দখিনা কিচেনে ফালুদা খেতে যাওয়া
কিছুদিন টানা বৃষ্টিতে পরিবেশ একদম ঠান্ডা ছিল। কিন্তু আজ থেকে আবারও গরম শুরু হয়ে যাচ্ছে। আমার কাছে গরম ছাড়া শীত বৃষ্টি দু'টোই ভালো লাগে। কিন্তু বর্তমানে আমরা যেনো ভিন্ন ধরনের ঋতু দেখা পেয়েছি এমন মনে হয়। আমার কাছে প্রতিটা ঋতুই গ্ৰীষ্মকাল লাগে। কারণ অন্যসব ঋতু এখন একদমই উপভোগ করা যায় না। সাধারণত দেখেন শরৎকালে একদম বর্ষাকালের মতো ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এমনই বৃষ্টি হয়েছে যে বন্যায় সব যেনো এলোমেলো করে দিয়ে গেছে। যেই বৃষ্টি বর্ষাকালে হওয়ার কথা ছিল তা হয়েছে শরৎকালে। যখন বৃষ্টি হয় তখন খুব ভালো লাগে কিন্তু বৃষ্টির পর যে গরম শুরু হয় তা খুবই খারাপ লাগে। কিন্তু কিছুই করার সৃষ্টিকর্তা আমাদের জন্য যা করেন তা মঙ্গলের জন্যই করেন।
আজ হালকা গরম শুরু হওয়াতে আমার খুব ঠান্ডা জাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছে করছিল। এই যে এত গরম যাচ্ছে আমি আইসক্রিমসহ কোনো ধরনের ঠান্ডা জাতীয় খাবার খেতে পারি না। তার কারণ আমি খেলে ছেলেও খায় আর ছেলে খাওয়ার সাথে সাথে ঠান্ডা লেগে যায়। সেজন্য আমার হাজবেন্ড ছেলের পাশাপাশি আমাকেও ঠান্ডা জাতীয় খাবার খাওয়ানো বন্ধ করে দিয়েছি। সেজন্য বাহিরে কিংবা বাসায় কোথাও ঠান্ডা খাবার খাওয়া হয়না। ঠান্ডার মধ্যে শুধু অল্প ফ্রিজের পানি খাওয়া হয়। কিন্তু আজ খুব বেশি ইচ্ছে করছিলো।
এরপর আমার হাজবেন্ড বলে কি ধরনের ঠান্ডা খাবার খেতে চাও। আমি আবার ঘরের থেকে রেস্টুরেন্টের খাবার খেতে বেশি পছন্দ করি। তখন ফালুদা খেতে খুব ইচ্ছে হলো। এরপর আমরা সন্ধ্যার দিকে রেডি হয়ে চলে গেলাম দখিনা কিচেন রেস্টুরেন্টে। আমি এই রেস্টুরেন্টে এর আগে দু'বার গিয়েছিলাম। তাদের খাবারের আইটেম যেমন ভালো তেমনি খেতেও খুব সুস্বাদু। কিন্তু তাদের ভিতরের স্পেস খুবই ছোট। যার কারণে প্রায় সময় পার্সেল নিয়ে চলে আসি। অল্প জায়গায় মানুষ বেশি হলে একদম গ্যাদারিং লাগে আর তখন সেখানে বসে খেতে ভালো লাগে না।
কিন্তু ফালুদা নিয়ে আসা যাবে না বলে আমরা বসে ছিলাম। আমাদের সেখানে অর্ডার করা থেকে শুরু করে খাওয়া দাওয়া করতে আধা ঘন্টা সময় লেগেছিল। কিন্তু এই অল্প সময়ে মাথা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। একজন মহিলা ছোট বাচ্চা নিয়ে এসেছিল আর সে কি কান্না, তাছাড়া বাকি যে মানুষ এসেছে তাদের কথা শুনতে শুনতে মাথা ধরে গিয়েছিলো। তবে এত কিছুর মাঝেও ফালুদা খেতে দারুণ ছিল। কিন্তু আমার ছেলে একদমই খেতে চায়নি। তার কাছে এগুলো ভালো লাগে না।
তাদের রেস্টুরেন্টের ভিতরের স্পেস ছোট হলেও তারা খুব সুন্দর ভাবে ডেকোরেশন করেছে। এই রেস্টুরেন্টে একদমই টেবিল খালি পাওয়া যায় না। আমার কাছে ফালুদা খেয়ে খুব ভালো লেগেছে। তবে আরও অনেক আগে একবার গিয়ে খেয়েছিলাম তখন একটি কাঁচের কাপে খুব সুন্দর ভাবে ডেকোরেশন করে দিয়েছিলো। কিন্তু আজকে প্লাস্টিকের কাপে দিয়েছে আর এটা আমার কাছে একদমই ভালো লাগেনি। এরপর সেখান থেকে বের হয়ে আমার আর্ট করার জন্য কিছু জিনিসপত্র কিনে বাসায় চলে আসলাম।
যাই হোক অনেক কথা বলেছি আজ আর নয় আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্টের মাধ্যমে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ, থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
https://x.com/TanjimaAkter16/status/1840078066552635480?t=J9ocZt8ux_HO-aHwICyfpg&s=19
ভিন্ন ভিন্ন আইটেমের রেসিপি খেতে খুবই ভালো লাগে। তেমনি আজকে আপনি অসাধারণ একটি রেসিপি খাওয়ার উদ্দেশ্যে বাইরে এসেছেন এবং খাওয়া-দাওয়া করেছেন। আর সে মুহূর্তটা আমাদের মাঝে বেশ চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
সবসময় সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু শরৎকালে একদম বর্ষাকালের মত বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। তবে এখন আবার ওয়েদার মোটামুটি ঠিক রয়েছে। এদিকে আবার গ্রীষ্মকালের মতো গরমও পড়ছে। যাই হোক আপনাদের খাওয়া দাওয়ার মুহূর্ত গুলো দেখে ভালো লাগলো। রেস্টুরেন্টের নামটা কিন্তু ভীষণ সুন্দর। স্পেস ছোট হলেও খুব সুন্দর ভাবে ডেকোরেশন করা। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু বর্তমানে যেনো প্রতিদিন ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে এমন লাগে। আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
ফালুদা আমার খুব প্রিয় একটি খাবার। আমিও সেইরকম কোন রেস্টুরেন্টে গেলে ফালুদা এই অর্ডার করি। আর রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়ার মধ্যে আমি আলাদা একটা তৃপ্তি অনুভব করি। তবে ছোট বাচ্চারা দুষ্টুমি করবে, কান্নাকাটি করবে এটাই স্বাভাবিক। অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য প্রিয় আপু।
হ্যাঁ আপু বাচ্চারা কান্নাকাটি করবে এটা স্বাভাবিক কিন্তু বড়দের এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ ছোট জায়গায় বাচ্চারা মানিয়ে নিতে পারে না। যাই হোক আপনিও ফালুদা পছন্দ করেন জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
ফালুদা খেতে আমি নিজেও অনেক পছন্দ করি। দখিনা কিচেনে ফালুদা খেতে গিয়েছেন শুনে অনেক ভালো লাগলো। আসলে রেস্টুরেন্টের ভেতরের স্পেস ছোট হলে মানুষজন যদি বেশি থাকে তাহলে অনেক বিরক্ত লাগে। কারণ মানুষের আনাগোনা বেশি হলে একেবারে ভালো লাগে না বিষয়টা। তবে তারা ডেকোরেশন অনেক সুন্দর করেছে বুঝতেই পারছি। আর খাবারের মানও খুব ভালো জেনে ভালো লাগলো।
হ্যাঁ আপু স্পেস ছোট হলেও তাদের ডেকোরেশন খুব সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
বাংলাদেশে এখন শুধুমাত্র দুই ঋতু ই দেখা যায়, গ্রীষ্মকাল এবং শীতকাল। আমার কাছে শীতকাল সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। তবে শীতকাল বাংলাদেশে একেবারে অল্প সময়ের জন্য আসে, তাই ভালো লাগে না। যাইহোক পরিবারের সাথে ফালুদা খেতে গিয়েছিলেন,দেখে খুব ভালো লাগলো। মাঝেমধ্যে ফালুদা খেতে আমারও খুব ভালো লাগে। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার কাছেও শীতকাল অনেক ভালো লাগে। তবে অল্প সময় থাকে বলে সত্যিই ভালো লাগেনা। আপনিও ফালুদা খেতে পছন্দ করেন জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।
যে গরম পড়ছে ঠান্ডা জাতীয় জিনিষ খেলে ভালোই লাগে। আমি মাঝে মাঝে ফালুদা খেয়ে থাকি। ফালুদা খেতে ভালোই লাগে। আপনি দক্ষিনা কিচেনে গিয়ে ফালুদা খেলে দারুন কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন। ধন্যবাদ।