বাঙালি রেসিপি " চালতার চাটনি"
Hello
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো " চালতার চাটনি"। এখন বাজারে প্রচুর পরিমাণে চালতা পাওয়া যায়। চালতা আমাদের অতিপরিচিত একটি ফল। বিশেষ করে এর পরিচিতি মজাদার আচারের গুনে।চালতা গাছ দেখতে অনেক সুন্দর। বাসা বাড়ীতে শোভাবর্ধক হিসেবে লাগানো হয়। চালতা টক জাতীয় ফল। চালতা ভারত, শ্রীলংকা, চিন, থাইল্যান্ড ,মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনাম প্রভৃতি অন্যান্য দেশের জন্মে। পাকা অবস্থায় আচার ডাল ও অন্যান্য সবজির সঙ্গে রান্না করে খাওয়া যায়। চালতা দামে সস্তা এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, ক্যালরি ,প্রোটিন , ফসফরাস রয়েছে। চালতা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।আজ আমি চালতার চাটনি করবো।এটি আমি অনেক দিন আগে খেয়েছিলাম।ভাবলাম আজ একটু রান্না করি।আর চালতা আমার খুব প্রিয় এবং পছন্দের একটি ফল। এটি খেতে খুবই সুস্বাদু।তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
উপকরণ:
১. চালতা - ২ টি
২. কালো সরিষা - ১ চামচ
৩. চিনি - ৩ চামচ
৪. তেল - ৪ চামচ
৫. লবণ - ১ চামচ
৬. হলুদ - ১ চামচ
চালতা
কালো সরিষা
চিনি
প্রস্তুত প্রণালী:
১চালতা ছোটো ছোটো টুকরো করে কেটে নিতে হবে।কাটার পরে জল দিয়ে ধুয়ে পরিস্কার করে নিতে হবে।
২. চুলায় কড়াই থেকে দিয়ে জল দিয়ে দিতে হবে। জল ফুটতে শুরু করলে কেটে রাখা চালতা দিয়ে দিতে হবে। চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিতে । সামান্য লবণ ও হলুদ দিতে ।
৩. এভাবে ২০ মতো মিনিট ধরে রান্না করতে হবে। চালতা সেদ্ধ হলে জল ঝরিয়ে একটা পাত্রে নামিয়ে
নিতে হবে।
৪. সেদ্ধ চালতা শীলে চেঁচে নিয়ে হবে।
৫. চুলার উপর আবার কড়াই বসিয়ে দিয়ে তেল দিয়ে দিতে হবে। তেল গরম হয়ে ১ চামচ কালো সরিষা দিয়ে একটু ভেজে নিয়ে সেদ্ধ চালতা দিয়ে দিয়ে একটু নেড়ে নিয়ে ২ কাপ জল জল দিয়ে দিতে হবে।
৫. ঝোল ফুটতে শুরু করলে ১ চামচ লবণ ও ১ চামচ হলুদ দিয়ে দিতে হবে।এভাবে ১০। মিনিট ধরে রান্না করার পর ৪ চামচ চিনি দিয়ে আরো কিছুক্ষন ধরে জ্বাল দিতে হবে।
৬. ঝোল গাঢ় হয়ে গেলে লবণ টেস্ট করে নামিয়ে নিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল আমাদের সুস্বাদু চালতার চাটনি। এটি গরম গরম পরিবেশন করতে হবে। এটি গরম ভাতের সঙ্গে ও পরিবেশন করা যায়।
পৃথিবীর প্রায় সকল মানুষ চাটনি খেতে খুব ভালো বাসেন। আর এই বর্ষাকালে চালতার চাটনি খেতে সবাই পছন্দ করেন।আপনার রেসিপিটা অনেক সুন্দর হয়েছে।আপনার উপস্থাপনা ও বর্ণনা ভালো ছিলো।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
সকাল সকাল বৌদি এইভাবে আমার জিভে জল নিয়ে এসে ফেললেন ।এইটা কেমন বিচার ।ভালো বানিয়েছেন বৌদি । শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আচার বা চাটনি মানে জিভে জল। এগুলো লোভনীয় খাবার, দেখলেই খেতে ইচ্ছা করে চালতার আচার তৈরি করতে পারে কিন্তু একবারও চালতার চাটনি তৈরি করা হয়নি। আপনার মাধ্যমে রেসিপি টা শিখে নিলাম অবশ্যই চেষ্টা করবো ধন্যবাদ আপনাকে বৌদি। অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এক এক জনের রান্নার ধরণ ও এক এক রকম। সকলের রেসিপি দেখে আমিও নতুন কিছু শিখি। খুব সুস্বাদু রেসিপি। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য বৌদি
আচারের নাম শোনা মানেই জিভে জল চলে আসা।চালতার আচারের রেসিপিটা অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।ধাপে ধাপে বর্ণনা দিয়ে তৈরির পদ্ধদি খুব সহজ ভাবে শিখিয়ে দিয়েছেন।সেই সাথে চালতা সম্পর্কে অনেক তথ্য আমাদের অবগত করেছেন।
অনেক ধন্যবাদ দিদি রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া এটি চালতার আচার না একে বলে চাটনি।
চালতার চাটনি। চালতার আচার আমার খুবই প্রিয়। আচারটা দেখতে খুবই সুন্দর হয়েছে। এবং বরাবরের মতোই আপনার রেসিপি টা অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।।
চাটনি জিনিসটা এমনিতে খেতে খুবই ভালো লাগে। তবে আমি কিছুদিন আমার দাতেঁর সমস্যার কারণে, এধরনের খাবার খেতে পারি না। ডাক্তার নিশেদ্ধ করেছেন। আপু আপনার চালতার চাটনির রেসিপিটা অসাধারণ হয়েছে। সবগুলো ধাপ যেন নিখুদ ভাবে সাজানো। আপনার সবগুলো রেসিপিই অসাধারণ হয়ে থাকে। শুভ কামনা রইল আপু । এভাবেই আমাদেরকে সুন্দর সুন্দর রেসিপি উপহার দিয়ে যান।।
খুব সুন্দর হয়েছে রেসিপিটি বৌদি।আমি চালতা রান্নার নিয়ম জানি না, আপনার মাধ্যমে শিখে নিলাম।চালতা কেমন নালাযুক্ত ,এইজন্য কি সেদ্ধ করে জল ফেলে দিতে হয় বৌদি? ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যা, আগে চালতা সেদ্ধ করে নিলে খুব ভালো হয়। এবং তাড়াতাড়ি রান্না হয়ে যায়।
আমাদের গাছেও চালতা হয়।চালতার আচার বানিয়ে খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ দিদি আপনাকে
চালতার চাটনি শুনেই জিভে জল চলে আসল। অনেক সুন্দর হয়েছে আপু। শুভেচ্ছা রইল আপু আপনার জন্য।