সুস্বাদু ভুনা খিচুড়ি ও মুরগির মাংস রেসিপি || ১০% পে-আউট 'লাজুক-খ্যাক' এর জন্য
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যদের জানাই আমার সালাম। আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো বন্ধুরা,সবাই কেমন আছেন? নিশ্চয় সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সবাই সবার পরিবারকে নিয়ে অনেক ভালো এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আমার পরিবারের সবাইকে নিয়ে খুব ভালো আছি।
আমি রান্না করতে খুব ভালোবাসি। তার পাশাপাশি বিভিন্ন ডাই প্রজেক্ট এবং একটু সময় পেলেই ছোট ছোট কবিতা লেখাও আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। বিভিন্ন রেসিপি তৈরি করে সুন্দরভাবে পরিবেশন করা এবং সবাইকে একসাথে নিয়ে খাওয়া-দাওয়া করতে আমার অনেক ভালো লাগে। এজন্য আমার বাংলা ব্লগে আজকে আমি আপনাদের সাথে আরো একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম। যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে আমার খুব ভালো লাগে এবং আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আরও বেশি ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের ইউনিক রেসিপি দেখতে আমার খুব ভালো লাগে এবং আমিও নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে উৎসাহ পাই।তাই আপনাদের থেকে উৎসাহ নিয়ে আমিও চেষ্টা করি কিছু রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
আমার আজকে রেসিপিটি হচ্ছে সুস্বাদু ভুনা খিচুড়ি ও মুরগির মাংস রেসিপি। আমার আজকে হঠাৎ করে ভুনা খিচুড়ি খেতে খুব ইচ্ছে করছিল। তারপর খিচুড়ি দিয়ে খাওয়ার জন্য সাথে একটু মুরগীর মাংসও রান্না করে নিলাম। আজ এই রেসিপিটিই আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য নিয়ে আসলাম।আমরা খুব সহজেই এই রেসিপি তৈরি করতে পারি। আমি প্রায় সময়ই এভাবে এই রেসিপি তৈরি করে থাকি। আজকে আমি আমার রেসিপির প্রত্যেকটি ধাপ আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আমি জানি আপনারাও বাড়িতে এই রেসিপি প্রায় সময় তৈরি করে থাকেন। কারণ এই রেসিপি খেতে সবারই অনেক ভালো লাগে। আশা করছি আমার রেসিপিটি আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
রেসিপির প্রয়োজনীয় উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
মুরগির মাংস | ১০০গ্ৰাম |
পোলাও চাল | হাফ কেজি |
পেঁয়াজ কুঁচি | এক বাটি |
হলুদের গুঁড়া | হাফ চামচ |
মরিচের গুঁড়ো | দুই চামচ |
আদা ও রসুন বাটা | ১চামচ |
জিরা গুঁড়া | হাফ চামচ |
ধনিয়া গুঁড়া | হাফ চামচ |
আলু | ছয় পিস |
তেজপাতা | তিনটি |
এলাচ | তিনটি |
তেল | পরিমাণমতো |
লবণ | স্বাদমতো |
মাংস তৈরীর প্রক্রিয়াসমূহ
ধাপ ১
প্রথমে চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দেবো। তারপর কড়াই গরম হয়ে গেলে তাতে পরিমান মত তেল দিয়ে দেব। তারপর তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নাড়াচাড়া করে ভেজে নেব।
ধাপ ২
পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে সবগুলো মসলা দিয়ে দেবো। তারপর অল্প একটু পানি দিয়ে ভাল করে মশলা গুলো কষিয়ে নেব।
ধাপ ৩
মসলাগুলো কষানো হয়ে গেলে যখন দেখব উপরে তেল ভেসে উঠেছে তখন মাংসগুলো দিয়ে দেবো। এরপর মাংসগুলো মসলার সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে একটু কষিয়ে নেব।
ধাপ ৪
এরপর আলু দিয়ে দেবো তারপর আবারও একটু সময় নিয়ে কষিয়ে নেব। মাংস রান্না করলে যত বেশি কষানো হবে তত বেশি খেতে মজা হবে।
ধাপ ৫
কষানো হয়ে গেলে এরপর পরিমাণমতো পানি দিয়ে দেবো। এখানে আমি বেশি পানি দেইনি। কারন যেহেতু আমি ভালো করে কষিয়ে নিয়েছি তার জন্য বেশি পানি দেওয়ার দরকার নেই। এরপর অল্প পানি দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেবে।
ধাপ ৬
এরপর যখন জল শুকিয়ে যাবে তখন নাড়াচাড়া করে না নামিয়ে নেব। এভাবেই হয়ে যাবে আমার মাংস রান্না করা।
ভুনা খিচুড়ি রেসিপি
ধাপ ১
প্রথমে আমি পোলাওর চাল ও ডাল একসাথে মিশিয়ে একটি ঝুড়ির মধ্যে নিয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরানোর জন্য রেখে দিয়েছি।
ধাপ ২
এবার আমি চুলা একটি পাতিল বসিয়ে দেবো। তারপর পাতিল গরম হয়ে আসলে পরিমান মত তেল দিয়ে দেবো। এরপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা একটু নেড়েচেড়ে ভেজে নেব।
ধাপ ৩
এবার আমি পোলাওর চাল দিয়ে দেবো। তারপর পেঁয়াজের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে একটু সময় ভেঁজে নেব।
ধাপ ৪
যেহেতু আমি খিচুড়ি রান্না করব তার জন্য হলুদ গুঁড়া ও পরিমাণমতো লবণ দিয়ে আবারও ভালোভাবে ভেজে নেব। একটু সময় নিয়ে নেড়েচেড়ে বাঁচতে হবে এ সময় ভাজা থামিয়ে দিলে নিচে দিয়ে পুড়ে যেতে পারে।
ধাপ ৫
এবার আমি পানি দিয়ে দিব। অনেকে ঠিক মত পানি দিতে পারে না তার জন্য অনেক সময় দেখা যায় হয়তো নরম হয়ে যায়, না হয়তো শক্ত থেকে যায়। তার জন্য আমি আপনাদের আজকে সঠিক নিয়মে পানি দেওয়া দেখিয়ে দেবো। এখানে চাল-ডাল মিলিয়ে আমি দুই কাপ নিয়েছে। তার জন্য এখানে আমি দুই কাপ এর পরিবর্তে চার কাপ পানি দিয়ে দিব। তাহলে আমার খিচুড়ি বা পোলাও যেটাই রান্না করেন না কেন এভাবে মেপে দিলে নরমও হবেনা আবার শক্তও থাকবে না।
ধাপ ৬
এবার আমি একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখবো। প্রথমে চুলার আঁচ একটু বাড়িয়ে দিয়েছি। যখন পানি শুকিয়ে যাবে তখন হালকা কমিয়ে একটু সময় বসিয়ে রাখবো। তাহলে তৈরি হয়ে যাবে আমার ভুনা খিচুড়ি রেসিপি।
উপস্থাপনা
আমি একটি প্লেটে ভুনা খিচুড়ি, মাংস ও সাথে টমেটোর চাটনি দিয়ে সুন্দরভাবে সাজিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য নিয়ে এসেছি। বাড়িতে যদি কোন অতিথি আসে তাহলে আমরা এভাবে রেসিপি তৈরি করে খাওয়াতে পারি। এই রেসিপি দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও তেমনি দারুন সুস্বাদু লাগে। আজ এ পর্যন্তই আবার দেখা হবে আপনাদের সাথে নতুন কোনো রেসিপি নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
মুরগির মাংস দিয়ে ভুনা রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসলো। কারণ মুরগির মাংস দিয়ে ভুনা রেসিপি খেতে খুবই মজা। আপনি খুবই সুস্বাদু রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন এবং সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া মুরগির মাংস দিয়ে ভুনা খিচুড়ি খেতে অনেক মজা লাগে। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভুনা খিচুড়ি দেখে তো লোভ লেগে গেলো। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ভুনা খিচুড়ি তৈরি করেছেন। আমার কাছে এই রেসিপিটি অনেক ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে তৈরি করেছেন। আমার কিছু মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। পুরো রেসিপিটি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হুম আপু অনেক মজা হয়েছিল।আপু আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ভুনা খিচুড়ি আর মুরগির মাংস আমার খুবই খুবই ফেভারিট খাবার মাঝে মধ্যে যেটি বাড়িতে প্রস্তুত করে খাওয়া হয় আপনার রেসিপি দেখে তো আমি লোভ সামলাতে পারছিনা ইচ্ছা করছে খেতে শুরু করি কিন্তু উপায় নেই সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ভুনা খিচুড়ির সাথে মুরগির মাংস খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে, আপনি অনেক মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই ভুনা খিচুরির সাথে মুরগির মাংস রান্নার রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনি অনেক তৃপ্তি সহকারে খেয়েছিলেন। আপনার এমন রেসিপি দেখে আমার জিভে জল এসে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে এত মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অনেক মজা করে খেয়েছি ভাইয়া। আমার আবার খিচুড়ি অনেক পছন্দ। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ভুনা খিচুড়ি খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ভুনা খিচুড়ি ও মুরগির মাংস রেসিপি শেয়ার করেছেন ।যা দেখে জিভে জল চলে আসলো ।নেক্সটাইম এরকম রেসিপি শেয়ার করার আগে আমাকে দাওয়াত দিবেন আমি যেয়ে খেয়ে আসব ।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
অবশ্যই ভাইয়া এরপর রান্না করলে সবার প্রথমে আপনাকে দাওয়াত দেব। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। খিচুড়ি দিয়ে মুরগির মাংস খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনার রেসিপিটি দেখে খুব লোভ লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া একবার বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন খুবই সুস্বাদু লাগে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
Twitter Share
https://twitter.com/tanjima_akter16/status/1504829646944149509?s=20&t=l0ozxt4VngwDINJPj5sKUQ
আপু কি আর বলব এমন এক সময়ে এমন জিনিস দেখালেন এখন তো লোভ সামলিয়ে রাখা খুব কষ্টকর হয়ে যাবে! আপনার ভুনা খিচুড়ি এবং মুরগির মাংসের রেসিপি দেখে খুব লোভ লেগে গেলো। আর আপনার উপস্থাপনা ও চমৎকার ছিল বিশেষ করে খিচুড়িতে পানি দেওয়ার যেই ব্যাপারটা তা আপনি একদম ক্লিয়ার করে দিয়েছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ভাইয়া এভাবে যদি মেপে পানি দেন তাহলে খিচুড়ি ঝরঝরে হবে আর খেতেও অনেক সুস্বাদু হবে।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
খিচুড়ি খেতে আমার তেমন একটা ভালো লাগেনা।তবে মুরগির মাংস আমার অনেক ভালো লাগে।আপনি অনেক সুন্দর করে রেসিপিটি উপস্থাপন করেছেন।আপনার প্রেজেন্টেশন অনেক ভালো হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য
আমিও আগে খিচুড়ি তেমন পছন্দ করিনি।কিন্তু ইদানিং কেন জানি অনেক ভালো লাগে।আপনিও আমার মতো একবার খেয়ে দেখেন অনেক মজা পাবেন। সুন্দর একটি কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য নামে।
এক কথায় অসাধারণ ছিলো জিভে পানি টলমল করছিলো আপনার রেসিপি দেখে
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সুন্দর একটি কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য।