অনেক দিন পর ঢেউয়া ফল খাওয়ার অনুভূতি।
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার এখনো ঈদের ছুটি কাটেনি। প্রতিদিন অনেক ব্যস্ততার মধ্যে সময় যাচ্ছে। আপনাদের কি ঈদের ঘুরাঘুরি আর ছুটি শেষ হয়ে গিয়েছে? আমি শ্বশুর বাড়িতে এসেছি তাই ব্যস্ততা খুব বেশি যাচ্ছে। বাড়ির বড় বউ বলে কথা তাই দায়িত্ব একটু বেশি হয়ে গিয়েছে। আজ আবার ননদের শ্বশুর বাড়ি থেকে মেহমান এসেছে তারজন্য সারাদিন ভাত খাওয়ারও সময় পাইনি। যাই হোক এত ব্যস্ততার মাঝেও আপনাদের সাথে নিজের মনের কথা একটু শেয়ার করতে পারলে অনেক ভালো লাগে।
তারজন্য আজ অন্যরকম অনুভূতি নিয়ে চলে আসলাম। অনেক দিন পর এই ফল দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনারা এই ফল চিনেন কিনা জানিনা তবে আমার খুব পছন্দের এই ফল। টাইটেল দেখে এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন কোন ফলের নাম বলছি। আমি আজ আপনাদের সাথে ঢেউয়া ফল খাওয়ার সুন্দর অনুভূতি নিয়ে এসেছি। এই ফল খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। সেই ছোটবেলায় খেয়েছি এরপর আর খাওয়া হয়নি।
এই গাছ খুব কম লাগানো হয়। কিন্তু কেন তা আমার জানা নেই। আমাদের বাড়ি থেকে কিছু দূরে কতগুলো হিন্দু বাড়ি ছিল। সেই বাড়িতে এই ঢেউয়া গাছ ছিল আর গাছটি অনেক বড় ছিল। আমরা মাঝে মাঝে স্কুলের টিফিন হলে চলে যেতাম সেই গাছের নিচে। যেই লোকের এই গাছ ছিল তিনি খুব ভালো ছিলেন। আমরা তখন যেতাম তখন বলতো তোমাদের যত লাগে নিয়ে যাও। তারপর হঠাৎ করে তাদের প্রয়োজনের জন্য সেই গাছ কেটে ফেলে। যেদিন গাছ কাটা হয়েছিল সেই দিনও আমরা বান্ধবীরা মিলে গিয়েছিলাম।
আঙ্কেল আমাদের ঐ দিন বললো তোমরা যত পার শেষ বারের মত নিয়ে যাও। আমাদের প্রয়োজনের জন্যে কাটতে হয়েছে। এরপর থেকে আর কোনো জায়গায় এই গাছ দেখতে পাইনি। তবে এত বছর পর এসে আমার চাচা শ্বশুরের ঘরের সামনে এই গাছ দেখে অবাক হয়ে গেলাম। কিন্তু গাছ ছোট হলেও অনেক লম্বা তাই গাছের ফটোগ্রাফি করতে পারিনি। একদিন বিকালে বাহিরে বসে ছিলাম তখন সেই গাছের উপরে চোখ যায়। তবে প্রথমে চিনতে পারিনি। এরপর আমার চাচা শ্বশুর কিছু ঢেউয়া এনে দিল।
আমি ছোটবেলায় যেটা খেয়েছি তার কোষ ছিল কাঁঠালের কোষের মতো আর মিষ্টি ছিল। কিন্তু এই টেউয়ার কোষ একদম ছোট আর টক লাগে। তবে লবণ মাখিয়ে খেতে খুবই ভালো লাগে। প্রথম কাঁচা দেখে দুটো দিয়ে যায়। আমি সেগুলো পাঁকার জন্য খড়ের ভিতরে রেখে দেই। আজ সকালে চাচা আবার আরো একবাটি দিয়ে যায়। অনেক দিন পর খেয়ে খুব মজা পেয়েছি।
আমার এত সুন্দর অনুভূতির কথা আপনাদের সাথে সাথে করতে খুব ভালো লেগেছে। আশা করি আমার এই পোস্ট পড়ে আপনাদের কাছেও ভালো লেগেছে। আপনারা যদি এই ফল চিনে থাকেন তাহলে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন। আপনাদের সুন্দর মতামতের অপেক্ষায় রইলাম। যাই হোক আমার লেখা আজ এখানেই শেষ করলাম আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
ঢেউয়া ফল খাওয়ার অনুভূতি খুব অসাধারণ। শুকনো মরিচ এবং আচারের মসলা দিয়ে ঢেউয়া মাখা খেতে খুব দুর্দান্ত। আমাদের বাড়িতে ঢেউয়া ফল গাছ রয়েছে। ঢেউয়া খুবই পুষ্টিকর ফল । আপনার ঢেউয়া খাওয়ার অনুভূতি সত্যি খুব দুর্দান্ত হয়েছে। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
মরিচ আর আচারের মশলা দিয়ে এখনও ঢেউয়া মাখানো খাওয়া হয়নি। একদিন খেয়ে দেখবো। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
আপু আমার নানার বাসায় এই ডেওয়া ফলের গাছ ছিল। আর সেই ফলটি কাঁঠালের মতো ছোট ছোট কোয়া এবং ভীষণ মিষ্টি ছিল। যার কারণে খেতে খুব স্বাদ পাওয়া যেত। ছোটবেলায় অনেক খেয়েছি তবে বড় হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে এই ফলের প্রতি তেমন কোন আকর্ষণ ছিল না। আর এখন তো এই ডেওয়া ফলের গাছ কোথাও দেখতে পাই না। যাইহোক আপু, অনেকদিন পর ডেউয়া ফল খাওয়ার অনুভূতি খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার নানার বাড়িতেও এই গাছ ছিল জেনে ভালো লাগলো। তবে এখন আর এই গাছ কোথাও দেখা যায় না। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
এই ডেউয়া ফলটি আমারও খুব পছন্দ। তবে আমাদের এখানে খুব একটা চোখে পরে না।আমিও আপনার মতো এই ফল মাখিয়ে খেতে খুব পছন্দ করি।আর মিষ্টি হলে এমনিই খেয়ে নেই।আর এটা ঠিক শ্বশুর বাড়িতে গেলে দায়িত্ব একটু বেশীই হয়।আর বড় বউ হলে তো একটু বেশীই চাপ হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপু আপনার অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
এই ফল খুব কমই পাওয়া যায়। আপনার কাছেও ভালো লাগে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
ডেউয়া ফল খুবই টেষ্টি একটা ফল যা খেতে খুবই ভালো লাগে আমার।ছোটবেলায় অনেক খেয়েছি কিন্তু এখন আর খাওয়া হয়না অনেক দিন।আপু আপনার ডেউয়া ফল দেখে তো লোভ সামলাতে পারছি না।লবণ মরিচ দিয়ে মেখে খেতে খুবই ভালো লাগে।অনেক দিন পর পছন্দের একটি খাবার শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু এই ফল খেতে খুবই টেস্টি আর আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
ঢেউয়া আমার খুবই পছন্দের একটা ফল। আমার কাছে খুব ভালো লাগে ঢেউয়া খেতে। আসলে বাড়ির বড় বউদের কর্তব্য অনেক বেশি থাকে। যেমন আমিও আমার পরিবারের বড় বউ। আর সেই কর্তব্য তো অবশ্যই পালন করতে হবে প্রত্যেকটা বউয়ের। অনেকদিন পর যেহেতু ঢেউয়া খেয়েছিলেন তাই অনুভূতিটা নিশ্চয়ই অন্যরকম ছিল। অনেকদিন পর যে কোন কিছু খেলে অনুভূতি এমনিতেই খুব ভালো লাগে।
ঠিক বলেছেন আপু অনেক দিন পর কিছু খেলে তার অনুভূতি অন্য রকম থাকে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
যেহেতু আপনি বাড়ির বড় বউ, তাই আপনার অনেক বেশি দায়িত্ব রয়েছে এটা বুঝতে পেরেছি। আসলে এটা প্রত্যেকেই জানে বড় বউদের দায়িত্ব সবথেকে বেশি থাকে। আপনার ঢেউয়া দেখে তো আমার খুবই খেতে ইচ্ছে করছে। ঢেউয়া আমার সব থেকে পছন্দের, যা দেখলে লোভ সামলাতে পারি না। অনেকদিন পর এরকম কিছু খেলে মনটা ভালো হয়ে যায় আমার। আর আপনি তো অনেকদিন পরে খেয়েছিলেন তাই খুব ভালো লেগেছিল।
হ্যাঁ ভাইয়া বাড়ির বড় বউ বলে এবার দায়িত্ব বেশি ছিল। আপনার ঢেউয়া অনেক পছন্দ যেন ভালো লাগলো। সত্যিই অনেক দিন পর খেয়ে খুব মজা পেয়েছি। ধন্যবাদ।
ঢেউয়া ফল একসময় অনেক খেতাম। ঢেউয়া আমার খুব পছন্দের একটি ফল। শুকনা মরিচ দিয়ে ঝাল ঝাল করে ঢেউয়া ভর্তা বানালে খেতে খুব ইয়াম্মি লাগে। অনেক দিন পর ঢেউয়া দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। অনেক পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে গেল। যাইহোক এতো সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।