বাঙালি রেসিপি" কুমড়ো বড়ি দিয়ে ফুল কফির ডাটার চচ্চড়ি"
Hello
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন।আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব ফুল কফির ডাটার চচ্চড়ি। এটি খেতে খুবই সুস্বাদু একটি খাবার। আমার ঘরে কয়েকটি ফুল কফি ছিল। তার কিছু ডাটা ছিল।আমি ফুল কফির ডাটা ফেলে দিয়ে থাকি। কিন্তু আজ আমার কাজের মেয়েটা বলে এই ফুলকফির ডাটা নাকি খাওয়া যায়। এবং এটি খেতে খুবই টেস্টি হয়। তাই আমি ভাবলাম আজ একটু ট্রাই করে দেখি। যেই ভাবা সেই কাজ। এটি নিরামিষ একটি খাবার। এই প্রথম এটি রান্না করলাম।
আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক।
১. ফুল কফির ডাটা
২. কুমড়ো বড়ি - ৭টি
৩. মিষ্টি কুমড়া - ২০০ গ্রাম
৪. বেগুন - ১টি
৫.আলু - ১টি
৬. মুসুর ডাল - ১ কাপ
৭. তেল - ১ কাপ
৮. লবণ - ২ চামচ
৯. হলুদ - ১ চামচ
১০. জিরা গুঁড়া - ১ চামচ
১১. কাচা মরিচ - ৭ টি
১২. ধনে গুঁড়া - হাপ্ চামচ
১৩. শুকনো মরিচ গুঁড়া- হাপ্ চামচ
১৪. গোটা জিরা - ১ চামচ
ফুলকপির ডাটা
মুসুর ডাল
বেগুন
মিষ্টি কুমড়া, আলু
তেল, লবণ, হলুদ, জিরা গুঁড়া, শুকনো মরিচ গুঁড়া, ধনে গুঁড়া ও কাচা মরিচ
কুমড়ো বড়ি
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে একটা ডাটা নিয়ে বটি দিয়ে হালকা খোসা ফেলে চিকন করে লম্বা লম্বা করে কেটে নিতে হবে।
২. কাটা হলে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়ে জল ঝরিয়ে নিতে হবে।
৩. এবার বেগুন, আলু ও মিষ্টি কুমড়া ছোটো ছোটো টুকরো করে কেটে নিতে হবে। এবং জল দিয়ে ধুয়ে পরিস্কার করে নিতে হবে।
৪. চুলায় কড়াই বসিয়ে দিয়ে পরিমান মতো জল দিয়ে দিতে হবে। জল ফুটতে শুরু করলে কেটে রাখা ডাটা গুলো দিয়ে ১৫ মিনিটের মতো সামান্য একটু লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে।
৫.সেদ্ধ হয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।এবার ওপর কড়াই বসিয়ে দিয়ে তেল দিয়ে দিতে হবে।এবং চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিতে হবে।
৬.তেল গরম হয়ে গেলে কুমড়ো বড়ি দিয়ে ২ মিনিট ধরে ভেজে নিতে হবে। বড়ি গুলো বাদামী রং ধারণ করলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
৭.ওই একই কড়াইতে আবার পরিমান মতো তেল দিয়ে দিতে হবে। তেল গরম হয়ে গেলে গোটা জিরা দিয়ে একটু ভেজে নিয়ে সেদ্ধ করে রাখা ডাটা গুলো দিয়ে একটু ভেজে বাকি সবজি ও মুসুর ডাল ধুয়ে দিয়ে দিতে হবে। এবার সব সবজি একসাথে ভালো করে ভেজে নিতে হবে।
৮. সবজি গুলো ভাজা হয়ে গেলে পরিমান মতো জল দিয়ে দিতে হবে।
৯. জল ফুটতে শুরু করলে পরিমান মতো লবণ, হলুদ, জিরা গুঁড়া, শুকনো মরিচ গুঁড়া, ধনে গুঁড়া ও কাচা মরিচ চিরে দিতে হবে।
১০. এভাবে বেশ কিছুক্ষণ ধরে জ্বাল দিতে হবে। ঝোল কমে গাঢ় হয়ে এলে চুলার আঁচ কমিয়ে দিয়ে ৫ মিনিটের মতো চুলার উপর রেখে দিতে হবে।
১১.এরপর একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল আমাদের ফুল কফির ডাটার চচ্চড়ি। এটি গরম গরম পরিবেশন করতে হবে। এটি গরম ভাত বা রুটির সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।
বেশ ব্যতিক্রমধর্মী একটা আইডিয়া পেলাম বৌদি, কারন এতোগুলো আইটেম দিয়ে এতো সুন্দর রান্না, স্বাদের না হয়ে যাবে কই। অবশ্য আপনার উপস্থাপনা এবং রান্না দুটোই বেশ ভালো ছিলো। ধন্যবাদ
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া ।সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
খুব সুন্দর একটি রেসিপি শিখলাম বৌদি। আপনার রেসিপির মধ্যে রয়েছে নতুনত্ব। আমি অবশ্যই এই রেসিপিটি তৈরি করার চেষ্টা করবো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ফুল কপির ডাটা যে খাওয়া যায় এই প্রথম জানলাম।আর কুমড়োর বড়াতো খুবই মজার একটি খাবার তবে যারা পছন্দ করে তাদের জন্য।আমি তেমন একটা খাইনা আমার ভালো লাগে না।আপনার রান্নাটা দেখে মনে হচ্ছে খাবারটা অনেক মজা হয়েছে এবং পুষ্টিকর একটি খাবার,রংটিও খুব সুন্দর হয়েছে।অনেক ধন্যবাদ বৌদি আপনাকে।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।
যেকোনো বড়া খেতে খুবই মজার হয়।তাছাড়া অনেক তরকারির সমন্বয়ে আপনার রেসিপিটি তৈরি সেহেতু এটি অনেক স্বাদের ও পুষ্টিকর ও।ধন্যবাদ বৌদি।
তোমাকেও ধন্যবাদ।
আসলেই কুমড়া বড়ি দিয়ে ফুলকপি এর ডাটা চচ্চড়ি অনেক ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর ভাবে পরিবেশন করেছেন আপনি যা দেখার মত ছিল শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ ভাইয়া।
খুব ভালো একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। সাধারণত ফুলকপির ডাটা গুলো ব্যবহার করা হয় না। তবে এগুলো ব্যবহার করেছে সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। যেটি দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমি ও আগে ডাটা ফেলে দিতাম। জানতাম না যে এটা খাওয়া যায়।
বৌদি এই তরকারি সাদা রুটি বা গরম ভাত দিয়ে খেতে মজাই আলাদা । সুন্দর বানিয়েছেন। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমি আমাদের এখানে এই কুমড়ো বড়ি অনেক খুঁজেছি। কিন্তু কষ্টের ব্যাপার হচ্ছে কোথাও পাইনি।আচ্ছা বৌদি এটা খেতে কেমন হয়?
আপনার রান্না গুলো খুব সুন্দর হয় আর বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। খুব ভালো লাগে আমার।
আজকের খাবারটি অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর ছিলো।
কুমড়ো বড়ি খেতে ভালো লাগে। কিন্তু অনেকেই এটা পছন্দ করে না। ধন্যবাদ আপু।
উত্তর দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ বৌদি।
ভিন্ন ধরনের একটি রেসিপি। আমার কখনো খাওয়া হয়নি এটি।
বাড়ীতে একদিন রান্না করে ট্রাই করে দেখুন।আশা করি ভালো লাগবে।
অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করলেন।শাকসবজি এমনিতেই পুষ্টিগুণ সম্পন্ন থাকে। বাঙালি শাকসবজি প্রিয় হয়।আপনার রেসিপিটি আমার কাছে চমৎকার লেগেছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল দিদি।
ধন্যবাদ, সুন্দর মন্তব্যে করার জন্য।