শেয়ার করো "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করার তোমার অনুভূতি || ১০% @shy-fox

💐প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে "আমার বাংলা ব্লগের" সবাইকে জানাই হাজারো ফুলের শুভেচ্ছা💐

---

✋আমার প্রিয় বন্ধুরা✋

---

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।

---

আমি স্টিমিট সম্পর্কে প্রথমে তেমন বেশি কিছু জানতাম না। একদিন হঠাৎ করে আমাদের বাসায় আমার ভাইয়ের বন্ধু আসে তার কাছ থেকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ"সম্পর্কে জানতে পারি। তারপর তার কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে "আমার বাংলা ব্লগে" কাজ করার যাত্রা শুরু হয়। আমি সবসময় আপনাদের সাথে ডাই, রেসিপি এবং আর্টসহ দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করি কিন্তু আজ সম্পূর্ণ ভিন্ন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। ভিন্ন পোস্ট বলতে আমাদের প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্পর্কে নিজের অনুভূতিগুলো শেয়ার করতে এসেছি। সবার প্রথমে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের প্রিয় @alsarzilsiam ভাইয়াকে বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এত সুন্দর একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য। আপনারা তো জানেন "আমার বাংলা ব্লগ" নিয়ে যদি নিজের অনুভূতির কথা বলা শুরু করি তাহলে আজ শেষ হবে না।

---

---

---

---

আমাদের সকলের প্রিয় @rme দাদা এবং তানুজা বৌদিকে নিয়ে নিজের কিছু অনুভূতি

---

প্রথমেই শেয়ার করছি আমাদের শ্রদ্ধেয় @rme দাদা এবং তানুজা বৌদিকে নিয়ে আমার নিজের কিছু অনুভূতির কথা। যাকে আমরা "আমার বাংলা ব্লগের" প্রতিষ্ঠাতা অথবা আমাদের অভিভাবক বা আমাদের মাথার উপরে বটগাছের ছায়া বলতে পারি তিনি হলেন আমাদের সকলের প্রিয় @rme দাদা। যার জন্য আজকে আমরা স্টিমিট প্লাটফর্মে নিজের ভাষাকে মন খুলে প্রকাশ করতে ও লিখতে পারছি। আমাদের সকলের প্রিয় দাদার কথা বলে শেষ করা যাবেনা। আমরা সবাই এত সুন্দর ও পরিপূর্ণ বাংলা ভাষার এইরকম একটা প্লাটফর্ম পেয়েছি শুধুমাত্র দাদার জন্য। এরপর আসি তানুজা বৌদির কথায় যাকে আমরা আমাদের দিদির মতো মনে করি। দাদার পাশাপাশি বৌদির অবদানও কোনো অংশে কম নয়। আমার কাছে বৌদিকে প্রথম থেকেই কেন জানি অনেক ভালো লাগে। বৌদির আর্ট,ডাই এবং রেসিপি দেখলে আমার অনেক ভালো লাগে। বৌদির ইউনিক রেসিপি গুলো দেখলে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।

---

এবিবি স্কুল নিয়ে আমার অনুভূতি

---

---

"আমার বাংলা ব্লগে" যখন আমি আমার পরিচিতিমূলক পোস্ট করেছি তখন আমার নামের পাশে নিউ মেম্বার ট্যাগ লাগানো হয়েছিল। কিন্তু কিছু কিছু ইউজারদের নামের পাশে ভেরিফাইড লেখা দেখে ভাবতাম আমার নামের পাশে কখন এই ট্যাগ দেওয়া হবে। এরপর জানতে পারলাম এবিবি স্কুল থেকে চারটা লেভেল পাশ করে পাঁচ নম্বর লেভেলে ভাইভা দিয়ে তারপর ভেরিফাইড মেম্বার ট্যাগ গ্ৰহণ করতে হবে। এরপর আমি নিয়মিত ক্লাস করতে শুরু করি। লেভেল ওয়ানের ক্লাসে @shuvo35 ভাইয়ার কথাগুলো খুব মনোযোগ সহকারে শুনতাম। ক্লাস শেষে @shuvo35 ভাইয়া আমাদের বলতেন যদি কিছু না বুঝে থাকি তাহলে যেন প্রশ্ন করি। কেউ যদি প্রশ্ন করতো তাহলে @shuvo35 ভাইয়া খুব সুন্দর ভাবে আমাদের বুঝিয়ে দিতেন।

---

যার কারণে আজ এত দূর আসতে পেরেছি এবং অনেক কিছু শিখতে পেরেছি তিনি আর কেউ নন আমাদের প্রিয় @nusuranur আপু। আমার কাছে নওরীন আপুর কথা সারা জীবন মনে থাকবে। আমি যে দিন লেভেল ওয়ানের ভাইভা দিয়ে পাশ করেছি সেই দিনই হঠাৎ করে নওরীন আপু আমাকে আবারো স্টেজে ডাকে। কিন্তু তখন আমি কথা বলার জন্য একদম প্রস্তুত ছিলাম না। আপু আমাকে মার্কডাউন সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন কিন্তু আমি সেই সময় কিছুই বলতে পারনি। তারপর আপু পরের দিন আমার সাথে পার্সোনাল কথা বলে। ঐ দিন আপু আমাকে অনেক কিছু বলেছিল যার কারনে আমি আজ এত দূর আসতে পেরেছি।

---

---

Source

---

---

"আমার বাংলা ব্লগের" সকল এডমিন এবং মডারেটর ভাইয়া এবং আপুদের কথা যতই বলি ততোই কম হবে। এরপর আস্তে আস্তে যত ক্লাসগুলো অতিক্রম করতে থাকি তত দেখি ক্লাসের মাধ্যমে অনেক নতুন নতুন বিষয় শিখতে পারছি। আর তার সাথে আমি নিয়মিত পোস্ট এনগেজমেন্ট চালিয়ে যাচ্ছিলাম। এবিবি স্কুল আমাকে প্রতিনিয়ত সার্পোট দিয়েছে। তারপর আস্তে আস্তে যখন সবগুলো লেভেল পার করে একদিন ভেরিফাইড লেভেল অর্জন করেছি। তখন মনে হচ্ছিল আমার এত দিনের প্ররিশ্রম সার্থক হয়েছে।

---

ভেরিফাইড মেম্বার হওয়ার পরে আমার কাজের আগ্রহ আরও বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু প্রথম কয়েক বার আমি এক্টিভ লিস্টে আসতে পারিনি। সুপার একটিভ লিস্ট সম্পর্কে প্রথম প্রথম বুঝতাম না। এরপর ডিস্কোর্ডে এমনকি প্রতি সপ্তাহের হ্যাংআউটে জয়েন করে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। আমাদের সাপ্তাহিক কাজের উপর হিসেব করে আমাদেরকে সুপার একটিভ লিস্টের টায়ারে আনা হতো। এখনো সেই ধারাবাহিকতায় কাজ করে যাচ্ছি। এখানে আমাদের শুধুমাত্র ইনকাম হয় তার জন্য কিন্তু আমরা কাজ করি না। আমরা কাজ করি মন থেকে, বিশেষ করে আমি কাজ করি আমার ভালো লাগা থেকে।

---

---

Source

---

---

নিজের কিছু কাজের অনুভূতি

---

আমি আগে তেমন কোনো আর্ট, পেইন্টিং বা ডাই বানানো হতনা। তবে হ্যাঁ বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করেছি আমি কিন্তু ভালো বলে উৎসাহ দেওয়ার মতো কেউ ছিল না। কিন্তু "আমার বাংলা ব্লগে" জয়েন হওয়ার পর সবাই যখন আমার রেসিপি দেখে প্রশংসা করেছিল তখন আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এখানে আসার পরে সবার ডাই, পেইন্টিং ও আর্ট পোস্ট দেখে যখন আমি নিজেও করা শুরু করেছি এবং আপনারা আমাকে মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করেছেন তখন আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। তার সাথে আমি ফটোগ্রাফিও করতে অনেক পছন্দ করি। খুব বেশি না হলেও কিন্তু আমি ফটোগ্রাফি পোস্ট করতে পছন্দ করি। এরপর আসি কবিতার কথায়। আমি নিজে থেকে কখনো কবিতা লিখিনি। কিন্তু "আমার বাংলা ব্লগে" যখন কবিতার কনটেস্ট দেওয়া হয়েছিল তখন নিজে থেকেই একটা কবিতা লিখেছিলাম। পরে দেখি আমি কবিতার প্রতিযোগিতায় ষষ্ঠ স্থান অধিকার করি। সেদিন মনে হয়েছিল আমি কবিতা লিখে সার্থক হয়েছি। সত্যি বলতে কি "আমার বাংলা ব্লগে" নিজের কাজের কথা বলে শেষ করা যাবে না।

---

---

আমাদের সকলের প্রিয় এডমিন এবং মডারেটর ভাইয়া এবং আপুদের নিয়ে নিজের কিছু অনুভূতি

---

আমি মনে করি "আমার বাংলা ব্লগ" গড়ে ওঠার পেছনে দাদার যেমন অবদান রয়েছে, তেমনি সকল এডমিন এবং মডারেটর ভাইয়া ও আপুদেরও অনেক অবদান রয়েছে। প্রথম দিন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত উনাদের সাথে কত ধরনের অনুভূতি জড়িয়ে আছে তা বলার বাহিরে। এবিবি স্কুলের ক্লাস করার সময় দেখেছি ভাইয়া এবং আপুরা আমাদের বুঝানোর জন্য কত পরিশ্রম করেছেন। এমনকি তাদের কাছ থেকে অনেক কিছুই শিখতে পেরেছি আর প্রতিটা পদক্ষেপে তাদেরকে পাশে পেয়েছি।

---

যে কোন কাজ করতে গেলে এমন কি কোন সমস্যা হলে সব কিছুতেই যেন তারা ঢাল হয়ে আমাদের পাশে রয়েছে। তারা সবাই যদি এরকম ভাবে আমাদের পাশে না থাকতো তাহলে মনে হয় আমরা সঠিক নিয়ম পালন করে সঠিকভাবে কাজ করে যেতে পারতাম না। এই তো গতকাল আমি যখন আমার wallet থেকে TRX ট্রান্সফার করে polonix এ নিয়ে গেলাম তখন আমি জানতে পারি আমার polonix account ফ্রিজ হয়ে গেছে। তখন সাথে সাথে টিকেট কেটে @moh.arif ভাইয়ার সাথে কথা বলি। ভাইয়া আমাকে খুব সুন্দর ভাবে সবকিছুর সমাধান করে দেয়। আমি কবিতার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য একটি সুন্দর কবিতা লিখি। তারপর সেখানে একটি ছবি দিতে হবে কিন্তু সে ছবিটি দেওয়ার সময় আমি একদম ভুলে গিয়েছিলাম যে এবিবি স্কুল থেকে আমি শিখেছি সেখান থেকে ছবি নিয়ে দিতে হবে। তারপর আমি সেই চিন্তা না করে গুগল থেকে ছবি নিয়েয দিয়েছিলাম। পরের দিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি @rex-sumon ভাইয়া আমাকে Under Surveillance দিয়ে রেখেছেন। আমি সাথে সাথে টিকিট কেটে ভাইয়ের সাথে কথা বলি এবং ভাইয়া আমাকে সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দিয়ে আমার নামের পাশ থেকে এই লেখাটা উঠিয়ে নেন।

---

---

এরপর আসি @hafizullah ভাইয়াকে নিয়ে আমি সব সময় উপভোগ করতাম প্রতিটা হ্যাংআউটে সবাই যখন ভাইয়ের কাছ থেকে ৫ স্টিম পুরস্কার পেতো। আমি সবসময় চিন্তা করতাম কবে আমি হতে পারবো। হঠাৎ করে একদিন আমি টায়ারে এসে ৫ স্টিম পুরস্কার পেয়েছিলাম সত্যি ওই হ্যাংআউটে আমার জন্য অনেক স্পেশাল ছিল এবং আরো বেশি সাহস হয়েছিল কাজের। তারপর আসি @winkles দাদাকে নিয়ে আমি প্রথমে শুধু দেখতাম হ্যাংআউট সবাই স্টিম জিতে দাদার কমেন্ট করে। তারপর নিজের মনের ভিতরে একটা অনুভূতি সৃষ্টি হল দাদা পোস্টে কমেন্ট করব। আসলে কমেন্ট করতে গিয়ে যেটা মনে হয়েছিল আমার স্টিমের জন্য শুধু কমেন্ট করা না, দাদা প্রতি সপ্তাহে যে পোস্ট গুলো করে আমি খুব উপভোগ করি এবং ভালো কমেন্ট করার চেষ্টা করি এবং হ্যাংআউট আসলে অন্য ধরনের একটা ফিলিংস হয় দাদার মুখে যখন নামটা শুনি। এরপর আসি @rupok ভাইয়াকে নিয়ে আমার সবচেয়ে ভাল লাগতো যখন ভেরিফাইড মেম্বার হলাম তারপরে প্রায় সব পোস্টে ভাইয়ার কমেন্ট এবং আমি যতগুলো পোস্টে ভুল করেছি সব গুলো পোষ্টের ভুল হাতে ধরিয়ে দিয়েছে। আমি সব সময় তখন মনে করতাম এটাই হলো শিক্ষা এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি।

---

---

তারপরে @ayrinbd আপুর কথা সবসময় মনে থাকবে। কারণ প্রথম যখন স্টিমিট আসি তখন আমি রেসিপি পোস্ট করেছিলাম কিন্তু সেই রেসিপি পোস্টে আমি হাতে কাগজ নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম প্রোফাইলের ছবিতে। কিন্তু সেই সময় টা বুঝতে পারিনি আমার ওই পোস্ট হয়েছিল কোন লেভেলের এক্সাম এর মত। সেই দিন আপু সুন্দর করে আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছিল তার প্রোফাইলে গিয়ে তার রেসিপি পোস্ট দেখার জন্য। সত্যিই ঐদিন অনেক কিছু অর্জন করতে পেরেছিলাম। আর @tangera আপু কথা সবসময় মনে থাকবে কারণ তিনি আমাদের জন্য অনেক কষ্ট করে যাচ্ছে প্রতি সপ্তাহে। অনেক দূরে বসে আমাদের সাথে প্রতি সপ্তাহে খুব ভালো কমিউনিকেশন করে যাচ্ছে এবং প্রতি সপ্তাহে সবার পোস্ট ভিজিট করে যাচ্ছে যারা কোয়ালিটি পোস্টে ভোট পাচ্ছে না। সত্যি এটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটা পাওয়া। আমাদের দাদা সব সময় আমাদের জন্য চিন্তা করে তার প্রমাণ এই আপুকে নিয়ে আমাদের মনিটরিং করা।

---

---

আমাদের সকলের প্রিয় @ blacks দাদা এবং স্বাগতা আপুকে নিয়ে নিজের কিছু অনুভূতি

---

আমার কাছে ছোট দাদার লেখা কবিতাগুলো সবথেকে বেশি আকৃষ্ট করে। প্রথমেই বলি আমি কিন্তু প্রায় সময় দাদার লেখা কবিতাগুলো পড়ে থাকি। কিন্তু কমেন্টের যদি কিছু ভুল হয়ে যায় এজন্য ভয়ে কমেন্ট করি না। কিন্তু তাই বলে এই নয় যে আমি পোস্টগুলো পড়ি না। আমার বাংলা ব্লগে ছোট দাদার অনেক বড় একটা অবদান রয়েছে। তার কথা এবং কাজ দুটোই আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আর বলি প্রথম থেকেই স্বাগতা দিদিকে আমার ভীষণ ভালো লাগে। কিন্তু তখনো কিছুই জানতাম না। যখন ছোট দাদা এবং স্বাগতা দিদির সম্পর্কের কথা জানতে পারি তখন আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। উনাদের দুজনকে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমি চাইবো সারাজীবন যেন তারা একসাথে খুবই ভালো এবং আনন্দে থাকে। তার সাথে যেন দুইজনে একসাথে "আমার বাংলা ব্লগের" পাশে সবসময় থাকে।

---

---

আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।

---

---