"শান্তির নীড় শান্তি নিকেতন"শান্তি নিকেতনে সুন্দর মুহূর্ত কাটানোর ( চতুর্থ পর্ব )
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। গতকাল আপনাদের সাথে শেয়ার
করেছিলাম কোপাই নদী ও শালবন। নববর্ষের পরের দিন সকালে দিকে আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো বুদ্ধ মূর্তি ও অন্যান্য আরো কিছু জায়গায় ঘুরে দেখার। সেই উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা বেরিয়ে পড়লাম।বাইরে ছিলো প্রচন্ড গরম আর রৌদ্রের প্রচন্ড তাপ। আমদের বেশি কষ্ট হয়নি কারণ আমরা ছিলাম এসি গাড়ির ভেতরে ছিলাম। আমরা খোয়াই নদীর উপর দিয়ে গিয়েছিলাম। বুদ্ধ পূর্ণিমার সময় সময় এখানে অনেক সুন্দর ভাবে সাজানো হয়।
বুদ্ধ মূর্তির কাছ থেকে ঘুরে আমরা খোয়াই নদীর পাড়ে শাল বনের কাছে গাড়ি থামলাম। গরমে খুব খারাপ লাগছিলো তাই ভাবলাম ঠান্ডা কিছু বা শরবত কিছু খেতে পারলে ভালো লাগতো। আর র দিকে টিনটিন বাবুও গরমে অস্থির হয়ে গিয়েছিলো। টিনটিন বাবু এই
গরমে একটানা জার্নি আমাদের সাথে। ও এই প্রথম এত বড় জার্নি করেছে। টিনটিন বাবু বেশি গরম লাগাতে পারে না। ও সারাদিন এসি রুমে থাকে ছেলেবেলা। সত্যি বলতে আমি ভাবতেই পারিনি ও এই ভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘুরতে পারবে।ওই দুই দিনের ভিতর এই প্রথম গরমে অস্থির হয়ে উঠেছিলো।তাই আমরা শালবনের ভিতর গাড়ি পার্কিং করলাম। গাড়ি থেকে নেমে দেখি একজন আইসক্রিম ওয়ালা আইসক্রিম বিক্রি করছে।আমি তাকে বললাম কি আইসক্রিম আছে। লোকটি বলল নারকেল আইসক্রিম, মালাই আইসক্রিম ও পেপসি। পেপসি নাম শুনে আমার ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে গেলো।আমি ছেলেবেলায় প্রচুর পরিমাণে পেপসি খেতাম। আমার খুব পছন্দের একটা খাবার ছিলো।আমি শহরের দিকে এসে অনেক খুঁজেছি কিন্তু পাইনি।
আমাদের সবাইকে পেপসি দিচ্ছে।
আমার ছেলেবেলার স্টাইলে পেপসি খাওয়া
ছেলেবেলায় আমি দুই টাকা নিয়ে দৌড়ে চলে যেতাম পেপসি কিনতে। তখন এর এক পিস এর দাম ছিলো ২ টাকা। এখন এর দাম হয়েছে এক পিস ৫ টাকা। আমি বললাম বললাম ৮ পিস পেপসি দিতে। এরপর আমরা সবাই মিলে খেলাম। আমি একা খেয়েছিলাম ৫ পিস। বলতে পারেন অনেক বছর পর পেয়েছিলাম তাই আর লোভ সামলাতে পারিনি। এটা দেখে আপনাদের দাদা
বললো এতো খাওয়া ঠিক না । তোমার এত যখন পছন্দের তখন তুমি বাড়ীতে তৈরি করে খাবে। আমি তৈরি করার সরঞ্জাম কিনে দেবো। তাই আর ইচ্ছা থাকা সত্বেও খেতে পারলাম না। এরপর আপনাদের দাদা গেলো আম পান্না খেতে। আমাকে বললো খেতে কিন্তু আমি খেলাম না। শুধু একটু গরমে কাচা আম মাখা নেও। আমি কাচা আম মাখা খেতে খুব পছন্দ করি। খাওয়া দাওয়া করে একটু ঘুরা ঘুরি করে হোটেলে রওয়ানা দিলাম। আর একটু ঘুরার ইচ্ছা ছিল কিন্তু বাবুর খুব কষ্ট হচ্ছিল তাই আর না ফিরে এলাম।
আজ এই পর্যন্তই আগামী দিন নতুন আর একটি পর্ব নিয়ে আসবো। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।
বৌদি আপনার ছোটবেলার স্মৃতির সাথে পেপসির একটি সেতুবন্ধন রয়েছে। আপনি অনেকদিন পর পেপসি দেখে লোভ সামলাতে না পেরে একসাথে ৫ টা খেয়ে ফেলেছে। আমি হয়তোবা পাঁচটা খেতে পারব না তবে দুটা পেপসি একসাথে খেতে পারব। ছোট বেলার স্মৃতি গুলো মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
বৌদি আপনার লেখাগুলো পড়ে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল বারবার। ছোটবেলায় আমিও অনেক খেয়েছি এই পেপসি। আমি এখনো মাঝে মাঝে খাই। আমার এই পেপসি খেতে ভালোই লাগে। এই গরমে টিনটিন বাবুর মনে হয় একটু কষ্ট হয়েছে। কারণ ও খুবই ছোট।যাইহোক আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার কাটানো মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি বৌদি। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
বৌদি আপনার পেপসি খাওয়ার স্টাইল দেখে আমরা ছোট্টবেলার সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল। বাড়ির বাইরে আইসক্রিম এর দোকান আসলেই আমি আইসক্রিম না কিনে পেপসি কিনে খেতাম। কিন্তু আমি আমার বাচ্চাদের এইসব খেতে দেই না। যাইহোক বৌদি আপনার পেপসি খাওয়ার স্টাইল দেখে মনে হচ্ছে আপনি খুব পছন্দ করেন তাই বলে সবাই মিলে ৮ পিস। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বুঝতে পারলাম শান্তিননিকেতন এর পরিবেশটা অনেক সুন্দর। ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
শান্তিনিকেতনের পর্বগুলো পড়তে অনেক ভালো লাগছে আপু। আপনারা পরিবার নিয়ে অনেক সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন। টিনটিনের যদি একটা সমবয়সী সঙ্গী থাকতো তাহলেও আরো অনেক খুশি হত। পেপসি কে আমরা আইসমালি ললি বলি আপু। আমার অনেক পছন্দের। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
হায়রে! গরমে ঘুরতে ভালো লাগছে বৌদি? সত্যি করে বলো। আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি। এই গরমে কিভাবে ঘুরলে!
বুদ্ধ দেবের মূর্তির আশেপাশের জায়গাটা বেশ ভালোই লাগলো দেখতে এবং আপনাদের ভ্রমণ কাহিনীটাও বেশ লাগলো , তবে একাই পাঁচটা পেপসি খেয়েছেন । বৌদি ঠান্ডা লেগে যেতে পারে । সর্বোপরি ভালোই ছিল , অপেক্ষায় থাকলাম পরের পর্বের ।
শান্তিনিকেতনের ভ্রমণে চতুর্থ পর্বের ফটোগ্রাফি এগুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আজকে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন এবং মুহূর্তগুলো সত্যিই অসাধারণ। ছোটবেলা পেপসি খাওয়ার দৃশ্যটা দেখে আমারও মনে পড়ে গেল ছোট বেলা আমিও এভাবে পেপসি খেতাম বৌদি।
বৌদি শান্তি নিকেতনে কাটানো আপনার এবারের পর্বটি অন্য রকম ছিলো।দারুণ সময় অতিবাহিত করেছেন সেখানে।বৌদ্ধমূর্তি শালবন সহ আরো অনেক জায়গায় সময় কাটালেন। সবচেয়ে ভালো লেগেছে এটা শুনে যে আপনি ছোটবেলার স্টাইলে পেপসি খাচ্ছেন। আসলে এমন স্টাইলে আমি ও খেতাম।অদ্ভুত মজা লাগতো।আর দাদা ঠিক বলছে একসাথে অনেক গুলো খেলে পেট ব্যথা করতে পারে। ধন্যবাদ সময় গুলো শেয়ার করার জন্য।
বৌদি আম পান্না কি তা ঠিক বুঝতে পারিনি।
এই পেপসি আমিও ছোট বেলায় খেতাম,তবে নাম ঠিক পেপসি বলতাম না।কি বলতাম তা নিজেও ভুলে গিয়েছি।
কাল কোপাই আজ খোয়াই নদী। দুইটার নামের অনেক মিল আছে। বুদ্ধ মূর্তিটা অনেক বড়। এবং আমার ছোটবেলা ২০০৮-১০ সালে আমি এই পেপসি খেয়েছি দুই টাকা করে। আপনার সময়ে আরও কম হওয়ার কথা ছিলো। গরমে পেপসি দেখেই তো আমার খেতে ইচ্ছা করছে হা হাহা।