গল্প || ভালোবাসার মানুষ যখন বিশ্বাসঘাতকতা করে (পর্ব-১)
হ্যালো বন্ধুরা,আসসালামু আলাইকুম। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজ আবারও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে চলে এসেছি। আজকে একটি গল্প শেয়ার করবো। গল্পটি সত্য ঘটনার উপর লেখা। আমি সবসময়ই চেষ্টা করি বাস্তবের ঘটনা তুলে ধরার জন্য। তেমনি আজকের এই ঘটনা একদম বাস্তবের। আমাদের জীবন নাটকের চেয়েও নাটকীয়। মানুষের জীবন থেকে নেওয়া গল্প দিয়েই কিন্তু নাটক তৈরি করা হয়। অনেক সময় দেখবেন এমন কিছু নাটক রয়েছে যা দেখলে মনে হবে আপনার জীবনের সাথে অনেকটা মিলে গিয়েছে। যাই হোক কাজের কথায় আসি,গল্পের নায়িকা শিলা আর নায়ক আকাশ। শিলার সাথে আকাশের পরিচয় হয় কলেজ থেকে। তারা দু'জন একই কলেজে পড়ালেখা করতো। শিলা দেখতে খুব সুন্দর আর স্মার্ট। তাছাড়া পড়ালেখায় ও ভালো।
অন্যদিকে আকাশ ও কম যায় না,সেও দেখতে খুব সুন্দর আর পড়ালেখায় খুব ভালো। আকাশ শিলাকে প্রপোজ করেছিল আর প্রথমে রাজি না হলেও পরবর্তীতে আকাশের ব্যবহার শিলাকে তার প্রস্তাবে রাজি হতে বাধ্য করে। আকাশ শুধু দেখতে সুন্দর নয়,তার ব্যবহার খুবই ভালো আর সে খুব ভদ্র ছেলে। এরপর শিলা আর আকাশের প্রেমের সম্পর্ক ভালোই যেতে থাকে। তাদের দু'জনের পরিবার দু'জন কে দেখে পছন্দ করে। একটা সময় গিয়ে তাদের বিয়ে হয়। শিলা পড়ালেখা শেষ করে বিজনেস শুরু করে আর আকাশ জব করে।
তাদের সুখের সংসার ভালোই যাচ্ছে। একদিন আকাশ আর শিলা রাতের বেলায় পার্টি করে বাসায় আসছিল তখন রাস্তায় একটি মেয়েকে অসহায় দেখে শিলার খুব কষ্ট হয়। এরপর শিলা সেই মেয়েকে তার বাসায় নিয়ে আসে। মেয়েটির নাম রিমা। রিমার মা-বাবা, ভাই-বোন কেউ নেই আর রিমার কষ্টের কথা শুনে শিলা বলে আজ থেকে আমি তোমার বড় বোন। তুমি আমার এখানে থাকবে আর আমার হাতে হাতে কাজ করে দিবে। রিমার বয়স বেশি ছিল না। রিমা শিলার সংসারের কাজ করার পাশাপাশি পড়ালেখার ও সুযোগ পায়।
এদিকে শিলা আর আকাশের বিয়ের অনেক বছর পার হয়ে গিয়েছে কিন্তু তাদের কোনো সন্তান হয়নি। তাদের টাকা পয়সার অভাব ছিল না কিন্তু সন্তানের অভাব ছিল। তারপরও আকাশ আর শিলার মধ্যে অনেক ভালোবাসা ছিল। শিলা বিজনেস এর জন্য প্রায় সময় বিদেশে যেতো। শিলা একাই যেতো আর বাসায় আকাশ আর রিমা কে রেখে যেতো। একবার শিলা বিজনেস এর কাজে এক মাসের জন্য বিদেশে যায় আর একমাস পর এসে শুনে রিমা আকাশের সন্তানের মা হতে চলেছে। এই কথা শুনে শিলার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। শিলা কি করবে বুঝতে পারছিলো না। এরপর অনেক ভেবে চিন্তে রিমা কে শিলা একটা প্রস্তাব দেয় আর রিমা সেই প্রস্তাবে রাজি হয়।
শিলা রিমাকে বলে তুমি তো এই সন্তানের পরিচয় কাউকে দিতে পারবে না, কারণ সে তো জারজ সন্তান আর তাকে ভালো পরিবেশ দিতে পারবে না। কিন্তু আমি সব দিতে পারবো,তবে সন্তানের বিনিময়ে তোমাকে আমি একটি ফ্ল্যাট ও নগদ এক কোটি টাকা দেবো। এমন লোভনীয় প্রস্তাব পেয়ে রিমা রাজি হয়ে যায়। শিলা আকাশ কে এতটাই ভালোবাসে যে সে এমন জঘন্য কাজ করার পরও ছেড়ে যায়নি। অন্যদিকে আকাশ তার ভুল বুঝতে পেরে শিলার কাছে ক্ষমা চায়। শিলা ক্ষমা করে দিলেও তার প্রতি একটা ঘৃণা কাজ করে। শিলার কাছে আকাশ এবং রিমা দু'জনই ভালোবাসার। কিন্তু এই দু'জন তাকে এভাবে ঠকাবে সে বুঝতে পারেনি। প্রথমে শিলা ভেঙ্গে পড়েছিল কিন্তু তার বাবা মা সেই সময় তার পাশে থেকে সাপোর্ট দিয়েছে বলে শক্ত ছিল। (চলবে---)
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
https://x.com/TanjimaAkter16/status/1839715628086898832?t=aT46zItmx-8Z3_ZSTikoBg&s=19
ভালোবাসার মানুষ গুলোই এরকম পেছন থেকে চাকু মারে। এর জন্যই তো রিমা এবং আকাশ শিলার সঙ্গে এরকম কাজ করেছে। রিমাও লোভে পড়ে সন্তান কেউ দিতে রাজি হয়ে গিয়েছে। বোঝা যাচ্ছে মেয়েটিকে কিরকম। যাই হোক বেশ ভালো লাগলো গল্পটি। তবে শিলার জন্য না খুব খারাপ লাগছে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আপু শিলা আকাশকে অতিরিক্ত ভালোবাসে বলেই এমন আঘাত পেয়েছে আর সেজন্যই ছেড়ে যেতে পারছে না। ধন্যবাদ পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকার জন্য।
বর্তমান সময়ে প্রেম ভালবাসার প্রবণতা বেশি। আর এই প্রেম প্রবণতার ফাঁদে পড়ে বেশিরভাগ মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। ঠিক তেমনি একটা গল্প স্টার্ট করেছেন আপনি। হয়তো আগামীতে আরো অনেক কিছু জানতে পারবো।
ঠিক বলেছেন বর্তমানে প্রেম ভালবাসার প্রবণতা বেশি আর সেজন্য ফাঁদেও পড়ছে বেশি। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
আসলে ভালোবাসার মানুষগুলো যদি আমাদেরকে ঠকায় তাহলে কষ্টটা সবথেকে বেশি লাগে। তবুও তাদেরকে ছাড়তে ইচ্ছে করে না। কারণ তাদের প্রতি ভালোবাসা টা আমাদের থেকে যায়। তেমনি শিলা ও ছাড়তে পারেনি তার ভালোবাসার মানুষকে এবং রিমাকে। এখন দেখা যাক এই গল্পের পরবর্তীতে কি হয়।
আপু অতিরিক্ত ভালোবাসার জন্যই কষ্ট হলেও মানিয়ে নিতে হয়। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
আপু কিছু কিছু ভালোবাসার সংসারে তৃতীয় ব্যক্তি এসে অশান্তি করে। আজকে আপনার গল্পটি মধ্য এরকম দেখা যাচ্ছে। আকাশ এবং শিলা তারা ভালবেসে বিয়ে করেছে এবং তাদের সুখের সংসার আছে। অথচ রিমা তাদের সংসারে এসে তাদের সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করেছে। আর আকাশ যে অন্যায় করেছে তারপরও তার ওয়াইফ তাকে ক্ষমা করেছে এটিই বড় কথা। এবং তার ওয়াইফ আগের মত সেই ভালো চোখে তাকে আর দেখবে না। পরের পর্বে অপেক্ষায় আছি। আশা করি পরের পর্বটি তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
হ্যাঁ আপু ভালোবাসার মাঝখানে তৃতীয় ব্যক্তি চলে আসলেই সমস্যা। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকার জন্য ধন্যবাদ।
আকাশ এবং রিমার মোটেই উচিত হয়নি শিলাকে এভাবে কষ্ট দেওয়াটা। রিমাকে রাস্তা থেকে শিলা বাসায় এনে নিজের বোনের মর্যাদা দিলো,আর সে এমন জঘন্য একটা কাজ করলো। তাছাড়া আকাশও শিলার ভালোবাসার মর্যাদা রাখলো না। আসলে কাছের মানুষগুলোই সবচেয়ে বেশি কষ্ট দেয়। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।