বাসায় তৈরি রেসিপির ফুড ফটোগ্রাফি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে বাসায় তৈরি রেসিপির ফুড ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছি। যদিও এর আগে আমি কখনো ফুড ফটোগ্রাফি শেয়ার করিনি। আজই প্রথম করছি। তাই আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আসলে খাবার খেতে আমরা সবাই ভীষণ পছন্দ করি। তবে আমার কাছে রেস্টুরেন্টের খাবার খেতে বেশি ভালো লাগে। যদিও বাসায় বানানো কিছু স্পেশাল খাবারও বেশ মজার হয়ে থাকে আর বাসায় বানানো খাবার সবসময় স্বাস্থ্যসম্মত হয়। সবকিছু জেনেও কেন জানি বাহিরের খাবার খেতেই বেশি ভালো লাগে। তারজন্যই মাঝে মাঝে চলে যাই রেস্টুরেন্টে।
তবে আমি আজ বাসায় তৈরি খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। অনেক সময় দেখা যায় সময়ের অভাবে রেসিপির সম্পূর্ণ ছবি তুলা হয়না। তবে এভাবে ফাইনাল ছবি তুলেও আমরা আমাদের রেসিপি সবার মাঝে শেয়ার করে নিতে পারি। আজকের প্রতিটা ফুড ফটোগ্রাফি একেক সময়ে একেক দিন তোলা। আমি বেশির ভাগ সময় ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি কিন্তু ইদানিং সবাইকে দেখছি ফুড ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে। তাই চিন্তা করলাম যখন রেসিপির ফটোগ্রাফি তুলতে সময় না পাবো তখন রেসিপির ফাইনাল ছবি তুলে রাখবো। আপনাদের ফুড ফটোগ্রাফি দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তারজন্য আমিও আজ ফুড ফটোগ্রাফি নিয়ে চলে এসেছি। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন দেখে আসি আমার আজকের ফুড ফটোগ্রাফি গুলো।
বাসায় তৈরি রেসিপির ফুড ফটোগ্রাফি
বিভিন্ন সবজি দিয়ে ইলিশের ঝোল
প্রথমে দেখাবো বিভিন্ন সবজি দিয়ে ইলিশ মাছের ঝোল রেসিপির ফুড ফোটোগ্রাফি। এই রেসিপি গতকাল রান্না করেছিলাম। যেহেতু জাতীয় মাছ ইলিশ আর খেতেও সুস্বাদু, তারজন্য ছোট আর বড় নেই সব সাইজের ইলিশ খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। গতকাল খুব ইচ্ছে করছে ইলিশ খেতে। কিন্তু আমার ফ্রিজে যে ইলিশ মাছ আছে তা ভুলেই গিয়েছিলাম। এরপর কি রান্না করবো ভেবে ফ্রিজ খুলে দেখতে লাগলাম কি কি মাছ আছে। এরপর এককোণায় দেখতে পেলাম ইলিশ মাছ রয়েছে। যেহেতু ঘরে পটল, ধুন্দুল, শসা আর আলু ছিল তাই চিন্তা করলাম সব সবজি একত্রে করে আজ ইলিশের ঝোল রান্না করবো। এই রেসিপি খেয়ে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল।
আলু দিয়ে মুরগির মাংসের ঝোল
এবার দেখাবো আলু দিয়ে মুরগির মাংসের ঝোল রেসিপির ফুড ফটোগ্রাফি। এই রেসিপি বেশ কিছু দিন আগে তৈরি করেছি। সেই দিন আমার চাচাতো ভাই এসেছিল আর সেজন্যই মূলত এই রেসিপি তৈরি করা। কিন্তু তাড়াতাড়ি রান্না করতে গিয়ে আমি সুস্বাদু রেসিপির ছবি একদমই তুলতে পারি না। তবে এই রেসিপির ফাইনাল ছবি তুলে রেখেছি। আমার ভাই খেয়ে খুবই প্রশংসা করেছে।
মজাদার সেমাই রান্নার রেসিপি
এখন দেখাবো মজাদার সেমাই রান্নার রেসিপির ফুড ফটোগ্রাফি। আমি সেমাই খেতে খুবই পছন্দ করি আর আমার ছেলে আরও বেশি পছন্দ করে। তারজন্য মাঝে মাঝেই সেমাই রান্না করা হয়। আমি আবার সেমাই রান্না করলে একটু বেশিই রান্না করি। কারণ ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে খেতে আমি বেশি পছন্দ করি। তবে নারিকেল দিয়ে সেমাই খেতে আরও বেশি পছন্দ করি। আমার ছেলে আবার বাদাম না দিলে খেতে চায় না। তারজন্য সবসময় নারিকেল, বাদম এবং দুই ধরনের দুধ দিয়ে সেমাই রান্না করা হয়।
ডিম দিয়ে নুডুলস
এবার দেখাবো ডিম দিয়ে নুডুলস রেসিপির ফুড ফটোগ্রাফি। আমি এবং আমার ছেলে নুডুলস খেতে খুবই পছন্দ করি। এই রেসিপি সকাল কিংবা বিকালের নাস্তায় খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। এমনকি অতিথি আপ্যায়নেও খুবই মজাদার রেসিপি এটি। এই রেসিপি ছোট বড় সবাই পছন্দ করে। শীতের সময়ে বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে খেতে আরও বেশি ভালো লাগে।
চিংড়ি মাছ দিয়ে মিষ্টি কুমড়া ভাজি
এখন দেখাবো চিংড়ি মাছ দিয়ে মিষ্টি কুমড়া ভাজি রেসিপির ফুড ফটোগ্রাফি। এই রেসিপি গতকাল রান্না করেছিলাম। আমরা জানি মিষ্টি কুমড়ায় প্রচুর ভিটামিন রয়েছে। কিন্তু আমার ছেলেকে আলু ছাড়া আর কোনো সবজি খাওয়াতে পারি না। আমি মিষ্টি কুমড়া খেতে খুবই পছন্দ করি। মিষ্টি কুমড়ার যেকোনো রেসিপি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে আমার বাসায় চিংড়ি মাছ দিয়েই বেশি রান্না করা হয়।
নারিকেল দিয়ে চিংড়ি মাছের ঝুরা ভাজি
এবার দেখাবো নারিকেল দিয়ে চিংড়ি মাছের ঝুরা ভাজি রেসিপির ফুড ফটোগ্রাফি। এই রেসিপি আমার শ্বাশুড়ির কাছ থেকে শেখা। আমাদের দিকে নারিকেল দিয়ে কোনো রেসিপি তৈরি করা হয় না। কিন্তু শ্বশুর বাড়ির দিকে চিংড়ি দিয়ে নারিকেলের ঝুরা ভাজি খুবই বিখ্যাত। প্রথমে খেতে চাইনি কিন্তু পরে এই রেসিপি খেয়ে আমি খুবই মজা পেয়েছি তাই মাঝে মাঝেই বাসায় তৈরি করা হয়।
লাল শাক ভাজি
সবশেষে দেখাবো লাল শাক ভাজি রেসিপির ফুড ফটোগ্রাফি। লাল শাক আমি এবং আমার হাসবেন্ড দু'জনেই খেতে খুবই পছন্দ করি। লাল শাকে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে। অন্য শাকের থেকে আমার বাসায় এই শাক বেশি খাওয়া হয়। আমার ছেলে লাল শাক দিয়ে খেতে বসলে বলে আম্মু তোমার হাতে রক্ত। ভাত লাল হয় বলে সে শাক খেতে চায় না। তাকে আমি কোনো শাক সবজি খাওয়াতে পারিনা। আমার কাছে লাল শাক ভাজি হলে অন্য রেসিপির বেশি প্রয়োজন হয়না।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি আমার আজকের ফটোগ্রাফি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। যদি ভালো লাগে তাহলে সুন্দর মন্তব্য করে জানাবেন। যাই হোক আমার লেখা আজ এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্টের মাধ্যমে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন এই দোয়া কামনা করি।
পোস্টের বিবরণ
| ডিভাইসের নাম | vivo |
|---|---|
| ফটোগ্রাফার | @tanjima |
| ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
| লোকেশন | ঢাকা |
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
বেশ ভালো একটা আইডিয়া বাসায় অনেক সময় অনেক রান্না হয়। সময়ের অভাবে রেসিপি করা হয় না। তবে এভাবে ফটোগ্রাফি করে রাখলে ফটোগ্রাফি পোস্ট তৈরি করা যাবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু বেশ কিছু লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু অনেক সময় বিভিন্ন ঝামেলার কারণে ছবি তুলা হয়না। তবে এভাবে ফাইনাল ছবির ফটোগ্রাফি করে রাখলে কাজে লাগবে। ধন্যবাদ।
ফুড ফটোগ্রাফি পোস্ট দারুন হয়েছে আপু। এই খাবারগুলো দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে। মজার সব খাবার গুলো খেতে ইচ্ছে করছে আপু।
আপু তাহলে চলে আসেন আবার না হয় নতুন করে রান্না করবো। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
আপু খুবই দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। প্রতিটা খাবারের ফটোগ্রাফি সত্যি অনেক অসাধারণ ছিল। আপনার বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা করতে হয়। প্রত্যেকটি খাবার দেখতে খুবই লোভনীয় ছিলো। ধন্যবাদ আপু এত ইউনিক একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার কাছে আমার পোস্ট ইউনিক লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।
বাসায় তৈরি অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু খাবারের ছবি আজ আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। লোভনীয় লাগছে খাবার গুলো ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনার শেয়ার করা এই ফুড ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগছে। এই প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। আর প্রত্যেকটি খাবারই অনেক সুস্বাদু হয়েছে বলে এখানে দেখা যাচ্ছে। অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি ফুড ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া সত্যিই সবগুলো রেসিপি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু আপনার চমৎকার কিছু ফুড রেসিপি ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার প্রত্যেকটা রেসিপি খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে। যেহেতু আমি একটু মিষ্টি পছন্দ করি তাই ফিরে রেসিপি টা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। এত সুন্দর রেসিপির ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার কাছে আমার ফটোগ্রাফি পোস্ট ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।
আপনি অনেক সুন্দর করে বাসায় রেসিপি করেছেন সেই রেসিপি গুলোর ফুড ফটোগ্রাফি করেছেন। এরকম অনেক রেসিপি আছে সময়ের কারণে রেসিপি গুলোর সবগুলো ফটোগ্রাফি করা যায় না। তবে আপনার রেসিপি গুলো ফটোগ্রাফি দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। তবে এই রেসিপিগুলো একসাথে খেতে পারলে অনেক মজাই লাগতো। আপনি ফুড ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া যখন পোস্ট লিখছি তখন আপনার মতো আমারও এটাই মনে হয়েছিল। সবগুলো একসাথে খেতে পারলে ভালো হতো। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
বাসায় অনেক সুস্বাদু খাবার তৈরি করেছেন এবং সেগুলোর ফটোগ্রাফি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে জিভে জল চলে এসেছে। প্রত্যেকটা খাবার এত বেশি সুস্বাদ লোভনীয় লাগছে কি আর বলব। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
বাসায় যদি এত লোভনীয়ভাবে খাবার তৈরি করা যায় তাহলে বাইরের খাবারের কোন প্রয়োজন পড়ে না আপু। আপনার প্রতিটি খাবারের ফটোগ্রাফি দারুন ছিল। আসলে ঠিক বলছেন মাঝে মাঝে নিজের খাবারের প্রতি অনীহা চলে আসে। তাই বাইরে খেতে ইচ্ছে করে। কম বেশি সকলেই বাইরের খাবারের প্রতি খুব আগ্রহ দেখায়। তবে স্বাস্থের দিক বিবেচনা করলে ঘরের খাবার সব চাইতে ভাল। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো লেগেছে।
ঘরের খাবার স্বাস্থ্যসম্মত জেনেও মাঝে মাঝে বাহিরের খাবারের প্রতি আগ্ৰহ থাকে। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।