বাঙালি রেসিপি " ডাল-চিংড়ি বড়ার কষা" ।
Hello
বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সবাই ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে একটি পুরনো দিনের রেসিপি শেয়ার করবো। আমি প্রথম এটি তৈরি করবো।আগে কখনও আমি রান্না করিনি কিন্তু অনেক আগে আমি এটা খেয়েছিলাম। আজ আমি নিজে তৈরি করবো। আজ আমি " ডাল বড়ার কষা " আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। চলো তাহলে শুরু করা যাক।
উপকরণ:
১. মুগ ডাল - ২৫০ গ্রাম
২. তেল - ২ কাপ
৩. পেঁয়াজ - ১ কাপ
৪. আলু বড় সাইজের - ১ টি
৫. চিংড়ি মাছ - ২০০ গ্রাম
৬. জিরা - ২ চামচ
৭. লবণ - ৪ চামচ
৮. হলুদ - ২ চামচ
৯. জিরা গুঁড়া- দেড় চামচ
১০. গরম মশলা - ১ চামচ
১১.শুকনো মরিচ গুঁড়া - ২ চামচ
১২. কাচা মরিচ কুচি- ৬ টি
মুগ ডাল
জিরা গুঁড়া, লবণ, হলুদ, শুকনো মরিচ গুঁড়া, তেল, কাচা মরিচ ও গরম মশলা।
![IMG_20210714_201756.jpg](
পেয়াঁজ কুচি
চিংড়ি মাছ
প্রস্তুত প্রণালী:
১.প্রথমে আমরা মুগ ডাল জল দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে ৮-১০ ঘণ্টা।
২. এরপর ভেজানো ডাল ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
৩.ব্লেন্ড ডাল এর মধ্যে এক কাপ এর অর্ধেক পেয়াঁজ কুচি ও পরিমান মতো লবণ হলুদ, শুকনো মরিচ গুঁড়া ১ চামচ ও কাচা মরিচ কুচি দিতে হবে। অল্প অল্প করে জল দিয়ে ভালো করে মেখে নিতে হবে।একটা মন্ড তৈরি করে নিতে হবে।
৪. চুলায় কড়াই বসিয়ে তেল দিয়ে গরম করে নিতে হবে।তেল গরম হলে ছোটো ছোটো বলের মতো করে দিতে হবে।
৫. ২ মিনিট পর পর উল্টাতে হবে। এভাবে বাদামী রং করে ভেজে নিতে হবে। ভাজা হলে একটা বাটিতে নামিয়ে নিতে হবে।
৬. আবার চুলায় কড়াই বসিয়ে আবার তেল দিয়ে গরম হলে ২ চামচ জিরা দিয়ে একটু নেড়ে নিয়ে চিংড়ি মাছ দিয়ে ৫ মিনিট ধরে ভেজে নিতে হবে। চিংড়ি মাছ ভাজা হয়ে গেলে তাতে বাকি পেঁয়াজ ও আলু দিয়ে ২ ভেজে নিতে হবে। এরপর হলুদ, জিরা গুঁড়া, শুকনো মরিচ গুঁড়া ও পরিমান মতো লবণ দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে। কষানো হলে ৪ কাপ জল দিয়ে দিতে হবে। জল ফুটতে শুরু করলে কাচা মরিচ দিয়ে দিতে হবে। কোনো মশলা লাগলে দিতে হবে। এভাবে ৫ মিনিট ধরে রান্না করতে হবে। এরপর ভাজা ডালের বড়া গুলো দিয়ে আরো ৫ মিনিট রান্না করতে হবে। এরপর গরম মশলা দিয়ে এক মিনিট কম আঁচে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। নামানোর আগে লবণ টেস্ট করে নামিয়ে নিতে হবে। একটু ঝোল ঝোল রেখে নামতে হবে। ডালের বড়া গুলো ঝোল চুষে নেবে
৭. নামানোর ৫ মিনিট পর দেখবে ঝোল গাঢ় হয়ে গেছে।
তৈরি হয়ে গেল আমাদের ডাল বড়ার কষা। এটি গরম গরম ভাত এবং রুটির সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।
খুব সুন্দর হয়েছে বৌদি।দেখেই খেতে মন চাইছে।ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
চলে আসুন।
সময় পেলে অবশ্যই যাবো।আপনি ও সময় পেলে আপনার ফ্যামিলিকে নিয়ে চলে আসবেন আমাদের বাড়িতে।
হ্যা, আসবো।
বৌদি, খালি ক্ষুধা বাড়িয়ে দেয়। ভালো হয়েছে রেসিপিটা। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ,পোস্টটি পড়ার জন্য।চলে আসুন।
রেসিপিটি অনেক ভালো হয়েছে, এরকম আরো রেসিপি চাই।
ধন্যবাদ, আপনাদের সাপোর্ট পেলে এ রকম রেসিপি আবার ও দিবো।
দেখেই বুঝা যাচ্ছে যে, এটার স্বাদ চমৎকার হবে। আর ইতোমধ্যে আমার মাঝেও খাওয়ার লোভ জেগে উঠছে। তবে এখনো এর স্বাদ নেয়ার সুযোগ হয় নাই, দেখি একদিন ঠিক আমিও রান্না করে ফেলবো আপনারটা দেখে দেখে।
আপনি চলে আসুন কলকাতা। আমি আপনার প্রতিটা পোস্ট দেখি। আপনার পোস্ট গুলো আমার ভালো লাগে।
হ্যা, অবশ্যই দাদার সান্নিধ্য যখন পেয়েছি, কোলকাতা তো আসবোই নিশ্চিতভাবে।
শুনে খুশি হলাম আমার রেসিপিগুলো ভালো লাগে। ধন্যবাদ