" আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ৪০।। " বর্ষাকালীন প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। আজ আমি আপনাদের সাথে প্রতিযোগিতার বিষয় নিয়ে হাজির হয়েছি। আসলে এবার এত সুন্দর একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে এটা আমার ই জানা ছিলো না। কারণ বেশ কিছুদিন ব্যাস্ততার কারনে স্টিমিটে ঢুকতে পারছি না। হটাৎ করে গতকাল দুপুরে স্টিমিটে ঢুকে দারুন একটি প্রতিযোগিতা। আর আপনারা তো জানেন যেকোন কনটেস্ট দেখলে অংশগ্রহণ করার লোভ সামলাতে পারি না। তাই চলে এলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এখন বর্ষাকাল কিন্তু এখন আর সেভাবে বৃষ্টি দেখা যায় না। আষাঢ় শ্রাবণ নিয়ে এই দুই মাস বর্ষাকাল। এই বর্ষার সময় আকাশে ঘন ঘন কালো মেঘ দেখা দেখা যায়। কালো মেঘ নিয়ে আসে বাদলের ধারা। আমাদের দেশগুলোতে ছয় ঋতুর মধ্যে বর্ষা দ্বিতীয় ঋতু। কালো মেঘের বুক চিরে বিদ্যুৎ চমকায়। আর নামে জিরিজিরি বৃষ্টির জল। তবে আজকাল সবকিছু পাল্টে গেছে প্রাকৃতিক পরিবেশ এখন আর আগের মত নেই। সঠিক সময়ে স্থায়িত্ব নেই ঋতুগুলো। বর্ষার মাঠ ঘাট পুকুর ভরাট হয়ে যায়। বাতাসে গাছের সবুজ চারা গুলি দুলে দুলে আনন্দে সাড়া ফেলে। এই বর্ষার সময় ব্যাঙ ডাকে চারিদিকে অহরহ। নতুন জল পেলে মাছেদের আনন্দ আর ধরে না। গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপে নদী-নালা খাল বিল পুকুর শুকিয়ে যায়। গাছপালা শুকিয়ে মরার মত হয়। তবে বর্ষার আগমনে গাছপালা পশু পাখি মানুষ জন প্রাণ ফিরে পায়। বর্ষা যেন মানুষের মন প্রাণ সতেজ করে তোলে। এই বর্ষার দিনে কবিরা নানা ধরনের কবিতা গান ছন্দ লিখতে বসেন। বর্ষার রিমঝিম শব্দে মন যেন উতাল পাতাল করে ওঠে। আবার বর্ষার সময়ে বাহারি রঙের সুন্দর সুন্দর সুগন্ধি ফুলের মেলা বসে। এই সময় ধানের ফলন ও শাকসবজি অনেক সতেজ হয়ে ওঠে। আর আমার মনে হয় বর্ষার সময় ফটোগ্রাফি করার উপযুক্ত সময়। যদিও আমি বর্ষার সময় খুব একটা ভালো ফটোগ্রাফি করতে পারি না। তারপর ও চেষ্টা করি কিন্তু হয়ে ওঠে না। কারণ শহরের ভিতর বর্ষাকাল খুব একটা উপভোগ করা যায় না। আর এখন বর্ষাকাল হলেও খুব একটা বৃষ্টি দেখা যায় না। তাই খুব চিন্তায় ছিলাম কি করে এত অল্প সময়ে কি ভাবে অংশ গ্রহণ করবো। এটা ভাবতে ভাবতেই হটাৎ আকাশে মেঘ করে বর্ষা নামলো। তবে আমার এই বর্ষার সময় ফটোগ্রাফি করার পুরো কৃতিত্ব নিলয়ের। কারণ ও না থাকলে আমি ফটোগ্রাফি করতে পারতাম না। এই বর্ষার সময়ে ফটোগ্রাফি করতে নিলয় খুবই সাহায্য করেছে। তাই বর্ষা শুরু হওয়ার পরপরই ছাদে চলে গেলাম ফটোগ্রাফি করার জন্য।
বেশ জোড়ে বৃষ্টি নেমেছিল। তাই ছবি তোলা একটু কষ্ট সাধ্য ছিলো। আবার এ দিকে টিনটিন বাবুর দুষ্টুমি। আর আপনারা তো জানেন আমার ছাদে বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ রয়েছে। আর বৃষ্টি পড়ার শব্দ আমার বেশ ভালো লাগে। জানালার পাশে বসে বৃষ্টি দেখতে কার না ভালো লাগে। তাই বৃষ্টির ফোঁটা দেখার সঙ্গে সঙ্গে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম।
আর এই বর্ষার সময়ে বেলী, কদম ফুল ফুটতে দেখা যায়। আর বেলি ফুলের গন্ধ আমার খুবই পছন্দের। বৃষ্টির ফোঁটা যখন গাছের পাতার উপর পড়ে ঠিক দেখতে যেনো মুক্তার মতো লাগে। এই বৃষ্টির ফোটার দৃশ্যগুলো দেখতে বেশ লাগে।
বর্ষা থেমে যাওয়ার পর পরই আকাশের দৃশ্য। বর্ষা থেমে যাওয়ার পর আকাশটাই যেন পাল্টে যায়। আবার এ সময় মাঝে মধ্যে আকাশে রং ধনু দেখা যায়। যদিও গতকাল রংধনু দেখা যায় নি তারপর ও আকাশটা দেখতে বেশ সুন্দর লাগছিলো।
পাতার উপর বৃষ্টির ফোঁটা ঠিক যেন মুক্তার মতো লাগছিলো। তবে খুব বেশি সময় ছাদে থাকতে পারিনি।কারণ বাবু খুবই বিরক্ত করছিলো। তাই কিছু সময় পর চলে আসতে হলো।
আজ এই পর্যন্তই। জানিনা ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কেমন লাগবে। অল্প সময়ের মধ্যে ফটোগ্রাফি গুলো করেছি। আর ফটোগ্রাফি করতে কার না ভালো লাগে। সুযোগ পেলে ফটোগ্রাফির কাজে লেগে পরি। কিন্তু খুব একটা ভালো পারি না। আর বর্ষাকাল গ্রামে ছাড়া তেমন ভাবে উপভোগ করা যায় না। আর বর্ষার সময় পরিবেশটাই সম্পূর্ন পাল্টে যায়।
বর্ষাকালীন প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্যগুলোর ফটোগ্রাফি করেছেন। এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। বর্ষাকালীন মুহূর্তগুলো যেন এই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পেলাম।
আপু অল্প সময়ের মধ্যে হলেও ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। আপনি যথা সম্ভব চেষ্টা করেন প্রত্যেকটা কনটেস্টে অংশ গ্রহন করতে। আর এই বিষয়টা আমার কাছে ধারুন লাগে। ধন্যবাদ দিদি।
প্রথমেই আপনাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে বৌদি। হঠাৎ করে বৃষ্টি আসার পর, ছাদে গিয়ে দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি করার সুযোগ পেয়েছেন। আমি তো বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করার পরও বৃষ্টির দেখা পেলাম না। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। প্রতিটি কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অনেক ব্যস্ততার মাঝেও আপনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে ভালো লাগলো বৌদি।অনেক সুন্দর ও একদম বর্ষাকালীন দৃশ্য ফুটে উঠেছে আপনার ছবিগুলোতে।যেটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।প্রত্যেকটি ছবি প্রাণবন্ত ছিল, ধন্যবাদ বৌদি।
ওয়াও বর্ষাকালীন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি গুলো দুর্দান্ত হয়েছে বৌদি।আপনার অন্যান্য গুণের সাথে এই গুণের ও তুলনা হয়না।জাস্ট অসাধারণ হয়েছে ফটোগ্রাফি গুলো।ধন্যবাদ বৌদি সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
প্রকৃতি দিনে দিনে বদলে যাচ্ছে। তাই তো বর্ষাকালেও বর্ষার দেখা নেই। বৌদি আপনি সব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন দেখে সত্যিই ভালো লাগে। আপনার শেয়ার করা বর্ষাকালীন ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। আমার কাছে তো ভীষণ ভালো লেগেছে।
সত্যি বৌদি ছয় ঋতুর বাংলা যেন পরিবর্তন হয়ে গেছে, বর্ষার সেই জিরিজিরি বৃষ্টি আর উপভোগ করার সুযোগ আসে না, প্রকৃতি যেন ভিন্ন ভাবে সব কিছুকে আড়াল করে দিচ্ছে। তবে আপনার আজকের ফটোগ্রাফির সাথে বর্ষার রূপ এবং প্রকৃতির সজীব সতেজতার দৃশ্যগুলো যেন হৃদয় ছুঁয়ে গেলো। অসম্ভব সুন্দর লাগছে দৃশ্যগুলো। ধন্যবাদ
সত্যি বৌদি এবার আমরা বর্ষার ভেজা ছোঁয়া খুব মিস করছি। আগে বর্ষার দিনগুলোতে কত মজা করতাম। মাঠে মাছ পাওয়া যেত মাছ মারা দেখতাম। ৭-৮ দিন একভাবে বৃষ্টি হতেও দেখেছি কত। কোথায় গেল সেই দিনগুলো!!
আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে তবে আমার চার নম্বর ফটোটা মারাত্মক ভালো লেগেছে। রিমঝিম বৃষ্টির এক অনবদ্য দৃশ্য।
অনেক ভালো লেগেছে বৌদি আপনার এই সুন্দর কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার ফটোগ্রাফি পোস্ট দেখে। যেখানে আপনি চমৎকারভাবে প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি ক্যামেরা বন্দি করতে সক্ষম হয়েছে সক্ষম হয়েছেন বৃষ্টি চলাকালীন মুহূর্তের ফটোগ্রাফি করতে। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে।
শেরা কিছু বর্ষাকালীন ফটোগ্রাফি নিয়ে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো বৌদি। আসলে আপনার এবং দাদার দুজনের ফটোগ্রাফি দেখেছি চোখ ফেরানোর মতো নয়। ধন্যবাদ বৌদি ভালো থাকবেন সর্বদায়।