ঝাল ঝাল রুই মাছ ভুনার মজাদার রেসিপি।
হ্যালো বন্ধুরা,আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আজ আবারও চলে আসলাম নতুন পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সাথে রুই মাছ ভুনা রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম। সবসময় সকাল সকাল পোস্ট করি কিন্তু আজ শরীটা বেশি ভালো ছিল না। তাই লেখার সময় পাইনি। প্রথমে ভেবেছিলাম পোস্ট শেয়ার করবো না কিন্তু পরে দেখলাম পোস্ট না দিলে কেমন জানি ফাঁকা ফাঁকা লাগে। সবসময় রুটিন মাফিক কাজ করে অবস্থ্য হয়ে গিয়েছি তো তাই একদিন না করলে এমন লাগে। কিন্তু কি পোস্ট করবো ভাবতে গিয়ে দেখলাম গ্যালারিতে একটি রেসিপি পোস্ট জমা রয়েছে। তাই এই পোস্ট শেয়ার করতে চলে আসলাম।
রুই মাছ খেতে আমি খুব পছন্দ করি শুধু আমি কেন আপনারাও পছন্দ করেন জানি। তবে দুঃখের বিষয় কি জানেন আমার শ্বশুর বাড়ি গেলে এই মাছ একদমই খেতে পারিনা। কারণ তাদের দিকে এই মাছ পাওয়া যায় না শুধু এই মাছ কেন হাতে গুনা কয়েকটি মাছ ছাড়া তাদের বাজারে আর কোনো মাছ উঠেনা। যেমন তেলাপিয়া, পাঙ্গাশ, ঝাটকা ইলিশ, বাগদা চিংড়ি আর কিছু ছোট মাছ। কিন্তু এইসব মাছ খেতে আমি বেশি পছন্দ করি না তাই যতবার যাওয়া হয় আমার খাওয়া নিয়ে একটু সমস্যায় পড়তে হয়। তবে আমাদের গ্ৰামে আবার শহরের মতো সব মাছ পাওয়া যায়।
শীতের টমেটো আর বেশি করে ধনিয়া পাতা দিয়ে মাছ ভুনা খেতে দারুণ লাগে। আমার কাছে যেকোনো মাছের বড় বড় পিসগুলো এভাবে ভেজে সুন্দর ভাবে ভুনা করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। এছাড়া এই ভুনা একটু ঝাল হলে খেতে বেশি ভালো লাগে। আমার এই ভুনা খেয়ে অনেক মজা পেয়েছিলাম। এই ধরনের মাছ ভুনা যেকোনো অতিথি আপ্যায়নে দেওয়া যায়। আমার এই রেসিপি আশা করি সবার কাছে ভালো লাগবে। তাহলে চলুন ধাপগুলো দেখে নেওয়া যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
নাম | পরিমাণ |
---|---|
রুই মাছের পিস | চারটি |
পেঁয়াজ বাটা | পরিমাণ মতো |
লবণ | স্বাদ মতো |
তেল | পরিমাণ মতো |
কাঁচা মরিচ | কয়েকটি |
টমেটো | দু'টি |
ধনিয়া পাতা | পরিমাণ মতো |
মরিচ গুঁড়া | দেড় চামচ |
হলুদ গুঁড়া | এক চামচ |
ধনিয়া গুড়া | হাফ চামচ |
রেসিপি তৈরির ধাপসমূহ
😋১ম ধাপ😋
প্রথমে মাছের পিসগুলো হলুদ, মরিচের গুঁড়া ও সামান্য লবণ দিয়ে মাখিয়ে নেবো। এরপর চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে দেবো।
😋২য় ধাপ😋
এবার ফ্রাইপ্যান গরম হয়ে এলে এতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দেবো। এরপর মাছের পিসগুলো দিয়ে দেবো।
😋৩য় ধাপ😋
এখন পিসগুলো লাল করে ভেজে নেবো। এরপর একটি প্লেটে তুলে নেবো।
😋৪র্থ ধাপ😋
এবার একটি কড়াই বসিয়ে দেবো। এরপর এতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দেবো।
😋৫ম ধাপ😋
এখন পেঁয়াজ বাটা দিয়ে একটু ভেঁজে এতে টমেটো কুচি ও কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে দেবো।
😋৬ষ্ট ধাপ😋
এবার এতে গুঁড়া মশলা গুলো দিয়ে দেবো। এরপর তেলের সাথে একটু কষিয়ে নেবো।
😋৭ম ধাপ😋
এখন পরিমাণ মতো পানি দিয়ে একটু কষিয়ে নেবো।
😋৮ম ধাপ😋
এবার মাছের পিসগুলো দিয়ে মশলার সাথে মিশিয়ে নেবো।
😋শেষ ধাপ😋
সবশেষে এবার ধনিয়া পাতা দিয়ে একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম। ঢাকনা দিলে ধনিয়ার পাতার খুব সুন্দর ফ্লেভার আসে। তাহলেই হয়ে যাবে ঝাল ঝাল রুই মাছ ভুনার মজাদার রেসিপি।এবার সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য চলে যাবো।
এরপর সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করে নিয়ে আসলাম। আশা করি আমার মতো আপনাদের কাছেও অনেক ভালো লাগবে।আপনাদের কাছে যদি আমার এই রেসিপি ভালো লাগে তাহলে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে জানিয়ে দেবেন। আজ এ পর্যন্ত আবার দেখা হবে নতুন কোনো রেসিপির মাধ্যমে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
রুই মাছের রেসিপি দেখেই তো বুঝতে পারলাম আপু অনেক ঝাল হয়েছে। কালার টা জাস্ট দারুন লাগছে।আপনি রান্নার প্রসেস বেশ গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু একটু ঝাল হয়েছিল আর আমার কাছে ঝাল খেতে ভালোই লাগে। ধন্যবাদ।
কিছুদিন আগে আমি রুই মাছ খেয়েছিলাম৷ তবে আজকে যেভাবে আপনি এই রেসিপি তৈরি করেছেন এরকম ভাবে কখনো খাওয়া হয়নি৷ খুবই সুস্বাদ দেখা যাচ্ছে আপনার এই রেসিপিটি৷ যেভাবে আপনি ঝাল ঝাল রুই মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন এর দিক থেকে যেন চোখই সরাতে পারছি না। ইচ্ছে করছে যেন এটিকে নিয়ে এখনই খেয়ে ফেলি৷
ভাইয়া যেহেতু এভাবে আপনার খাওয়া হয়নি তাহলে খুব তাড়াতাড়ি এই রেসিপি তৈরি করে খেয়ে দেখবেন। আশা করি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ।
রুই মাছ আমার খুব পছন্দের। রুই মাছের ভুনা খেতে বেশ মজাদার এবং সুস্বাদু হয়ে থাকে। আজ আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত চমৎকার ভাবে ঝাল ঝাল রুই মাছ ভুনার মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া খুব দুর্দান্ত হয়েছে । কালার কম্বিনেশন বেশ অসাধারণ। আসলে আপনি যে ভাবে ধাপে ধাপ উপস্থাপন করেছেন ।দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে । এত সুন্দর রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনিও রুই মাছ খেতে পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
প্রথমে বলব আপনার রুই মাছ ভুনা রেসিপি দেখে জিভে জল এসে গেছে। কারণ কালারটা এত সুন্দর এসেছে সত্যি খেতে খুব ভালো লাগবে। আর সব সময় আপু রুটিন অনুযায়ী কাজ করা হয়ে উঠে না। আপনার মত আমারও শারীরিক অবস্থা একটু খারাপ। তাই আমারও পোস্ট দিতে দেরি হয়ে গেল। যাক অবশেষে আপনি পোস্ট করে দিলেন ভালো লাগলো। আসলে একদিন পোস্ট করতে না পারলে অনেক খারাপ লাগে।
ঠিক বলেছেন আপু সবসময় রুটিন মাফিক কাজ করা হয় না। আপনার কাছে আমার রেসিপি ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।
রুই মাছের মজাদার রেসিপি দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আসলে ঝাল ঝাল করে রুই মাছের রেসিপি তৈরি করলে সেই রেসিপিগুলো অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার রেসিপি পরিবেশন দেখেই খুবই ভালো লাগলো। এত মজাদার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
টমেটো দিয়ে মাছ ভুনা রেসিপি শেয়ার করেছেন আর ধনেপাতা দিয়েছেন বলে আলাদা একটা ঘ্রাণ পাওয়া যাবে। শেয়ার করা ভাজা মাছের ছবি দেখে লোভ লেগে গেল। সব মিলিয়ে অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ ভাইয়া ধনেপাতা দেওয়ায় খুব সুন্দর ঘ্রাণ এসেছিল। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
শরীর ভালো না থাকলে কোন কিছুই করতে ইচ্ছা করে না। আবার আপনার মত আমারও পোস্ট না করলে ফাঁকা ফাঁকা লাগে। এজন্যই তো কখনো পোস্ট করা মিস দেই না। যাইহোক রুই মাছ টমেটো দিয়ে রান্না করলে খুব মজা লাগে খেতে। আপনার রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে কতটা মজাদার হয়েছিল। খুবই লোভনীয় লাগছে দেখতে।
হ্যাঁ আপু শরীর খারাপ থাকলে কিছুই ভালো লাগে না। আপনার কাছেও একদিন পোস্ট না করলে ফাঁকা ফাঁকা লাগে শুনে ভালো লাগলো। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
আপু প্রথমেই আপনার সুস্থতা কামনা করছি। আসলে শরীর অসুস্থ থাকলে কোন কাজ করেই ভালো লাগেনা ।এই সময়ে গ্যালারিতে কোন ফটোগ্রাফি থাকলে বেশ উপকারে আসে। আপনার গ্যালারিতে রেসিপি ছিল তাই অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও শেয়ার করতে পারলেন। আসলে যতই অসুস্থ থাকি না কেন পোস্ট না করলে আমাদের কারোরই ভালো লাগে না ।একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে ।যাই হোক এই শীতে ধনিয়া পাতা টমেটো দিয়ে যেকোনো মাছ ভুনা করলে খেতে খুবই চমৎকার লাগে। আপনার রেসিপিটিও দারুন ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু সমস্যার সময় গ্যালারিতে ফটোগ্রাফি থাকলে কাজে আসে। আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
আপনি ঠিকই বলেছেন আপু শরীর ভালো না থাকলে কিছুই ভালো লাগে না। আর এখানে না আসলে একটু ভালো লাগেনা। বড় মাছগুলো এভাবে ভেজে রান্না করলে আসলে অনেক ভালো লাগে। সত্যি শীতের সবজি টমেটো ধনের পাতা দিলে মাছের স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু বড় মাছগুলো ভেজে রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
ঠিক বলেছেন পোস্ট না করলে ভালো লাগে না।আপুর তো তাহলে শ্বশুড় বাড়িতে গেলে মাছ খাওয়ার কষ্টে পড়তে হয়।রুই মাছ সবার পছন্দের একটি মাছ।আপনি খুব সুন্দর ঝাল ঝাল করে ধনে পাতা দিয়ে সুস্বাদু মাছটির স্বাদ দ্বিগুণ বাড়িয়ে তুলেছেন।ভীষণ লোভনীয় লাগছে রেসিপিটি। ধাপ গুলো খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ খুব সুন্দর করে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু শ্বশুর বাড়ি আসলে মাছ খাওয়া নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয়। আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।