেখে মনে হচ্ছে খুবই আনন্দিত। বিভিন্ন পশু পাখি দেখে খুবই এনজয় করেছে। ও বাঘ গুলো দেখে ভয় পায়নি? আপনাদের মুহূর্ত গুলো খুব ভালো কেটেছিল। সুন্দর মুহূর্তে টি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দি🤗