হঠাৎ করে ভয় পাওয়া | ১০% প্রিয় লাজুক-খ্যাঁককে
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
কেমন আছেন বন্ধুরা। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুল্লিলাহ ভালো আছি। গতকাল আমি সারা রাত জেগে ছিলাম এবং এর আগের দিনও রাত প্রায় তিনটা পর্যন্ত জেগেছিলাম। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আমাদের পাশের বাড়িতে অনেক ঝগড়া শুরু হয়। আমার জানালা দিয়ে দেখা যায় সেই বাড়ি।স্বামী -স্ত্রী মধ্যে ঝগড়া হচ্ছিল। আমি শুধু তাদের কথাগুলো শুনতে পেলাম কিন্তু কি নিয়ে ঝগড়া করছে বুঝতে পারছিলাম না। তাদের এই ঝগড়া দেখে জানালা লাগিয়ে দিলাম।
দুপুর ১.৩০মিনিটে হঠাৎ করে শুনি কান্নাকাটি শুরু হয়ে গিয়েছে। জানালা খুলে দেখি মানুষ দৌড়াদৌড়ি শুরু করেছে। আমি কাউকে তেমন চিনিনা তাই জিজ্ঞেসও করতে পারছিলাম না কি হয়েছে। তারপর কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে বুঝতে পারলাম ঝগড়ার এক পর্যায়ে মহিলার স্বামী আত্মাহত্যা করতে গিয়েছে। লোকটির গলায় রশি প্রায় আটকে গিয়েছে। আশেপাশের মানুষ অনেক কষ্টে দরজা ভেঙে লোকটিকে বাঁচিয়েছে। আর একটু দেরি হলে মারা যেত। আমি এসব দেখে অনেক ভয় পেয়ে যাই। তারপর এই নিয়ে অনেক চিৎকার-চেঁচামেচি হয়। আমি একটু সময় দেখ জানালা লাগিয়ে দেই।
এই দৃশ্য দেখে যে ভয় পেয়েছি তা মনের ভিতর থেকে যায়। আমার ছেলে এখন প্রতিদিন রাত ১২টা বা ১টায় ঘুমায়। ঐ দিনও তাই হয়েছিল আর ছেলেকে ঘুম পাড়িয়ে হাতের কাজ শেষ করতে করতে রাত প্রায় ২টা বাজে। যখন ঘুমাতে গিয়েছি তখন আর ঘুম আসছিল না। তাই শুয়ে শুয়ে মোবাইল চালাচ্ছি। ওরা বাবা ছেলে ঘুমিয়ে পড়েছে কিন্তু আমি তখনো সজাগ। রাত যখন ৩.৩০ মিনিট তখন হঠাৎ দেখি বাহিরের লাইট জ্বলে নিবে। এই দৃশ্য দেখে আমি অনেক ভয় পেয়ে যাই।
তখন মনের ভিতর অনেক কিছু ঘুরপাক করতে লাগলো। যত সময় যাচ্ছে আমি তত বেশি ভয় পেতে থাকি। ঐ দিন রাতে আমি আর ঘুমাতে পারিনি। যখন সকাল হলো ঐ সময় ঘুমিয়েছি। এরপর সারাদিন মাথার ব্যাথায় অনেক খারাপ লাগছিলো। এরপর শুক্রবার রাত একই ভাবে আমার ছেলে ঘুমায় ১টা বাজে। তখন আমি শুয়ে শুয়ে কমেন্ট করছি। বাবা- ছেলে ঐ দিনও ঘুমিয়ে ছিল। তখন রাত ২.৩০ মিনিট হঠাৎ জানালা খোলার শব্দ পেলাম। আমি মোবাইল বন্ধ করে চুপচাপ জানালার দিকে তাকিয়ে আছি। হঠাৎ দেখি মানুষের মতো কেউ একজন জানালার পাশে দাড়িয়ে আছে।
এরপর এটা দেখে আমি ঐ দিনও ভয় পেতে থাকি। তারপর বুঝতে চেষ্টা করি এটা কি মানুষ নাকি অন্য কিছু। কিছুক্ষণ পর একদম জানালার কাছে আসাতে বুঝতে পারলাম একটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। এরপর বুঝতে পারলাম চোর আসছে তারপর বাবুর আব্বুকে ডাক দিলাম। এরপর জোরে বললাম কে ওখানে আর চোর আমাদের শব্দ পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে গেল। এরপর তো আরও ঘুম আসছিল না। এভাবে ঐ দিন শেষ রাতের দিকে ঘুমিয়েছি।
আমি অনেক ভীতু একটি মেয়ে অল্পতেই ভয় পেয়ে যাই। যদি দিনের বেলা কোনো কিছু নিয়ে ভয় পাই তখন রাতে ঘুমাতে গেলে দিনের কথা মনে হয় আর ভয় পেতে থাকি। এমন ঘটনা আমার সাথে অনেক ঘটেছে। বুঝিনা মানুষ একটু কিছু হলেই আত্মহত্যা কেন করতে যায়। আমি চোর দেখলেও অনেক ভয় পাই। আমার সাথে পরপর দু'রাত এমন হওয়াতে অনেক খারাপ লেগেছিল। রাতে ঘুম না হলে আমি দিনের বেলাও ঘুমানোর জন্য সেই সময় পাই না।
আমার এই মনের কথাগুলো এখানেই শেষ করলাম। আমার কথাতে যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে ক্ষমা চেয়ে নিলাম। আশা করি আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে। যদি আমার পোস্টে কোনো ভুলত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন এই দোয়া কামনা করি।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
Twitter Share
https://twitter.com/TanjimaAkter16/status/1569684296826499074?s=20&t=QYCz2X2l6aw5jIcZ0UEBDQ
আসলে প্রত্যেকটা পরিবারের মধ্যেই বিভিন্ন পারিবারিক কলহের সাথে সম্পৃক্ত হতে হয় কিন্তু এই ধরনের আত্মহত্যা মূলক সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক না। যেটা একটি পরিবারের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আপু আপনি রাতের বেলায় অনেক ভয় পেয়েছেন চোরকে দেখে একটু হাসি পেয়েছি। আসলেই মনের মধ্যে ভয় ঢুকে গেলে যে কোন কিছু দেখলে ভয় করে।
এটা মনে হয় যারা করে তখন তাদের মধ্যে হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। তারজন্য এই ভুল হয় কিন্তু যখন বুঝতে পারে ততক্ষণে সব শেষ হয়ে যায়।আপনার গঠনমূলক মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
আপু আপনার গল্পটি শুনে আমি নিজেও ভয় পেয়ে গেলাম। এজন্য আমি ঘুমানোর আগে সব দরজা জানালা একেবারে বন্ধ করে দিই।কারণ আপনার মত আমিও ভীষণ ভয় পাই। যাই হোক শেষ রক্ষা ছিল তাই ওই মহিলার হাজবেন্ড বেঁচে গিয়েছে।
আপু গরমের দিন বাতাসের জন্য খোলা রাখি কিন্তু ঐদিনের পর এখন সবসময় লাগিয়ে রাখি। যত ভয় পাবেন তত ভয় আপনাকে তাড়া করবে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার গল্পটি পড়ে বুঝতে পারলাম যে আমার সাথে আপনার জীবনের অনেক কিছু মিলে যায়। আমিও অল্প কিছুতেই ভয় পেয়ে যাই। ঠিকই বলেছেন আপনি। পরিবারে থাকতে গেলে টুকটাক কত কিছু নিয়ে মনোমালিন্য হয় তার জন্য সেটা নিয়ে আত্মহত্যা পর্যন্ত পৌঁছানো আসলে ঠিক না। এটা শুনে ভালো লাগলো যে ওই মহিলার হাজবেন্ড অল্পের জন্য বেঁচে গেল। আপনার মতো আমারও যদি কোন একটা চিন্তা যদি মাথায় ঢুকে ঐ রাতে আমি আর ঘুমাতে পারিনা।
আপু আমি আগে গ্রামে গেলে ভয়ের জন্য সন্ধ্যার পর আর বাহিরে বের হতাম না। এমনি ঢাকায়ও গভীর রাতে ওয়াশরুমে যেতে অনেক ভয় লাগে। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
লোকটি শেষ অব্দি বেঁচে গেল এটাই স্বস্তির। তবে ভয় পাওয়াটা খুব স্বাভাবিক । এরকম খুব দুঃখজনক ঘটনা যেমন কষ্টের তেমন ভয়েরও।
লোকটি বেঁচে আছে এটাই অনেক তা না হলে হয়তো ঐদিন অনেক কিছু হয়ে যেত। এমন ঘটনা নিজের চোখের সামনে ঘটলে ভয় পাওয়ার মতোই অবস্থা হয়। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
যদিও ঘটনাটি আপনার কাছে অনেক ভয়ের তবে আমি বেশ মজা পেয়েছি, মনের মধ্যে ভয় থাকলে সব কিছুতেই ভয় লাগে, চোরকে দেখে ভয় পাওয়ার বিষয়টা বেশ মজার ছিল। তবে ঝগড়া হলে মানুষ আত্মহত্যা করতে হয় এই বিষয়গুলো খুবই বাজে এই বিষয়টি সত্যিই যেকোনো মানুষের মনে দাগ কাটতে পারে যেমনটি আপনার মধ্যে হয়েছে আশা করি আর ভয় পাবেন না সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
ভাইয়া কথায় আছে বনের বাঘে খায়না কিন্তু মনের বাঘে খায়। ঐদিন রাতে আমার অবস্থা ঠিক ওরকমই হয়েছিল। যাই হোক সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
আপু আপনার লেখাটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো ।তবে প্রথম দিকে আমি ভাবছিলাম আপনার জানালার পাশে হয়তো কোন ভূত দাঁড়িয়ে আছে ।আমার ভয়ে গা হাত-পা কাঁপছিল। পরে জানতে পারলাম চোর। কিন্তু রাতের বেলা চোর দেখলে আমিও মনে হয় ভয়ে চিৎকার করে উঠবো। আর পাশের বাড়ির ঘটনাটা শুনে খুব খারাপ লাগলো ।মানুষের সামান্য কিছুতে এভাবে আত্মহত্যা করতে যাওয়াটা ঠিক না। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আমিও প্রথমে ভেবেছিলাম ভূত হবে কিন্তু পরে লাইটের আলোতে যখন পরিষ্কার দেখলাম তখন বুঝেছি চোর এসেছে। আপু যদি সত্যি ভূত হতো তাহলে আমাকে আর খুঁজে পাওয়া যেত না। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আপু আপনার গল্পটি পড়ে আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমি তো ভেবেছিলাম ওই বাড়িতে নিশ্চয়ই কেউ কাউকে মেরে ফেলেছে। এবং এরপর আপনার জানালার পাশের ভুতের কাহিনী পড়েও ভয় এবং মজার দুটি পেয়েছিলাম। যাই হোক আপনি সাহস করে কে বলাতে চোর পালিয়ে গিয়েছে।
আপু আপনি আমার গল্প পড়েই ভয় পেয়ে গিয়েছেন তাহলে বুঝেন আমার অবস্থা কি হয়েছিল। এখনো মাঝে মাঝে রাতে অনেক ভয় লাগে।ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।