ছোটবেলায় বরই খেতে গিয়ে বিপদে পড়া।১০% লাজুক-খ্যাঁককে
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু-আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ভাল আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে অন্য রকম একটি পোস্ট নিয়ে চলে আসলাম। আমি আর ছোট ভাই অনেক দুষ্টমি করতাম কিন্তু বড় ভাইয়া আবার অন্যরকম ছিল। আমি আর ছোট ভাই চার বছরের বড় ছোট তারজন্য ছোট বেলা থেকে যেকোনো কাজ একসাথেই করেছি। আমার সব কথা ওকে বলা আর ওর সব কথা আমাকে বলতো। কিন্তু বড় ভাইয়ার সাথে আবার সম্পর্ক এতটা গভীর ছিল না। কিন্তু ভাইয়া আমাদের দুজনকে অনেক ভালোবাসতো।
মাঝে মাঝে এমন সব দুষ্টুমি করতাম যার জন্য মায়ের হাতে অনেক মার খেতে হতো। আমাদের বাড়ি থেকে অল্প দূরে আমার নানার বাড়ি। আমার মার মামার বাড়ি আর সেই সম্পর্কে আমার নানার বাড়ি। আমরা সময় পেলেই নানার বাড়ি যেতাম। তখন বড়ই এর সিজন ছিল। আমাদেরও একটা বড় বরই গাছ ছিল। আমাদের গাছের বড়ই খুবই মজার ছিল।
নানা বাড়িতেও অনেক বড় বরই গাছ ছিল। সেই বড়ই দেখতে ও খেতে অনেকটা আপেল বরই এর মতো। ছোট অবস্থায় খেতে ভালো লাগেনা কিন্তু বড় হলে পাকা অবস্থায় খেতে খুবই মিষ্টি লাগে। আমরা মাঝে মাঝে গিয়ে বরই নিয়ে আসতাম। একদিন বিকাল বেলা আমরা তিন ভাইবোন মায়ের সাথে নানা বাড়ি গেলাম। একটা কথা কি গাছ থেকে ঢিল মেরে বরই পেরে খেতে খুবই ভালো লাগে।
এরপর মা বাড়ির ভিতরে চলে গেল এবং আমরা তিনজনে বাড়ির পিছনে দাঁড়িয়ে রইলাম। আমরা বড় বড় ইটের টুকরো দিয়ে ঢিল ছুরতে লাগলাম। বিকাল হলে অনেক ছেলে মেয়ে বরই গাছের নিচে খেলতে আসে। সেই দিনও এসেছিল তারাও আমাদের সাথে ঢিল ধুরছে। একসময় আমার বড় ভাইয়ার একটা ঢিল গিয়ে একটি মেয়ের কপালে লাগে। তখন সাথে সাথে কপালের একটু জায়গা কেটে রক্ত বের হতে থাকে।
আমরা তিনজনই এই দৃশ্য দেখে ভয় পেয়ে গেলাম। এরপর মেয়েটি কান্না শুরু করে আর আমরা তিনজনই তা দেখে এক দৌড়ে বাড়ি চলে আসি। তখনও আমার মা নানা বাড়ি ছিল আর মেয়েটি কান্না করে তার মায়ের কাছে বলে। মেয়েটির মা আমার মায়ের কাছে বিচার নিয়ে আসে। তারপর মা বাড়িতে এসে আমাদের খুজতে লাগলো। আমাদের বাড়ির সামনে ধান ক্ষেত ছিল আমরা ভয়ে সেখানে বসে ছিলাম।
তারপর যখন রাত হয়ে গেল আর মার রাগ একটু কমে আসলো তখন বাড়িতে আসলাম। তারপরও মা অনেক বকেছে কিন্তু মার খেতে হয়নি। ঐ মেয়েকে চিকিৎসার জন্য মা টাকাও দিয়েছে। তারপর থেকে আর ওভাবে ঢিল মেরে বরই খাওয়া হয়নি। যাই হোক আমার কথাগুলো এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনাদের কাছে আমার আজকের এই পোস্ট পড়ে ভালো লাগবে। যদি আমার পোস্টে কোনো ভুলত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন এই দোয়া কামনা করি।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
ওয়ালাইকুম আসসালাম,
বড়ই চুরি করে খেয়েছি অনেকবার। তবে কখনো ঢিল মেরে বড়ই পেরে খাইনি। আসলে ঢিল মারার সময় আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত কখন যে কার মাথায় লেগে যায়। আর আপনার গল্প দিতে বললাম আপনি তো খুবই ভয় পেয়েছেন দেখি। আমিও অনেকবার আম্মুর মারের ভয়ে বাড়িতে দেরি করে ফিরেছি। আপনার গল্পটি পড়ে সে সব কথা মনে পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে এই গল্পটি শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ। খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
আহারে! বাচ্চা মেয়েটার জন্য বড়ই খারাপ লাগলো। কিন্তু এখানে আপনাদেরও বিশেষ দোষ নেই। ওটা বয়সই হল এইসব করার। আমরাও কি কম করেছি নাকি?এই সব করতে গিয়ে কতরকম অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে! যাই হোক দুষ্টু মিষ্টি অভিজ্ঞতা।
আপু আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগলো। গঠনমূলক মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
ছোটবেলার কথা সত্যি কখনো ভুলা যাবে না।খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ।
আপু, ছোটবেলার কিছু কিছু স্মৃতি সত্যি কখনো ভোলা যায় না। ছোটবেলায় বরই খেতে গিয়ে আপনি ও আপনার ভাই যে বিপদে পড়েছিলেন, ঠিক এরকম একটি বিপদের সম্মুখীন আমার এক চাচাতো ভাই হয়েছিল। সেও জলপাই পারতে গিয়ে ঢিল ছুঁড়ে একজনের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল। তবে সে কোথাও পালিয়ে যেতে পারেনি, তাই তার মা তাকে ধরে বেধড়ক মার দিয়েছিল। তারপর থেকে সে কখনো আর কোনো ফলই ঢিল ছুড়ে খেতো না। আপনার গল্পটি পড়তে গিয়ে আমার চাচাতো ভাইয়ের গল্পটিও মনে পড়ে গেল। আপনার ছোটবেলার গল্পটি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
একদম ঠিক ভাইয়া ছোটবেলায় এমন কিছু স্মৃতি থাকে যা কখনো ভুলা যায় না।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনার পোস্ট টি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো এবং পুরোনো কিছু স্মৃতি মনে পরে গেলো।ছোট বেলায় আমরাও অনেক ঢিল ছুড়ছে বড়ই পেরেছি এটার মজাই আলাদা।মায়ের হাত থেকে মার খাওয়ার ভয়ে কত জায়গায় যে লুকিয়েছি সেই কথা মনে পরলে এখন হাসি পায়।যাই হোক আপনার পুরোনো দিনের কথা শুনে খুব ভালো লাগল ধন্যবাদ আপু।
আপনার পুরোনো স্মৃতি মনে পড়ার কথা শুনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।