মহালয়া - দেবী পক্ষের সূচনা
image source: copyright freepixabay || image credit: Pop_art
Hello
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ ময়ালয়া সবাই কে মহালয়ার শুভেচ্ছা। আজ ভোর থেকে চারদিকে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহিষাসুরমর্দিনী শুনে দিন হয়েছে। আমি অনেক ছেলে বেলা থেকে মহালয়া দেখি। আমার বয়স যখন ৯ বছর বয়স তখন একদিন আমি আমার বাবার কাছে জানতে চেয়েছিলাম মহালয়া কি? তখন আমার বাবা বলেছিল। আর মহালয়া থেকে বাঙালির ঘরে ঘরে পূজার আমেজ শুরু হয়ে যায়।
শরতের শুরু কাশফুল আর শিউলী ফুলের মিষ্টি সুভাস জানান দিচ্ছে হিন্দুদের প্রাণের উৎসব দুর্গা পূজা একদম দ্বারপ্রান্তে। মহালয়ার পর থেকে দুর্গা পূজার প্রহর গোনা শুরু হয়ে যায়।প্রকৃত পক্ষে দুর্গা পূজা হয় বসন্ত কলে। বসন্ত কলে উদযাপিত পূজাকে বলা হয় বাসন্তী পূজা। ত্রেতা যুগে শ্রী রাম চন্দ্র লঙ্খা জয় করে সীতাকে উদ্ধারের জন্য অকালে দেবীর আহবান করেছিলেন বলে শরৎ কলে দেবীর অকাল বোধন বলা হয়।
শরতের শিশির ভেজা ঘাসে অরুণ রাঙ্গা চরণ ফেলে দেবী পক্ষের সূচনা। কাশফুলের দোলায় সবুজ ঘাসের উপর শিউলী ফুলের গালিচায় চোক মেললে পাওয়া যাবে মায়ের আগমনী বার্তা।
শ্রী শ্রী চণ্ডীপাঠের মধ্যে দিয়ে দেবী দুর্গার আহবানই মহালয়া হিসেবে পরিচিত। দূর্গা উৎসব শুরু হয় মহালয়ার তিথি থেকে। মহালয়া তিথি হলো পিতৃ পক্ষ ও মাতৃ পক্ষের সন্ধিক্ষণ। মহালয়ার আগের পনেরো টি তিথি হলো পিতৃ পক্ষ বা প্রতিপদ। আর মহালয়ার পরের পনেরো টি তিথি হলো দেবী পক্ষ বা মাতৃপক্ষ। শুরু হয়ে গেল দেবী পক্ষ। আসলে মহালয়া হলো তিথি। পিতৃপক্ষের অবসান আর দেবীপক্ষের সূচনার হল মহালয়া। এই মহালয়ার দিন ভোর বেলা গঙ্গায় গিয়ে পিতৃ পুরুষের উদ্দেশ্যে রীতি মেনে দর্পণ করা হয়। পিতৃ দর্পণ এর মাধ্যমে পিতৃ পুরুষের প্রতি সম্মান শ্রদ্ধা ও প্রণাম নিবেদন করা হয়। ভগবান ঋষি এবং পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে জল নিবেদন করে তাদের কে তৃপ্ত বা সন্তুষ্টি করাই হল দর্পণ এর উদ্দেশ্য। এই দর্পণ শুরু হয়েছিল কবে বা কখন থেকে তা সঠিকভাবে জানা নেই। তবে কথায় আছে শ্রীরামচন্দ্র সীতাকে লঙ্কা বিজয়ী রাবণের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এই আশ্বিন মাসের দেবী দুর্গার আশীর্বাদ লাভের জন্য দুর্গাপূজা করেছিলেন। এই পূজার আগে এই তিথিতে দূর্গা পূজার আগে পিতৃদর্পণ করেছিলেন। সেই থেকে এই রীতি পালন করা হয়। এই দিনে দেবীপক্ষের সূচনা হয়ে যায়। অধিকাংশ মৃৎশিল্পী এই দিনে দেবী দুর্গার চক্ষুদান করেন। আর ঠিক সাত দিন পরে পূজা শুরু হয়ে যায়। দেবী দুর্গা সন্তানদের নিয়ে মর্তে আছেন। আর এই মহালয়ার পর থেকে চারদিকে পূজার আমেজ সৃষ্টি হয়। আমাদের এই শহরে জীবনে কাশফুলের দেখা না গেলেও গ্রামবাংলায় গেলে কাশ ফুলের সমারোহ শিউলি ফুলের গন্ধ আর শরতের আকাশে মেঘ দেখা যায়। যেনো মনে হয় প্রকৃতি যেনো পূজার সাজে সেজে উঠেছে।
মহালয়ার ভোরের শিশির প্রভাতে বাজলো শঙ্খধ্বনি,
ধরণী ওঠে নবরূপে সেজে মায়ের আগমনী।
চারিদিকে কোলাহল উৎসবে মেতে আনন্দময়ী আগমনে,
অসুর নাশিনী মহিষাসুরমর্দিনী আসিবে জগত জননী
আকুল হয়ে আছি মাগো পুরনো স্মৃতির টানে।।
স্নিগ্ধ সকালের শরতের শিউলি ফুলের সমারোহে মহালয়ার শুভেচ্ছা বৌদি আপনাকে এবং আপনার পরিবারের সবাইকে।সত্যিই বাঙালির ঘরে ঘরে একটি পুজোর আমেজ কাজ করছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক অজানা বিষয় শেয়ার করেছেন বৌদি। খুব সুন্দর গুছিয়ে লিখেছেন। শারদীয়ার শুভেচ্ছা নিবেন বৌদি।
আপনাকে ও শারদীয়ার শুভেচ্ছা। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আগে যখন ছোট ছিলাম, তখন খুব আগ্রহ নিয়ে টিভিতে মহালয়া দেখতাম । তবে মহালয়ার সঠিক ব্যাখা জানতাম নাহ । ভালোই ধারনা দিয়েছেন বৌদি মহালয়া সম্পর্কে । অগ্রীম শারদীয় শুভেচ্ছা রইল।
অনেক অজানা বিষয় শেয়ার করেছেন।আমাদের বাসার পাশেই একটা মন্দির সেখানে দেখেছিলাম পুজোর সব কিছু গোচগাচ করছেন তারা। ধন্যবাদ দিদি🤩
আর ৭ দিন পর থেকে পূজা শুরু। আপনাকেও ধন্যবাদ দাদা।আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
🤩🤩🤩
আপা আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো।অজানা সব জিনিস জানতে পারলাম। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ,আপনার মন্তব্যে শেয়ার জন্য।
বৌদি খুব সুন্দর গুছিয়ে লিখেছেন। খুব ভালো। শারদীয়ার শুভেচ্ছা নিবেন অবিরাম
আপনাকেও শারদীয়ার শুভেচ্ছা।
আপনার পোষ্টটি পড়ে অনেক অজানা বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হলাম। বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব গুলো যখন শুরু হয় তখন জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের মধ্যেই এক আনন্দময় ও উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। সকলের মনের মধ্যেই ভালোলাগা কাজ করে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এবং আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
অজানা বিষয় গুলো জানতে কার না ভালো লাগে।
ঠিক তেমনটাই আপনার আজকের পোস্টটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম।
পড়ে ভালো লাগলো বৌদি।
আপনাকে শুভেচ্ছা।
ধন্যবাদ আপু। আপনাকেও শারদীয়ার শুভেচ্ছা।
খুব সুন্দর ব্যাখ্যা এবং উপস্থাপনা বৌদি, অনেক কিছুই অজানা ছিলো আপনার লেখা হতে কিছু আইডিয়া নেয়ার সুযোগ পেলাম। তবে শেষের কবিতাটি বেশ লিখেছেন। ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।