হঠাৎ একটু ঘুরাঘুরির সুন্দর মূহুর্ত || 10% for @𝕩 𝕠 Ⅎ 🐺 ʎ ɥ 𝕊||
আসসালামু আলাইকুম
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশাকরি আপনারা সবাই বেশ ভালই আছেন। উপরওয়ালার অশেষ রহমতে আমিও বেশ ভালো এবং সুস্থ আছি। আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে আমার করা পোস্টগুলোতে প্রতিনিয়ত ভেরিয়েশন আনার চেষ্টা করি। ভেরিয়েশন আনতে গিয়ে কখনো ক্রাফট পোস্ট, কখনো বা ড্রয়িং পোস্ট, আবার কখনো বা ফটোগ্রাফি পোস্ট, রেসিপি পোষ্ট কিংবা গল্প আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমি কিছু ঘুরাঘুরির মূহুর্ত আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আমার আজকের পোষ্টের টপিক হলো হঠাৎ একটু ঘুরাঘুরির সুন্দর মূহুর্ত।
আমি বিয়ের পর এই প্রথমবার শ্বশুর বাড়িতে এসে এত থেকেছি। সবসময় দেখা যেত শুধু ঈদের ছুটিতে আসতাম আবার চলে যেতাম কিন্তু এবার একটু সময় নিয়েই এসেছি। এত দিন থেকে সত্যি অনেক ভালো লেগেছে। কিন্তু এবার ঢাকা যাওয়ার সময় হয়েছে তাই আজ সকালের দিকে মার্কেট করতে গিয়েছিলাম। আমি এর আগে একটি পোস্টে বলেছিলাম এদিকে নদীর কাছে খুব সুন্দর একটি রাস্তা আছে যা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আজ আমি সেখানের কিছু সুন্দর মূহুর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমি এদিকে আসলে প্রায় মাঝে মাঝেই বিকেলে ঐ রাস্তায় ঘুরতে যাই। ঐ রাস্তায় গেলে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আজ সকালে হালকা বৃষ্টির পর পরিবেশ দেখতে অসাধারণ লাগছিল। এই রাস্তাটি নদীর কাছে বলে সেখানের সৌন্দর্য অসাধারণ লাগে। সেখানে ঘুরাঘুরি করে আমার ছেলে আজ অনেক মজা পেয়েছে।
এখানে বিকেল হলে অনেক মানুষ ঘুরাঘুরির জন্য চলে আসে। রাস্তার দু'পাশে কত সুন্দর সারি সারি গাছ দাঁড়িয়ে আছে যা দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। রাস্তার একমাথায় বাজার আরেক মাথায় লঞ্চ ঘাট। এদিকের সব মানুষ এই ঘাট থেকেই যাতায়াত করে। আমরা যখন ওখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম তখন আকাশে অনেক মেঘ ছিল সেজন্য পরিবেশটা দেখতে এত সুন্দর লেগেছিল।
গ্রামের এই অপরূপ সৌন্দর্যের জন্যই তো সবাই বারবার ফিরে আসে চিরচেনা সেই গ্রাম। সেই ছোটবেলায় কাটানো আমার নিজের গ্রাম নরসিংদীতে যাওয়া হয়না অনেক দিন হয়েছে। আজ যেন কল্পনায় সেই গ্রামীন দৃশ্যগুলো ভেসে উঠেছে। সেই চিরচেনা গ্রামীন রাস্তা দিয়ে যদি একবার হেঁটে আসতে পারতাম তাহলে হয়তো অনেক ভালো লাগতো।
যখন শহরে চলে যাব তখন সত্যি এই দৃশ্য ও মূহুর্তগুলোকে অনেক মিস করবো। আর দুয়েকদিন পর আবারও সেই চার দেয়ালের ভিতর যেন বন্দী হয়ে যাব। কিন্তু অনেক সময় আবার শহরের কিছু কিছু জিনিসও অনেক ভালো লাগে যেগুলো আবার গ্রামে পাওয়া যায়না। আমার কাছে আজ একটু ঘুরাঘুরি করে অনেক ভালো লেগেছে। এই সৌন্দর্য আমার কাছে এতটাই ভালো লেগেছে যার জন্য শেয়ার না করে পারলাম না।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
Twitter Share
https://twitter.com/TanjimaAkter16/status/1556662943327981568?s=20&t=QSys6Gl-AtXmkwExVfe6cA
বিকেল বেলায় যেকোনো রাস্তায় ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। আসলে আপনি যে রাস্তায় ঘুরেছিলেন ওই রাস্তা অনেক মনোরম পরিবেশ ছিলো। এত সুন্দর ভাবে আপনার মোবাইলের ক্যামেরা বন্ধ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ভাইয়া এই রাস্তাটা সত্যি অনেক সুন্দর লাগে।আমি গ্রামে আসলে প্রায় সময় এই রাস্তায় ঘুরতে যাই।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
সত্যিই আপু বিকালবেলা প্রকৃতির মুগ্ধ হাওয়ায় ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। আর গ্রামের দূশ্য সত্যিই মনোমুগ্ধকর। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ আপু গ্রামের দৃশ্যগুলো দেখতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
হঠাৎ করে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত গুলো খুবই স্মরণীয় হয়ে থাকে। আমরা নিজেরাও খুব হঠাৎ হঠাৎ করে ঘুরতে বের হই। যেমন আগামীকালকেও ঘুরতে যাব চট্টগ্রাম।
একদম ঠিক ভাইয়া হঠাৎ হঠাৎ ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। আমার কাছে আবার ঘুরাঘুরি করা খুব ভালো লাগে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
শহরের চার দেয়ালের মাঝে আমরা সত্যি অনেক অসহায়। নিজেকে অনেক অসহায় মনে হয় আপু। আপনি আপনার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটাচ্ছেন এটা বুঝতেই পারছি। কি আর করার কর্মের তাগিদে কিংবা নিজের প্রয়োজনে শহরে আসতেই হবে। অনেক সুন্দর ভাবে আপনার কাটানো মুহূর্ত এবং ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ঠিক বলেছেন আপু কর্মের তাগিদে শহরে যেতেই হবে। এবার অনেক দিন থেকে সত্যি খুব ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
শ্বশুরবাড়িতে এসে বেশ ঘোরাঘুরি করলেন। অনেক উপভোগ্য সময় পার করেছেন মনে হচ্ছে । সাথে আপনার সোনামণি টাও খুবই উচ্ছল ভাবে হাঁটছে। বেশ ভালো লাগলো আপনার শ্বশুরবাড়ির গ্রামের ফটোগ্রাফি। আপনার জন্য অসংখ্য শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ ভাইয়া এবার শ্বশুর বাড়িতে এসে খুব সুন্দর সময় পাড় করেছি আর আমার ছেলেকে ঘুরতে নিয়ে গেলে সে মহা খুশি হয়।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।