শীতের মধ্যে পুকুর থেকে জাল দিয়ে মাছ ধরা দেখা
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাইকে জানাই আমার সালাম। আসসালামু-আলাইকুম। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় সুস্থ আছি এবং ভালো আছি।
আজ একদম ভিন্ন পোস্ট নিয়ে চলে আসলাম। গ্ৰামে কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত খুব ভালো যাচ্ছে। শীতের সৌন্দর্য আর শীতের অনুভূতি গ্ৰামে না আসলে অনুভব করা সম্ভব নয়। সকাল সকাল শীতের মধ্যে এভাবে পুকুর থেকে মাছ ধরা দেখতে কিন্তু বেশ ভালো লাগে। তাই আব্বুর সাথে মানে আমার শ্বশুরের সাথে মাছ ধরা দেখতে চলে গেলাম। আমাদের দিকে এই দৃশ্য খুব কমই দেখা যায়। কারণ আমাদের গ্ৰামে পুকুর নদনদী খুব কম তাই বলে পানির সমস্যা কিংবা মাছের সমস্যা নেই। তার অবশ্য কারণ রয়েছে ঢাকার পার্শ্ববর্তী গ্ৰাম বলে সমস্যা নেই। কিন্তু আমার শ্বশুর বাড়ি সব কিছু থেকে আলাদা তাদের দিকে পুকুর নদনদী যেমন বেশি তেমনি সবকিছুর সমস্যাও রয়েছে। তাদের বাড়ির সামনেই বড় পুকুর রয়েছে। শুনেছি এই পুকুর অনেক পুরোনো। আমার দাদি শ্বাশুড়ি ওনারও এই পুকুরে গোসল করেছেন।
বৃষ্টির সময়ে সম্পূর্ণ পুকুর পানিতে ভরা থাকে আর আমরা সেখানেই গোসল করি। এখন যেহেতু শীতকাল তাই একদম পানি শুকিয়ে গিয়েছে। তারজন্য মাঝে মাঝেই জাল দিয়ে মাছ ধরা হয়। পুকুর কাটা হবে এবং মাছ ছাড়া হবে বলে প্রায় সময় আমার শ্বশুর অল্প অল্প মাছ ধরে। আমরা এসেছি বলে তার নাতিকে গতকাল আমার শ্বশুর বলছিল চলো মাছ ধরবো দেখবা। চিন্তা করলাম তাহলে কিছু ফটোগ্রাফি করে নেই কাজে লাগবে।
তাদের পুকুরে তেলাপিয়া মাছে ভরা আর আমি এই মাছ একদমই পছন্দ করিনা। তাই বেশ কয়েক মাস আগে আমার জন্য কিছু অন্য মাছ ছাড়া হয়। তবে ঐ মাছের নাম জানা নেই। আমি পরিচিত কিছু মাছ ছাড়া তেমন মাছ চিনিনা। তখন আমার হাতে একটা ব্যাগ ধরিয়ে দেওয়া হলো আব্বুর পিছনে ঘোরাঘুরির জন্য। আমি পুকুরের চারপাশে ব্যাগ নিয়ে ঘুরঘুর করতে লাগলাম।
সব মাছগুলো শীতের জন্য মাঝখানে গিয়ে বসে ছিল। তাই মাছ ধরতে খুব সমস্যা হচ্ছিল। প্রথমে জাল ফেলার পর মাত্র একটি মাছ উঠলো। তাও আবার আমার পছন্দের মাছ। এরমধ্যে মাছের ঘ্রাণ পেয়ে বিড়াল চলে আসলো। জালের মধ্যে যে ছোট ছোট মাছ উঠে সেগুলো বিড়াল খায়। তখন একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম মা বিড়াল মাছ মুখে নিয়ে তার বাচ্চাদের দিচ্ছে। একেই মা বলে নিজে না খেয়ে সন্তান কে খাওয়ায়।
অবশেষে অনেক বার জাল ফেলতে ফেলতে বেশ কিছু মাছ পেলাম। আমার শ্বাশুড়ি এগুলো কোনো পিস করেনি। শুধু উপরের আঁশ ফেলে এমনেতেই ভুনা করে দিলো। খুব ভালো লাগলো আব্বুর পিছনে মাছের ব্যাগ নিয়ে ঘুরে আর আমার ছেলে আরও বেশি খুশি হয়েছে। কারণ ঢাকা শহরে তো এই দৃশ্য দেখা যায় না। যাই হোক আজ অনেক কথা বলেছি আবার দেখা হবে অন্য একদিন। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।






Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

বাজারে চাষের তেলাপিয়া মাছ থেকে পুকুরের তেলাপিয়া মাছ গুলো বেশি স্বাদ হয়। আপনার জন্য তেলাপিয়া ছাড়াও আরো দুইট মাছ উঠে ছিল। কারফু আর টেংরা মাছ মনে হয়। না কি পাঙ্গাসের বাচ্ছা বুঝতেছি না। ধন্যবাদ।
টেংরা ঠিক আছে তবে অপরটির নাম বলেছিল কিন্তু মনে নেই। হ্যাঁ ভাইয়া চাষের থেকে পুকুরের তেলাপিয়া বেশি মজাদার। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
আপনি দেখছি শীতের মধ্যে পুকুর থেকে জাল দিয়ে মাছ ধরার দৃশ্য আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ভীষণ ভালো লাগলো। মাছগুলো দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো এবং অনেক সুন্দরভাবে আপনি আপনার অনুভূতি ও দৃশ্যগুলি ফুটিয়ে তুলেছেন। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য
আপনার কাছে মাছগুলো ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।
আপনাদের পুকুর থেকে তো দেখছি অনেকগুলো তেলাপিয়া মাছ ধরেছেন আপু। আসলে এটা সত্য যে শীতের বেলায় পুকুরের পানি অনেক শুকিয়ে যায় কিন্তু পানি কমে গেলেও মাছ ধরতে অনেক কষ্ট হয় শীতের দিনে। খুবই ভালো লাগলো আপনার শেয়ার করা এই পোস্ট দেখে।
হ্যাঁ ভাইয়া শীতের সময়ে মাছ ধরা খুবই কষ্টকর। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু,,শীতের সৌন্দর্য আর শীতের অনুভূতি গ্ৰামে না আসলে অনুভব করা সম্ভব নয়। আর এই শীতের সকালে আপনি আপনার শ্বশুরের পিছু পিছু মাছের ব্যাগ নিয়ে ঘুরাঘুরি করেছেন এবং পুকুর থেকে জাল দিয়ে মাছ ধরার দৃশ্য উপভোগ করেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার আজকের পোস্টটি পড়ে।
আপু মাছ রাখার জন্য ব্যাগ নিয়ে পিছনে পিছনে ঘুরতে কিন্তু সেই আনন্দ। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
ওরে বাবা কত বড় বড় মাছ দেখতেছি। আপনার শ্বশুর তো অনেক মাছ ধরল। আপনাদের পুকুরে এত মাছ আমাদের জন্য কিছু পাঠিয়ে দিয়েন। বেশ ভালই বুদ্ধি করলেন মাছ ধরার সময় কিছু ছবি তুলে নিলেন। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি দেখে। আর ছবিগুলো ও আপনার আজকে কাজে। ঠিক বলেছেন এরকম ভাবে কখন কোন ছবিগুলো তুলে রাখলে আমাদের কাজে লাগবে আমরা বলতে পারি না। বেশ ভালোই ভাবে গুছিয়ে পোস্টটি শেয়ার করলেন।
হ্যাঁ আপু মাছগুলো বেশ বড় বড় ছিল। এমন সুযোগ কি হাত ছাড়া করা যায় তাই ফটোগ্রাফি করে নিলাম। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন পুকুর থেকে জাল দিয়ে মাছ ধরা দেখার অনুভূতি। আসলে আমাদের এলাকায় বেশ পুকুর রয়েছে আপু আমাদের এলাকায় এরকমভাবে অনেকেই মাছ ধরে থাকে দেখতে বেশ ভালোই লাগে। তবে আপনাদের এলাকায় পুকুরে হয়তো মাছের খাবার দেওয়া হয় না সে কারণে মাছগুলো দেখতে বেশ ছোট আকৃতির। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
শীতকালে এরকম মাছ ধরার অনুভূতিটা আসলেই আলাদা। আর আপনারা তো দেখলাম বেশ মজা করেই মাছ ধরতেছেন। অনেক বড় বড় তেলাপিয়া মাছ পেয়েছেন। আপনাদের এলাকার পুকুরের মধ্যে বেশ ভালই মাছ চাষ হয় মনে হয়। খুব সুন্দর ভাবে মাছে ধরার মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন। কিছু স্মৃতি এরকম ভাবে প্রকাশ করলে বেশি ভালো লাগে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল।
হ্যাঁ ভাইয়া এই পুকুরে অনেক তেলাপিয়া মাছ রয়েছে। পানি কমে যাওয়ায় বেশি ধরা যায়নি। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
এই শীতে তাও আবার ঠান্ডা পানিতে নেমে মাছ ধরা এটা কিন্তু শুধু নেশা বললে হবে না এটা একটা পেশা বলা যায়। তবে এটা অনেক নেশার একটা কাজ। তবে আমরা যখন উপর থেকে দাঁড়িয়ে এই ঠান্ডা পানিতে মাছ ধরা দেখি তখন আমাদের গা যতোটা শিউরে উঠে ঠিক ততোটা পানির মধ্যে মাছ ধরে তাদের কিন্তু ততটা শীত লাগে না অর্থাৎ তারা অতটা শীত অনুভব করে না। তবে আপনি দেখছি শীতের মধ্যে পুকুরে মাছ ধরার বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া যারা পানিতে নেমে মাছ ধরে তাদের তেমন শীত লাগে। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
দেখেই বুঝা যাচ্ছে আপু পুকুরটা অনেক পুরনো। আর শীতকালে কিন্তু বড়শি দিয়ে মাছও তেমন ধরা যায় না। নরমালি জাল দিয়ে মাছ ধরতে হয়। আমাদের পুকুর থেকেও গতকাল জাল দিয়ে মাছ ধরেছিল। পুকুরের মাছের স্বাদ অন্যরকম
ঠিক বলেছেন আপু, শীতের সৌন্দর্য একমাত্র গ্রামেই উপভোগ করা যায়। যাইহোক জাল দিয়ে কিংবা বঁড়শি দিয়ে মাছ ধরা দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। আপনার শ্বশুর তো অনেকগুলো তেলাপিয়া মাছ এবং অন্যান্য মাছও ধরেছেন। মাছের ব্যাগ নিয়ে শ্বশুরের পিছনে ঘুরঘুর করে কিন্তু লাভ হয়েছে। কারণ মাছের ফটোগ্রাফিও করতে পেরেছেন, আবার তাজা তাজা মাছ ভুনাও খেতে পেরেছেন। তবে এই শীতে এভাবে মাছ ধরা বেশ কষ্টকরও বটে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।