চিংড়ি মাছের ভর্তা রেসিপি ।। ১০% প্রিয় লাজুক-খ্যাক🦊এর জন্য
আসসালামু আলাইকুম/ নমস্কার
আসসালামু আলাইকুম/ নমস্কার
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুল্লিলাহ আপনাদের সবার দোয়ায় অনেক ভালো আছি। আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্প্রদায়ে আমার তৈরি করা মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি। এই রেসিপি খেতে এতটাই মজা হয়েছিল যে আপনাদের সাথে শেয়ার না করে আর পারলাম না। আমার মা বানিয়ে ছিল বলে এই রেসিপি আরো বেশি মজা হয়েছিল। |
---|
কিছুদিন আগে যখন বেড়াতে গিয়েছিলাম তখন হঠাৎ করে ভর্তা খেতে অনেক ইচ্ছা করেছিল সে সময় এই ফটোগুলো তুলে রেখেছিলাম। এরপর মা কে বললাম ভর্তা খাব তখন মা জানতে চাইলো কি ভর্তা খাব। আমার কাছে মার হাতের বানানো সব ভর্তা খেতেই অসাধারণ লাগে তবে তার মধ্যে চিংড়ি মাছের ভর্তা সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। এই মজাদার রেসিপিটি আমি সুন্দর করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আমার এই ভর্তার রেসিপি আপনারা একদিন হলেও তৈরি করে খেয়ে দেখবেন। আশা করছি সকলের কাছে অনেক ভালো লাগবে। |
---|
চিংড়ি মাছের ভর্তা রেসিপি রেসিপি
চিংড়ি মাছের ভর্তা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। মার কাছ থেকে রেসিপি শিখে আমি এর আগেও অনেকবার চিংড়ি মাছ দিয়ে ভর্তা রেসিপি তৈরি করে খেয়েছিলাম। এবার আবারো আমি মজাদার এই ভর্তার রেসিপি মাকে বানিয়ে দিতে বললাম। চিংড়ি মাছের ভর্তা রেসিপি খেতে এতো সুস্বাদু হয়েছিল যে আপনারা বানিয়ে না খেলে বুঝতে পারবেন না। যারা ভর্তা প্রেমী এবং নতুন নতুন ভর্তা খেতে ভালোবাসেন আমার মনে হয় তাদের কাছে এই রেসিপিটি অনেক ভালো লাগবে। আমার কাছে ভর্তা খেতে খুবই ভালো লাগে। তাছাড়া শীতের দিনে গরম ভাতের সাথে বিভিন্ন প্রকারের ভর্তা খেতে দারুণ লাগে। এজন্য আজ আমি আমার পছন্দের চিংড়ি মাছের ভর্তা রেসিপি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে এসেছি। |
---|
প্রয়োজনীয় উপকরণ
নাম | পরিমান |
---|---|
চিংড়ি মাছ | ১০০ গ্রাম |
পেঁয়াজ | ৩টি |
রসুন | ১ টি |
শুকনা মরিচ | পরিমাণ মতো |
লবণ | স্বাদ মতো |
তেল | পরিমাণ মতো |
চিংড়ি মাছের ভর্তা রেসিপি তৈরির ধাপসমূহ
ধাপ-১
চিংড়ি মাছের ভর্তা রেসিপি তৈরি করার জন্য প্রথমে আমি চিংড়ি মাছকে পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নেব। এরপর পেঁয়াজ ছোট ছোট টুকরো করে কেটে ধুয়ে নেব। এবার আমি চিংড়ি মাছ, পেয়াজ,রসুন ও শুকনো মরিচ আলাদা আলাদা করে ভেঁজে নেব। |
---|
ধাপ-২
সবগুলো ভেঁজে নেওয়া হয়ে গেলে আলাদা একটি বাটিতে ঢেলে নেব। তারপর হালকা একটু ঠান্ডা করে নেব। |
---|
ধাপ-৩
প্রথমে আমি চিংড়ি মাছ ভালোভাবে বেটে নেব। তারপর পেঁয়াজ ও রসুন বাটবো। এরপর শেষে মরিচ বেটে নেব। |
---|
ধাপ-৪
আমি একটি প্লেটে আলাদা আলাদা করে ওঠিয়ে নিলাম। এরপর এতে সরিষার তেল ও লবণ দিয়ে নেব। |
---|
শেষ ধাপ
এখন আমি সবগুলো এক সাথে মাখিয়ে নেব।তাহলেই হয়ে যাবে আমার আজকের চিংড়ি মাছের ভর্তা রেসিপি। এরপর আমি অন্য একটি প্লেটের মধ্যে তুলে নিয়েছি। |
---|
এরপর ভর্তার সবগুলো ধাপ শেষ করে আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য নিয়ে এসেছি। এভাবে করে আমার আজকের ভর্তার রেসিপি এখানে শেষ করলাম। আশা করছি আমার তৈরি করা মজাদার এই রেসিপি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজ এ পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন এই দোয়া কামনা করি।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
চিংড়ি আমার কাছে অনেক পছন্দের একটি খাবার। চিংড়ি মাছ খেতে বেশ দারুন লাগে। চিংড়ি মাছ দিয়ে যেকোনো রেসিপি তৈরি করলে আমি সেই রেসিপির মধ্য থেকে চিংড়ি মাছ গুলো বেছে বেছে খেয়ে নেই। আপনি অনেক সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
Twitter Link
https://twitter.com/tanjima_akter16/status/1491780353584873476?s=20&t=AuwqzaC0Kik8wRdWXVOzRA
মায়ের হাতের সমস্থ খাবার গুলোই কেন জানি অমৃত এর মতো লাগে।ভর্তা আমারো অনেক পছন্দের আপনার মতো আমিও ভর্তা ভালোবাসি টাকি মাছ আর ডিম ভর্তা খুবই ভালো লাগে।
খুব লোভনীয় একটি রেসিপি গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন আপনি দারুন হয়েছে আপু আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য। হুম মায়ের হাতের যেকোনো রেসিপি খেতে দারুণ লাগে।
চিংড়ি মাছ আবার খুব পছন্দের খাবার। আর চিংড়ি ভর্তা হলে আমি পেট ভরে ভাত খেতে পারি। নিজে কখনো ভর্তা বানিয়ে খাওয়া হয়নি। আজকে আপনার এই রেসিপিটি দেখে নিজে নিজেই তৈরি করতে পারব আশা করছি। ধন্যবাদ আপনাকে চিংড়ি মাছ ভর্তা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপু।
সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। একদিন বাসায় বানিয়েে দেখবেন ভাইয়া। এই রেসিপি খেতে আরও ভালো লাগে।
খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন আপু। আমারও এই ভর্তাটি খুব মজার লাগে। আপনার করা ভর্তাটি আমার খুব ভালো লেগেছে। নিজেও এভাবে একদিন ট্রাই করে দেখব। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
অনেক সুন্দর ভাবে চিংড়ি মাছের ভর্তা তৈরি করেছেন আপু। কখনো চিংড়ি মাছের ভর্তা খাওয়া হয় নি তবে দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক মজার হবে। এবং প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আমার পক্ষ থেকে আপনার প্রতি অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপু,, আপনি কি লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করলেন, দেখেই লোভ লাগছে খাওয়ার জন্য।আমারও ভালো লাগে গরম ভাতের সাথে চিংড়ি মাছের ভর্তা খেতে কিংবা বড়া খেতে।আপনার উপস্থাপনা বেশ ভালো ছিল।ধন্যবাদ
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু একদম ঠিক কথাই বলেছেন গরম ভাতের সঙ্গে ভর্তা খেতে ভীষণ মজা লাগে। চিংড়ি মাছের ভর্তা হলে তো কোন কথাই নেই।আপনার ভর্তা দেখতে খুব মজাদার মনে হচ্ছে। আপনি ভর্তা তৈরি প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দরভাবে দেখিয়ে দিয়েছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর মতামত দিয়ে পাশে থাকার জন্য। ভর্তার নাম আসলে গরম ভাত উল্লেখ করতে হয়। যেকোনো ভর্তা গরম ভাতের সাথে খেতে খুবই মজা লাগে। আপু আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
এই রেসিপিটি খুব সুস্বাদু মনে হচ্ছে, যতক্ষণ না এটি আমাকে ক্ষুধার্ত করে তোলে, আপনি এটি খুব বিশদ পদক্ষেপের সাথে তৈরি করেছেন, শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু আপনি তো আমার লোভ লাগিয়ে দিলেন। যদিও বাসায় এখন ছোট চিংড়ি মাছ নেই তবে খুব শীঘ্রই চিংড়ি মাছের ভর্তা খাবো। আপনার তৈরি চিংড়ি মাছের ভর্তা দেখে আমার খুব লোভ হয়েছে। কি বলব বলুন এরকম লোভনীয় একটা রেসিপি যদি সামনে থাকে তাহলে কি নিজেকে কন্ট্রোল করা যায়?
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনাকে স্বাগতম আপু মনি 🥰