আশেপাশে সবাই শুধু অসুস্থ হয়ে পড়ছে
আজ আবারও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে চলে এসেছি। এতক্ষণে টাইটেল দেখে নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছেন কি বিষয়ে আলোচনা করতে এসেছি। হ্যাঁ, আশেপাশে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আমি যেমন অসুস্থ তেমনি আশেপাশের সবার একই কথা শরীর ভালো লাগে না। এবারের শীতের আবহাওয়া কেন জানি ভালো যাচ্ছে না। দিনের বেলা রোদ আর রাতে প্রচুর ঠান্ডা। এমন আবহাওয়ার জন্য ছোট বড় সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। দিন দিন আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে আর সেই প্রভাব মানুষসহ প্রতিটা প্রাণীর উপর পড়ছে। যারজন্য আমাদের মনে হচ্ছে অসুস্থতা যেনো পিছু ছাড়ছে না।
পৌষ ও মাঘ দু'মাস শীতকাল আর মাসগুলো কত তাড়াতাড়ি চলে যাচ্ছে কিন্তু শীতের তেমন কোন দেখা নেই। মাঝে মাঝে তো রাতের বেলা গরম লাগে। এই আবহাওয়া যেনো আমাদের শরীরের মধ্যে একটা রোগের সৃষ্টি করছে। যারজন্য আপনারা লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন সকালে শরীর ভালো লাগলেও সন্ধ্যায় শরীর খারাপ লাগে। আপনাদের এমন মনে হয় কিনা জানি না তবে আমার প্রায় সময় এমন খারাপ লাগে। আমি যেমন অসুস্থ রয়েছি তেমনি আশেপাশের সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। কয়েকদিন ধরে শুষ্ক কাশি আর গলার ভিতরে ব্যথা হচ্ছে। কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছেনা।
এদিকে ছেলের ঠান্ডা জ্বর রয়েছে, এখন আবার এলার্জি সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাছাড়া বাকিরাও টুকটাক অসুস্থ রয়েছে। এরমধ্যে আবার দেখা দিয়েছে আরো একটি নতুন সমস্যা। সেটি হচ্ছে আমাদের বাড়িতে প্রায় মানুষের ডেঙ্গু দেখা দিচ্ছে। এই তো গতকাল রাতে আমার চাচাতো বোন কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সকাল বেলা হঠাৎ করেই মাথা ব্যথা আর জ্বর শুরু হয়। ঔষধ খাওয়ানো হয় কিন্তু কমেনি। এরপর রাতে তার অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। তারপর তাড়াতাড়ি করে হাসপাতালে নেওয়া হয় আর সাথে সাথে শরীর দুর্বলতার স্যালাইন লাগানো হয়।
আজ সকালে তারা টেস্ট করে জানতে পারে ডেঙ্গু হয়েছে। এবার বাড়িতে এসে সবার এমন অসুস্থতা দেখে একদমই ভালো লাগছে না। বর্তমানের আবহাওয়ার সাথে মানুষ যেনো নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছে না এমন মনে হচ্ছে। যারজন্য প্রতিনিয়ত সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আমরা বড়রাই অসুস্থতা সহ্য করতে পারি না সেই জায়গায় ছোটরা কিভাবে সহ্য করবে বলেন? এখনকার অসুস্থতা এমন যে ঔষধ খেলেও ভালো হতে চায় না। ঠান্ডা লাগলে যেনো ভালো হতেই চায় না।
বিশেষ করে বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগলে একদমই ভালো হতে চায় না। এতে করে বাচ্চাদের বিরক্তের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাদের কি বলবো আমাদের যখন ঠান্ডা লাগে তখনই খুবই খারাপ লাগে। তখন ঔষধসহ ঘরোয়া টোটকা কত কিছুই না করা হয় কিন্তু কিছুতেই কিছু হয় না। এইসব কিছু হচ্ছে আবহাওয়ার এমন পরিবর্তনের জন্য। আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য দায়ী কিন্তু আমরাই। গ্ৰাম কিংবা শহর সব জায়গায় গাছপালা, বন-জঙ্গল কেটে ইট পাথরের দালাল বানানো হচ্ছে। এতে করে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার কারণে ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে। যারজন্য আমরা সঠিক সময়ে সঠিক ঋতু উপভোগ করতে পারি না। প্রতিটা ঋতু এলোমেলো হয়ে গিয়েছে আর সেই কারণেই চারোদিকে সবাই এভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ভবিষ্যতে আমাদের জীবনটা কেমন হবে তা কেউ বলতে পারবে না। যাই হোক সবাই নিজকে এবং পরিবারকে নিয়ে সাবধানে থাকার চেষ্টা করবেন। আজ এই পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন। ধন্যবাদ।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।






Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power



আপু সত্যি অসুস্থতা পিছু ছাড়ছে না।আসলে এখনকার সব কিছু উল্ডো শীতের দিনে শীত নেই আবার বৃষ্টির দিনে বৃষ্টি নেই । আমি নিজেও কয়েক দিন ধরে বেশ অসুস্থ। আর ডেঙ্গুর প্রভাব সব জায়গায় দেখা যাচ্ছে।ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু দিন দিন মানুষ খুব অসুস্থ হয়েছে আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য। বেশ অনেক দিন ধরে আমিও অসুস্থ। সর্দি কাশি জ্বর লেগে রয়েছে।
এখন কিন্তু সব জায়গায় মশার পরিমাণ অনেক বেশি। তাই আমাদেরকে শীত,গ্রীষ্ম, বর্ষা সব ঋতুর সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। আর অসুস্থতার কথা কি আর বলবো সব জায়গায় একই অবস্হা। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
আসলে আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য আমরা কম বেশি সবাই এখন অসুস্থ হয়ে পড়েছি। আসলে আমার বড় ভাই ও বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ,আমি একদম ঠিক ঠাক আছি আলহামদুলিল্লাহ। ধন্যবাদ আপনাকে
আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য প্রত্যেকের ঘরে ঘরে অসুস্থতা দিন দিন বেড়েই চলছে। একদম ঠিক বলেছেন আপু এখনকার অসুখগুলো যেন কেমন ওষুধ খেলেও সহজে সুস্থ হয় না মানুষ। আমি নিজেই এর প্রমাণ।এত ওষুধ খাচ্ছি তবুও ঠান্ডা সহজে কমছেই না। আর মশার ব্যাপারে আমাদের সবাইকে অনেক সতর্ক থাকতে হবে।ডেঙ্গুর
প্রভাব প্রায় জায়গাই দেখা দিচ্ছে। তারপরও দোয়া রইল সবাই যেন ভাল থাকে সুস্থ থাকে। অনেক ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
সত্যি আপু আমাদের ঠান্ডা লাগলে কত কষ্ট হয় আর বাচ্চারা ওরা তো ছোট ওদের ঠান্ডা লাগলে আরো বেশি কষ্ট। সব থেকে বেশি কষ্ট হয় ঔষধ খাওয়ানোর সময়। শীতের সময় সবারই এলার্জি জ্বর ঠান্ডা এই সমস্যাগুলো বেশি হয়। আমাদের সবার সাবধানে থাকতে হবে। আর আপনাদের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল সবাই যেন সুস্থ থাকে সবসময়।
প্রথমত ডেঙ্গু। এরপর আবহাওয়া পরিবর্তনে নানান অসুখ-বিসুখ দেখা যাচ্ছে ঘরে ঘরে। আর বাচ্চাদের কিছু হলে সহজে সারে না।কারন বাচ্চাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা কম।এজন্য বাচ্চাদের প্রতি আমাদের একটু বেশীই যত্নশীল হতে হয়।দোয়া করি আপু আপনার ছেলে দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে।
এই বছর শীতের তীব্রতা একেবারেই কম। তাছাড়া মাঝেমধ্যে গরম লাগে। অর্থাৎ তাপমাত্রা অনেক বেশি উঠানামা করে। সেজন্য চারিদিকে অসুস্থতার ছড়াছড়ি। সবার উচিত বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।